ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০০৭: বাঘদের দাঁত গজানোর গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

১১ মার্চ গ্রীনফিল্ড স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হওয়া এটি ছিল আইসিসির নবম বিশ্বকাপ আসর।আয়োজক দেশ ছিল ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে এটা ছিল বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় বিশ্বকাপ মিশন। ১০টি পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ আর ৬টি সহযোগী সদস্য সহ মোট ১৬টি দেশ নিয়ে চারটি গ্রুপে ভাগ করে ৫১টি ম্যাচের ফিক্সার নিয়ে পর্দা উঠে এই আসরের। বাংলাদেশ `বি` গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হয়। অন্য দল হিসেবে গ্রুপে ছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বারমুডা।

হাবিবুল বাসার সুমনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। যার ১০ জনেরই বিশ্বকাপ খেলা হয়নি কখনো। মাত্রই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাটতে শুরু করা তামিম, সাকিব, মুশফিকদের সাথে স্কোয়াডে ছিলেন দলের প্রধান প্রাণভোমরা মাশরাফি, স্পিনগুরু রফিক, হার্ডহিটার আফতাব এবং আশার আলো খ্যাত আশরাফুল। 

১৭ মার্চ কুইন্স পার্ক ওভালে, টাইগাররা গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বিশ্বকাপের অন্যতম মোস্ট ফেভারিট ভারতের। বাংলাদেশও এই ম্যাচে ফেভারিটের তালিকায় ছিল। থাকবেই নাহ কেন? বিশ্বকাপের আগে খেলা মোট ২৬ ম্যাচের ৭০% জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া দ্বিতীয় দলটাই ছিল টাইগারদের। তাছাড়া প্রেস ব্রিফিংয়ে টাইগার কোচ বলেছিলেন "আমাদের দলে একটা নতুন ওপেনার থাকবে৷ সে যদি ১০টি ওভার টিকে যায় তবে একাই ভারতের বোলিং তছনছ করে দিবে।" এটা বলে কোচ ভারতকে চাপে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্ত কোচের সেই কথাই পরবর্তীতে নতুন ওপেনার হিসেবে সত্যি প্রমাণ করেছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ যখন ভারতের ম্যাচ নিয়ে ভীষণ আবহের মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলো, তার ঠিক আগের দিন হঠাৎ করেই সেই ম্যাচ শুরুর আবহটা চরম বিষাদে বিষিয়ে উঠে টাইগার ক্যাম্পে। খবর আসে দেশের অন্যতম সেরা বামহাতি স্পিনার মানজারুল ইসলাম রানা এবং সেতুর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ। এই মৃত্যুর সংবাদে হাবিবুল বাসাররা শোককে শক্তি আর প্রতিজ্ঞায় নিতে শুরু করে। 

এদিকে ম্যাচ শুরুর আগে মাশরাফি দেন আলোচিত এক বক্তব্য। বলেন, "যদি উইকেটে কিছু থাকে আর আমরা টস জিতে ওদেরকে ব্যাটে পাঠাতে পারি তবে ভারতকে ধরে দিবানি।" ম্যাশের এই বক্তব্য পুরো বিশ্বকাপে টাইগারদের স্লোগান হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্বান্ত নিলে টসে হেরেও উজ্জীবিত থাকে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী বোলিংয়ে আসেন মাশরাফি। দলের তৃতীয় ওভার আর ম্যাশের দ্বিতীয় ওভারেই শেভাগকে বোল্ড করে স্ট্যাম্প উড়িয়ে `ধরে দিবানি`র শুরুটা করেন ম্যাশ। মাশরাফির পরে জ্বলে উঠেন দুই টাইগার স্পিনার রফিক এবং রাজ্জাক। দলের ৪০ রানের মাথায় শচীনকে ফিরিয়ে দেন রাজ্জাক এবং দ্রাবিড়কে রফিক। জয়ের বীজ রোপন যেন সবে শুরু। সৌরভ আর যুবরাজ যখন মাটি কামড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তখন দলীয় ১৫৮ রানের মাথায় সৌরভের আশাভঙ্গ করেন রফিক। এরপরেই অসহায় হয়ে পড়ে ভারত। পঞ্চম থেকে নবম উইকেট; এই পাচঁটি উইকেট হারায় তারা মাত্র দুই রানের ব্যবধানে। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় যুবরাজরা। 

১৯২ রানের লক্ষ্য নিয়ে জহির খানদের সামনে দাঁড়ায় তামিম নাফিসরা। নবাগত তামিম প্রথম থেকেই দ্রুত চালিয়ে খেলতে থাকেন৷ জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে তামিমের মারা ছক্কা তো এদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য মধুমাখা! সাতটি চার আর দুইটি ছক্কায় সাজানো ইনিংস খেলে তামিম ফিরে যাওয়ার আগে করেন ৫৩ বলে ৫১ রান। কোচের সেই কথার আস্থাই যেন রেখে দেন খান সাহেব। অর্ধশতক আসে অন্য দুই নবীন টাইগার; প্রথম বিশ্বকাপ খেলা সাকিব এবং মুশফিকের ব্যাট থেকে৷ চতুর্থ উইকেটে এই দুই খেলোয়াড় করেন ৮৪ রানের মূল্যবান জুটি। ৫৩ রান করে শেওয়াগের বলে সাকিব ফিরে গেলে উইকেটে আসেন আশরাফুল। ততক্ষণে আশরাফুলকে সাথে নিয়ে  মুনাফ প্যাটেলের বলে চার মেরে ভারত বধের মহাকাব্য রচনা করে ফেলেন মুশফিক। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ভারতকে ধরে দিতে চাওয়া সেই মাশরাফিই। এই ম্যাচের জের ধরেই বিশ্বকাপে ভারত গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়।

পরের ম্যাচে টাইগাররা শ্রীলঙ্কার সাথে হেরে গেলেও তৃতীয় ম্যাচে সাকিব-আশরাফুলের ব্যাটিং কল্যাণে বারমুডাকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে। টাইগাররা পরবর্তী রাউন্ড সুপার এইটের পর্বে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়। সব কয়টি ম্যাচ হেরে গেলেও তারা সাউথ আফ্রিকাকে ৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায়। আর এভাবেই প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির মিশেলে শেষ হয় টাইগারদের ধরে দিবানির বিশ্বকাপ মিশন। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন কুইন অব ফুটবল?

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা। ইতোমধ্যেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন ‘কুইন অব ফুটবল’খ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, ‘এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।’

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দু’বার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, ‘আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।’

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মে’র উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা   ব্রাজিল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বলে আখ্যায়িত করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail মুস্তাফিজুর রহমান

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।

তবে শেষ কয়েক ম্যাচে ছন্দপতন হয়েছে তার। যদিও এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষের দিকে আছেন এ টাইগার পেসার।

যদিও টানা কয়েক ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের পরও তার ওপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, তাকে নিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই।

চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলের শুরু থেকেই খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ। অবশেষে এবারের আসরে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কৃত্রিম টার্ফের কারণে মেসির খেলা নিয়ে শঙ্কা!

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এ সময়ে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিও যেন হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছিল না। তবে মেসি সম্প্রতি ফিরেছেন মাঠে। খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। আর এই কয়েক ম্যাচের মধ্যেই মায়ামিকে আবারও লিগের শীর্ষে তুলেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

তবে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মায়ামির শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে পরবর্তী ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু আসন্ন ম্যাচে দলের এই প্রধান তারকার খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এবার চোট নয়, এর নেপথ্যে মাঠের কৃত্রিম টার্ফ! এর আগে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম আর্টিফিশিয়াল টার্ফে মেসির খেলা নিয়ে কিছুটা দোদুল্যমান অবস্থা দেখা দিয়েছিল। ন্যাচারাল মাঠের চেয়ে যেখানে চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ওই সময় তাকে কৃত্রিম টার্ফের মাঠে খেলানো হয়নি। তেমন পরিস্থিতি আবারও সামনে এসেছে এই তারকা ফরোয়ার্ডের সামনে।

মায়ামি আগামী রোববার তাদের পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউ ইংল্যান্ড রিভোলিউশনের। ম্যাচটি হবে কৃত্রিম টার্ফ দিয়ে গড়া জিলেট স্টেডিয়ামের মাঠে। তাই চোটের ঝুঁকি এড়াতে ম্যাচটিতে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি!

অন্যদিকে, চোটের সমস্যা রয়েছে মেসির দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মায়ামির উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের। তিনি হাঁটুর চোট নিয়ে ভুগছেন লম্বা সময় ধরে। যার কারণে তার ক্যারিয়ারও আর বেশি বড় না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই মেসির মতো মায়ামির আসন্ন ম্যাচে হয়তো সুয়ারেজকেও পাবে না। এ নিয়ে কথা বলেছেন মায়ামি ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ফুটবলার জুলিয়ান গ্রেসেল।

একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে সতীর্থ ফুটবলারদের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে গ্রেসেল বলেন, ‘আমরা যখন ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করব, তখন (তাদের খেলা ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করব। তখন আসলে জানতে পারব যে আসন্ন ম্যাচটিতে কারা খেলবেন। কিন্তু তিনিই একমাত্র (সুয়ারেজ) যার খেলা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অবশ্য আলবারও (জর্দি) চোট আছে।’

মেসি ওই ম্যাচের একাদশে থাকবেন কি না, এ নিয়ে অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন গ্রেসেল, ‘আমি যতটুকু শুনেছি সম্ভবত (একাদশে) নাম আছে তার।’

মায়ামির জার্সিতে সবশেষ ম্যাচটা ছিল মেসিময়। কারণ তিনি জোড়া গোলের পাশাপাশি অপর গোলেও অবদান রেখেছিলেন। ম্যাচটিতে ন্যাশভিলেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের লিগ টেবিলে আবারও শীর্ষস্থানে উঠল মায়ামি। ১০ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। এক ম্যাচ কম খেলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরই অবস্থান নিউইয়র্ক আরবির।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে যা বললেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৫:৩৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬  থেকে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করে সেবার সানরাইজার্স হায়দ্রবাদের হয়ে অম্ল-মধুর সময় কাটিয়েছিলেন ফিজ। এরপর কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘুরলেও সেগুলোতে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি ফিজকে। তবে এবার চেন্নাইয়ে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে।

এরই মধ্যে চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মুস্তাফিজ। যা বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তারা। সেই ভিডিওতে চেন্নাইয়ের ডাক পাওয়ার পরের অনুভূতি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে আলোচনা ও দলের অভ্যন্তরীণ আবহ নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ফিজ।

কাটার মাস্টার বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’

মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানকার (চেন্নাইয়ের) সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। জাতীয় দলে যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকে আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’

ধোনিকে নিয়ে ফিজ আরও বলেন, ‘উনার (ধোনি) সঙ্গে বেশিরভাগ বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়। আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হয়।’

প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। যেখানে ১০.৭ ইকোনোমিতে ১২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এতে অবশ্য টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন এই টাইগার পেসার।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অবসরের ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মারুফের অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

ক্যারিয়ারে ২৭৬টি ম্যাচে ৬২৬২ রান করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বোলিং করে ৮০টি উইকেট শিকার করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

নিজের অবসরের ঘোষণায় বিসমাহ মারুফ বলেন, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।’

বিবৃতিতে পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ, ‘আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।’

সর্বশেষ নারী টি-২০ বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তানকে ৯৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।


পাকিস্তান   নারী ক্রিকেট   বিসমাহ মারুফ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন