ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

For the good of the game এই নীতিবাক্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ১৯০৪ সালের ২১মে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে গঠিত হয় Federation Internationale de Football Association যা সংক্ষেপে FIFA বা ফিফা। বর্তমানে এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে। আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন আসর আয়োজনের পাশাপাশি ফিফা বিভিন্ন সময়ে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ফিফা ১৯৯৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবল একাদশ ঘোষণা করে। 

দেখে নেওয়া যাক সর্বকালের সেরা একাদশের খেলোয়াড়দের। 

গোলকিপারঃ লেভ ইয়াশিন (সোভিয়েত ইউনিয়ন)
লেভ ইয়াশিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোয় ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা ইয়াশিন খেলেছিলেন সর্বমোট ৮১২ ম্যাচ। এর মধ্যে ৫০০টি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে নিজের জালে কোন বল গড়াতে দেননি। ১৫১টি পেনাল্টি শট রুখে দেওয়া এই গোলরক্ষক ছিলেন সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক। চারটি বিশ্বকাপ খেলা ইয়াশিন সব সময়েই কালো জার্সি বা কালো পোষাক পড়তেন। একারণেই তাকে বলা হতো ব্ল্যাক স্পাইডার কিংবা ব্ল্যাক প্যান্থার। এখন পর্যন্ত ইতিহাসে একমাত্র গোলকিপার হিসেবে ফিফা ব্যালন ডি`অর জিতেছেন। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ১৯৯০ সালে মারা যান। 

ডিফেন্ডারঃ দালমা সান্তোস (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা রাইটব্যাক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সান্তোস ১৯২৯ সালে সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাজিলের হয়ে চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দুইটিতে চ্যাম্পিয়ন হন। ব্রাজিলের হয়ে সর্বপ্রথম একশো অধিক ম্যাচ খেলেন তিনি। একজন ডিফেন্ডার হয়ে ১০৭৪টি ম্যাচ খেলেও ক্যারিয়ারে কখনই লাল কার্ড দেখেননি এই ব্রাজিলিয়ান। ২০১৩ সালে মারা যান তিনি।

ডিফেন্ডারঃ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি)
জার্মানির সর্বকালের সর্বসেরা এই খেলোয়াড়ের জন্ম ১৯৪৫ সালে। জার্মানরা তাকে কাইজার বলেই ডাকে। যার অর্থ সম্রাট। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। একজন ডিফেন্ডার হয়েও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলধারী হন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বায়ার্ন মিউনিখকে বহু সাফল্য এনে দিয়ে ইউরোপের পরাক্রমশালী ক্লাবে রুপান্তর করেন বেকেনবাওয়ার।

ডিফেন্ডারঃ ববি মুর (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই ফুটবলার জন্মেছেন ১৯৪১ সালে। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। খেলেছিলেন ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড ক্লাবে। এই ক্লাবে তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৯৩ সালে মাত্র ৫২ বছরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই ডিফেন্ডার। 

ডিফেন্ডারঃ পল ব্রেইটনার (জার্মানি)
১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করা ব্রেইটনার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। `৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানের পক্ষে সমতাসূচক গোল করেন তিনি। একই বছর বিশ্বকাপ এবং উচল জেতা নয়জনের প্লেয়ারের অন্যতম এক খেলোয়াড়। স্ট্রাইকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেও পরবর্তীতে বনে যান সেরা ডিফেন্ডারে। ক্যারিয়ারে করেছিলেন একাধিক হ্যাট্রিক। তিনি একজন প্রতিবাদী খেলোয়াড়ও ছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।

মিডফিল্ডারঃ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ড)
টোটাল ফুটবলের জনক ক্রুইফ জন্মেছিলেন ১৯৪৭ সালে। তিনবার ব্যালন ডি`অর জয়ী এই মিডফিল্ডার দলের প্রয়োজনে যেকোন পজিশনে খেলতে পারতেন।ক্রুইফের কল্যাণেই নেদারল্যান্ড বিশ্বকাপে দুইবার রানার্সআপ হয়। তার অধীনেই বার্সেলোনা প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালে মারা যান এই ডাচ ফুটবলার। 

মিডফিল্ডারঃ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স)
১৯৫৫ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করা এই ফুটবলার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। তিনি ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সকে প্রথম বারের মত কোন আন্তর্জাতিক ট্রপি হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রপি জেতাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং দুইবার ব্যালন ডি`অর জয় করে নেন। উয়েফার প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এই ফুটবলার। তবে সংগঠক হিসেবে তিনি বহু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। 

মিডফিল্ডারঃ ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড)
মধ্যভাগের এই খেলোয়াড় ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডিঅর জয়ী 
এই খেলোয়াড় ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টা ম্যানইউতেই কাটিয়েছিলেন। ম্যানইউ`র পক্ষে এখনো সর্বোচ্চ গোলের মালিক তিনি। ম্যানইউ`র পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৪ সালে নাইট উপাধি পান ম্যানইউর সাবেক এই অধিনায়ক। 

ফরওয়ার্ডঃ গ্যারিঞ্চা (ব্রাজিল)
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ড্রিবলার গ্যারিঞ্চা ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পেলের পরে ব্রাজিলের দ্বিতীয় সেরা এই খেলোয়াড় ব্যানানা শট দিয়ে কর্নার থেকে গোল করতেন অবলীলায়। তার বাকানো পায়ের জাদুতেই নিজের প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতে নেন। পরের বিশ্বকাপে খেলেন শুধু দুইটি ম্যাচ। ইঞ্জুরির কাছে হেরে যান৷ পেলে এবং গ্যারিঞ্চা একই সময়ে দলে খেলতেন। তারা দুইজন খেলেছে এমন কোন ম্যাচে ব্রাজিল কখনো হারেনি। এছাড়া গ্যারিঞ্চা ব্রাজিলের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলেন। যেখানে তিনি শুধু মাত্র একটি ম্যাচ হারেন। হেরে যাওয়া সেই ম্যাচটিই ছিল তার জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে তিনি  সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল এবং টপ স্কোরার হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেন। ১৯৮৩ সালে পরপারে পাড়ি জমান এই ব্রাজিলিয়ান। 

ফরওয়ার্ডঃ পেলে (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালে। তিনি একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৩টি বিশ্বকাপ জয়লাভ করেন৷১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেন পেলে৷ যা আজো বহাল তবিয়তেই আছে। ফরওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলেন ব্রাজিলের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই খেলোয়াড়। এছাড়া তিনি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১২৮৩টি গোল করেন। কেউ কেউ এটাকে বলেন ১২৮২টি। তবে উইকিপিডিয়া বলছে ১২৮১টি গোল করেছেন পেলে। 

ফরওয়ার্ডঃ ফেরেন্স পুস্কাস (হাঙ্গেরী)
১৯২৭ সালে বুদাপেস্টে জন্মগ্রহণ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফরওয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ৮৪ ম্যাচে ৮৩টি গোল করেন পুস্কাস। যা যেকোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে ম্যাচপ্রতি গোল করার সর্বোচ্চ গড়। ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি ৫২১ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৫০৮টি। যা সর্বকালের তালিকায় এখন চতুর্থ। চ্যাম্পিয়নস লীগ সহ একাধিক ট্রপি জেতা পুস্কাসের দল হাঙ্গেরী হট ফেভারিট হয়েই ১৯৫৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়। তিনি হন ট্র‍্যাজিক হিরো। যদিও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তার দল জার্মানিকে ৮-৩ গোলে হারিয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১০টি শিরোপা জিতেন পুস্কাস। ফিফা ২০০৯ সাল থেকে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বছরের সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কারের নাম রাখে পুস্কাস এওয়ার্ড। ২০০৬ সালে ইতিহাসের সেরা এই ফুটবলার মারা যান।

ফিফা সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ বাদেও আরো অন্যান্য একাদশ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে আছে ড্রিম একাদশ। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা যায়গা করে আছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে যা বললেন চেন্নাই কোচ

প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে হোমগ্রাউন্ডে ফিরছে ধোনি-মুস্তাফিজদের চেন্নাই। পয়েন্ট টেবিলে আছে চতুর্থ স্থানে। গত ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে তাদের ঘরের মাঠে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার নিজেদের মাঠে সেই লখনৌকেই আতিথ্য দেবে ধোনিরা।  

এই ম্যাচে থাকার সম্ভাবনা আছে মুস্তাফিজুর রহমানের। চিপাকের পিচে ফিজ বেশ কার্যকরী। পেয়েছেন ৮ উইকেট। মাথিশা পাথিরানার সঙ্গে আজও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটাই হয়ত ফিজের চেন্নাই পর্বের শেষের শুরু। ঘরের মাঠে পরের তিন ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। আর এই তিন ম্যাচ দিয়েই ফিজ পর্ব শেষ হবে আইপিএলে। 

চেন্নাই সুপার কিংসের দশম ম্যাচ পর্যন্ত আইপিএলে থাকছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-২০ সিরিজ খেলতে দেশে ফিরে আসবেন তিনি। আর ফিজের এমন বিদায়কে দুঃখজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি। 

লখনৌ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি টাইগার পেসার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তার (মুস্তাফিজ) স্লোয়ার বলটা অসাধারণ যেটা খেলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ে। যখন সে চলে যাবে আমরা দুঃখ পাব। কিন্তু তার দেশ তাকে ডাকছে। সে যতদিন থাকতে পারবে ততদিন আমরা তাকে রাখতে চাই। আমরা তার পারফরম্যান্সে বেশ আনন্দিত।’ 

মুস্তাফিজকে ১ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ২৮ এপ্রিল ও ১ মে যথাক্রমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। এবারের আসরে ছয় ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মুস্তাফিজ। ২০.৫৪ গড় আর ৯.৪১ ইকোনমিতে বোলিং করে ১১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। 

আইপিএলে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে মুস্তাফিজরা। 


মুস্তাফিজ   চেন্নাই   আইপিএল   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুম্বাইকে হারিয়ে প্লে অফের পথে আরেক ধাপ এগোলো রাজস্থান

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের ১০০তম ম্যাচ সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তার দল হেরেছে ৮ উইকেটে। সবাইকে অবাক করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিলেন হার্দিক। মুম্বাই করে ৯ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাবে রাজস্থান ১৮.৪ ওভারে ১ উইকেটে করে ১৮৩ রান। সঞ্জু স্যামসনের দলের জয়ের দুই নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল এবং সন্দীপ শর্মা। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লেঅফের দিকে আরো এক পা এগিয়ে গেল প্রতিযোগিতার প্রথম বারের চ্যাম্পিয়নেরা।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীরে করেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। তবে ইনিংস যত এগিয়েছে তত রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন রাজস্থানের ব্যাটারেরা। সঞ্জুদের ইনিংসের ৬ ওভারের পর বৃষ্টি নামে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। তাতেও রাজস্থানের ইনিংসে বিঘ্ন ঘটেনি। বাটলার ২৫ বলে ৩৫ রান করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন যশস্বী। নিজের এবং দলের ইনিংসকে মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। যশপ্রীত বুমরাকেও পরোয়া করলেন না তরুণ ওপেনার। এ বারের আইপিএলে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছিল তার ফর্ম নিয়ে। সোমবার সমালোচকদের জবাব দিলেন অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলে। ৫৯ বলে শতরান পূর্ণ করেন জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৬০ বলে ১০৪ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৭টি ছক্কায়।

জয়সওয়ালকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জুও। তিনিও সাবলীলভাবে ব্যাট করেন। মুম্বাইয়ের বোলারেরা রাজস্থানের ব্যাটারদের তেমন কোনো সমস্যায় ফেলতেই পারেননি। সঞ্জুর ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি করে চার এবং ছয়ে। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে পীযূষ ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন। জয়পুরের ২২ গজে সাধারণ দেখাল বুমরা, হার্দিকদের।

জয়পুরের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি মুম্বাইয়ের উপরের দিকের ব্যাটারেরা। সন্দীপ এবং ট্রেন্ট বোল্টের দাপটের সামনে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। তার পরেও মুম্বাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন দুই তরুণ তিলক বর্মা এবং নেহাল অধেরা। পর পর আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা (৬), ঈশান কিশন (০) এবং সূর্যকুমার যাদব (১০)। বড় রান পেলেন না পাঁচ নম্বরে নামা মেহাম্মদ নবিও। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার করেন ১৭ বলে ২৩ রান। ৫২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন তিলক এবং নেহাল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নেহালের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছয়। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিলকের সঙ্গে ৯৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ইনিংসকে ভরসা দিলেন মূলত তিলক। চার নম্বরে নেমে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি করেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। তার ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রান পেলেন না অধিনায়ক হার্দিকও (১০)। মুম্বাইয়ের শেষ দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।

এই ম্যাচে নবিকে আউট করে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৪৮ রান খরচ করে একটিই উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার। সফলতম সন্দীপ নেন ১৮ রানে ৫ উইকেট। রাজস্থানের অন্য বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৩২ রানে ২ উইকেট, আবেশ খান ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। এ দিনও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোল্ট এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পূর্ণ করেন।


মুম্বাই   রাজস্থান   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার আইপিএলে চার-ছক্কার লড়াইয়ে শীর্ষে যারা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। যেখানে শুরু থেকেই  বোলারদের চেয়ে ব্যাটারদের নৈপূন্যতা যেন একটু বেশিই চোখে পড়ার মত। কারণ ভারতের ঘরোয়া এই ফ্রাঞ্চইজি লিগের এবারের আসরে প্রতিটি দলই যেন রানের বন্যায় ভাসছে। 

টি-টোয়েন্টি সাধারণত চার ছক্কার খেলা হয়ে থাকলেও এতে বোলারদেরও নৈপুণ্যতা কম থাকে না। তবে আইপিএলে এবারের আসরে সব বোলারাই যেন নড়বড়ে অবস্থায় থাকছেন। কারণ আন্তর্জাতিক খেলায় যেখানে অনেক বোলার ৪ ওভার বল করে সর্বোচ্চ ৩০ রান দিতেন, সেখানে আইপিএলে এবার প্রায় ম্যাচেই সেই বোলারদেরও দিতে হচ্ছে ৪০ এর উপরে রান।

শুধু তাই নয়, চলমান আইপিএলে দুইশো রানও যেন অতি সহজেই করে ফেলছে ব্যাটাররা। এছাড়াও ৬৪৯ ছক্কা এবং ১ হাজার ১২২টি চার দেখেছে এবারের আইপিএল। তাই বলা যায় এবারের আসরটা যেন একেবারেই ব্যাটারদের জন্য। 

আর এই চার-ছক্কা হাঁকানোর লড়াইয়ে আইপিএলে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে হায়দরাবাদের ব্যাটাররাই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাই ভেঙে চলেছে একের পর এক রেকর্ড। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে ৬ ওভারেই তারা তুলে নেয় ১২৫ রান। 

এবারের আসরে চারের সংখ্যা অনেকটা কম হলেও ছক্কা হাঁকানোর দিক থেকে সবার ওপরে আছেন সানরাইজার্সেরই দুই ব্যাটার। হেনরিখ ক্লাসেন হাঁকিয়েছেন ২৬ ছক্কা। এরপরেই আছে অভিষেক শর্মার নাম। তরুণ এই ভারতীয় ব্যাটার হাঁকিয়েছেন ২৪ ছক্কা। আর ক্লাসেন ২৬ ছক্কার বিপরীতে চার মেরেছেন ৯টি । অভিষেক ২৪ ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ১৮টি চার। সবচেয়ে বেশি ৩৯ চার হাঁকানো সানরাইজার্সের ট্রাভিস হেড ১৮টি ছক্কা মেরে দখল করেছেন ছক্কা হাঁকানোর তালিকার সপ্তম স্থান।   

এদিকে ছয় হাঁকানোর দিক থেকে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন  তিনজন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারিন হাঁকিয়েছেন ২০ ছক্কা। সমান সংখ্যক ছক্কা মেরেছেন রাজস্থান রয়্যালসের রিয়ান পরাগ এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান। আর বেঙ্গালুরুর দীনেশ কার্তিক মেরেছেন ১৯ ছক্কা। 

অপরদিকে ১৮টি করে ছক্কা মেরেছেন ট্রাভিস হেড, রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলি। হেড এবং কোহলি দুজনেই আছেন চার মারার তালিকার শীর্ষে। কারণ সর্বোচ্চ ৩৯টি চার মেরেছেন হেড। আর কোহলির ব্যাটের অর্জন  ৩৬ চার। 

ত্রিশের বেশি চার মেরেছেন আরও দুজন। কলকাতার ফিল সল্ট চার হাঁকিয়েছেন ৩১ বার। আর রোহিত শর্মা মেরেছেন ৩০ চার। রাজস্থানের অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ চার। ২৬টি চার মেরেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং গুজরাটের শুভমান গিল। এছাড়াও ২৮টি করে চার মেরেছেন কলকাতার সুনীল নারিন এবং গুজরাটের সাই সুদর্শন।


আইপিএল   টি-টোয়েন্টি   গুজরাট   ভারত   কলকাতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল শেষ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে আইপিএলের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। তার ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ রিকি পন্টিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আইপিএলে দিল্লির হয়ে ৩ এপ্রিল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন মার্শ। এরপর ১২ এপ্রিল ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট সারাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মেডিকেল স্টাফদের দ্বারস্থ হন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। আইপিএলে মার্শ ফিরবেন কবে, তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ চোট থেকে সেরে উঠতে তাঁর পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন ছিল।

দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে পন্টিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না সে ফিরে আসবে। বদলি খেলোয়াড়ের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া আছে। সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে দ্রুত নিজেদের কাছে চেয়েছে এবং আমরাও যত দ্রুত সম্ভব তাকে পাঠিয়েছি।’

পন্টিং এরপর বলেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা তার পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার দেখভাল করছে। সেদিন তার (মার্শ) সঙ্গে কথা হলো, যেটা বুঝলাম সে যেমন ভেবেছিল তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে। তবে আমার মনে হয় না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে।’ ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মার্শের।

দিল্লির হয়ে আইপিএলে এ মৌসুমে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মার্শ। ৩ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মোট ৬১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ স্কোর ২৩। বোলিংয়ে ৮ ওভারে ১২.৮৭ ইকোনমিতে পেয়েছেন ১টি উইকেট। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুম আইপিএলের মাঝপথে মার্শকে হারাল দিল্লি। সাড়ে ৬ কোটি রুপিতে মার্শকে কিনে গত বছর তাঁকে মাত্র ৯ ম্যাচ খেলাতে পেরেছে দিল্লি। এবার ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল টেবিলে অষ্টম দিল্লি। জিতেছে ৩ ম্যাচ, হেরেছে ৫ ম্যাচ।


আইপিএল   মিচেল মার্শ   অস্ট্রেলিয়া   রিকি পন্টিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে ম্যাচ হারের পর ডু প্লেসি-কারেনের জরিমানা

প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মাত্র ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যেখানে হতাশায় ডুবেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এদিন আরেক খেলায় গুজরাট টাইটানসের কাছে ৩ উইকেটে পরাজিত হয়েছে পাঞ্জাব কিংস। তবে ম্যাচ হারের পর দুই দলের অধিনায়ককেই গুনতে হলো জরিমানা।

আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। কলকাতার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে ওভাররেটের আইন ভঙ্গের কারণে তাকে এই জরিমানা করা হয়। চলতি মৌসুমে এই প্রথম জরিমানা গুনলেন ডু প্লেসি।

অপরদিকে পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেনকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ জরিমানা বিবৃতিতে জানিয়েছে, আচরণবিধি সংশ্লিষ্ট ধারা ২.৮ এর লেভেল ১ ভঙ্গ করেছেন কারেন। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে কারেনের বিপক্ষে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব-দুই দলের অবস্থাই করুণ। ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে টেবিলের তলানীতে আছে বেঙ্গালুরু। আর সমান ম্যাচে ২ জয়ে টেবিলের নিচ থেকে দ্বিতীয়স্থানে আছে পাঞ্জাব।


আইপিএল   ফাফ ডুপ্লেসি   স্যাম কারেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন