ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

For the good of the game এই নীতিবাক্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ১৯০৪ সালের ২১মে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে গঠিত হয় Federation Internationale de Football Association যা সংক্ষেপে FIFA বা ফিফা। বর্তমানে এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে। আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন আসর আয়োজনের পাশাপাশি ফিফা বিভিন্ন সময়ে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ফিফা ১৯৯৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবল একাদশ ঘোষণা করে। 

দেখে নেওয়া যাক সর্বকালের সেরা একাদশের খেলোয়াড়দের। 

গোলকিপারঃ লেভ ইয়াশিন (সোভিয়েত ইউনিয়ন)
লেভ ইয়াশিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোয় ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা ইয়াশিন খেলেছিলেন সর্বমোট ৮১২ ম্যাচ। এর মধ্যে ৫০০টি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে নিজের জালে কোন বল গড়াতে দেননি। ১৫১টি পেনাল্টি শট রুখে দেওয়া এই গোলরক্ষক ছিলেন সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক। চারটি বিশ্বকাপ খেলা ইয়াশিন সব সময়েই কালো জার্সি বা কালো পোষাক পড়তেন। একারণেই তাকে বলা হতো ব্ল্যাক স্পাইডার কিংবা ব্ল্যাক প্যান্থার। এখন পর্যন্ত ইতিহাসে একমাত্র গোলকিপার হিসেবে ফিফা ব্যালন ডি`অর জিতেছেন। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ১৯৯০ সালে মারা যান। 

ডিফেন্ডারঃ দালমা সান্তোস (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা রাইটব্যাক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সান্তোস ১৯২৯ সালে সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাজিলের হয়ে চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দুইটিতে চ্যাম্পিয়ন হন। ব্রাজিলের হয়ে সর্বপ্রথম একশো অধিক ম্যাচ খেলেন তিনি। একজন ডিফেন্ডার হয়ে ১০৭৪টি ম্যাচ খেলেও ক্যারিয়ারে কখনই লাল কার্ড দেখেননি এই ব্রাজিলিয়ান। ২০১৩ সালে মারা যান তিনি।

ডিফেন্ডারঃ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি)
জার্মানির সর্বকালের সর্বসেরা এই খেলোয়াড়ের জন্ম ১৯৪৫ সালে। জার্মানরা তাকে কাইজার বলেই ডাকে। যার অর্থ সম্রাট। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। একজন ডিফেন্ডার হয়েও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলধারী হন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বায়ার্ন মিউনিখকে বহু সাফল্য এনে দিয়ে ইউরোপের পরাক্রমশালী ক্লাবে রুপান্তর করেন বেকেনবাওয়ার।

ডিফেন্ডারঃ ববি মুর (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই ফুটবলার জন্মেছেন ১৯৪১ সালে। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। খেলেছিলেন ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড ক্লাবে। এই ক্লাবে তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৯৩ সালে মাত্র ৫২ বছরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই ডিফেন্ডার। 

ডিফেন্ডারঃ পল ব্রেইটনার (জার্মানি)
১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করা ব্রেইটনার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। `৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানের পক্ষে সমতাসূচক গোল করেন তিনি। একই বছর বিশ্বকাপ এবং উচল জেতা নয়জনের প্লেয়ারের অন্যতম এক খেলোয়াড়। স্ট্রাইকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেও পরবর্তীতে বনে যান সেরা ডিফেন্ডারে। ক্যারিয়ারে করেছিলেন একাধিক হ্যাট্রিক। তিনি একজন প্রতিবাদী খেলোয়াড়ও ছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।

মিডফিল্ডারঃ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ড)
টোটাল ফুটবলের জনক ক্রুইফ জন্মেছিলেন ১৯৪৭ সালে। তিনবার ব্যালন ডি`অর জয়ী এই মিডফিল্ডার দলের প্রয়োজনে যেকোন পজিশনে খেলতে পারতেন।ক্রুইফের কল্যাণেই নেদারল্যান্ড বিশ্বকাপে দুইবার রানার্সআপ হয়। তার অধীনেই বার্সেলোনা প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালে মারা যান এই ডাচ ফুটবলার। 

মিডফিল্ডারঃ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স)
১৯৫৫ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করা এই ফুটবলার ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। তিনি ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সকে প্রথম বারের মত কোন আন্তর্জাতিক ট্রপি হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রপি জেতাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং দুইবার ব্যালন ডি`অর জয় করে নেন। উয়েফার প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এই ফুটবলার। তবে সংগঠক হিসেবে তিনি বহু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। 

মিডফিল্ডারঃ ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড)
মধ্যভাগের এই খেলোয়াড় ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডিঅর জয়ী 
এই খেলোয়াড় ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টা ম্যানইউতেই কাটিয়েছিলেন। ম্যানইউ`র পক্ষে এখনো সর্বোচ্চ গোলের মালিক তিনি। ম্যানইউ`র পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৪ সালে নাইট উপাধি পান ম্যানইউর সাবেক এই অধিনায়ক। 

ফরওয়ার্ডঃ গ্যারিঞ্চা (ব্রাজিল)
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ড্রিবলার গ্যারিঞ্চা ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পেলের পরে ব্রাজিলের দ্বিতীয় সেরা এই খেলোয়াড় ব্যানানা শট দিয়ে কর্নার থেকে গোল করতেন অবলীলায়। তার বাকানো পায়ের জাদুতেই নিজের প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতে নেন। পরের বিশ্বকাপে খেলেন শুধু দুইটি ম্যাচ। ইঞ্জুরির কাছে হেরে যান৷ পেলে এবং গ্যারিঞ্চা একই সময়ে দলে খেলতেন। তারা দুইজন খেলেছে এমন কোন ম্যাচে ব্রাজিল কখনো হারেনি। এছাড়া গ্যারিঞ্চা ব্রাজিলের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলেন। যেখানে তিনি শুধু মাত্র একটি ম্যাচ হারেন। হেরে যাওয়া সেই ম্যাচটিই ছিল তার জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে তিনি  সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল এবং টপ স্কোরার হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেন। ১৯৮৩ সালে পরপারে পাড়ি জমান এই ব্রাজিলিয়ান। 

ফরওয়ার্ডঃ পেলে (ব্রাজিল)
সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালে। তিনি একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৩টি বিশ্বকাপ জয়লাভ করেন৷১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেন পেলে৷ যা আজো বহাল তবিয়তেই আছে। ফরওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলেন ব্রাজিলের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই খেলোয়াড়। এছাড়া তিনি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১২৮৩টি গোল করেন। কেউ কেউ এটাকে বলেন ১২৮২টি। তবে উইকিপিডিয়া বলছে ১২৮১টি গোল করেছেন পেলে। 

ফরওয়ার্ডঃ ফেরেন্স পুস্কাস (হাঙ্গেরী)
১৯২৭ সালে বুদাপেস্টে জন্মগ্রহণ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফরওয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ৮৪ ম্যাচে ৮৩টি গোল করেন পুস্কাস। যা যেকোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে ম্যাচপ্রতি গোল করার সর্বোচ্চ গড়। ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি ৫২১ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৫০৮টি। যা সর্বকালের তালিকায় এখন চতুর্থ। চ্যাম্পিয়নস লীগ সহ একাধিক ট্রপি জেতা পুস্কাসের দল হাঙ্গেরী হট ফেভারিট হয়েই ১৯৫৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়। তিনি হন ট্র‍্যাজিক হিরো। যদিও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তার দল জার্মানিকে ৮-৩ গোলে হারিয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১০টি শিরোপা জিতেন পুস্কাস। ফিফা ২০০৯ সাল থেকে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বছরের সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কারের নাম রাখে পুস্কাস এওয়ার্ড। ২০০৬ সালে ইতিহাসের সেরা এই ফুটবলার মারা যান।

ফিফা সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ বাদেও আরো অন্যান্য একাদশ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে আছে ড্রিম একাদশ। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা যায়গা করে আছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের নির্বাচনের জন্য পেছালো ডি মারিয়ার বাংলাদেশ সফর

প্রকাশ: ০৪:৩৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়ার। তবে ভারতের নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সফর। নতুন করে মাস দুয়েক পর আগামী জুলাইয়ের শেষ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাতের পর ভারতীয় ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত এমন তথ্য জানান।

ডি মারিয়ার সফর পেছানোর কারণ নিয়ে শতদ্রু বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও আসার কথা ছিল। ভারতে ওই সময় নির্বাচন, তাই বাংলাদেশের সফরটিও পিছিয়েছে।’ নতুন সময় জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে প্যারিস অলিম্পিক শুরু হবে। তবে সেই সময় সফর আদৌ সম্ভব কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওই সময়টি তিনিই দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে কোপা খেলবে, এরপর অবসর নেওয়ার কথা।’

আগস্ট মাস বাংলাদেশের শোকের। তাই যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আনার অনুরোধ করেছেন। শতদ্রু সেই চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আগস্ট বাংলাদেশের শোকের মাস। মন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আনতে সমস্যা হবে না মনে করি।’

ভারতীয় এই ক্রীড়া উদ্যোক্তা গত বছর আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদিনহোকে এনেছিলেন। দুটি সফরই ছিল অব্যবস্থাপনায় ভরপুর ও নানা প্রশ্নবিদ্ধ। এবার সেই রকম না হওয়ার অঙ্গীকারও শোনা গেল শতদ্রু দত্তের কণ্ঠে, ‘এবার ফুটবলার ও মিডিয়া সবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠান থাকবে দর্শকদের জন্যও।’


ডি মারিয়া   আর্জেন্টিনা   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতোমধ্যেই শুরু অলিম্পিকের ক্ষণগণনা, সাজছে ঐতিহ্যের শহর

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র কিছুদিন পরেই স্বপ্নের শহর প্যারিসে বসতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্ব অলিম্পিকের আসর। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ১০০ দিনের ‘ক্ষণগণনা’। আর এবার অলিম্পিকের জন্য নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের শহর প্যারিস। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ার। শুধু তাই নয়, মেগা এই ইভেন্টকে সামনে রেখে সংস্কার চলছে নটরডেম ক্যাথেড্রালের।

অলিম্পিককে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই শহর। মেগা ইভেন্টের আয়োজন থাকছে স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ারও। সাইক্লিং, অ্যাথলেটিক্স ও তীরন্দাজের মতো আয়োজন থাকছে হোটেল ডেস ইনভালাইডসে।

১৬৮৭ সালে নির্মিত এই হোটেলটি একসময় ব্যবহৃত হতো সামরিক হাসপাতাল ও যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের অবসর কাটানোর জন্য। ফরাসী বিপ্লবের নায়ক সম্রাট নেপোলিয়ন বেনাপোর্টের সমাধিও রয়েছে এই স্থানটিতে। সেইন নদীর অপর প্রান্তে, উনিশ শতকে নির্মিত গ্র্যান্ড প্যালেসে উপভোগ করা যাবে তায়কোয়ান্দো ইভেন্ট। অলিম্পিককে সামনে রেখে সংস্কার চলছে ২০১৯ সালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নটরডেম ক্যাথেড্রালের। কিছুদিনের মধ্যেই এর দরজা আবারো খুলে যাবে পর্যটকদের জন্য।

দ্যা গ্রেটেস্ট ক্রীড়া ইভেন্ট অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক মিলিয়ে ৫টি মহাদেশের প্রায় ১৫ হাজার ক্রীড়াবিদ একত্রিত হবেন প্যারিসে। শহরটিতে বসবাস রয়েছে প্রায় ২১ লাখ মানুষের। সব মিলিয়ে পর্যটনসমাগমে ভরে উঠবে প্যারিস শহর এমনটিই আশা করা হচ্ছে।


প্যারিস   নটরডেম ক্যাথেড্রাল   অলিম্পিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের মাঝপথেই ফিরছেন মুস্তাফিজ, পাচ্ছেন কত টাকা?

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলার জন্য বিসিবি থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে পরে আরও একদিন বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয় ১ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ২ মে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরবেন কাটার মাস্টার। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে নাকি আইপিএল ভালো- এ নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে বিতর্ক।

আগেভাগে চলে আসায় অনেক ক্রিকেটভক্তের মনেই প্রশ্ন, অর্ধেক আইপিএল খেলে কত টাকা পাবেন মুস্তাফিজ। এই টাইগার পেসার যত টাকাই পান না কেন, আইপিএলের পুরো মৌসুম খেলতে না পারায় আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তিনি।

এবারের আইপিএলে ভিত্তিমূল্য দুই কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। চলমান ১৭তম আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। আর চেন্নাইয়ের জার্সিতে তিনি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় রয়েছেন ৩ নম্বরে।

এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও বাঁহাতি এ টাইগার পেসারকে ফিরতে হচ্ছে দেশে। আগামী ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তাকে দ্রুত ফেরানোর উদ্দেশ্যে হচ্ছে ঘরের মাঠে আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ।

পুরো মৌসুমে না খেলায় স্বাভাবিকভাবেই নিলামের পুরো টাকা পাবেন না টাইগার পেসার। আইপিএলের পারিশ্রমিকের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্বের ১৪টি ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় থাকলে পুরো টাকাটাই পেতেন তিনি। আর ম্যাচ কম খেললে আনুপাতিক হারে পাবেন পারিশ্রমিক।

সেই হারে প্রতি ম্যাচে মুস্তাফিজ ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার কিছু বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। একই সঙ্গে দৈনিক ভাতা, ব্যক্তিগত ম্যাচসেরার পুরস্কার, উইনিং বোনাসসহ আইপিএলে আরো অর্থ আয়ের উৎস রয়েছে। গ্রুপপর্বের শেষ চার ম্যাচ খেলতে না পারায় এক কোটি ২৮ লাখের কিছু বেশি অর্থ পাবেন দ্য ফিজ।

অর্থ্যাৎ এবারের আইপিএল থেকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি থেকে প্রায় ৭২ লাখ রুপি পাবেন না মুস্তাফিজ। এ সময়টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ ম্যাচ খেললে তার আয় হবে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আইপিএলের এক ম্যাচের চেয়েও অনেক কম।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসে যুক্ত হচ্ছে নতুন তিন নিয়ম

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সময় যত গড়াচ্ছে বিশ্বের সবকিছুই বদলাচ্ছে। জীবনের বিভিন্ন ধাপে যুক্ত হচ্ছে নানা নিয়মনীতি। ঠিক তেমনই ফুটবলেও সময়ের প্রয়োজনে যোগ হয়েছে নানা নতুন নিয়ম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নতুন তিন নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে। ফুটবল ম্যাচকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন আয়োজকরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে নতুন তিনটি নিয়ম চালু করা হবে। এসব নিয়মের মধ্যে দুটিতে সুবিধা পাবেন মেসি-সুয়ারেজরা। যদি সেটি প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা করেন।

তিনটি নিয়মের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে বা সাধারণ ইনজুরিতে কেউ ইচ্ছে করে ১৫ সেকেন্ডের বেশি সময় মাঠে পড়ে থাকলে সেই খেলোয়াড়রকে দুই মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। অর্থাৎ, তাকে মাঠের বাইরে চিকিৎসার জন্য নেয়ার পর তাকে ফিরতে হবে দুই মিনিট পর।

দ্বিতীয় নিয়ম অনুযায়ী, ১০ সেকেন্ডের মধ্যে বদলি খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে বের হতে হবে। ফুটবলে প্রায়ই দেখা যায় বদলি ফুটবলার ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করেন। সেটি রোধ করার জন্য এই নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে এমএলএস।

নতুন নিয়মে ম্যাচ অফিসিয়াল কারও জার্সি নাম্বার ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে দেখানোর ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তাকে টাচলাইন দিয়ে বের হয়ে যেতে হবে। যদি এমনটা না হয় তখন বদলি হিসেবে মাঠে নামা খেলোয়াড়কে অন্তত এক মিনিট বা পরবর্তীতে কোনো কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার পর মাঠে প্রবেশ করতে হবে।

তৃতীয় নিয়মটি হচ্ছে,  স্টেডিয়ামে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) ঘোষণা। এই নিয়মটি কাতার বিশ্বকাপে দেখানো হয়েছিল। এই নিয়মে ভিএআর সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হয়েছে বা কিসের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে, সেটা ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে দর্শকদের ব্যাখ্যা করা হবে। তবে ভিএআর কর্মকর্তা আর রেফারির মধ্যে মূল আলোচনা গোপনই থাকবে।


এমএলএস   মেজর লিগ সকার   লিওনেল মেসি   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এবার যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের দায়িত্বে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কদিন আগেও বাংলাদেশ দলকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেবার শিরোপা ঘরে তুলেছিল টাইগাররা। যা আইসিসি কোনো আসরে প্রথম অর্জন টাইগারদের। এই সাফল্যের পেছনের অন্যতম নায়ক ছিলেন হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল। এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই অজি কিংবদন্তী।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোচ হিসেবে ল-এর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের এই সাবেক কোচের প্রথম প্রতিপক্ষও টাইগাররাই। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। সেটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে স্টুয়ার্ট ল-এর প্রথম সিরিজ।

এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ল। ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, তার অধীনে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের কোচ হিসেবেও অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গেও। এ ছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার অধীনেই এসেছিল যুব এশিয়া কাপের শিরোপা।

সবশেষ কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ হিসেবে। কিন্তু যুব বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তার সঙ্গে আর চুক্তি বৃদ্ধি করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে যোগ দিতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম শক্তিশালী সহযোগী দেশ।

‘আমি বিশ্বাস করি, সামনে আমরা একটা ভয়ংকর দল গঠন করতে পারব। বাংলাদেশ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই হবে প্রথম কাজ, এরপর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, যেটা অনেক বড় বিষয়।’ আগামী ২১ মে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। সিরিজের সব কটি ম্যাচই হবে টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।


স্টুয়ার্ট ল   ক্রিকেট   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন