ইনসাইড গ্রাউন্ড

এল ক্লাসিকো: গ্যালাক্সি সেরা রোমাঞ্চকর ফুটবল দ্বৈরথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কয়েকটা ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে Sorry family, Sorry Studies, Sorry Love, Sorry Friend; Cause Tonight is El Clasico... এরকম লেখা সম্বলিত কিছু ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ঘুরপাক খেতে থাকে। সেই ম্যাচগুলোর অন্যতম একটি ম্যাচ হলো রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনার মধ্যকার ফুটবল প্রতিযোগিতা। যা ফুটবল বিশ্বে এল ক্লাসিকো নামেই পরিচিত। রিয়াল বার্সার বাহিরে আর শুধুমাত্র উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালকেই এল ক্লাসিকো বলা হয়। এল ক্লাসিকোর এই ম্যাচকে ঘিরেই পুরো পৃথিবীতে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে এক বাড়তি উত্তেজনা বইতে শুরু করে। রিয়াল বার্সার এই এল ক্লাসিকো ম্যাচ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বাধিক অনুসৃত ম্যাচ, যা নিয়ে পুরো দুনিয়ার মিডিয়া ব্যস্ত হয়ে বিভিন্ন শিরোনাম করে থাকে। প্রতিটা ফুটবলপ্রেমী এই ম্যাচের ক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে ম্যাচ শুরুর দীর্ঘ সময় আগে থেকেই।

১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বার্সেলোনা এবং ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত রিয়াল মাদ্রিদ স্পেনীয় জাতীয় ফুটবলের লা লিগায় প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯০২ সালে। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারায় বার্সেলোনা। পরবর্তীতে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুই জায়ান্টের ফুটবল দ্বৈরথ চলে আসছে। ফুটবলের বাহিরেও এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ মনে করে তারা খোদ স্পেনের জাতীয়তাবাদ প্রকাশ করছে। অন্যদিকে বার্সেলোনা ভাবে তারা কাতালান জাতীয়তাবাদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। ১৯৩০ সালে বার্সেলোনায় মাদ্রিদের কেন্দ্রীয় শাসনের বিরোধিতা শুরু হলে ১৯৩৬ সালে স্পেনের শাসক ফ্রাঙ্কো তাদের অবৈধ এবং সরকার বিরোধী সকল কর্মসূচি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে কাতালানদের কাছে বার্সেলোনা `মোর দ্যান অ্যা ক্লাব` হিসেবে পরিনত হয়। এছাড়াও ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আলফ্রেড ডি স্টেফানোকে ঘিরে এই দুই ক্লাবের মধ্যে চরম বৈরিতা শুরু হয়। স্টেফানো একাধারে  আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং স্পেনের পক্ষে তিনটি দেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। ১৯৫০ সালে তুখোড় এই খেলোয়াড় স্টেফানোকে বার্সেলোনা কতৃপক্ষ দলে নিতে চাওয়ার চেষ্টাকালে একপর্যায়ে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভিড়িয়ে নেয়। মাদ্রিদে যোগ দিয়ে স্টেফানো নিজ ক্লাবকে অভাবনীয় সব সাফল্য এনে দিতে থাকেন। যেখানে টানা পাঁচটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস কাপও ছিল৷ এরপর থেকে নিজেদের মধ্যকার এই এল ক্লাসিকো আরো বেশি আত্মসম্মানের হয়ে উঠে দুই দলের কাছেই। 

এখন পর্যন্ত রিয়াল-বার্সার মধ্যকার ২৪৫টি প্রতিযোগিতামূলক এল ক্লাসিকো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ৯৭টি এবং বার্সা জিতেছে ৯৬টি। বাকি ৫২টি ম্যাচ ফলাফল বিহীন ড্র হয়েছে। যেখানে রিয়াল বার্সার জালে বল পাঠিয়েছে ৪১১ বার এবং বার্সা ৪০০ বার।

ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর চ্যাম্পিয়নস লীগে এই দুই দলের মুখোমুখি ৮ বারের দেখায় ৩টি ড্র সহ রিয়াল জিতেছে ৩ বার এবং বার্সা জিতেছে ২ বার। এছাড়া স্প্যানিশ সুপার কাপে ১৪ ম্যাচে রিয়ালের ৮ জয়ের বিপরীতে বার্সা জয় পায় ৪টি ম্যাচে। যেখানে গোল ব্যবধান ৩০/১৮টি। কোপা ডেলরে প্রতিযোগিতায় বার্সার ১৫ জয়ের বিপরীতে রিয়াল জিতেছে ১২টি ম্যাচ। সেখানে ৮টি ড্র নিয়ে মোট ম্যাচ হয়েছিলো ৩৫টি। ১৯২৯ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া লা লীগায় দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুখোমুখি হওয়া ১৮১টি ম্যাচে রিয়াল জিতেছে ৭৪টি এবং বার্সা জিতেছে ৭২টি ম্যাচ। সর্বশেষ এল ক্লাসিকো ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২০/২১ সিজনে। যেখানে রিয়াল মাদ্রিদ বার্সার হোম ভেন্যুতে ৩-১ গোলে পরাস্ত করে। যা একই সাথে ২০১৬ সিজনের পরবর্তী প্রথমবারের মত ন্যুক্যাম্পে ব্ল্যাঙ্কোসদের জয়। 

নিজেদের মধ্যকার বারুদে ঠাসা এই এল ক্লাসিকো ম্যাচের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৪৩ সালে কোপা ডেল রে ম্যাচের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে তারা বার্সাকে হারায় ১১-১ গোলের ব্যবধানে। যদিও প্রথম লেগে রিয়াল হেরেছিলো ৩-০ ব্যবধানে। এটিই এখন পর্যন্ত বার্সার বিপক্ষে মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়৷ দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ব্যবধানের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৫ সালে লা লিগায়। সেই ম্যাচে মাদ্রিদ বার্সাকে ৮-২ গোলে হারিয়েছিলো। অতঃপর ১৯৫০ সালের  লা লিগায় বার্সেলোনা নিজেদের মাঠে ৭-২ গোলে মাদ্রিদকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় আদায় করে নেয়৷ যা এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে তৃতীয় বড় জয়। 

এল ক্লাসিকোর এই দুই দলের মধ্য সবচেয়ে বেশি সফলতা পাওয়া দল রিয়াল মাদ্রিদ। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন হয় ১৩ বার৷ অন্যদিকে বার্সেলোনা ৫ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন হয়।লা লিগায় রিয়ালের ৩৪ বারের লীগ টাইটেল জয়ের বিপরীতে বার্সা জিতেছে ২৬ বার। এল ক্লাসিকো শুধু এই দুইটি ক্লাবের মধ্যকার ফুটবল প্রতিযোগিতাই নয়। বরং এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুইটি রাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক উত্তেজনাকে চরম ভাবে প্রতিফলিত করে যাচ্ছে ক্লাব দুইটি!



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন