ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের যত ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০


Thumbnail

প্রথমেই বলে রাখছি বাংলাদেশ কখনও ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেনি। গতকাল কাতারের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে মহামারীর পর আবার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ কি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না তা জানার আগে প্রথমে জেনে আসা যাক বাংলাদেশের ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাস নিয়ে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব ম্যাচ খেলে। সে ম্যাচে ১-০ তে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ের কৃতিত্বটা ৩৯ বছর আগে। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ তাদের সাথে প্রথম ম্যাচ ২-২ এ ড্র করলেও ফিরতি ম্যাচে জয় পায় ৪-১। এরপর ২০০৮ সাল থেকে তাদের বিপক্ষে হওয়া  চার ম্যাচের তিনটিতেই  ড্র। সর্বশেষ ২০১৫ সালের কেরালা সাথে ০-৪ গোলে হার। ২০০৮ এর এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ আফগানদের সাথে গোলশূন্য ড্র করে কিরগিজস্তানের মাটিতে। সে বছরই মালে-কলম্বো সাফে ২-২ গোলে ড্র করা। ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে ১-১ এ শেষ হয় দুই দলের ম্যাচ। অর্থাৎ তাদের সাথে  ছয় ম্যাচের চারটিতেই ড্র। এখন আফগানরা প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান ১৫০। বিপরীতে বাংলাদেশ আছে ১৮৪ তে।

ভারতের বিপক্ষে ২৪ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র তিনটিতে। হার ১১ টিতে। ড্র হয়েছে ১০টি ম্যাচ। ভারতের বিপক্ষে তিন জয় ১৯৯১ এর কলম্বো সাফ গেমস, ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু সাফ গেমসে, ২০০৩ এর সাফ ফুটবলে। অর্থাৎ তাদের বিপক্ষেও গত ১৬ বছরে কোনো জয়ের কৃতিত্ব নেই বাংলাদেশ দলের। ২০১৩ সালে সাফ ফুটবল এবং ২০১৪ সালে ফিফা প্রীতি ফুটবলে তাদের সাথে ড্র যথাক্রমে ১-১ এবং ২-২ এ। ২০১৯ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশ ড্র করে ১-১ গোলে। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ভারতের অবস্থান ১০৪।

ওমানের সাথে বাংলাদেশের এই পর্যন্ত একবারই মোকাবেলা হয়েছিল। তাতে ওমানের জয় ৩-১ এ। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ওমান আছে ৮২তে।

কাতারের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ হয়েছে চার বার। এতে তিনবারই জয় মধ্য প্রচ্যের ধনী দেশটির। একটি মাত্র ম্যাচে ড্র। তা ১৯৭৯ সালের এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে। ১-১  শেষ হয় ঢাকায় অুনষ্ঠিত সেই খেলা। ফিরতি ম্যাচে অবশ্য ৪-০তে জয় কাতারিদের। এরপর ২০০৭ সালের এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে  (২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত) কাতার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪-১ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। দোহাতে অনুষ্ঠিত ফিরতি ম্যাচে কাতারের শেষ হাসি ৩-০ তে। এশিয়া চ্যাম্পিয়ন এবং ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতারের ফিফায় অবস্থান ৫৯। এই কাতারের অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ২০১৭ সালের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে এবং ২০১৮ এর জার্কাতা এশিয়ান গেমসে। অনূর্ধ্ব-১৬ দল ২-০তে এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দল ১-০ তে জিতেছিল। এবার কি তাহলে সিনিয়র দলের পালা?

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে পাঁচ দলের মধ্যে তলানীতে ছিল বাংলাদেশ। আট ম্যাচে হজম করেছে ৩২ গোল। প্রতিপক্ষেল জালে বল ফেলতে পেরেছে দুই বার। এর মধ্যে একটি ছিল আত্মঘাতী। কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আরো ভালো করার টার্গেট বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে’র। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের বাধা ডিঙ্গিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগত্য এখনও অর্জন করেনি

এতো হতাশার পরও কি বাংলাদেশ আশা রাখতে পারে ২০২২ বিশ্বকাপ খেলার? যদিও এবারের আশাটাও খুবই ক্ষীণ, তবে বাংলাদেশ যে দিনের পর দিন ফুটবলে ভাল করে যাচ্ছে তার সুনাম করতেই হবে। এবার না হলেও, আশা করা যায় সুদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শারীরিকভাবে অসুস্থ পরাগ ‘ব্যথা’ দিলেন দিল্লিকে

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটকে ভালোবাসেনা এমন ভারতীয় ভক্ত-সমর্থক খুঁজে পাওয়া বিরল। তবে শুধু সমর্থক বা ভক্তই নয়, ক্রিকেটের জন্য নিজের জীবন বাজী রাখতে পারেন ভারতে এমন ক্রিকেটারও অনেক রয়েছে। তেমনই একজন রিয়ান পরাগ।

২০২৩ আইপিএলে ৭ ইনিংসে ৭৮ রান। ১৩ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১১৮.১৮। আগের বছর নিলামে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কেনার পর রিয়ান পরাগের কাছে মোটেও এমন পারফরম্যান্স আশা করেনি রাজস্থান রয়্যালস। এবার আইপিএলে দুই ইনিংসে পরাগের রান ১২৭। স্ট্রাইকরেট ১৭১.৬২। এর মধ্যে গতকাল জয়পুরে কঠিন উইকেটে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসও আছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই পরাগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

২২ বছর বয়সী পরাগ নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করেই এবার আইপিএলে ভালো শুরু পেয়েছেন। এ মৌসুমে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে সর্বোচ্চ ৫১০ রান (১০ ইনিংস) এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৮৫ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১৮৩ এর কাছাকাছি। আর এই পথে টানা সাতটি ফিফটি তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে গড়েছেন টানা সর্বোচ্চ ইনিংসে ফিফটির রেকর্ডও।

গতকাল ম্যাচ শেষে পরাগ জানিয়েছেন, তার এই পাল্টে যাওয়ার পেছনে রয়েছে প্রচুর অনুশীলন। তিনি বলেন ‘কে বল করছে সেটা নয়, কী বল করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আর সেগুলোই বেশি বেশি অনুশীলন করেছি। আজ (গতকাল) তার কিছু কাজে লাগাতে পেরেছি।’

পরাগ কেমন কাজে লাগিয়েছেন, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসে শেষ ওভারটা। বোলিংয়ে ছিলেন দিল্লির পেসার আনরিখ নর্কিয়া। বিশ্বের অন্যতম গতিময় এই পেসারের কাছ থেকে পরাগ একাই তুলেছেন ২৫ রান। অথচ শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থও ছিলেন না। আগের তিন দিন বিছানায় পড়েছিলেন। ম্যাচের দিন সকালে ব্যথানাশক ওষুধ (পেইন কিলার) খেয়ে ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন।

কিন্তু মাঠে দেখা গেল পরাগের উইলো-বাজিতে হারের ব্যথাটা দিল্লিই পেল। ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরাগ বলেছেন, ‘গত তিন দিন অনেক ধকল গেছে। বিছানায় পড়ে ছিলাম। অসুস্থ ছিলাম। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে আজ (গতকাল) উঠে দাঁড়িয়েছি। এরপর ঠিকঠাকমতো সব করতে পেরেছি। তাই নিজের জন্য ভালো লাগছে।’

নর্কিয়ার বাউন্সার এবং ইয়র্কার পাত্তাই দেননি পরাগ। হাত খুলে মেরেছেন। ম্যাচসেরা পরাগ এই দক্ষতা নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেটের দুই প্রান্তেই রান করা নিয়ে শেষ দিকে কাজ করেছি। আমি জানি শর্ট বলে ছক্কা কিংবা ইয়র্কারও মেরে দেওয়ার মতো শক্তি ও ক্ষমতা আমার আছে। তাই সুযোগ পেলেই এটা করি। কখনো বাউন্ডারি মারতে পারি, কখনো আবার পারি না।’

ষষ্ঠ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ২ উইকেটে ৩০ থাকতে চারে ব্যাটিংয়ে নামেন পরাগ। একপর্যায়ে তাঁর রান ছিল ২৬ বলে ২৬। কিন্তু নিজের খেলা শেষ ১৯ বল থেকে তুলেছেন ৫৮ রান। পরাগ জানিয়েছেন, রাজস্থান রয়্যালস কোচ কুমার সাঙ্গাকারা এবং সঞ্জু স্যামসন তাঁকে ‘ইনিংসটা লম্বা করতে’ বলেছিলেন। পরাগের ভাষায়, ‘আমি জানতাম, ইনিংসটা লম্বা করতে পারলে অনেক রান পাব।’

রান পাওয়ার এই ম্যাচে একটি রেকর্ডও গড়েছেন পরাগ। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছেন গতকাল রাতের ম্যাচে। ২২ বছর ১৩৯ দিন বয়সে পরাগ রেকর্ডটি গড়ার পথে পেছনে ফেলেছেন তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেরই অধিনায়ক স্যামসনের রেকর্ড। ২২ বছর ১৫৭ দিন বয়সে রেকর্ডটি গড়েছিলেন স্যামসন।


রিয়ান পরাগ   আইপিএল   দিল্লী ক্যাপিটালস   রাজস্থান রয়্যালস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্সায় জাভির উত্তরসূরি হবেন কে?

প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুম শেষেই স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমনটা জানান তিনি। তার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর দুইমাস পেরিয়ে গেলেও তার উত্তরসূরি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বার্সেলোনায়।

অনেকের ধারণা, জাভিকে আরও এক বছর থেকে যেতে বলবে বার্সেলোনার পরিচালনা পর্ষদ। বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেনও। কিন্তু প্রস্তাব দেওয়া বা জাভির দিক থেকে পরের মৌসুমেও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক আভাস পাওয়া যায়নি। বার্সেলোনার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাই নতুন কোচ খোঁজার কাজটি চালিয়ে যেতে হচ্ছেই।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার সম্ভাব্য কোচের তালিকা এখন ছোট হয়ে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষ নাম লুইস এনরিকে। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ এখন পিএসজির দায়িত্বে। আগামী ১৬ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে দল নিয়ে বার্সার মাঠে আসবেন তিনি।

৫৩ বছর বয়সী এনরিকের সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদও এক বছর বাকি। তবু জাভির অবর্তমানে বার্সেলোনা যদি কাউকে নিশ্চিন্তে দায়িত্ব দিতে চায়, সেটি এনরিকেই। সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই ক্লাবকে তিনি বেশ ভালো করে চেনেন। বার্সেলোনার সংস্কৃতি, তরুণ ফুটবলার ও খেলার ধরন—কোনো কিছুই এনরিকের জন্য নতুন হবে না।

তবে অনেক সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে নতুন পরিকল্পনা, নতুন মুখের দরকার হয়। এদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিলে বার্সেলোনা কোচ করতে পারে হান্সি ফ্লিককে। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানির সাবেক এই কোচ এখন বেকার। বার্সেলোনার কোচ হতে তাঁর আগ্রহও আছে। ফ্লিকের যিনি এজেন্ট, সেই পিনি জাহাভি আবার বার্সেলোনার সভাপতি লাপোর্তার ভালো বন্ধু। সবচেয়ে বড় কথা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ফ্লিকের সাফল্য (২ মৌসুমে ৭ ট্রফি) বার্সেলোনা পর্ষদকে ফ্লিকের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে।

শেষ পর্যন্ত ফ্লিক বা এনরিকের কেউ কোচ না হলে চমক হতে পারেন রাফায়েল মার্কেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এখন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। পেপ গার্দিওলা যেমন বার্সেলোনা মূল দল দিয়ে প্রথম সিনিয়র কোনো দলের কোচিং শুরু করেন, মার্কেজও হতে পারেন তেমন কেউ। তবে এই নাম তিনটির কোনোটিকেই হয়তো বার্সেলোনার ডাগআউটে দেখা যাবে না, যদি জাভি কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হন।

জাভি ও লাপোর্তা দুজনই বিশ্বাস করেন, চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার এখনো কিছু একটা অর্জনের সুযোগ আছে। অন্তত শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সামর্থ্যও আছে দলটির। যদিও লা লিগায় বার্সা এখন শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগেও ফাইনালের দৌড়ে বার্সেলোনা ফেবারিট নয়। তবে জাভির বিদায় ঘোষণার পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সামনে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।


বার্সালোনা   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   কোয়ার্টার ফাইনাল   জাভি হার্নান্দেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক এবং টিভি ক্যামেরার সামনে নারী ফুটবলারকে চুমু দেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই ঘটনার জেরে চাকরি হারানোর পর এবার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাবেক এই ফুটবল সংগঠক।

ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। গত বছরের ২২ আগস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় স্প্যানিশ মেয়েরা। তবে শিরোপার মঞ্চে বিপত্তি ঘটান স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস।

হারমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়েই মূলত বিপাকে পড়েছেন রুবিয়ালেস। ঘটনার জেরে প্রথমে চাকরি হারান তিনি। বিষয়টি তদন্তের পর এবার বিচারের জন্য তোলা হয়েছে আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে তাকে।

রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের জন্য ১ বছর এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন হারমোসোর আইনজীবী দুরান্তেজ। তিনি আরো দাবি করেছেন, হারমোসোকে ৫০ হাজার ইউরো (৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রুবিয়ালেসকে।


রুবিয়ালেস   নারী ফুটবলার   স্পেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক না থাকলেও রাজত্ব ধোনির, মাস্টারমাইন্ডের নতুন কৌশল

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটি শুনলেই ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কত্বের কথা মাথায় আসে। তার অধিনায়কত্বে ভারত দুইটি বিশ্বকাপ পেয়েছে। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি ক্যাপ্টেন কুল নামেও পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তিনি সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জিতেছেন ৫টি শিরোপা।

কিন্তু এবার তিনি অধিনায়ক নন। এবার তরুণ খেলোয়াড় ঋতুরাজ গায়কোয়াডকে অধিনায়ত্ব দেওয়া হলেও মাঠে ধোনির রাজত্ব রয়েছেই। ফিল্ডার সাজানো থেকে শুরু করে বোলিং-ব্যাটিং পজিশন, সবখানেই ধোনির সংযুক্ততা রয়েছে তার। এমনকি নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াডকেও দেখা গেছে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ধোনির সাথে আলোচনা করতে।

এবার আইপিএলে নতুন কৌশল রপ্ত করেছেন এই মাস্টারমাইন্ড। গত বছর থেকে চালু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের’ নিয়ম। এর ফলে কোনো দল ম্যাচ শুরুর আগে পাঁচজন বদলি খেলোয়াড়ের নাম জানাতে পারে। ম্যাচের যে কোনো সময় প্রথম একাদশে থাকা কোনো ক্রিকেটারের পরিবর্তে বদলি তালিকা থেকে কাউকে নামানো যায়। সেই নিয়মের সুবিধা কাজে লাগিয়েই ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এত নীচে নামিয়ে এনেছেন চেন্নাইয়ের মাস্টারমাইন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি।

গত মঙ্গলবার গুজরাটের বিপক্ষে চেন্নাই দুশোর উপর রান তুলেছিল। সেই ম্যাচে চেন্নাইয়ের ছয় উইকেট পড়ে গেলেও ব্যাট করতে নামেননি ধোনি। এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেলেন তারই সাবেক সতীর্থ ও চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।

হাসি বলেন, ‌‌‘নিশ্চয়ই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নির্দেশেই ওরা এ কাজ করেছে। ম্যাচটা আরো বেশি দূর টানার ইচ্ছে ছিল ওদের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে ওদের ব্যাটিং অর্ডার আরো লম্বা হয়েছে। ধোনি আট নম্বরে নামছে, যা কোনো দিন ভাবাই যেত না। অনুশীলনে ওকে দেখে ভালোই লেগেছে।’

নতুন নিয়মের কারণেই চেন্নাইয়ের খেলায় শুরু থেকে এত বেশি আক্রমণ বলে মনে করেন ধোনি। এই বিষয়ে বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার লম্বা হওয়ার কারণে ওরা শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে পারে। কোচ এবং অধিনায়কের সমর্থনও ওদের সঙ্গে রয়েছে। মারতে গিয়ে যদি আউটও হয় তাতেও পরোয়া নেই। ওদের কেউ সমালোচনা করবে। চেন্নাই এ ভাবেই আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’


ধোনি   চেন্নাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। আইসিসির বার্ষিক মূল্যায়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সৈকতকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি। 

আইসিসির মহাব্যবস্থাপক (ক্রিকেট) ওয়াসিম খান, সাবেক খেলোয়াড় এবং ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের অবসরপ্রাপ্ত আম্পায়ার টনি হিল এবং পরামর্শদাতা মাইক রিলির সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্বাচন প্যানেল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন সৈকত। যেখানে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি নিরপেক্ষ একটি সিরিজেও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও দায়িত্ব পালন করেন আম্পায়ার সৈকত।

আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার : কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

বাংলাদেশি আম্পায়ার   আইসিসি   শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন