ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোমাঞ্চকর পঞ্চম দিনের অপেক্ষায় ব্রিজবেন টেস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

চোট জর্জর খর্ব শক্তির দল নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমানে-সমান লড়ছে ভারত। উজ্জ্বল করেছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখার সম্ভাবনা। অস্ট্রেলিয়ার সামনেও সুযোগ ট্রফি পুনরুদ্ধারের। ব্যাট-বলের তুমুল লড়াইয়ে রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায় দুই দলের লড়াই।

ব্রিজবেন টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য ৩২৪ রান চাই ভারতের, অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেট। চার ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। চতুর্থ ও শেষ টেস্টের ফলই ঠিক করে দিবে ট্রফির ভাগ্য। ৩২৮ রান তাড়ায় বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত ব্যাট করতে পারে কেবল ১.৫ ওভার। কোনো উইকেট না হারিয়ে দলটি তোলে ৪

গ্যাবায় সোমবার বিনা উইকেটে ২১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৯৪ রান।

মার্কাস হ্যারিসকে কট বিহাইন্ড করে ৮৯ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। ৬ চারে ৭৫ বলে ৪৮ রান করা ডেভিড ওয়ার্নারকে বোল্ড করে থামান ওয়াশিংটন সুন্দর।

প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মার্নাস লাবুশেন শুরু থেকে ছিলেন আগ্রাসী। ক্রিজে গিয়েই খেলছিলেন শট। মোহাম্মদ সিরাজের বাড়তি লাফানো বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি।

নিয়মিত উইকেট হারালেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকে স্বাগতিকরা। মিডল অর্ডারে ছোবল দেন শার্দুল। ক্যামেরন গ্রিনকে বিদায় করার পর কট বিহাইন্ড করেন অধিনায়ক টিম পেইনকে। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে যান প্যাট কামিন্স।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে এসে প্রথম পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন সিরাজ। ৭৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই পেসারই দলের সেরা বোলার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৩৬৯

ভারত ১ম ইনিংস: ৩৩৬

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২১/০) ৭৫.৫ ওভারে ২৯৪ (হ্যারিস ৩৮, ওয়ার্নার ৪৮, লাবুশেন ২৫, স্মিথ ৫৫, ওয়েড ০, গ্রিন ৩৭, পেইন ২৭, কামিন্স ২৮*, স্টার্ক ১, লায়ন ১৩, হেইজেলউড ৯; সিরাজ ২-১-১২-০, নাটরাজন ৩-০-৬-০, সুন্দর ১-০-৩-০)

ভারত ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩২৮) ১.৫ ওভারে ৪/০ (রোহিত ৪*, গিল ০*; স্টার্ক ১-০-৪-০, হেইজেলউড ০.৫-০-০-০)



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

১৪ হাজার মাইল পাড়ি দিচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের পিচ

প্রকাশ: ১১:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। যাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই প্রতিটি দল শুরু করেছে প্রস্তুতি, গোছাচ্ছে স্কোয়াড। শুধু তাই নয়, এবারের আসরের ভেন্যুগুলো পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে আইসিসি। 


তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। আর এই স্টেডিয়ামের জন্য ১০টি পিচ নেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে। ফলে সে পিচগুলো বিশ্বকাপের অংশ হতে পাড়ি দিচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার মাইল (প্রায় ২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার)। অ্যাডিলেড থেকে জাহাজে করে ফ্লোরিডা, এরপর সেখান থেকে সড়কপথে সেগুলোর গন্তব্য নিউইয়র্ক।


এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্ট। নিউইয়র্কের এ স্টেডিয়াম ছাড়াও টেক্সাস ও ফ্লোরিডার দুটি ভেন্যুতে হবে বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্র-অংশের ম্যাচগুলো। সব মিলিয়ে ১৬টি ম্যাচ হবে সেখানে, ৩৯টি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নিউইয়র্কের মাঠটিতে হবে ৮টি ম্যাচ।


এর মধ্যে নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘অস্থায়ী’ স্টেডিয়াম। এ প্রযুক্তিতে স্টেডিয়ামটির বেশির ভাগ অংশই বানানো হচ্ছে অস্থায়ীভাবে, যেগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। গ্যালারির একটা অংশ যেমন ফর্মুলা ওয়ানে গত বছরের লাস ভেগাস গ্রাঁ প্রিঁ ব্যবহার করা হয়েছিল।


ড্রপ-ইন পিচগুলো তৈরির দায়িত্বে থাকা অ্যাডিলেড ওভালের কিউরেটর ড্যামিয়েন হোউ সম্প্রতি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গতি ও সমান বাউন্স থাকবে, এমন পিচ তৈরি করা। যেখানে খেলোয়াড়রা শট খেলতে পারবেন। আমরা বিনোদনদায়ী ক্রিকেট চাই, কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে।’


গত অক্টোবরে হোউ ১০টি ড্রপ-ইন পিচ তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে এগুলো ট্রেতে বসানো হয়। প্রতিটি পিচকে ভাগ করা হয়েছে দুটি ট্রেতে। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলার মতো ৪টি ও অনুশীলনের জন্য আরও ৬টি পিচ প্রস্তুত করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রে বেসবলের ভেন্যুগুলোতে যেমন দেখা যায়, তেমন মাটি ব্যবহার করা হয়েছে পিচগুলো তৈরিতে। সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট ধরনের ঘাসও আছে, যেটি উষ্ণ আবহাওয়া এবং রোলিং ও ভারী ব্যবহারের উপযোগী।


পিচগুলো যে ট্রেতে স্থাপিত, সেগুলো কনটেইনারে ভরে জাহাজে করে অ্যাডিলেড থেকে ফ্লোরিডা নিয়ে যাওয়া হয়েছে গত জানুয়ারিতে। এর পর থেকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় রেখে দেওয়া হয়েছে, কারণ, নিউইয়র্কে তখন আবহাওয়া ছিল বেশ শীতল। ফ্লোরিডা থেকে সড়কপথে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাবে পিচগুলো। রাস্তায় যাতে বেশিক্ষণ না থাকতে হয়, সে কারণে বহনকারী প্রতিটি ট্রাকে থাকবেন দুজন করে চালক। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর নির্দিষ্ট স্থানে পিচগুলো বসাতে হোউ ও তাঁর দলের লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টা।


পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে হোউয়ের অনুভূতি এ রকম, ‘আমার আসলে মিশ্র অনুভূতি। সত্যিই রোমাঞ্চিত, কিন্তু একই সঙ্গে একটু চিন্তাও হচ্ছে। কিছু ব্যাপার এখনো অজানা। বেশ লম্বা একটা প্রক্রিয়া। আমরা যা জানি, নিজেদের সেরাটি দিয়েছি। সম্ভাব্য সব রকমের ফলই আমরা বিস্তারিত ভেবে রেখেছি, সামনে কী কী হতে পারে। আশা করছি, এগুলো বেশ ভালো ক্রিকেট পিচই হবে।’


আগামী ১ জুন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচটি ৩ জুন, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ১০ জুন এ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন কুইন অব ফুটবল?

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা। ইতোমধ্যেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন ‘কুইন অব ফুটবল’খ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, ‘এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।’

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দু’বার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, ‘আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।’

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মে’র উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা   ব্রাজিল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বলে আখ্যায়িত করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail মুস্তাফিজুর রহমান

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।

তবে শেষ কয়েক ম্যাচে ছন্দপতন হয়েছে তার। যদিও এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষের দিকে আছেন এ টাইগার পেসার।

যদিও টানা কয়েক ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের পরও তার ওপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, তাকে নিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই।

চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলের শুরু থেকেই খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ। অবশেষে এবারের আসরে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কৃত্রিম টার্ফের কারণে মেসির খেলা নিয়ে শঙ্কা!

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এ সময়ে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিও যেন হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছিল না। তবে মেসি সম্প্রতি ফিরেছেন মাঠে। খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। আর এই কয়েক ম্যাচের মধ্যেই মায়ামিকে আবারও লিগের শীর্ষে তুলেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

তবে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মায়ামির শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে পরবর্তী ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু আসন্ন ম্যাচে দলের এই প্রধান তারকার খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এবার চোট নয়, এর নেপথ্যে মাঠের কৃত্রিম টার্ফ! এর আগে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম আর্টিফিশিয়াল টার্ফে মেসির খেলা নিয়ে কিছুটা দোদুল্যমান অবস্থা দেখা দিয়েছিল। ন্যাচারাল মাঠের চেয়ে যেখানে চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ওই সময় তাকে কৃত্রিম টার্ফের মাঠে খেলানো হয়নি। তেমন পরিস্থিতি আবারও সামনে এসেছে এই তারকা ফরোয়ার্ডের সামনে।

মায়ামি আগামী রোববার তাদের পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউ ইংল্যান্ড রিভোলিউশনের। ম্যাচটি হবে কৃত্রিম টার্ফ দিয়ে গড়া জিলেট স্টেডিয়ামের মাঠে। তাই চোটের ঝুঁকি এড়াতে ম্যাচটিতে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি!

অন্যদিকে, চোটের সমস্যা রয়েছে মেসির দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মায়ামির উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের। তিনি হাঁটুর চোট নিয়ে ভুগছেন লম্বা সময় ধরে। যার কারণে তার ক্যারিয়ারও আর বেশি বড় না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই মেসির মতো মায়ামির আসন্ন ম্যাচে হয়তো সুয়ারেজকেও পাবে না। এ নিয়ে কথা বলেছেন মায়ামি ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ফুটবলার জুলিয়ান গ্রেসেল।

একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে সতীর্থ ফুটবলারদের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে গ্রেসেল বলেন, ‘আমরা যখন ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করব, তখন (তাদের খেলা ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করব। তখন আসলে জানতে পারব যে আসন্ন ম্যাচটিতে কারা খেলবেন। কিন্তু তিনিই একমাত্র (সুয়ারেজ) যার খেলা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অবশ্য আলবারও (জর্দি) চোট আছে।’

মেসি ওই ম্যাচের একাদশে থাকবেন কি না, এ নিয়ে অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন গ্রেসেল, ‘আমি যতটুকু শুনেছি সম্ভবত (একাদশে) নাম আছে তার।’

মায়ামির জার্সিতে সবশেষ ম্যাচটা ছিল মেসিময়। কারণ তিনি জোড়া গোলের পাশাপাশি অপর গোলেও অবদান রেখেছিলেন। ম্যাচটিতে ন্যাশভিলেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের লিগ টেবিলে আবারও শীর্ষস্থানে উঠল মায়ামি। ১০ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। এক ম্যাচ কম খেলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরই অবস্থান নিউইয়র্ক আরবির।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে যা বললেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৫:৩৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬  থেকে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করে সেবার সানরাইজার্স হায়দ্রবাদের হয়ে অম্ল-মধুর সময় কাটিয়েছিলেন ফিজ। এরপর কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘুরলেও সেগুলোতে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি ফিজকে। তবে এবার চেন্নাইয়ে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে।

এরই মধ্যে চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মুস্তাফিজ। যা বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তারা। সেই ভিডিওতে চেন্নাইয়ের ডাক পাওয়ার পরের অনুভূতি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে আলোচনা ও দলের অভ্যন্তরীণ আবহ নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ফিজ।

কাটার মাস্টার বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’

মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানকার (চেন্নাইয়ের) সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। জাতীয় দলে যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকে আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’

ধোনিকে নিয়ে ফিজ আরও বলেন, ‘উনার (ধোনি) সঙ্গে বেশিরভাগ বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়। আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হয়।’

প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। যেখানে ১০.৭ ইকোনোমিতে ১২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এতে অবশ্য টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন এই টাইগার পেসার।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন