ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবারের আইপিএলে সাকিব কোন পজিশনে খেলবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত দুই আসর ধরে প্লে অফে খেলতে পারছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুবারই পঞ্চম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছিল দলটিকে। এ ছাড়া ব্যাটিং পজিশনের তিন নম্বর জায়গাটা বরাবরই বেশ নড়বড়ে কলকাতার। গত আসরে বেশির ভাগ সময় নিতিশ রানাকে এই পজিশনে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল। তবে ব্যাট হাতে তিনি ধারাবাহিক ছিলেন না। এবার এই পজিশনের জন্য সাকিব আল হাসানকে যোগ্য মনে করছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। সাকিব তিনে খেললে কলকাতা প্লে অফে খেলবে বলেও দাবি করছেন তিনি।

কারণ হিসেবে হার্শা দেখিয়েছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে তিন নম্বর পজিশনে নেমে সাকিবের ব্যাটিং ছিল অসাধারণ। এ ছাড়া কলকাতার ওপেনিংয়ে তিনি রেখেছেন শুভমান গিল এবং নিতিশ রানাকে। যেহেতু ব্যাট হাতে সুনিল নারিনের পরিসংখ্যান ভালো নয় তাই তাকে একাদশের বাইরেই রেখেছেন হার্শা।

সাম্প্রতি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে হার্শা বলেন, ‘কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারে সাকিব তিন নম্বর পজিশনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যাটসম্যান। ও তিন নম্বরে খেললে চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে। তাদের ব্যাটিং অর্ডারটাও তখন সুন্দরভাবে সাজানো যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এবং আপনি যদি ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকতে চান সেটাও আপনাকে সাকিব দিতে পারবে। এ ছাড়া আমি মনে করি সাকিব তিন নম্বর পজিশনের যোগ্য। কারণ ২০১৯ সালে এই তিন নম্বর পজিশনেই সে অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে। তার উপস্থিতি কলকাতার ব্যাটিংকে আরো শক্তিশালী করবে।‘

অন্যদিকে আরেকটি প্রশ্ন উঠেছে কলকাতার স্পিন বোলিংয়ে কাকে এগিয়ে রাখা হবে, সাকিব নাকি নারিন? কে খেলবে কলকাতার সেরা একাদশে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিসংখ্যানের দ্বারস্থ হয়েছেন হার্শা। যেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই নারিন থেকে এগিয়ে সাকিব। আর ব্যাট হাতে নারিনের অফ ফর্মের কারণে সাকিবই কলকাতার সেরা একাদশে প্রথম পছন্দ হার্শার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুনিল নারিন মূলত একজন বোলার যে কিনা ব্যাট হাতে শুরুতে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নারিনের পরিসংখ্যান দেখুন। ২০১৯ সালের পর থেকে ৭.৮৮ ইকোনমিতে বল করেছিল। তারমানে বেশির ভাগে ম্যাচেই নারিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থেকেছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাট হাতে সে কি করেছে? তার স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর ওপরে ছিল কিন্তু তার ব্যাটিং গড় মাত্র ১৫। এর মানে সে গত বছর কলকাতাকে বেশি রান দিতে পারেনি। শুধু মাত্র একটি ইনিংসে সে বেশ রান করেছিল। যেটাতে সে ৬০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিল।’

সাকিবকে ৩ নম্বরে খেলানো হবে নাকি অন্য পজিশনে তা কোচের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। তবে আসন্ন আইপিএলে যে সাকিব কলকাতার জন্য একটি মূল্যবান রত্ন হিসেবে মাঠে নামবে তা বলার দ্বিধা রাখেনা। কারণ ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই একজন অলরাউন্ডারের গুরুত্ব অপরিসীম। আর দলে যদি থাকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তবে তো কথাই নাই। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যে একাদশ নিয়ে লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারে চেন্নাই

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে মুস্তাফিজের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার বাঁহাতি এই পেসারের। এতে করে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষের দিকেই রয়েছেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ দিনের একমাত্র ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হচ্ছে মুস্তাফিজের চেন্নাই সুপার কিংস। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

নিজেদের ঘরের মাঠে লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। এই ম্যাচেও মুস্তাফিজের একাদশে থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। চিপকের এই মাঠে ৩ ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিয়েছেন টাইগার পেসার। আজকেও তাই টাইগার পেসার থেকে দুর্দান্ত কিছুই প্রত্যাশা থাকবে চেন্নাইয়ের।

জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকার কারণে এবারের আইপিএলের পুরো আসর খেলা হবে ফিজের। লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুস্তাফিজের আইপিএল ছাড়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন মাইক হাসি। তার চলে যাওয়াকে দুঃখজনক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

চেন্নাই কোচ বলেন, ‘মুস্তাফিজের স্লোয়ার বলটা অসাধারণ। এটা খেলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ে। দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে যখন সে চলে যাবে আমরা দুঃখ পাব। মুস্তাফিজ যতদিন থাকতে পারবে ততদিন আমরা তাকে রাখতে চাই। আমরা তার পারফরম্যান্সে বেশ আনন্দিত।’

চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য একাদশ:

রাচিন রবীন্দ্র, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে (ইমপ্যাক্ট), মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, সামির রিজভি, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপাণ্ডে, মুস্তাফিজুর রহমান, মাথিশা পাথিরানা।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাসে ২০তম লিগ শিরোপা জিতল ইন্টার মিলান

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জিতলেই নিশ্চিত হবে শিরোপা, এমন সমীকরণ সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০তম বারের মতো সিরি আ শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিলান। গতকাল রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে এবারের শিরোপা ঘরে তুলেছেন লাউতারো মার্টিনেজরা।

এদিন ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ফ্রান্সিসকো অ্যাসারবির গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আবারও গোল করে ইন্টার মিলান। ৪৯ মিনিটে এসি মিলানের জাল কাঁপান মার্কাস থ্ররাম। এতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান।

কিন্তু ৮০ মিনিটে ইন্টার মিলানের একটি গোল শোধ করে দেন এসি মিলানের ফিকায়ো তোমোরি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের মূল সময়ে আর সমতায় ফিরতে পারেনি ইন্টার মিলান।

অতিরিক্ত সময়ে শুরু হয় লালকার্ডের নাটকীয়তা। ৯৩ মিনিটে এসি মিলানের তোমারির এক ফাউলকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানোর দায়ে দুই দলের দুই খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেখান রেফারি।

লালকার্ড দেখেন ইন্টার মিলানের ডেনজেল ডামফ্রাইস, আর এসি মিলানের থিও হার্নান্দেজ। এতে ১০ দলে পরিণত হয় দুই দল।

এর ৪ মিনিট পর আবারও তর্ক-বিতর্ক। এবার লালকার্ড দেখেন শুধু এসি মিলানের খেলোয়াড় ডেভিড ক্যালাবরিয়া। তিনি মাঠ ছাড়লে ৯ জনের দলে পরিণত হয় এসি মিলান। ফলে বাকি এক গোল আর এসি মিলানের পক্ষে শোধ করা সম্ভব হয়নি। ২-১ গোলে জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে ইন্টার মিলান।

শিরোপা জিতে ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন তারকা মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি দলের খেলোয়াড়দের বলেছিলাম যে, আমরা নিজেদেরকে এমন পরিস্থিতিতে খুঁজে পেয়েছি যা আগে কখনো ঘটেনি। আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা দরকার ছিল। কারণ চারপাশে দেখুন, পুরো স্টেডিয়াম এখন আমাদের।’


ইন্টার মিলান   সিরি আ   এসি মিলান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশে টাইগারদের নতুন কোচ মুশতাক

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রায় দীর্ঘ সময় ধরেই ছিল না কোন স্পিন বোলিং কোচ। গত বছরের ৩০ নভেম্বর শ্রীলংকার সাবেক তারকা স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে চুক্তি শেষের পর থেকেই ফাঁকা ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ পদ। তবে এবার সাকিব-মিরাজদের অভিভাবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদ।

আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন মুশতাক। আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই নিজের অভিযান শুরু করবেন সাবেক তারকা লেগ স্পিনার। টাইগারদের নতুন এই স্পিন কোচের চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই আন্তর্জাতিক আসর।

এর আগে ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই পাকিস্তানি তারকা বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের স্পিন বিভাগ সামলেছেন। ২০০৮–১৪ ইংল্যান্ড, ২০১৮-১৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২০-২২ পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন কোচ ছিলেন মুশতাক আহমেদ। এছাড়া ২০১৪-১৬ সময়কালে তিনি বোলিং পরামর্শক ছিলেন পাকিস্তানের।

বিসিবির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হওয়া আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। আমি আমার দায়িত্ব পালনের দিকে পুরো মনোযোগ দিচ্ছি এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি তারা (বাংলাদেশ) বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর দলগুলোর একটি।’

বাংলাদেশকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সাকিব আল হাসানদের নতুন এই কোচ বলেন, ‘তারা যেকোনো দলকেই হারাতে পারে, কারণ তাদের সেই সামর্থ্য, সম্পদ ও প্রতিভা আছে। আমি চেষ্টা করব আমার এই বিশ্বাসটাই তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।’

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক মুশতাক আহমেদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪৪ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ১৬১ উইকেট। এছাড়া ৫২ টেস্ট খেলে এই লেগস্পিনার ১৮৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে চোটের কারণে মুশতাকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটা ভালো হয়নি। এরপরও অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে গিয়েছিলেন মুশতাক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০৯ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ১ হাজার ৪০৭টি। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন ১০৪ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ৩২ বার।


মুশতাক আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট   রঙ্গনা হেরাথ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে যা বললেন চেন্নাই কোচ

প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে হোমগ্রাউন্ডে ফিরছে ধোনি-মুস্তাফিজদের চেন্নাই। পয়েন্ট টেবিলে আছে চতুর্থ স্থানে। গত ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে তাদের ঘরের মাঠে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার নিজেদের মাঠে সেই লখনৌকেই আতিথ্য দেবে ধোনিরা।  

এই ম্যাচে থাকার সম্ভাবনা আছে মুস্তাফিজুর রহমানের। চিপাকের পিচে ফিজ বেশ কার্যকরী। পেয়েছেন ৮ উইকেট। মাথিশা পাথিরানার সঙ্গে আজও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটাই হয়ত ফিজের চেন্নাই পর্বের শেষের শুরু। ঘরের মাঠে পরের তিন ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। আর এই তিন ম্যাচ দিয়েই ফিজ পর্ব শেষ হবে আইপিএলে। 

চেন্নাই সুপার কিংসের দশম ম্যাচ পর্যন্ত আইপিএলে থাকছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-২০ সিরিজ খেলতে দেশে ফিরে আসবেন তিনি। আর ফিজের এমন বিদায়কে দুঃখজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি। 

লখনৌ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি টাইগার পেসার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তার (মুস্তাফিজ) স্লোয়ার বলটা অসাধারণ যেটা খেলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ে। যখন সে চলে যাবে আমরা দুঃখ পাব। কিন্তু তার দেশ তাকে ডাকছে। সে যতদিন থাকতে পারবে ততদিন আমরা তাকে রাখতে চাই। আমরা তার পারফরম্যান্সে বেশ আনন্দিত।’ 

মুস্তাফিজকে ১ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ২৮ এপ্রিল ও ১ মে যথাক্রমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। এবারের আসরে ছয় ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মুস্তাফিজ। ২০.৫৪ গড় আর ৯.৪১ ইকোনমিতে বোলিং করে ১১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। 

আইপিএলে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে মুস্তাফিজরা। 


মুস্তাফিজ   চেন্নাই   আইপিএল   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুম্বাইকে হারিয়ে প্লে অফের পথে আরেক ধাপ এগোলো রাজস্থান

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের ১০০তম ম্যাচ সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তার দল হেরেছে ৮ উইকেটে। সবাইকে অবাক করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিলেন হার্দিক। মুম্বাই করে ৯ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাবে রাজস্থান ১৮.৪ ওভারে ১ উইকেটে করে ১৮৩ রান। সঞ্জু স্যামসনের দলের জয়ের দুই নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল এবং সন্দীপ শর্মা। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লেঅফের দিকে আরো এক পা এগিয়ে গেল প্রতিযোগিতার প্রথম বারের চ্যাম্পিয়নেরা।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীরে করেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। তবে ইনিংস যত এগিয়েছে তত রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন রাজস্থানের ব্যাটারেরা। সঞ্জুদের ইনিংসের ৬ ওভারের পর বৃষ্টি নামে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। তাতেও রাজস্থানের ইনিংসে বিঘ্ন ঘটেনি। বাটলার ২৫ বলে ৩৫ রান করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন যশস্বী। নিজের এবং দলের ইনিংসকে মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। যশপ্রীত বুমরাকেও পরোয়া করলেন না তরুণ ওপেনার। এ বারের আইপিএলে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছিল তার ফর্ম নিয়ে। সোমবার সমালোচকদের জবাব দিলেন অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলে। ৫৯ বলে শতরান পূর্ণ করেন জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৬০ বলে ১০৪ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৭টি ছক্কায়।

জয়সওয়ালকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জুও। তিনিও সাবলীলভাবে ব্যাট করেন। মুম্বাইয়ের বোলারেরা রাজস্থানের ব্যাটারদের তেমন কোনো সমস্যায় ফেলতেই পারেননি। সঞ্জুর ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি করে চার এবং ছয়ে। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে পীযূষ ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন। জয়পুরের ২২ গজে সাধারণ দেখাল বুমরা, হার্দিকদের।

জয়পুরের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি মুম্বাইয়ের উপরের দিকের ব্যাটারেরা। সন্দীপ এবং ট্রেন্ট বোল্টের দাপটের সামনে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। তার পরেও মুম্বাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন দুই তরুণ তিলক বর্মা এবং নেহাল অধেরা। পর পর আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা (৬), ঈশান কিশন (০) এবং সূর্যকুমার যাদব (১০)। বড় রান পেলেন না পাঁচ নম্বরে নামা মেহাম্মদ নবিও। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার করেন ১৭ বলে ২৩ রান। ৫২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন তিলক এবং নেহাল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নেহালের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছয়। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিলকের সঙ্গে ৯৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ইনিংসকে ভরসা দিলেন মূলত তিলক। চার নম্বরে নেমে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি করেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। তার ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রান পেলেন না অধিনায়ক হার্দিকও (১০)। মুম্বাইয়ের শেষ দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।

এই ম্যাচে নবিকে আউট করে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৪৮ রান খরচ করে একটিই উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার। সফলতম সন্দীপ নেন ১৮ রানে ৫ উইকেট। রাজস্থানের অন্য বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৩২ রানে ২ উইকেট, আবেশ খান ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। এ দিনও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোল্ট এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পূর্ণ করেন।


মুম্বাই   রাজস্থান   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন