ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার মিশন ওয়ানডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

দেশের মাটিতে বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর দল অনেক দিন ধরেই। তবে সেটা ওয়ানডেতেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেই  ধারাবাহিকতায় দেশের বাইরেও সাফল্য পাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল আর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে খেলায় রয়েছে তার প্রমাণ।

একটা বাজে টেস্ট সিরিজ পার করায় কিছুটা বিপর্যস্ত টিম বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও বড় কোন আশা ছিলনা। তবে কেউ যেন একটা সেঞ্চুরি বা তার চেয়ে বেশি কিছু করুক এইরকম আশাতো সবারই ছিলো। একই সঙ্গে মুশফিকের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই সব মিলিয়ে প্রায় ছোটো খাটো একটা ঝড় গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের উপর দিয়ে।

তবে এইবার ওডিআই এর পালা। আর একটা বিষয় সত্য যে, বাংলাদেশ তাদের ওডিআই’র সেরা দিন গুলো কাটাচ্ছে। সুতরাং সবসময়ের মতো এবারও সবার প্রত্যাশা বেশি, ২ দলের শেষ দেখায় বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয় পায় এবং ২-১ সিরিজও জিতে। তবে এবার চ্যালেঞ্জটা বেশি। সেবার ছিল দেশের মাটিতে, কিন্তু এবার খেলা হবে প্রোটিয়াদের মাটিতে। তাই কন্ডিশন বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই ভিন্ন থাকবে।

প্রথম ওয়ানডে হবে কিম্বারলির ডায়ামন্ড ওভালে। যখানে প্রায় ৫ বছর আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছিল। তবে তাদের ঘরোয়া লিগে বেশ ভালো ভাবেই এই মাঠ ব্যবহার করা হয়।

যদি এই মাঠের উইকেটেরর কথা বলা হয় তাহলে এই মাঠে এখনকার মতো বড় বড় স্কোর হয় না বললেই চলে। ২৫০-৩০০ এর ভিতরেই রান হয় বেশীরভাগ ম্যাচে। ৩০৪ রান এই মাঠে সর্বচ্চ দলীয় স্কোর। তবে এই মাঠের পিচ বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই বোলিং পিচ হয়ে থাকে। তাই এইরকম একটা কন্ডিশন এবং উইকেটে টাইগারদের সেরা একাদশ কেমন হবে? এই প্রশ্নের শতভাগ উত্তর ম্যাচের দিনই পাওয়া যাবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্ভাব্য সেরা একাদশটি কেমন হতে চলেছে তা কিছটা অনুমান করাই যায়।   

তামিম: প্রায় ৮০ ভাগ কনফার্ম তামিম প্রথম ওডিআই এ থাকছে, বাংলাদেশের ওপেনিং তাকে ছাড়া ভাবাই যায় না। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তিনি। আর তামিম নিজেই জানিয়েছন, তিনি যদি ৮০ ভাগও ফিট থাকেন তাহলে তিনি খেলবেন।

সৌম্য/লিটন: ওপেনিংয়ে সৌম্য কিংবা লিটন দুইজনেরই খেলার সুযোগ আছে। সৌম্যকে  বেছে নেওয়ার পিছন মূল কারণ, তাঁর প্রতি হাথুরুসিংহের সুনজর। আর পারফরম্যান্স এবং ফর্ম বিবেচনায় নিলে লিটন এগিয়ে। তবে সৌম্যই ভালো হতে পারে। কেননা ইদানীং তামিম সেট হতে কিছুটা সময় নেয়। লিটনও অনেকটা একইরকম। তাই হয়তো সৌম্য হতে পারে প্রথম পছন্দ।

রিয়াদ রিয়াদ বাংলাদেশের ‘সলিড গোল্ড’। বিপদে পড়লে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান তিনিই। তাঁর বেপারে কিছু বলার নাই। রিয়াদ ‘অটো চয়েস’।

মুশফিক: অবশ্যই চারে মুশি আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান, আমাদের মিডল অর্ডারের মূল স্তম্ভ তিনি।

সাকিব: চার এবং পাঁচ জেনো সাকিব মুশির জন্যই বরাদ্দ। তাই মুশি যদি চারে খেলেন তবে সাকিব পাঁচেই ব্যাট করতে নামবেন।

সাব্বির: এই পজিশনে সাব্বির সেরা। তাঁর হাতে হিট আছে, ভালো শট খেলার ক্ষমতা আছে। সাব্বির তিনে ব্যর্থ, তা প্রমাণিত। তাই আগের পজিশনে অর্থাৎ ছয়ে ব্যাট করলে হয়তো সাব্বির নিজেকে ফিরে পেতে পারেন।

নাসির: সাত নম্বরে  নাসিরকে সুযোগ দেওয়াই ভালো। কেননা নাসিরের অন্তর্ভুক্তি দলে শক্তি বাড়াবে। একই সঙ্গে সাকিব-নাসির-মিরাজকে নিয়ে স্পিন অ্যাটাকটাও চালিয়ে নেওয়া যাবে।

মিরাজ: যেহেতু স্পিনার দের এইখানে বেশি কিছু নেই তারপরেও মিরাজ এগিয়ে। কেননা  সাইফুদ্দিনের চেয়ে কারন মিরাজের অভিজ্ঞতা বেশি। তাছাড়া মিরাজ ব্যাট হাতেও রানের চাকা সচল রাখতে পারবেন।  

মাশরাফি: অধিনায়ক তিনি। একই সঙ্গে পেস ইউনিটকে সামন থেকে নেতৃত্ব দেন।

রুবেল: অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং ফাস্ট ডেলিভারি গুলো কাজে লাগবে। একই সঙ্গে রুবেলের ইনসুইংয়ে ঘায়েল হতে পারে প্রোটিয়ারা।

মুস্তাফিজ: ‘দ্য ফিজ’ এর ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছুই নাই। ওপেনিং ও ডেথ ওভারে ভালই সার্ভিস দিতে পারবেন তিনি।

এছাড়া দলে চমকও আসতে পারে। মাত্র একটি টি-২০ খেলা সাইফ উদ্দিনের অভিষেকেও হয়ে যেতে পারে। তাঁর সবচেয়ে বড় কারন হতে পারে পেস সহায়ক উইকেট, একই সঙ্গে কন্ডিশন।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকা চাইবেই টেস্ট সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু করতে। কিন্তু বাংলাদেশ চায়, দুই দলের শেষ ওয়ানডে সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে শুরু করতে। কেননা সে স্মৃতি যে এখনও বাস্তব। 


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর





মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বলে আখ্যায়িত করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail মুস্তাফিজুর রহমান

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।

তবে শেষ কয়েক ম্যাচে ছন্দপতন হয়েছে তার। যদিও এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষের দিকে আছেন এ টাইগার পেসার।

যদিও টানা কয়েক ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের পরও তার ওপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, তাকে নিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই।

চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলের শুরু থেকেই খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ। অবশেষে এবারের আসরে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কৃত্রিম টার্ফের কারণে মেসির খেলা নিয়ে শঙ্কা!

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এ সময়ে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিও যেন হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছিল না। তবে মেসি সম্প্রতি ফিরেছেন মাঠে। খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। আর এই কয়েক ম্যাচের মধ্যেই মায়ামিকে আবারও লিগের শীর্ষে তুলেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

তবে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মায়ামির শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে পরবর্তী ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু আসন্ন ম্যাচে দলের এই প্রধান তারকার খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এবার চোট নয়, এর নেপথ্যে মাঠের কৃত্রিম টার্ফ! এর আগে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম আর্টিফিশিয়াল টার্ফে মেসির খেলা নিয়ে কিছুটা দোদুল্যমান অবস্থা দেখা দিয়েছিল। ন্যাচারাল মাঠের চেয়ে যেখানে চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ওই সময় তাকে কৃত্রিম টার্ফের মাঠে খেলানো হয়নি। তেমন পরিস্থিতি আবারও সামনে এসেছে এই তারকা ফরোয়ার্ডের সামনে।

মায়ামি আগামী রোববার তাদের পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউ ইংল্যান্ড রিভোলিউশনের। ম্যাচটি হবে কৃত্রিম টার্ফ দিয়ে গড়া জিলেট স্টেডিয়ামের মাঠে। তাই চোটের ঝুঁকি এড়াতে ম্যাচটিতে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি!

অন্যদিকে, চোটের সমস্যা রয়েছে মেসির দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মায়ামির উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের। তিনি হাঁটুর চোট নিয়ে ভুগছেন লম্বা সময় ধরে। যার কারণে তার ক্যারিয়ারও আর বেশি বড় না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই মেসির মতো মায়ামির আসন্ন ম্যাচে হয়তো সুয়ারেজকেও পাবে না। এ নিয়ে কথা বলেছেন মায়ামি ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ফুটবলার জুলিয়ান গ্রেসেল।

একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে সতীর্থ ফুটবলারদের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে গ্রেসেল বলেন, ‘আমরা যখন ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করব, তখন (তাদের খেলা ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করব। তখন আসলে জানতে পারব যে আসন্ন ম্যাচটিতে কারা খেলবেন। কিন্তু তিনিই একমাত্র (সুয়ারেজ) যার খেলা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অবশ্য আলবারও (জর্দি) চোট আছে।’

মেসি ওই ম্যাচের একাদশে থাকবেন কি না, এ নিয়ে অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন গ্রেসেল, ‘আমি যতটুকু শুনেছি সম্ভবত (একাদশে) নাম আছে তার।’

মায়ামির জার্সিতে সবশেষ ম্যাচটা ছিল মেসিময়। কারণ তিনি জোড়া গোলের পাশাপাশি অপর গোলেও অবদান রেখেছিলেন। ম্যাচটিতে ন্যাশভিলেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের লিগ টেবিলে আবারও শীর্ষস্থানে উঠল মায়ামি। ১০ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। এক ম্যাচ কম খেলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরই অবস্থান নিউইয়র্ক আরবির।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে যা বললেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৫:৩৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬  থেকে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করে সেবার সানরাইজার্স হায়দ্রবাদের হয়ে অম্ল-মধুর সময় কাটিয়েছিলেন ফিজ। এরপর কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘুরলেও সেগুলোতে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি ফিজকে। তবে এবার চেন্নাইয়ে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে।

এরই মধ্যে চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মুস্তাফিজ। যা বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তারা। সেই ভিডিওতে চেন্নাইয়ের ডাক পাওয়ার পরের অনুভূতি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে আলোচনা ও দলের অভ্যন্তরীণ আবহ নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ফিজ।

কাটার মাস্টার বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’

মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানকার (চেন্নাইয়ের) সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। জাতীয় দলে যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকে আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’

ধোনিকে নিয়ে ফিজ আরও বলেন, ‘উনার (ধোনি) সঙ্গে বেশিরভাগ বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়। আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হয়।’

প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। যেখানে ১০.৭ ইকোনোমিতে ১২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এতে অবশ্য টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন এই টাইগার পেসার।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অবসরের ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মারুফের অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

ক্যারিয়ারে ২৭৬টি ম্যাচে ৬২৬২ রান করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বোলিং করে ৮০টি উইকেট শিকার করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

নিজের অবসরের ঘোষণায় বিসমাহ মারুফ বলেন, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।’

বিবৃতিতে পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ, ‘আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।’

সর্বশেষ নারী টি-২০ বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তানকে ৯৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।


পাকিস্তান   নারী ক্রিকেট   বিসমাহ মারুফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিওরেন্টিনাকে হারিয়ে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে আটালান্টা

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আটালান্টা ইতোমধ্যেই ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। তবে ফিরতি লেগে ফিওরেন্টিনাকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালের টিকেট কেটেছে আটালান্টা।

এদিন ঘরের মাঠ জিউইস স্টেডিয়ামে ৮ মিনিটে টিয়ান কুপমেইনার্সের গোলে সমতা ফিরিয়েছিল আটালান্টা। ৬৮ মিনিটে লুকাস মার্টিনেজ কুয়ারটাস আবারও ফিওরেন্টিনাকে এগিয়ে দেয়। ৭৫ মিনিটে গিয়ানলুকা সামাকা স্বাগতিকদের পক্ষে আবারো সমতা ফেরান। এ সময়ে ধরেই নেয়া হয়েছিল ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছে।

নিকোলা মিলেনকোভিচের লাল কার্ডে ফিওরেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই ১০ জন নিয়ে খেলেছে। আডেমোলা লুকম্যান ও মারিও পাসালিচের ইনজুরি টাইমের গোলে ৪-১ ব্যবধানের লিড নেয় আটালান্টা। লিভারপুলকে বিদায় করে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছে আটালান্টা।

এর আগে, ১৯৬৩ সালে তারা ইতালিয়ান কাপে একবার বিজয়ী হয়েছিল। চারবার ফাইনালে খেলেও প্রতিবারই তাদের রানার্স-আপ শিরোপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এর মধ্যে তিন বছর তারা জুভেন্টাসের কাছে ফাইনালে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। এবারের ইতালিয়ান কাপের ফাইনাল আগামী ১৫ মে রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে অনুষ্ঠিত হবে।


আটালান্টা   ফিওরেন্টিনা   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন