ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাহাড়সম লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

শেষ ওভারে রুবেল হোসেন দুই উইকেট তুললেও কাজ যা করার সেটা ডি ভিলিয়ার্স আগেই করে গিয়েছেন। তার ১৭৬ রানের সুবাদে ছয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে ৩৫৩ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে। আজ খুনে মেজাজে ছিলেন ভিলিয়ার্স। শেষদিকে এমন ব্যাটিং তিনি অনেকদিন পর করেছেন। 

শেষ ওভারে রুবেলের ঝলক

যেভাবে খেলছিলেন, তাতে ৫০ ওভার উইকেট থাকলে ডাবল সেঞ্চুরিই হয়তো হয়ে যেত ডি ভিলিয়ার্সের। তবে সেটি হলো না। ৪৮তম ওভারে তাকে ফেরালেন রুবেল হোসেন। চেষ্টা করেছিলেন আরও একটি ছক্কার। ফুল লেংথ বলটিতে উড়িয়ে মেরেছিলেন। সীমানা থেকে ছুটে এসে ক্যাচ নেন সাব্বির। ১০৪ বলে ১৭৬ রানে আউট হলেন ডি ভিলিয়ার্স। ১৫ চারের পাশে ইনিংসে ৭টি ছক্কা। এরপর প্রিটোরিয়াসকে লং অফে ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করেন।

জুটির সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ার সেরা রান করলেন যে শটে, এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেই বাউন্ডারিতেই সেঞ্চুরি হলো চতুর্থ উইকেট জুটির। মাত্র ৬৩ বলেই হলো জুটির সেঞ্চুরি। জুটিতে দুমিনির অবদান মাত্র ২০!

ডি ভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ার সেরা
ক্যারিয়ারে আগে একবারই দেড়শ করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই ইনিংসে করেছিলেন ৬৬ বলে অপরাজিত ১৬২। রান সংখ্যায় এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন ডি ভিলিয়ার্স। তাসকিনের টানা তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চারে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ার সেরা ১৬২। ছাড়িয়ে যান মাশরাফির বলে বাউন্ডারি মেরে। ৯৯ বলে ১৬৬।

তিনশ পেরিয়ে
এবি ডি ভিলিয়ার্সের খুনে ব্যাটিংয়ে ৪৫ ওভারেই তিনশ ছাড়িয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইমরুল দুমিনির ক্যাচ ছাড়ার পর মাশরাফির পরপর দুই বলে ছক্কা মেরে দলকে তিনশর ঠিকানায় নিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স।

জীবন পেলেন দুমিনি
সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন জেপি দুমিনি। মাশরাফির বলে চেষ্টা করেছিলেন স্লগ করার। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উঠে গেল ওপরে। কিন্তু পয়েন্টে সহজ ক্যাচটিও হাতে জমাতে পারলেন না ইমরুল কায়েস।

আরেক জুটির পঞ্চাশ
জেপি দুমিনি দিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গ, ডি ভিলিয়ার্স বাড়াচ্ছেন রান। দুয়ের সমন্বয়ে অর্ধশতক হলো আরও একটি জুটিতে।

ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
বড় জুটিতে সঙ্গী আমলা বিদায় নিলেও প্রভাব নেই ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ে। দারুণ খেলেই ছুঁয়ে ফেললেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তার ২৫তম। বাংলাদেশের বিপক্ষে ষষ্ঠ ইনিংসে প্রথম। ৩৪ বলে করেছিলেন অর্ধশতক। পরের পঞ্চাশেও বল লেগেছে ৩৪টি। ৬৮ বলে সেঞ্চুরি। খানিকটা মন্থর উইকেট, বাজে আউটফিল্ডে এই গতিতে সেঞ্চুরি করে আরও একবার চিনিয়েছে তার জাত।

বড় সংগ্রহের পথে প্রোটিয়ারা
ম্যাচের গতিচিত্রই যেন পাল্টে দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রায় চার মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট করতে নেমেই তুলেছেন ঝড়। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ৩৪ বলেই। উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই দারুণ পায়ের কাজ, টাইমিং আর উদ্ভাবনী ক্ষমতা মিলিয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। চাপে ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের সব বোলার-ফিল্ডারকে।

আমলা-ডি ভিলিয়ার্স জুটিতে পঞ্চাশ
জোড়া উইকেটের পর একটু থমকে যাওয়ার কথা ইনিংস। হলো উল্টো। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে নতুন গতি পেল প্রোটিয়া ইনিংস। আমলা-ডি ভিলিয়ার্স জুটিতে পঞ্চাশ উঠে গেল ৭ ওভারেই। বেড়েছে বাউন্ডারির সংখ্যাও।

আমলার পঞ্চাশ
আরেক পাশে দুটি উইকেট পড়লেও অবিচল আমলা। নিজের মতোই খেলে স্পর্শ করলেন আরও একটি অর্ধশতক। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবার হাফ সেঞ্চুরি ছুঁলেন ৫৫ বলে। ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র ৩টি, স্ট্রাইক রেট তবু নব্বইয়ের বেশি!

বেঁচে গেলেন ডি ভিলিয়ার্স
স্টাম্প সোজা আর্ম ডেলিভারিতে কাট মতো করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাটের কানায় লেগে বল পেছনে। কিন্তু স্লিপে হাত বাড়িয়ে বল ছুঁতেই পারলেন না নাসির। দ্রুত গতিতে ছোটা বলকে হাতে জমানোর মত রিফ্লেক্স ছিল না ফিল্ডারের।  

সাকিবের জোড়া আঘাত
ডি কক-আমলা জুটিতে ভাঙন ধরাতেই পারছে না বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে অপরাজিত ২৮২, এবার প্রথম পানি পানের বিরতির সময় বিনা উইকেটে ৮২। যদিও খানিকটা মন্থর উইকেট আর বাজে আউটফিল্ডের কারণে রানের গতি আগের ম্যাচের মত নয়। তবে দুই ব্যাটসম্যান খেলছেন নিয়ন্ত্রিতভাবে, আউট হওয়ার সুযোগও দেননি।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ 
হারের বৃত্ত থেকে বের হবার নাম নেই টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্ট সিরিজে দেখা গেছে তিন ডিপার্টমেন্টেই খুব বাজে অবস্থা। আর প্রথম ওয়ানডেতে তো স্মরণ কালের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করেছে বোলাররা।

প্রথম ওয়ানডেতে একটি উইকেটও যেন ছিল সোনার হরিণ। এমন অবস্থার সঙ্গে চলছে ইনজুরিতে পড়ার মিছিল। এসবের মধ্যে আজ বাংলাদেশ দল কতটা ভালো করতে পারবে সেটা বলা মুশকিল। বোলিংয়ের মূল অস্ত্র কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ নেই গোড়ালির ইনজুরির কারণে।

টিম কম্বিনেশন নিয়ে আছে সমস্যা। ওপেনিং এ রান পাচ্ছেন না কায়েস ও সৌম্য। সেক্ষেত্রে এক তামিমের উপরই সম্পূর্ণ দায়িত্ব পড়ছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার এত কঠিন কন্ডিশনে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। যদিও লিটন দাসকে ওপেনার হিসেবে বাজিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি খুব ভালো না করলেও তাকে দিয়ে চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে।

এত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেও আজ বাংলাদেশকে আজ নামতে হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। যেটা বাঁচা-মরার লড়াই। তাই দলের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দলের জন্য খেলতে হবে। খেলাটি বেলা ২টায় সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, মাছরাঙা ও সনি সিক্স এইচডি। 


বাংলা ইনসাইডার/এনআই/ডিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিটনেসের অংশ হিসেবে ১৬০০ মিটার দৌড়ে সেরা দুই পেসার

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই টাইগারদের ঘরের মাঠে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ আসন্ন  টি-২০ বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। আর তাই টাইগাররা বেশ ভালোভাবেই নজর দিচ্ছেন এই সিরিজের দিকে।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। যার অংশ হিসেবে শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার। বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টের রানিং প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছেন দুই পেসার।

এক গ্রুপে প্রথম হয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আরেক গ্রুপে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তানজিম হাসান সাকিব। চমক দেখিয়েছেন বর্তমান দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও তরুণদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে এক গ্রুপের দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।

বর্তমান দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার সিনিয়র ৩৮ পেরুনো মাহমুদউল্লাহ দৌড় শেষ করেছেন সবার শেষে। ফিটনেস সেশন শেষে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি জানান, ডিপিএল-বিপিএলের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বুঝার জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন সেটা বুঝলাম। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গেছে, বিপিএল গেছে। এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য এই উদ্যোগ। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে এক ম্যাচে দুই দলের অধিনায়কেরই জরিমানা

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জমে উঠেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। মাঝ পর্যায়ে এসে সব দলের লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলছে না।

আইপিএলে এবারের আসরে শুরু থেকে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিং-বোলিং সবদিক থেকেই বেশ ব্যালেন্সড টিম গঠন করেছিল এবার তারা। তবে গতকাল প্রতিপক্ষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠে খেলতে নেমে কোনো পাত্তাই পায়নি ধোনি-মুস্তাফিজরা। তার ওপর ‘বাড়তি পাওনা’ হিসেবে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় পেয়েছেন আর্থিক শাস্তি।

অবশ্য কেবল চেন্নাই নয়, ম্যাচজয়ী লখনৌও একই জরিমানার অধীনে পড়েছে। স্লো ওভার রেটের কারণে স্বাগতিক অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকেও জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় একই ম্যাচের দুই অধিনায়কই জরিমানা গুনলেন।

এদিন লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাপক দাপট দেখিয়ে জিতেছে। শুরুতে ব্যাট করে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে। রানতাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লখনৌ ১৯ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয়। অধিনায়ক রাহুল দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে জয় উপহার দিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল।

তবে ঘরের মাঠে জয় পেলেও, স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে এই লখনৌ অধিনায়ককে। আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছে লখনৌ ও চেন্নাই উভয় শিবিরই। এক্ষেত্রে দলগত অপরাধের শাস্তি পেতে হয় দুই অধিনায়ক রাহুল ও গায়কোয়াড়কে। কারণ মাঠে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিনায়কদের ভূমিকাই প্রধান হয়ে থাকে। এক বিবৃতিতে দুজনের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য রাহুল ও গায়কোয়াড়কে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও পেয়েছেন তারা। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে এই শাস্তির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হবে।

আইপিএলের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রথমবার স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়লে শুধুমাত্র অধিনায়কের ১২ লাখ রুপি জরিমানা হয়। এক মৌসুমে দ্বিতীয়বার এই ভুলের জন্য দলনেতাকে ২৪ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হয় এবং ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়সহ দলের বাকিদের জরিমানা হয় ৬ লাখ রুপি করে অথবা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ অর্থ। তৃতীয়বার একই অপরাধ করলে অধিনায়ককে ৩০ লাখ রুপি জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচেও নিষিদ্ধ হতে হবে। সেই সঙ্গে দলের বাকিদের জরিমানা হয় ১২ লাখ রুপি করে বা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অর্থ।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোপা লিগের সেমির পূর্বে নিষেধাজ্ঞায় মার্টিনেজ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপাখরা কাটানোর অন্যতম নায়ক তিনি। তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক খেলায় নয়, ক্লাব ফুটবলেও দিনের পর দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এমি।

দুইদিন পূর্বেই উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক ছিলেন এমি। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অর্জেন্টাইনের।

যার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমি ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকেই পাচ্ছে না দলটি। আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। কারণ, কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি।

গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। প্রথমবার ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। এরপর ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেও হলুদ কার্ড পান মার্টিনেজ।

সবমিলিয়ে মার্টিনেজ ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখার পরও লাল কার্ড দেখাননি রেফারি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের নিয়মিত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড টাইব্রেকারের সময়ের দেখা হলুদ কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। তবে এটা আবার সামগ্রিক কার্ড দেখার হিসেবে যোগ হয়। তাই লাল কার্ড না পেলেও, ঠিকই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।

সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন মার্টিনেজ।


এমি মার্টিনেজ   আর্জেন্টিনা   ফুটবল   ইউরোপা লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুঞ্জন উড়িয়ে জার্মানির সাথে নাগলসমানের চুক্তি নবায়ন

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন ইউরো শেষেই জার্মানির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইউলিয়ান নাগলসমান। শুধু তাই নয়, এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আবারও ফিরবেন তার পুরোনো ঠিকানায়। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ কোচ।

জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নাগলসমান। জাতোয় দলের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা উপভোগ করেন তিনি, তা বুঝাতে গিয়ে এই কোচ বলেছেন—সিদ্ধান্তটা মাথা দিয়ে নয়, হৃদয় থেকে নিয়েছেন।

ডিএফবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর নাগলসমান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দারুণ পারফর্ম করে সাফল্য পাওয়ার মাধ্যমে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ আমাদের আছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হানসি ফ্লিককে বরখাস্ত করে নাগলসমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএফবি। প্রাথমিকভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে ২০২৪ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ২টি ও ড্র করেছে ১টি ম্যাচ। ৩ জয়ের মধ্যে সর্বশেষ ২টি আবার দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কোচকে। নাগলসমান বলেন, ‘মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দুটি সত্যিই আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’


নাগালসমান   জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন   ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজসহ চেন্নাইয়ের বোলারদের প্রতি হতাশ হার্শা-মুডি

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল রাতে লখনৌয়ের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংস যেন শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। তবুও ব্যাটিংয়ে আজিঙ্কা রাহানে, রবিন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মুগ্ধতায় লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছেছিল তারা। কিন্তু পরবর্তীতে বোলাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি লখনৌয়ের ব্যাটারদের।

এদিন মুস্তাফিজকেও দেখা যায়নি তার চেনা ফর্মে। একটি উইকেট নিলেও ওভারপ্রতি দশের উপরে রান দিয়েছেন তিনি। যা ইনফর্ম এই পেসারের থেকে খানিকটা অপ্রত্যাশিতই। ফিজের এমন পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেছেন হার্শা ভোগলে ও টম মুডি।

মুডি বলেন, 'মুস্তাফিজুর, দেশপান্ডে, জাদেজা তারা সবাই ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়েছে। এমন বোলারদের কাছে আপনি কখনই এমনটা প্রত্যাশা করবেন না। এটা চেন্নাইয়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।'

আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ। একাধিক ম্যাচে দলের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। তবে গত রাতে তার এমন পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে উইকেটকে কিছুটা দায় দিলেন হার্শা।

তিনি বলেন, 'চেন্নাই যখন ব্যাটিং করছিল তখন বল খানিকটা গ্রিপ করছিলো। আমার মনে হয়েছিল এই উইকেটে ফিজ দুর্দান্ত বোলিং করবে। আমি জানি না উইকেটের ব্যাপারটা কি ছিল। তবে দেখে মনে হয়েছে পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।'

লক্ষ্ণৌতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লক্ষ্ণৌ।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন