নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২১ জুলাই, ২০২১
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও হাতছাড়া হয়ে গেল পাকিস্তানের। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রাখেন মোহম্মদ রিজওয়ান। ৫৭ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে অপরাজিত থাকেন ৭৬ রানে। এছাড়া ফখর জামান ২০ বলে ২৪ ও হাসান আলী ৯ বলে ১৫ রান করেন। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার আদিল রশিদ। এছাড়া মঈন আলি দখল করেন ১ উইকেট।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ইংল্যান্ড করে ৪৫ রান। জেসন রয় এক প্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় শুরু করলেও অন্য প্রান্তে তার মতো সাবলীল ছিলেন না জস বাটলার। ইংল্যান্ডের ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। বাটলারের বিদায়ের পরেও চালিয়ে যেতে থাকেন রয়। ৩০ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর হয়ে ওঠেন আরও আক্রমণাত্মক। শেষ পর্যন্ত উসমান কাদিরের বলে ধরা পড়েন লং অফে। বিদায়ের আগে ৩৬ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১২ চারের পাশে ছক্কা একটি।
জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলির দ্রুত বিদায়ে জমে ওঠে ম্যাচ। দাভিদ মালানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মর্গ্যান। ১৯তম ওভারে মালানকে বোল্ড করে দেন হাফিজ। পরের বলে ছক্কা হাঁকান লিয়াম লিভিংস্টোন। হাফিজকে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। প্রথম বলেই আকাশে তুলে দিয়েছিলেন মর্গ্যান। ছুটে গিয়ে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি বোলার হাসান। লিভিংস্টোনের মতো পরের বলে ইংলিশ অধিনায়কও ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দেন। ক্রিস জর্ডান পরপর দুই বলে দুটি ডাবলস নিয়ে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। আর এর মধ্য দিয়েই শেষরক্ষা হলো না পাকিস্তানের।
মন্তব্য করুন
সুযোগের পর
সুযোগ পেয়েও বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল
হাসান শান্ত। ভবিষ্যতে আলো ছড়াবেন এই ভেবে বোর্ডও তার উপর আস্থা হারায়নি। সে আস্থার
প্রতিদান আর দেওয়া হলো না। দিনকয়েক আগেই দুঃসংবাদ পেয়েছেন্ন শান্ত। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে
নেই।
এদিকে দল থেকে
বাদ পড়েই ভিন্ন উপায়ে সময়টা কাজে লাগালেন এই ওপেনার। স্ত্রীকে নিয়ে বেরাতে চলে গেলেন
অনিন্দ্য সুন্দর দেশ মালদ্বীপে!
দ্বীপ দেশটিতে
স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন শান্ত। ক্যারিয়ারের এই দুঃসময়টা ভুলিয়ে দিতে স্ত্রী সাবরিন
রত্মা তো সঙ্গে আছেনই, পাশাপাশি মালদ্বীপের নীল জল আর আবহাওয়া মন ভাল করে দিচ্ছে তার।
সেই ভাল লাগার মুহুর্তের ছবিও শেয়ার করছেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত রোববার হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই ছবি দেওয়া শুরু করেন শান্ত। ২৩ বছর বয়সী এই
ব্যাটসম্যান তার ফেসবুক টাইমলাইনে স্ত্রী সঙ্গে একটা ছবি দিয়ে হ্যাশ ট্যাগ দেন ‘ফ্যামিলিটাইম’।
সঙ্গে দুটি লাভ ইমোজি!
মঙ্গলবার টাইমলাইনে
দেখা যায় আরও কিছু ছবি আর ভিডিও। মালদ্বীপে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের তলদেশের সম্মোহনে
সাড়া না দিলে কি হয়?
ব্যস, স্নোনরকেলিংয়ে
উপভোগ করেন সমুদ্রের জলের তলার মায়াবী জগত। এমন সময়টা ছবির ফ্রেমেও বাঁধিয়ে রাখলেন
জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া এই ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার
সকালটা আরও যেন সুন্দর হয়ে ধরা দিল নাজমুল হোসেন শান্তর জীবনে। এদিন সকালের নাস্তাটা
জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই সেরে নিলেন শান্ত-রত্মা! পাশেই চোখে পড়ল সমুদ্রের নীল জলরাশি।
চেক ইন দেখেই
নিশ্চিত হওয়া গেছে শান্ত তার স্ত্রী নিয়ে উঠেছেন বিলাসবহুল চেইন হোটেল রেডিসন ব্লু
রিসোর্টে। মালদ্বীপে সহধর্মিণীকে নিয়ে খুব আনন্দঘন মুহুর্তই কেটে যাচ্ছে তার।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া শান্ত হয়তো এই আনন্দ ভ্রমণ শেষেই ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন। যে অফ ফর্মে আছেন হয়তো আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলেও নাও দেখা যেতে পারে তাকে!
মন্তব্য করুন
ভারতের ফুটবল নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টা অনুমিতই ছিল। গত ১৬ আগস্ট অবশেষে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা জানায় ভারতীয় ফুটবল সংস্থা এআইএফএফকে নিষিদ্ধ করার খবর। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে ভারত। এখানেই শেষ নয়, ফুটবলের পর এবার দেশটির আরও তিন ক্রীড়া সংস্থা আছে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায়।
এমনকি যে কারণে ফুটবল নিষিদ্ধ
হয়েছে ঠিক একই কারণে হুমকিতে রয়েছে দেশটির অলিম্পিক, হকি আর টেবিল টেনিস সংস্থাও।
এআইএফএফ নিষিদ্ধ হয়েছিল ফেডারেশনে
তৃতীয় পক্ষের হাত থাকায়। সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ভারতের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের (সিওএ) দ্বারা সংস্থাটি
পরিচালিত হচ্ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফকে জাতীয়
ফেডারেশনের নির্বাচনেরও নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ফুটবল ফেডারেশনের ওপর আদালতের এই খরবদারি
সহজভাবে নেয়নি ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা আদালতের খবরদারিকে তাদের সনদের
পরিস্কার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করে। যে কারণে ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হয় ভারত।
এআইএফএফের মতো হকি ইন্ডিয়াতে
সর্বেসর্বা হয়ে বসেছে সিওএ। তবে এআইএফএফ থেকে হকি সংস্থার বিপদ আরও বেশি। সামনের বছর
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা।
তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে
ইতোমধ্যে। এফআইএইচ যদি হকি ইন্ডিয়াকে নির্বাসিত করে দেয়, তা হলে সামনের বছর ভারতে বিশ্বকাপ
তো হবেই না, বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা হারাবে দেশটি।
টেবিল টেনিসের পরিস্থিতিটাও
একই। দিল্লি হাইকোর্টের রায় অনুসারে সেখানেও সিওএ-কে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের দায়িত্ব।
কমনওয়েলথ গেমসের আগে বেশ কিছু
খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে সেই সিওএ। বাদ পড়া টেবিল টেনিস খেলোয়াড়রা
এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন, এর ফলে খেলোয়াড় দিয়া চিতালে সুযোগ পান কমনওয়েলথে যাওয়ার।
ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাও (আইওএ)
আছে নির্বাসনের ঝুঁকিতে। আইওএকে যদি শেষমেশ নির্বাসিত করাই হয়, তা হলে বিরাট সমস্যায়
পড়বেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। অলিম্পিক্স তো বটেই, আইওএ-র অধীনে যে ক’টি ক্রীড়া সংস্থা
রয়েছে, তাদের কোনও ক্রীড়াবিদ কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। রাতারাতি
হাজার হাজার ক্রীড়াবিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি সময়ে যেখানে অনেক
দেশই টি-টোয়েন্টী ক্রিকেট নিয়ে এগিয়ে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের সাফল্য প্রায় হ্যালির ধুমকেতুর মত। কালে-ভদ্রে
কিছু ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। দিন দিন এই ফরম্যাটে টাইগারদের পারফরম্যান্স
গ্রাফ নিম্নমুখী। সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ব্যাটিং বিভাগে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার
হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই, অথচ এই জায়গায় যেনো একদম তলানিতে টাইগার ব্যাটাররা।
সমস্যা নিরসণে পাওয়ার হিটিং
নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর জন্য একজন বিশেশজ্ঞ
কোচও নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল বোর্ড। তবে পাওয়ার হিটিং নিয়ে জেমি সিডন্সের আগ্রহের
কারণে ব্যাটিং কোচের উপরই ভরসা রেখেছে বিসিবি।
আমাদের ব্যাটাররা শারীরিকভাবেই
পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়, এমন কথা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মুখেই
শোনা গেছে বহুবার। এটাই যদি সত্যি হয়, তাহলে এখানে তাদের কোনো দায় নেই। তবে শুধু শারীরিক
শক্তিই যে প্রয়োজন সবসময় তা না, দক্ষতা আর টাইমিং স্কিল দিয়েও বড় শট খেলা যায়, দ্রুত
রান তোলা যায়। এখানেই ক্রিকেটারদের আরও দক্ষ করে তুলতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
কম অভারের খেলা টি-টোয়েন্টি।
ছোট-ছোট ভুলও এখানে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়। এমনকি দেখা গেছে মাত্র এক ওভারেও ম্যাচের
মোড় ঘুরে যায়। এজন্য দক্ষতার পাশাপাশি ক্রিকেটারদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনা দরকার
বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, 'আমরা চিন্তা করেছিলাম
যে, পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বাইরে থেকে কাউকে (পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে) নিয়ে আসবো। কারণ
টি-টোয়েন্টিতে আমাদের মূল সমস্যা যেটা দেখি, আমাদের কিন্তু খেলোয়াড় আছে, খেলোয়াড় যে
নেই তা কিন্তু না। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মানসিক পরিবর্তন দরকার যদি আমরা জিততে
চাই এবং এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য কি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা
করছিলাম, তখন জেমি এসে বললো সে নাকি এটাতে (পাওয়ার হিটিংয় নিয়ে কাজ করতে) খুবই আগ্রহী।‘
আসন্ন এশিয়া কাপকে ঘিরে ইতোমধ্যেই
পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। যার বড় অংশজুড়ে আছে পাওয়ার হিটিং। তাই আগে থেকেই এটা
নিয়ে কাজ শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। গত কয়েক দিন ধরে মিরপুরে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ
করতে দেখা গেছে মুশফিকুর রহিম, এনামুল হক বিজয়দের। এই কয়েক দিনের অনুশীলনে কাছে থেকে
ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন সিডন্স।
পাপন বলেন, 'সিডন্সের সঙ্গে বসেছিলাম, তখন শুনলাম এখানে (মিরপুর স্টেডিয়ামে) অনুশীলন হচ্ছে এবং কয়েকজন (ক্রিকেটার) অনুশীলন করছে। বিশেষ করে পাওয়ার হিটিংয়ের উপর কাজ করছে এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।'
ক্রিকেট বিসিবি টি-টোয়েন্টি পাওয়ার হিটিং
মন্তব্য করুন
একসময়ে রান
মেশিং নামে উপাধি পাওয়া বিরাট কোহলির ব্যাট হাতে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। যেখানে
তিনি ক্রিজে আশা মানেই ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানদের পাশাপাশি বিপক্ষ দলেরও দীর্ঘশ্বাস উঠে
যেতো, তিনি যেনো ব্যাট হাতে রান করাই ভুলে গেছেন। সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে মাত্র একটি
হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এছাড়া শত রানের স্কোর পান না আজ প্রায় তিন বছরের বেশি সময়
ধরে।
মানসিকভাবেও অনেকটা বাজে সময় পার করছেন বর্তমান বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের একজন। সম্প্রতি
নিজের খারাপ সময়ের উদাহরণ টেনে পরামর্শ দিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা না না করতে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান
এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের অ্যাথলেটদের আমার পরামর্শ হবে
হ্যাঁ, ভালো অ্যাথলেট হওয়ার ক্ষেত্রে ফিটনেস এবং ফিট হয়ে ওঠার দিকে নজর দিতে হবে। তবে
একই সময় নিজের ভিতরের মানুষটার সঙ্গেও লাগাতার যোগাযোগ রেখে যেতে হবে।’
এমনকি ঘর ভর্তি
ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে থেকেও একাকীত্ব বোধ করেছেন কোহলি। অনেকেই তার এই অবস্থার
সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারবেন বলেও মনে করেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
অন্য সবকিছুর
মতো নিজের জন্য সময় বের করাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কোহলি। ভেতরের মানুষটার
সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে আরও অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তাই সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্যকে হেলাফেলা
না করতে বলেছেন তিনি।
কোহলির ভাষ্য,
'ব্যক্তিগতভাবে আমি এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, যখন ঘর ভর্তি মানুষের মধ্যে নিজেকে
একা মনে হতো। যে মানুষরা আমার হয়ে গলা ফাটান এবং ভালোবাসেন, (তাঁদের মধ্যে থেকেও একা
মনে হতো)। আমি নিশ্চিত যে অনেকেই এই বিষয়ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন।'
'তাই নিজের
জন্য সময় বের করুন এবং নিজের ভেতরের মানুষটার সঙ্গে ফের সংযোগ গড়ে তুলুন। আপনি যদি
সেই সংযোগটা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার আশপাশের জিনিসপত্র ভেঙে পড়তে বেশি সময় লাগবে
না।'-তিনি আরও যোগ করেন।
ক্রিকেট ভারত বিরাট কোহলি মানসিক স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টিতে
ম্যাচে বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। এরই সাথে পাঁচ ম্যাচ
সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নিজেদের করে নিলো অ্যান্ডি বালবির্নির দল।
সিরিজের শুরুতে প্রথম দুই ম্যাচ
আইরিশরা জিতলেও শেষ দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। অঘোষিত ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে
নামে আফগানরা। ১৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে যখন ৫
উইকেটে ৯৫ রান, তখনই বৃষ্টি শুরু হয়। লম্বা সময় বৃষ্টি হওয়ায় বাধ্য হয়ে ম্যাচের ফলাফল
নির্ধারণ করতে ডার্কওয়াথ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে যায় আম্পায়ারদের।
ফলে জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের
সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৫৬ রানের। যেটা কিনা খুব সহজেই তারা করে নেয় আইরিশরা।
ওপেনার পল স্টার্লিং ১০ বলে ১৬, বালবির্নি ৯ বলে ৯ এবং লরকান টাকার ১২ বলে ১৪ রানে
ফিরে যান।
হ্যারি টেক্টর ৫ বলে ৯ এবং
জর্জ ডকরেল ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থেকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আইরিশদের। মাত্র ৪০ বলেই
(৬.৪ ওভার) লক্ষ্যে পৌঁছে স্বাগতিকরা। আফগানদের হয়ে মুজিব উর রহমান দুটি এবং রশিদ খান
একটি উইকেট নেন।
এর আগে আফগানিস্তানের ইনিংসে
সর্বোচ্চ রান আসে উসমান ঘনির ব্যাটে। ৪০ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ইনিংসে ছিল তিনটি চার এবং দুটি ছক্কার মার।
এছাড়া হজরতউল্লাহ জাজাই ৬ বলে
১০, নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৬ বলে ১০, আজমতউল্লাহ ওমরযাই ১৪ বলে অপরাজিত ১৫ রান করেন।
আইরিশদের হয়ে ১৬ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান- ৯৫/৫ (১৫
ওভার) (ঘনি ৪৪*; অ্যাডায়ার ৩/১৬, লিটল ২/১৪)।
আয়ারল্যান্ড- ৫৬/৩ (৬.৪ ওভার) (স্টার্লিং ১৬, টাকার ১৪; মুজিব ২/১৭)।
আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ আফগানিস্তান
মন্তব্য করুন