ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধবল ধোলাইয়ে এক যুগের অবসান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২২ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্ব মানের দল হয়ে উঠার পর থেকে প্রতিপক্ষকে এখন পর্যন্ত অনেকবার ধবল ধোলাই করেছে টাইগাররা। ২০০৬ সালে সর্বপ্রথমবার ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ কেনিয়াকে ৪-০তে হারিয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোন প্রতিপক্ষকে ১৪ বার ধবলধোলাই করলেও দেশের বাহিরে তা এসেছে মাত্র দুইবার। টাইগাররা সর্বশেষ ধবল ধোলাই করেছিল ২০০৯ সালে দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিবিয়ানের সেই সফরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজটা জেতে বাংলাদেশ। আর সব মিলিয়ে দেশের বাইরে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে মোটে দুইবার। এর আগে ২০০৬ সালে প্রথমবার কেনিয়া সফরে কেনিয়াকে। 

সেই হিসাবে ২০০৯ সালের পর যে দেশের বাইরে ওয়ানডে সিরিজে কোন প্রতিপক্ষকেই আর ধবলধোলাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্ত পবিত্র ঈদুল আযহার দিনেই স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে উইকেটে হারিয়ে হারারে থেকে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন তামিমরা।  

এদিকে আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য খুব ভালো হয়নি। নবম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসান। সাময়িক বিপদ কাটিয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরের সাথে ৩৬ ও ডিওন মায়ার্সের সঙ্গে ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে টেনে তোলেন রেগিস চাকাভা। টেলর ২৮ ও মায়ার্স আউট হন ৩৪ রান করে। সুবিধা করতে পারেননি ওয়েসলে মাধেভেরে, তিনি মুস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন ৩ রানে। তবে শেষদিকে সাইউদ্দিনের উপর চড়াও হন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ১১২ রান। ৪৯ বলে ফিফটির স্বাদ পাওয়া রাজা ৫৪ বলে ৫৭ ও ৩৮ বলে অর্শধতক করা বার্ল ৪৩ বল খেলে ৫৯ রানে আউট হলে লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরা স্কোর বোর্ডে তেমন প্রভাব রাখতে পারেননি। এতে ৫০তম ওভারে অল-আউট হওয়ার আগে জিম্বাবুয়ে ২৯৮ রানের পুঁজি পায়।

বল করতে নামার আগে একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দুইটিই বোলার। মিরাজের পরিবর্তে দীর্ঘ ৫ বছর পরে দলে সুযোগ পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। শরিফুল ইসলামকে বসিয়ে চোট কাটিয়ে ফিরে আসেন পেসার মুস্তারিজুর রহমান। মাঠে ফিরেই ৩ উইকেট নিয়ে নেন মুস্তাফিজ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকারও সমান ৩ উইকেট। তবে তিনি ৮ ওভার বল করে ৮৭ রান দিয়ে পেসার আল আমিনকে হটিয়ে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্দ নিজের করে নেন। 

২৯৯ রানের টার্গেটে স্বাগতিকদের বাংলাওয়াশ করতে বাংলাদেশ দল দায়িত্বশীল ব্যাট করে চলে। বিনা উইকেটে ১১ওভারে ৬৫ রান তোলার পরে হুট করেই তামিম ব্যাটে ঝড় তুলেন। টেন্ডাই চাতারার এক ওভারেই নিয়ে নেন ১৯ রান। প্রথমে পুল করে ছয়ের পর তামিম মেরেছেন দুটি চার- প্রথমটি পাঞ্চ করে, পরেরটি স্ল্যাশ করে কাভার পয়েন্ট দিয়ে। সাবধানী শুরু করা বাংলাদেশের দুই ওপেনার তবে সময় বাড়তে থাকলে রানের চাকা দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। মাত্র ৪৬ বলে তামিম তুলে নেন সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশতক। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান লিটন ৩২ রানে মারুমানির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে উঠার দিনে সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ৩০ রান করার পরে পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফিরে গেলে দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় হয় দ্বিতীয় উইকেটের পতন।

দলীয় ৩০তম ওভারে টেন্ডাই চাতারাকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মাইলফলক গড়তে তুলতে আটটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন দেশ সেরা এই ওপেনার। মাত্র ৮৭ বলেই মাইলফলকে গেলেন তিনি। গত বছর মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম শতক। এর কিছুক্ষণ পরেই পানি-পানের বিরতিতে যায় টাইগাররা।  ফিরে এসে ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে খোঁচা দিয়ে থার্ডম্যানের দিকে খেলতে চেয়ে আউট হয়ে যান পেছনে। ৯৭ বলে ১১২ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার। এর ঠিক পরের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও। তিরিপানোর বলে ইনসাইড-এজড হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই নীচু মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

পঞ্চম উইকেটে নুরুল হাসান সোহান এবং মোহাম্মদ মিথুন ভরসা জুগিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। একমাত্র মাহমুদউল্লাহর সাথে জুটিটা ছাড়া সব গুলো জুটিই পেরিয়েছে পঞ্চাশ রানের। সর্বশেষটি নুরুল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি টাইগারদের জয়ের বন্দরে অনেকটাই পৌছে দেয়। কিন্ত সেই জুটির পরপরেই ওয়েসলি মাধভেরেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে একেবারে সীমানার কাছে টেন্ডাই চাতারার তালুবন্দি হয়ে ৫৭ বলে ৩০ রান করে ফিরে যান মিঠুন। ভেঙে যায় নুরুলের সঙ্গে তাঁর ৬৪ রানের জুটি। তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ ওভারে ৩০ রান। আফিফ হোসাইন মাঠে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করলে জয় থাকে শুধু সময়ের অপেক্ষায়। দলীয় ৪৮তম ওভারে ছুকা মেরে স্কোর সমান করার পরে লুক জঙ্গির বলে সিংগেল নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পরে বিদেশের মাটিতে আবারও কোন দলকে ধবলধোলাই করে টাইগাররা।

অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাকিব। অন্যদিকে পুরো সিরিজে বোলিং এবং ব্যাটিংতে দুর্দান্ত থাকা সাকিব হয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজ। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার তিন ম্যাচের সিরিজে ৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৪১ রান করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন