নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৮ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর টি-২০ বিশ্বকাপের প্রতিটি পর্বেই বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত বড় কোন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি টাইগাররা। বিশ্বকাপের কোন নক আউট পর্বে এখন পর্যন্ত খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
রিজার্ভ: রুবেল হোসেন।
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরের প্রথম বিজয়ী দলের সম্মানটি ভারতের দখলে। তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বজয়ীর তকমা হাসিল করে নেয় ভারত। এরপর ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানার্স আপ হয় দেশটি।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, ইশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রাহুল চাহার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শারদুল ঠাকুর, বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রিত বুমরাহ ভুবেনশ্বর কুমার, এবং মোহাম্মদ সামি।
রিজার্ভ: শ্রেয়াস আইয়ার, দীপক চাহার, অক্ষর প্যাটেল।
বিশ ওভারের সংক্ষিপ্ত আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল পাকিস্তান। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরের রানার্স আপ দল তারা। সে আসরে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। তবে পরের আসরেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতে বিশ্বজয়ীর তকমা গায়ে উঠে পাকিস্তানিদের।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আসিফ আলী, ফখর জামান, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক।
রিজার্ভ: খুশদিল শাহ, শাহনেওয়াজ দাহানি, উসমান কাদির।
এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত আসরে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ড দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এছাড়া ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানার্স আপ এবং ২০১২ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শিরোপা হেরে রানার্স আপ হয় লঙ্কান বাহিনী।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্দিমাল, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আসালঙ্কা, আভিস্কা ফার্নান্দো, ভানুকা রাজাপাকশে, চামিকা করুনারত্নে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুশমন্থ চামিরা, লাহিরু কুমারা, মাহেশ থিকশানা, বিনুরা ফার্নান্দা, আকিলা ধনাঞ্জয়া।
২০০৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমি ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভঙ্গ হয় কেন উইলিয়ামসনদের।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), টড অ্যাস্টল, ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লুকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, টিম সেইফার্ট, ইশ সোধি, টিম সাউদি।
রিজার্ভ: অ্যাডাম মিলনে
সারা জীবন চোকারের তকমা দখল করে রাখা আফ্রিকার এর দেশটি ওয়ানডের মত টি-২০ তেও এখন পর্যন্ত বড় কোন সাফল্য পায়নি।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কেশভ মহারাজ, কুইন্টন ডি কক, বিজর্ন ফরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিখ ক্লাসেন, আইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, উইয়ান মুল্ডার, লুঙ্গি এনগিদি, এনরিচ নর্টি, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসি, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
রিজার্ভ: জর্জ লিন্ডে, এন্ডি ফেলুকুওয়াও, লিজাড উইলিয়ামস।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরমেট টি-২০ তে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল ক্যারিবিয়ানরা। তারা এখন পর্যন্ত দুইটি ফাইনাল খেলে দুটিতেই বাজিমাত করে চ্যাম্পিয়ান হয়।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: কাইরন পোলার্ড (অধিনায়ক), নিকোলাস পুরান, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ডোয়াইন ব্রাভো, রোস্টন চেজ, আন্দ্রে ফ্লেচার, ক্রিস গেইল, শিমরন হেটমায়ার, এভিন লুইস, ওবেদ ম্যাককয়, লেন্ডল সিমন্স, রবি রামপল, আন্দ্রে রাসেল, ওশানে থমাস, হেডেন ওয়ালস জুনিয়র।
রিজার্ভ: ড্যারেন ব্রাভো, শেলডন কটরেল, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেইন।
ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ খ্যাত অস্ট্রেলিয়া এই খেলার সবগুলো ফরম্যাটেই শক্তিশালী এবং সফল দল হলেও টি-২০ তে এখন পর্যন্ত কোন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। মাইক হাসির বিধ্বংসী ব্যাটিং-এ পাকিস্তানকে সেমি ফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে পৌছলেও ইংল্যান্ডের হেরে শিরোপা অধরাই থেকে গেছে অজিদের।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড, জস ইংলিস, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কেন রিচার্ডসন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কুস স্টোয়িনিস, মিচেল সুয়েপসন, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার এবং এডাম জাম্পা।
রিজার্ভ: ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান, নাথান এলিস, ড্যানিয়েল সামস।
ক্রিকেটের জনক এই দেশটির এই খেলায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য ধরা দেয় ২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপ জয়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ জয় করে নেয় কলিংউডের দল।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: ইয়োইন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলি, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম বিলিংস, জস বাটলার, টম কারান, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, টাইমাল মিলস, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, মার্ক উড।
রিজার্ভ: লিয়াম ডসন, জেমস ভিন্স এবং রিচ টপলি।
ওমান দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড: জিসান মাকসুদ (অধিনায়ক), আকিব ইলিয়াস, জতিন্দার সিং, খাওয়ার আলী, মোহাম্মদ নাদিম, আয়ান খান, সুরাজ কুমার, সন্দীপ গৌদ, নেস্টার ধাম্বা, কালেমুল্লাহ, বিলাল খান, নাসিম খুশি, সুফিয়ান মেহমুদ, ফয়েজ বাট, খুররম নওয়াজ খান।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ, হযরতউল্লাহ জাজাই, উসমান গনি, মোহাম্মদ শাহজাদ, হাসমতউল্লাহ শাহিদী, আসগর আফগান, গুলবাদিন নায়েব, নাজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, হামিদ হাসান, ফরিদ আহমেদ মালিক, নবীন উল হক।
রিজার্ভ: শরাফুদ্দিন আশরাফ, সামিউল্লাহ শিনওয়ারি, দৌলত জাদরান, ফজল হক ফারুকী।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: এন্ড্রু বলবার্নি (অধিনায়ক), মার্ক আইডায়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, জস লিটল, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিন, কেভিন ও ব্রায়েন, নেইল রক, সিমিং সিং, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ক্রেইগ ইয়ং।
রিজার্ভ: শেন গেটকেট, গ্রাহাম কেনেডি এবং ব্যারি ম্যাকার্থি।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: জেরার্ড ইরাসমুস (অধিনায়ক), স্টিফেন বার্ড, কার্ল বিরকেস্টোক, মিচাও ডু পেরেজ, জন ফ্র্যাইলিঙ্ক, জানে গ্রিন, নিকোল লফি এটন, বার্নার্ডো স্কল, বেন সিকাঙ্গো, জেজে স্মিথ, রুবেন ট্রাম পেলমান, মিচেল ভ্যান লিনগেন, ডেভিড ভিসে, ক্রেইগ উইলিয়ামস এবং পিক্কি ইয়া ফ্রান্স।
রিজার্ভ: মারিশিয়াস এনগুপিতা।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: পিটার সেলার (অধিনায়ক), কলিন অ্যাকারম্যান, ফিলিপ বোইসেভেইন, বেন কুপার, বাস ডি লিড, স্কট এডওয়ার্ডস, ব্রেন্ডন গ্লোভার, ফ্রেড ক্লাসেন, স্টিফান মাইবার্গ, ম্যাক্স ও’ডাউড, রায়ান টেন ডেসকাট, লোগান ভ্যান বিক, টিম ভ্যান ডার গুগেন, রিওলফ ভ্যান ডার মিরউই, পল ভ্যান মিকিরিন।
রিজার্ভ: শেন স্নেটার, টোবিয়াস ভিসে।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: আসাদ ভালা (অধিনায়ক), চার্লস আমিনি, লেগা সায়াকা, নরম্যান ভানুয়া, নোসাইনা পোকানা, কিপলিং ডোরিগা, টনি উরা, হিরি হিরি, গৌদি তোকা, সেস বাউ, ডমিয়েন রাভু, কাবুয়া ভগি-মোরিয়া, সাইমন আতাই, জেসন কিলা, চাদ সোপার, জ্যাক গার্ডনার।
চূড়ান্ত স্কোয়াড: কাইল কোয়াটেজার (অধিনায়ক), রিচার্ড বেরিংটন, ডিলান বুজ, ম্যাথিউ ক্রস, জস ডেভি, অ্যালি ইভান্স, ক্রিস গ্রীভস, মাইকেল লিস্ক, ক্যালাম ম্যাকলিওড, জর্জ মুন্সি, সাফিয়ান শরীফ, হামজা তাহির, ক্রেগ ওয়ালেস, মার্ক ওয়াট, ব্র্যাড হুইল।
রিজার্ভ: মাইকেল জোন্স, ক্রিস সোল।
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৫তম আসরে অভিষেক হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। যেবার সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারাই। এরপর ১৬তম আসরেও বেশ শক্ত পোক্তভাবেই লড়াই করে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি সেবার।
তবে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করা দলটি এবার শুবমান গিলের অধীনে সুবিধা করতে পারছে না। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয়বার অলআউট হলো গুজরাট, তাও আবার লজ্জার রেকর্ড গড়লো সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে।
প্রথমবার একশর নিচেই ১০ ব্যাটারের সবাই আউট হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৮৯ রানে তাদের থামিয়ে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই আসরে প্রথমবার টানা দ্বিতীয় জয় পেলো তারা।
এর আগে গুজরাটের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল গত বছর এই দিল্লির কাছেই। ১২৫ রান করেছিল তারা ৬ উইকেট হারিয়ে। এবার তিন অঙ্কের ঘরেও যেতে পারলো না একুশের চ্যাম্পিয়নরা।
রশিদ খান শেষ দিকে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান না করলে আরও বড় লজ্জা পেতো গুজরাট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেন সাই সুদর্শন। ১০ রান আসে রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাটে। ইনিংসের ১৫ বল বাকি থাকতে অলআউট তারা।
মুকেশ কুমার ২.৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট দখল করেন ইশান্ত শর্মা ও ট্রিস্টান স্টাবস।
লক্ষ্যে নেমে ২ ওভারে ২৫ রান তুলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জেক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক ১০ বলে ২০ রানে থামেন। অল্প স্কোরে জয়ের পথে এটাই ছিল ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।
শাই হোপ ১০ বলে করেন ১৯ রান। অভিষেক পোরেলের ব্যাটে আসে ১৫ রান। শেষ দিকে রিশাভ পান্ত ও সুমিত কুমার ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নবম ওভারেই ম্যাচ জেতে দিল্লি।
৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৯২ রান করে তারা। ১৬ রানে পান্ত ও ৯ রানে সুমিত খেলছিলেন।
মন্তব্য করুন
সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।
আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।
সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।
ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!
খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।
গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।
৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।
সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।
২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।
সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’
ফুটবল বিশ্বকাপ আমেরিকান সামোয়া অস্ট্রেলিয়া
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে খুব একটা ছন্দে নেই গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্স। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে শুভমান গিলের দল।
অন্যদিকে গুজরাটের সমান ম্যাচ থেকে দুটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামছে এই দুই দল।
বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি।
গুজরাট টাইটান্সের একাদশ: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), শুভমান গিল (অধিনায়ক), সাই সুদর্শন, ডেভিড মিলার, স্পেন্সার জনসন, অভিনাভ মোনোহার, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, নূর আহমেদ, মোহিত শর্মা ও সানদীপ ওয়ারিয়ার।
দিল্লির একাদশ: ঋষভ পান্ত (অধিনায়ক), জ্যাক ফ্রেসার, পৃথ্বী শা, ত্রিস্তান স্টাবস, মুকেশ কুমার, অক্ষর প্যাটেল, সাই হোপ, এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, সুমিত কুমার ও খলিল আহমেদ।
মন্তব্য করুন
চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেয়ে এবং একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
সেরাদের তালিকায় থেকেও মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল অধ্যায় বড় হচ্ছে না। কারণ মুস্তাফিজ বিসিবি থেকে ছুটি পেয়েছিলেন শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে সেই অনুমতি। আর সে অনুযায়ী ২ মে দেশে ফিরে ৩ মে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাকে।
টাইগার এই পেসারকে নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস কথা বলেছেন। মিরপুরে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘মুস্তাফিজের আইপিএল থেকে শেখার কিছু নাই। তার শেখার সময় পার হয়ে গেছে। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএল খেলোয়াড়রা। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। মুস্তাফিজের কাছে পেলে অন্যদের সুবিধা হবে।’
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, ‘আমরা মুস্তাফিজের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত। চেন্নাই চাইবে তার থেকে শতভাগ নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেস নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, আমাদের আছে।’
জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘আমরা মুস্তাফিজকে ফেরত আনার কারণ শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানো না। এখানে আনলে আমরা ওয়ার্কলোড দিয়েই ওকে প্ল্যান দেবো। কিন্তু আইপিএলে থাকলে সেই প্ল্যান হবে না।’
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। কদিন আগেও সোস্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে টাইগারদের সাথে আর কাজ করতে চাননা হাথুরু। যার জন্য ব্যক্তিগত কাজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরতে চাননা তিনি এমন খবর ভাসছিল সবখানে। যদিও গুঞ্জনটি যে ভুয়া তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গিয়েছিল।
তবে এবার জানা গেল হাথুরুর দেশে ফেরার দিনক্ষণ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাথুরুর ফেরা নিয়ে বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ আসবেন ২১ তারিখ রাত্রে বেলা, বেশিরভাগ কোচ ২২-২৩ তারিখের মধ্যে অ্যাভেইলেবল। ইতোমধ্যে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ এখানে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে আমাদের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের আসার কথা। আশা করি জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই চলে আসবেন। বাকি যারা আছে তারাও ২৩ এপ্রিলের আগে চলে আসবে।’
এদিকে গতকাল নতুন স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুশতাক আহমেদ। তাকে নিয়ে জালাল বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ থাকা অবস্থায় দেশের আনাচে-কানাচে যদি ভালো লেগ স্পিনার থাকে এবং যারা এক্সপোজার পায়নি, তাদের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট (স্পিনার হান্ট) করতে পারি সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, লেগ স্পিনের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’
হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি জালাল ইউনূস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। কদিন আগেও সোস্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে টাইগারদের সাথে আর কাজ করতে চাননা হাথুরু। যার জন্য ব্যক্তিগত কাজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরতে চাননা তিনি এমন খবর ভাসছিল সবখানে। যদিও গুঞ্জনটি যে ভুয়া তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গিয়েছিল।