ভুলে ডিলিট
করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ আবারও পড়া যাবে আইফোনে। সর্বোচ্চ ৩০ দিন আগে মুছে ফেলা
বার্তাগুলো উদ্ধার করে পড়া যাবে আইওএস ১৬ অপারেটিং সিস্টেমে চলা যেকোনো আইফোনে। চাইলে
এসব বার্তা মেসেজ অপশনে সংরক্ষণও করা যাবে।
ডিলিট করে ফেলা
ম্যাসেজ পুনরুদ্ধার করতে আইফোনের সেটিংসের জেনারেল অপশন থেকে সফটওয়্যার আপডেট নির্বাচন
করতে হবে। এবার ওপরের বাঁ পাশে থাকা এডিট অপশন ট্যাপ করলেই শো রিসেন্টলি ডিলিটেড –
অপশনটি দেখা যাবে। আইফোনের মডেলভেদে এ সুবিধা ফিল্টার সেকশনেও থাকতে পারে।
রিসেন্টলি ডিলিটেড
অপশনে ক্লিক করলে গত ৩০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলা সব বার্তা দেখা যাবে। বার্তাগুলো থেকে
একা বা একাধিক বার্তা নির্বাচন করলেই সেগুলো আইফোনের মেসেজ অপশনে জমা হবে। মুছে ফেলার
সময় দেখার সুযোগ থাকায় ব্যবহারকারীরা সহজেই প্রয়োজনীয় বার্তা খুঁজে নিতে পারবেন।
আইফোন ডিলিট করা ম্যাসেজপুনরুদ্ধার
মন্তব্য করুন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আইটি ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা চালিকা শক্তি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ৫ লক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড প্রদান করা হচ্ছে।’
প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যান্য তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করতে সফল ফ্রিল্যান্সাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (১ ফ্রেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লর্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ঢাকার জেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্বাচিত ৩১৮ জন সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে জোনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সফল ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে যদি উদ্যোক্তা হতে পারে তাহলে আরও লক্ষ লক্ষ তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণরা চাকুরির পিছনে ঘুরবে না চাকুরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। বিদেশে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা রেমিটেন্স প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে আইটি ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারলে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আয় করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
দেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ১০ লক্ষ এবং এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ফান্ড থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সীড মানি এবং রকেট্রি, রোবটিক্স ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্রান্টসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাইটেক পার্ক সমূহে কো-ওয়ার্কিং স্পেস দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে আমাদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সে অনুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনের ব্যর্থ হলে আমরা মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়বো। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইনিং অ্যান্ড মেনুফ্যাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন।’
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর। পরে প্রতিমন্ত্রী সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
প্রয়োজনের সময় যেকোনো ঠিকানা বা অবস্থানের খোঁজ পেতে গুগল ম্যাপসের জুড়ি নেই। কিন্তু সমস্যা একটাই, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে গুগলের এ ম্যাপস সেবা ব্যবহার করা যায় না। তবে অফলাইন সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই গুগল ম্যাপস ব্যবহার করা সম্ভব।
অফলাইনে গুগল ম্যাপস ব্যবহারের জন্য প্রথমে গুগল ম্যাপসের ডানদিকের ওপরের অংশে থাকা প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করে অফলাইন ম্যাপস অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘সিলেক্ট ইউর ওন ম্যাপ’ অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় এলাকার ম্যাপ নির্ধারণ করতে হবে। জুম করে নির্দিষ্ট এলাকাও নির্ধারণ করা যাবে।
এলাকা নির্ধারণ করে ডাউনলোড বাটনে ট্যাপ করলেই নির্দিষ্ট এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড হয়ে যাবে। ফলে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই যেকোনো সময় ম্যাপটি দেখে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
অনলাইনে যোগাযোগে নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদে কথা ও লিখিত বার্তা
আদান–প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম অ্যাপ।
তিনটি অ্যাপেই রয়েছে শক্তিশালী এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন
সুবিধা। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার দিক
থেকে এই তিন অ্যাপের
মধ্যে পার্থক্যও খুব বেশি না। অ্যাপ তিনটির মধ্যে কোনটি সেরা? টুইটারের নতুন মালিক ও প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক সিগনালকেই রেখেছে এক নম্বরে। এবার
দেখা যাক তিনটি অ্যাপের কোনটায় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য
কী আছে কী নেই।
সিগন্যাল
১. ফোন নম্বর ছাড়া ব্যবহারকারীর আর কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না।
২. বিজ্ঞাপনমুক্ত, বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। অ্যাপটির নির্মাতা অলাভজনক সিগন্যাল ফাউন্ডেশন।
৩. সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স, অর্থাৎ এর প্রোগ্রামিং সংকেত বা সোর্সকোড উন্মুক্ত।
৪. এনক্রিপশনে সিগন্যাল
প্রোটোকল ব্যবহার করে। অর্থাৎ একক ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকল ব্যবহার করে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন
প্রযুক্তিতে বার্তা আদান-প্রদান করে।
সিগন্যালে যেকোনো ব্যক্তি বা গ্রুপের বার্তা, ছবি, অডিও–ভিডিও এনক্রিপশন করে পাঠানো হয়। ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য সংগ্রহ না করলেও ফোন নম্বর যাচাই করে অ্যাপটি। ফলে অন্য ব্যবহারকারীদেরও ফোন নম্বর জানা যায়। এনক্রিপশন ছাড়াও অ্যাপটিতে আরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে অ্যাপটির পর্দা লক সুবিধা অন্যতম। ফলে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে না। নির্দিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানো বার্তা মুছে ফেলার পাশাপাশি ছবিতে থাকা চেহারাও ঝাপসা করার টুল রয়েছে অ্যাপটিতে। আর তাই দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো বিখ্যাত পত্রিকাগুলোও নিজেদের সংবাদকর্মীদের নিরাপদে যোগাযোগের জন্য সিগন্যাল অ্যাপ ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে।
টেলিগ্রাম
১. ব্যবহারকারীর নাম,
ফোন নম্বর, ফোনে থাকা নম্বর ও আইডি সংরক্ষণ
করে।
২. বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।
৩. আংশিক ওপেন সোর্স।
৪. এনক্রিপশনে এমটিপ্রোটো মোবাইল প্রোটোকল ব্যবহার করে।
গোপনীয়তার মাপকাঠিতে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো একে অপরের সঙ্গে যোগযোগের সুযোগ বেশি থাকায় টেলিগ্রাম অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়। টেলিগ্রাম অ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে বার্তা পাঠানো গেলেও সেটি সেটিংস থেকে চালু করতে হয়। টেলিগ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এটি হোয়াটসঅ্যাপের মতো ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করে না। মন্দ দিকও আছে, গ্রুপ কলে এনক্রিপশন সুবিধা নেই। ফলে গ্রুপে আদান-প্রদান করা তথ্য খুব বেশি নিরাপদ নয়। ব্যবহারকারীদের আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ঠিকানা সংরক্ষণ করায় গোপনীয়তার ক্ষেত্রে সিগন্যালের থেকে পেছনে রয়েছে টেলিগ্রাম। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সাইবার হামলা চালিয়ে পড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর আইডি ও ফোন নম্বর চুরি করেছিল হ্যাকাররা। ২০১৯ সালেও কারিগরি সমস্যায় পড়েছিল অ্যাপটি।
হোয়াটসঅ্যাপ
১. যন্ত্রের আইডি সংগ্রহ করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখেন, সেই তথ্যও সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ। কেনাকাটার ইতিহাস, আর্থিক লেনদেনের তথ্য, ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ ফোন নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোনে থাকা নম্বরও সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ।
২. বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় মেটার মালিকানাধীন অ্যাপটি।
৩. এনক্রিপশন পদ্ধতি ছাড়া কোনো কিছু ওপেন সোর্স নয়।
৪. এনক্রিপশনে সিগন্যাল প্রোটোকল ব্যবহার করে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এনক্রিপশন পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে নিরাপদে ছবি, ভিডিও এবং ভয়েস মেসেজও পাঠানো যায়। ব্যবহার পদ্ধতি সহজ হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ সিগন্যালের মতোই এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে। দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমস সিগন্যালের পাশাপাশি নিজেদের সংবাদকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছে।
তবে অ্যাপটিতে আদান-প্রদান করা তথ্য যথেষ্ট নিরাপদ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, ২০২০ সালে হোয়াটসঅ্যাপের একটি ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করেছিল সাইবার অপরাধীরা। আর তথ্য সংরক্ষণের তালিকাই বলে দেয় অ্যাপটি গোপনীয়তার কতটুকু সুরক্ষা দেয়।
মন্তব্য করুন
সাইবার অপরাধীদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মোবাইল
অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ। বিভিন্ন
জনপ্রিয় অ্যাপের নকল তৈরি করে তার মাধ্যমে ফোনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে স্মার্টফোন হ্যাক করে চুরি করছে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য। এ জন্য বুঝেশুনে
অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গুগল প্লে বা অ্যাপ স্টোর
যেখান থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করুন না কেন কিছু
বিষয় খেয়াল রাখুন। অ্যাপ নকল নাকি আসল তা চেনা যাবে
খুব সহজেই-
চেষ্টা করুন অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর বা প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার। অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করেন। এতে নকল অ্যাপ স্মার্টফোনে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। তাই এ কাজ এড়িয়ে চলুন।
ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই অ্যাপের ডেসক্রিপশন দেখে নিন ভালোভাবে। অ্যাপের ডেসক্রিপশন কোনো ধরনের ভুল থাকা মানেই হলো অ্যাপটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এটি সবচেয়ে সহজ উপায় ভুয়া অ্যাপ চেনার।
অ্যাপের রিভিউগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুন। কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার রিভিউগুলো পড়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ নকল অ্যাপে রিভিউ ভালো থাকে না।
অ্যাপের ডাউনলোডের সংখ্যাকেও বিবেচনা করুন। যদি কোনো অ্যাপ ভুয়া থাকে তাহলে সেই অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যাও কম থাকবে। প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই ডাউনলোডের সংখ্যা দেখে ডাউনলোড করেন। সঙ্গে রিলিজের সময়টাও দেখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন কত সময়ের মধ্যে কতসংখ্যক মানুষ এটি ডাউনলোড করেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের এক প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে আমাদের তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোবটিকস ক্লাব তৈরি করার লক্ষ্যে আমরা ৩০০টি সংসদীয় আসনভিত্তিক ৩০০টি স্কুলে রোবোটিকস ফেব্রিকেশন ল্যাব ও ক্লাব গঠন করছি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে সেখানেও আমরা রোবোটিকস ক্লাব তৈরি করব।
তিনি বলেন, আমাদের মাঠ প্রশাসন সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে, তার জন্য আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি এবং জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও আমরা কিছু প্রশ্ন পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের ভিশনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ৪টি স্তম্ভ আছে সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাজ করায় উৎসাহিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের কিছু মৌলিক নির্দেশনা দিয়েছি। পেপারলেস অফিস ওয়ার্ককে উৎসাহিত করা। ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর আইসিটি ডিভিশন থেকে আমরা স্মার্ট জেলা ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছি; যাতে একটি জেলার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছি। যাতে একটি প্রতিযোগিতা বিরাজ করে। কিভাবে তারা উদ্ভাবনী স্মার্ট জেলা, পেপারলেস অফিস ওয়ার্ক ও ক্যাশলেস জেলা তারা তৈরি করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি এবং ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাইবার জগৎটাকে নিরাপদ রাখার জন্য ডিজিটাল লিটারেসির গুরুত্ব অনেক। এজন্য ছাত্র, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ সবাইকে নিয়ে প্রতি মাসে আইসিটির যে কমিটি আছে তাদের নিয়ে জেলা ও উপজেলায় বৈঠক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার সিকিউরিটি ও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা যেন যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
ডিসি সম্মেলন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোবোটিকস ক্লাব
মন্তব্য করুন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আইটি ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা চালিকা শক্তি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ৫ লক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড প্রদান করা হচ্ছে।’