ফোন
এমন একটি জিনিস যা আমাদের সাথে
থাকে সবসময়। চলতে ফিরতে, হাঁটতে, খেতে, এমনকি ঘুমোতে কিংবা ওয়াশরুমে যেতেও অনেকে ফোন নিয়ে যায়। এছাড়াও সারাদিন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে ধুলাবালি তো লেগেই থাকে
আমাদের ফোনে। তাই আমাদের প্রাত্যহিক সঙ্গী এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফোন এর যত্নে হতে
হবে সচেতন। স্মার্টফোন ধুলা-ময়লা এবং পানি থেকে কতটা সুরক্ষিত তা বোঝানোর জন্য
মূলত আইপি রেটিং ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের আইপি রেটিং রয়েছে। তাই সবার আগে আইপি রেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব প্রয়োজন।
আইপি রেটিং পেতে যা করতে হয়
সাধারণত আইপি রেটিংয়ের জন্য স্মার্টফোনের দামও কিছুটা বেড়ে যায়। এটি বাইরের কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কাছে টেস্টিংয়ের জন্য পাঠানো হয় বলে ব্যয়সাপেক্ষ। তবে প্রতিটি আইপি রেটিংয়ের জন্য টেস্ট করা কষ্ট ও ব্যয়সাপেক্ষ তাই, কোনো কোম্পানি যদি নিজেদের স্মার্টফোনের রেটিং সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী থাকে, তবে তারা আইপি ৬৮ বা আইপি ৬৬ রেটিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারে। সেটি নির্ভর করবে কোম্পানি কোন আইপি রেটিংয়ের প্রত্যাশী তার ওপরে। আইপি রেটিং যত বেশি হবে, ততই ব্যয়ও বাড়বে।
এর জন্য কোম্পানিগুলো সাধারণত দুই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে। তারা সাধারণত ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীণ আইপি টেস্ট করিয়ে ফোনের দাম কমাতে চেষ্টা করে। আভ্যন্তরীণ আইপি টেস্টে পাওয়া তথ্যকে এই কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছে ফোনের ফিচার হিসেবে উপস্থাপন করে।
যেভাবে পড়তে হয় আইপি রেটিং
আইপি রেটিংয়ে সাধারণত দুটি ডিজিট থাকে যেমন, ৬৮, এক্স ৮, ৬৭, ৬৬। এগুলোকে পড়তে হয় কিছুটা এভাবে, আইপি ৬ অ্যান্ড ৮ অথবা আইপি এক্স এবং ৮। কোনো মতেই শুধুমাত্র ৬৮ বা ৬৭ নয়।
এর মধ্যে প্রথম ডিজিটটি ধুলা-বালি থেকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহৃত হয়, এটির স্কোর ০ থেকে ৬। ‘৬’-এর অর্থ ফোনটি সম্পূর্ণভাবে ধুলা থেকে সুরক্ষিত, যদি স্কোর ‘০’ হয় তবে এটিকে ‘এক্স’ দ্বারা প্রতিকায়িত করা হয়। সাধারণত অধিকাংশ ফোনই ৫ থেকে ৬ স্কোরের মধ্যেই অবস্থান করে।
দ্বিতীয় ডিজিটটি পানি থেকে কতটা সুরক্ষিত তা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এর রেটিং স্কেল ০ থেকে ৮। ৮ রেটিং যুক্ত স্মার্টফোন প্রায় ১ মিটার গভীরতার পানিতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে।
আইপি এক্স ৮, আইপি ৬৬, আইপি ৬৭, আইপি ৬৮ অর্থ কী?
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক স্যামসাংয়ের কথা। এর নতুন ফোল্ডেবল স্মার্টফোন ‘আইপি এক্স ৮’ এটি পানি থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হলেও ধুলা থেকে সুরক্ষিত নয়। কেননা, এতে প্রথম ডিজিটে ‘এক্স’ ব্যবহার করা হয়েছে।
এবারে সমস্যা হলো যে, কোনো ভেজা জিনিস খুব দ্রুত ধুলা-বালি আকর্ষণ করে, ফলে কোনো স্মার্টফোন যদি ‘ডাস্ট প্রোটেক্টেড’ না হয়, তবে তা স্ক্রিনের ক্ষতি করতে পারে। তবে আগেও বলা হয়েছে আইপি শুধুমাত্র জল এবং ধুলার প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাই এই ধরনের স্মার্টফোন নিয়ে সমুদ্রে বা সৈকতে না যাওয়াই ভালো।
আইপি ৬৬- এটি ধুলা থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিলেও জল থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে না। সামান্য জল বা হাত ফসকে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত ঠিক আছে, এর বেশি এটি সুরক্ষা দেবে না।
আইপি ৬৭- এটিও ধুলা থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিলেও পানি থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। তবে আইপি ৬৬- এর তুলনায় এটি ভালো। আইপি ৮৮- এটি ধুলা এবং পানি দুই থেকেই সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়।
শেষে গ্রাহকদের আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, এই রেটিং শুধুমাত্র ধুলা এবং পানির থেকেই সুরক্ষা দেয়, সামুদ্রিক পানি, কফি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মতো অন্যান্য দ্রব্যের থেকে কিন্তু এটি সুরক্ষা দেয় না।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে বাংলাদেশের কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) নাগরিকের ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে ‘ডাটাভেঞ্চার’ পরিচয় দেওয়া একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, তাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেন্দ্রিক তথ্য, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ইমেইল ঠিকানাসহ আরও কিছু তথ্য রয়েছে।
তারা দাবি করছে এগুলো ১২ হাজার ডলারে বিক্রির জন্য হ্যাকারদের একটি প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে নেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, তথ্য হাতিয়ে নেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকের প্রকৃত সংখ্যা কয়েক কোটি হতে পারে। এ ধারণা সঠিক হলে এটিই বাংলাদেশ থেকে তথ্য ফাঁসের সর্ববৃহৎ ঘটনা।
জানা গেছে, ‘ব্ল্যাক হ্যাট’ নামে পরিচিত ক্ষতিকারক হ্যাকারদের একটি প্ল্যাটফর্ম ‘ব্রিচ ফোরাম’। এরা কোন দেশ থেকে পরিচালিত হয় অথবা এর সদস্যদের পরিচয় এখনো অজানা। গত ২৬ মার্চ এই প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘ডাটাভেঞ্চার’ পরিচয় দেওয়া হ্যাকারের দাবি, তার কাছে বাংলাদেশের কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে সংগৃহীত তথ্য রয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মধ্যে ‘এসএ পরিবহন’, ‘রেডেক্স’ এবং ‘সুন্দরবন’-এর নাম উল্লেখ করে ‘অন্যান্য’ প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। পুলিশ সম্পর্কিত তথ্য থাকার বিষয়ে হ্যাকারের দাবি, ‘পুলিশ ডাটা, যেখানে সব পুলিশের তথ্য রয়েছে।’
হ্যাকারের দাবি, ১০ মিলিয়নের (১ কোটি) বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের এনআইডি সংশ্লিষ্ট তথ্য রয়েছে তার কাছে। যার মধ্যে আছে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ এবং এনআইডি নম্বর। এ ছাড়া নাগরিকদের মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও শাখার নামসহ আরও বেশকিছু তথ্য রয়েছে বলেও দাবি তার। পুলিশের তথ্যসহ নাগরিকদের এসব তথ্য বিক্রির জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার চেয়েছে হ্যাকার। পাশাপাশি এনআইডির তথ্য চাইলে দিতে হবে আরও ২ হাজার ডলার। সব মিলিয়ে এসব তথ্য ১২ হাজার ডলারে বিক্রির ঘোষণা দিয়ে ‘ব্রিচ ফোরাম’-এর ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছে ‘ডাটাভেঞ্চার’।
বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁসের এ ঘোষণা ইতোমধ্যেই দেশীয় হ্যাকার কমিউনিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করার আগে পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট)।
যোগাযোগ করা হলে নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এবং সার্টের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল আলম খান কালবেলাকে পৃথকভাবে জানান, এখনো তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
তবে একাধিক সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং এথিক্যাল হ্যাকার কালবেলাকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এথিক্যাল হ্যাকার বলেন, বিক্রির জন্য উত্থাপিত তথ্যের কিছু নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় ৬ কোটি নাগরিকের তথ্য হ্যাকারের দখলে রয়েছে। এসব নমুনার কিছু তথ্য যাচাই করে সেগুলো সঠিক পেয়েছি। নমুনার সূত্র ধরে কুমিল্লার এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে কল দিলে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ এবং ঠিকানা নিশ্চিত হয়েছি। অর্থাৎ তথ্যগুলো সঠিক।’
বিষয়টি আরও যাচাই করতে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আল জাবের দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্রিচ ফোরাম হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের হ্যাকাররা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। এখানে কেউ কারও সঠিক পরিচয় জানে না। কারও কাছে এ ধরনের তথ্য এলে বেচাকেনার জন্য এখানে যোগাযোগ করেন তারা। কোনো ভুয়া তথ্য দিয়ে এখানে পোস্ট করা কঠিন। ৬ কোটি নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়ে থাকলে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনা।’
এ ধরনের তথ্য ফাঁসের ভয়াবহতা কী জানতে চাইলে জাবের বলেন, ‘একজন ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক হিসাবের নম্বর এসব তথ্য অন্য কারও হাতে থাকা মানে ওই ব্যক্তির সবকিছুই হ্যাকারের দখলে। খেয়াল করলে দেখবেন, সম্প্রতি আপনার আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ইংরেজিতে কথা বলে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এটা মূলত চায়নিজ হ্যাকারদের কাজ। তারা আমাদের নম্বর, নাম এবং অন্যান্য তথ্য কীভাবে পায়? এভাবেই কারও বিক্রি করা বা ফাঁস করা থেকে পায়। এ ধরনের তথ্য গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলারে বেচাকেনা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল জগতে।’
তবে এক কোটির বেশি মানুষের তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে পাতা ফাঁদ উল্লেখ করে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য তাদের কাছে আছে বলে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এটা করে তারা। এটা তেমনি একটা জিনিস। আমাদের কোনো ধরনের তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রির কথা কেউ যদি বলে থাকে তাহলে সেটা মিথ্যা বলছে। ওরা প্রতারণার উদ্দেশ্যে এটা করছে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের তথ্যভান্ডার থেকে বড় পরিসরে নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত থাকার খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। ভিক্টর মার্কোপোলস নামে একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের কারিগরি দুর্বলতা তুলে ধরে সেসব তথ্য খুব সহজেই উন্মুক্ত অবস্থায় পেয়েছিলেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে বাংলাদেশের কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) নাগরিকের ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে ‘ডাটাভেঞ্চার’ পরিচয় দেওয়া একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, তাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেন্দ্রিক তথ্য, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ইমেইল ঠিকানাসহ আরও কিছু তথ্য রয়েছে।