টেক ইনসাইড

টেশিস কে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের উপযোগী করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে (টেশিস) ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের দক্ষতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের পরিকল্পনাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেশিস-কে সময়োপযোগী  ও লাগসই ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে অধিকতর সক্ষমতা তৈরি ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে এই সমীক্ষাটি পরিচালিত হচ্ছে।  

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ভবন মিলনায়তনে  টেশিস এর ভৌত অবকাঠামো আধুনিকায়ন, নতুন ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও সংযোজন প্লান্ট স্থাপন এবং বিদ্যমান প্লান্টসমূহের উৎপাদন ও সংযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পরিকল্পনাপত্র উপস্থাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

আয়োজিত অনুষ্ঠানে  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

 অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেশিস থেকে বর্তমানে উৎপাদিত দোয়েল ল্যাপটপ, দোয়েল ডেস্কটপ, ট্যাব ও খুচরা যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল পিএবিক্স, ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি, বায়োমেটিক্স ভেরিফিকেশন্স ইকুইপমেন্ট, স্মার্ট টেলিভিশন এবং ডিজিটাল এনার্জি মিটার উৎপাদনে গুণগতমান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক আস্থা অর্জন করে দেশে ডিজিটাল এসব যন্ত্রের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস এবং রোবট, এআই, আইওটিসহ আগামী দিনের সম্ভাব্য ডিজিটাল প্রযুক্তি তৈরিতে টেশিসকে উপযোগী করে তৈরি করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই এ সমীক্ষার লক্ষ্য।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে বইয়ের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ পৌঁছে দিতে ২০১৫ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স বৈঠকে টেশিসকে শক্তিশালী করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে টেশিসকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার কাজ আমরা শুরু করেছি। 

তিনি বলেন, টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই একমাত্র লক্ষ্য নয়, এর সাথে আবেগ জড়িয়ে আছে। টেশিসকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমাকেই বলা হয়েছিল। এটা আমার আবেগের জায়গা। 

শিক্ষার ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, দক্ষ জনবল ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে লাগসই ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও সংযোগের  জন্য নির্ভরযোগ্য করে গড়ে তোলা যাবে না- তা হতে দিতে পারি না। টেলিফোন শিল্প সংস্থা উৎপাদিত দোয়েল ল্যাপটপ ইতোমধ্যেই আস্থার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১১ সালে দোয়েল যাত্রা শুরু করার পর গুণগতমানের ঘাটতিসহ নানা কারণে দোয়েলকে অনেকটাই গ্রাহকের আস্থার জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সে অবস্থা এখন আর নাই। টেশিস সে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে। আইসিটি বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরবরাহকৃত হাজার হাজার দোয়েল কম্পিউটার ও ল্যাপটপ অত্যন্ত গুণগত মানসম্পন্ন ডিভাইস নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করছে। 

এ সময় সমীক্ষা পরিকল্পনার ওপর তার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার টেশিসকে একটি অনুকরণীয় রাষ্ট্রীয় লাভজনক ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও তার প্রতিকারের উপায়সহ বিভিন্ন কারিগরি সমীক্ষায় স্পষ্ট করার পরামর্শ ব্যক্ত করেন।  সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামতসহ কারিগরি বিভিন্ন বিষয় সন্নিবেশিত করে সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব টেশিস উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্রের যথাযথ বাজার চাহিদা, যন্ত্র ব্যবহারকারি টার্গেট গ্রুপ নিরূপন, বিদ্যমান জনবলকে উপযোগী করে তৈরির জন্য করণীয়সহ টেশিসকে একটি যুগোপযোগী ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়াদি সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামতের প্রতিফলন টেশিসকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সহায়ক হবে।

টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান হাবীব তপাদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল আলম, যুগ্ম সচিব  মো. মুসলেহ উদ্দীন এবং উপ-সচিব ফাতেমাতুজ জোহরাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনগণ খসড়া প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মো. রফিকুল ইসলাম, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজম আলীসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল টেলিফোন শিল্প সংস্থার যাত্রা শুরু হয়। এর আগে ১৯৬৭ সালে সরকার ও পশ্চিম জার্মানির মেসার্স সিমেন্স এজি এর যৌথ উদ্যোগে টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামে প্রতিষ্ঠানটি জন্ম লাভ করে। এনালগ ও ম্যানুয়্যাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, টেলিফোন সেট ও টিন্ডটি সম্পৃক্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও উৎপাদন ছিল প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ ছিলো। ২০০৮ সালে সিমেন্স তার অংশ ছেড়ে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সকল শেয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। 


ডাক   টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী   মোস্তাফা জব্বার   টেশিস  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

প্রতিনিয়ত সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে এক্স

প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম এক্স দিন দিন সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো। 

গত বছরের শেষ দিকে চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটারের মালিকানা কিনে নেন ইলন মাস্ক। পরে এটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন এক্স। এরপর থেকেই ক্রমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে এ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির।

বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে এক্সের সক্রিয় ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ২২ কোটি ৫০ লাখ যা মাস্কের মালিকানা গ্রহণের পর কমেছে প্রায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম ম্যাশাবেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাস্কের মালিকানায় আসার পর দৈনিক প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে এক্স।

ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমার পাশাপাশি এক্স এর লভ্যংশেও এর প্রভাব দেখা গেছে। সাইটটিতে আগের তুলনায় কমছে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা। তবে আগামী বছরে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো।

এক্স  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

আজ গুগলের ২৫তম জন্মদিন

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেখতে দেখতে ২৫ বছর হয়ে গেলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। আজ, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গুগলের ২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে গুগল বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে। এই ডুডলে গুগলের শুরুটা হয়েছিল কীভাবে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ই-কমার্স, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি গুগল।

১৯৯৮ সালে ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। বিশ্বে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে এক মিলিয়ন সার্ভার চালায় গুগল। দিনে পাঁচশো কোটির বেশি অনুসন্ধানের জবাব দেয় এই গুগল।

মজার ব্যাপার হলো, গুগল সার্চ ইঞ্জিনের শুরুতে নাম রাখা হয়েছিল গুগোল (googol)। কিন্তু কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বানান ভুল হওয়ার কারণে এর নাম গুগল (Google) হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গুগল এক লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সেই বিনিয়োগ করেছিলেন সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেসটোলসহাইম।

সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে আরও নতুন নতুন ফিচার নিয়ে গ্রাহকের কাছে হাজির হয়েছে গুগল। গুগলের পণ্য ও সবার মধ্যে রয়েছে ই-মেইল সেবা জিমেইল, মানচিত্র ওয়েজ ও ম্যাপস, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ক্লাউড, ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ক্রোম, ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব, ওয়ার্কস্পেস, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণের ড্রাইভ, অনুবাদের জন্য ট্রান্সলেট, ছবি রাখার জন্য ফটোজ, ভিডিও কল করার মিট, স্মার্ট বাড়ির জন্য নেস্ট, পিক্সেল স্মার্টফোন, পরিধেয় প্রযুক্তি পিক্সেল ওয়াচ ও ফিটবিট, গান শোনার ওয়েবসাইট ইউটিউব মিউজিক, ভিডিওর জন্য ইউটিউব টিভি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মেশিন লার্নিং এপিআই টেনসরফ্লো, এআই চিপস টিপিইউ।

প্রায়ই নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে আসছে এই প্রযুক্তি গুগল। অচিরেই হয়তো আবারও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাবে।


ইন্টারনেট   তথ্য প্রযুক্তি   প্রযুক্তি   গুগল   জন্মদিন  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

এখন থেকে কথা বলা যাবে চ্যাটজিপিটি-এর সাথে

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এখন থেকে চ্যাটজিপিটি -এর সাথে কথাও বলা যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত এ চ্যাটবট সব কথাবার্তা শুনতে পারবে। জনপ্রিয় চ্যাটবট-এর পিছনের স্টার্টআপ ‘ওপেনএআই’, গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণায় বলা হয়েছে যে এতে নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি সংযুক্ত করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটি-এর সাথে কথা বলতে পারে।

সোমবার একটি কোম্পানির ব্লগ পোস্টে, ওপেনএআই জানায় যে কীভাবে এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি "পরিবারের জন্য একটি শয়নকালীন গল্পের অনুরোধ করতে বা ডিনার টেবিলের বিতর্ক নিষ্পত্তি করতে" ব্যবহার করা যেতে পারে।

এদিকে ওপেনএআই -এর নতুন ভয়েস বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে বর্তমানে অ্যামাজনের এর অ্যালেক্সা বা অ্যাপেলের ছিরি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টদের গুলির সাথে মিল রয়েছে৷

ওপেনএআই দ্বারা শেয়ার করা নতুন আপডেটের একটি ডেমোতে দেখা যায়, একজন ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি--কে "ল্যারি নামের সুপার-ডুপার সূর্যমূখী তেল" সম্পর্কে একটি গল্প নিয়ে কথা বলতে বলেন। দেখা যায় যে, চ্যাটবট উচ্চস্বরে মানব শব্দযুক্ত কণ্ঠস্বরে একটি গল্প বর্ণনা করতে সক্ষম যা এইসব প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারে। যেমন, "তার বাড়িটি কেমন ছিল?" এবং "তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু কে?"

ওপেনএআই ব্লগপোস্টে বলেছে, চ্যাটজিপিটি -এর ভয়েস ক্ষমতা একটি নতুন টেক্সট-টু-স্পিচ মডেল দ্বারা চালিত, যা কোনো লেখা থেকে মানুষের মতো অডিও তৈরি করতে পারবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। সংস্থাটি যোগ করেছে যে এটি পেশাদার ভয়েস অভিনেতাদের সাথে পাঁচটি ভিন্ন ভয়েস তৈরি করতে সহযোগিতা করেছে, যা চ্যাটবটকে অ্যানিমেট করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

জানা গেছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অ্যাপটিতে নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি যুক্ত করা হবে চ্যাটজিপিটি প্লাস এবং এন্টারপ্রাইজ পরিষেবার অর্থপ্রদানকারী সাবস্ক্রাইবারদের জন্য (প্লাস পরিষেবার সদস্যরা প্রতি মাসে ২০ ডলার এবং এর এন্টারপ্রাইজ পরিষেবা বর্তমানে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ক্লায়েন্টদের জন্য দেওয়া হচ্ছে)।


চ্যাটজিপিটি   ওপেনএআই  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সামনে এল এআই প্রযুক্তির আরও ভয়ংকর রূপ, ছড়িয়ে পড়ছে ডিপফেক!

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এই এআই প্রযুক্তি। তবে যেকোনো সময়ই এটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে- এমন শঙ্কা আগে থেকেই করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতে বিভিন্ন ঘটনায় এর প্রমাণও হয়েছে। এবার প্রকাশ্যে এলো আরো ভয়ঙ্কর তথ্য। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের হাইপার-রিয়ালিস্টিক প্রতিরূপ তৈরির প্রযুক্তি ডিপফেক ক্রমশ বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

স্পেনের বাদাহো প্রদেশে এআই দিয়ে তৈরি অপ্রাপ্তবয়স্কদের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর ডিপফেকের ভয়াবহ প্রভাব আবারও সামনে এসেছে। ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশনস স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট (ইটিএসআই) ভুয়া কনটেন্ট তৈরিতে এআই ব্যবহারের ক্রমশ সহজলভ্যতার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

এক প্রতিবেদনে এটি জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির সম্মানহানি থেকে শুরু করে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা জনমত পরিবর্তনে প্রচারণা চালানো সবই করা সম্ভব।

২০১৯ সালে ডিপট্রেস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ডিপফেক নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা ইন্টারনেটে প্রায় পাঁচ লাখ ভুয়া ফাইল খুঁজে পায়। কোম্পানিটির আগের প্রতিবেদনের তুলনায় ওই বছরের প্রতিবেদনে অনলাইনে ডিপফেক ছড়িয়ে পড়ার হার প্রায় শতগুণ বৃদ্ধি বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্য। ডিপফেক কনটেন্টের প্রকৃত পরিমাণ নিয়ে কারো ধারণা নেই। তবে জানা গেছে, ডিপফেক ভিডিওর ৯৬ শতাংশ পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত। আর বর্তমানে ছবি, কণ্ঠস্বর, লেখা, নথিপত্র, ফেসিয়াল রেকগনিশন এবং এসবের সমন্বয় এআই দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।

বর্তমানে পর্নোগ্রাফি, জনমত বদলাতে ভুল তথ্য ছড়ানো, প্রকৃত কোনোকিছুকে ভুল প্রমাণ, ইন্টারনেট নিরাপত্তা আঘাত, নকল লেখক-অভিনেতা দিয়ে সিনেমা তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডিপফেকের বেশি ব্যবহার হচ্ছে।

সূত্র: এল পাইস


ইন্টারনেট   ডিপফেক   এআই প্রযুক্তি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে থাকলে অথবা যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে থাকলে বা কোনো দুর্ঘটনার আশংকা থাকলে হটলাইন ১৬৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান।

এর আগে, মিরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ মোট চার জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর মডেল থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন বজ্রপাত হলে পানিতে পরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠালে চার জন মারা যান।

নিহতরা হলেন- মো. মিজান (৩০), তার স্ত্রী  মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (০৭) এবং তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া মোহাম্মদ অনিক (২০)। মিজানের আরেক ছেলে হোসাইন (০৭ মাস) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ এলাকার রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ বলেন, আজ রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে খবর আসে ঢাকা কমার্স কলেজ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   দুর্ঘটনা   হটলাইন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন