দুই হাত হারানো অদম্য তরুণ বাহার উদ্দিন রায়হানের জন্য আজ অন্য রকম একটি দিন। সে শুধু ভাবছে এ-ও কী সম্ভব! কখনো কল্পনাই করতে পারেননি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিবেন। প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের সকল প্রশিক্ষণে সমন্বয় করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (পিএমআইএস) এর ‘প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক’ পদে তার চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
রোববার (১৫ মে) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে যখন নিয়োগপত্রটি কক্সবাজারের চকরিয়ার লক্কারচরের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাহার উদ্দিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তখন তিনি ছিলেন আবেগে ভারাক্রান্ত। কারণ তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই যোগাযোগ করেছে। কিন্তু প্রথমেই তাদের চোখ পড়েছে দুই হাতের উপর। ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর বাহার উদ্দিন বাহার যখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র; বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো ট্রান্সফরমারে একটি ছোট্ট পাখি ঢুকে পড়ে। সেই পাখি দেখতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে হাত দিতেই ঝলসে যায় তাঁর দুই হাত। সেই থেকে তাঁর এক হাত নেই, আরেক হাত আছে কনুই পর্যন্ত। মুখে কলম আটকে কনুইয়ের সাহায্যে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি, এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
বাহার মোটর সাইকেল চালাতে পারে। মুখে কলম আটকে কনুইয়ের সাহায্যে কম্পিউটারে টাইপ করতে পারে। কিন্তু চাকুরি দেওয়ার জন্য যারা যোগাযোগ করেছে তারা চাকরি দেয়ার আস্থা পায়নি শুধু দুই হাতের দিকে তাকিয়ে। তাদের একটাই ধারণা হাতের সাহায্য ছাড়া চাকরি করা সম্ভব না। কিন্তু আজ চাকুরি পেয়ে অশ্রুভরা নয়নে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাহার জানান সত্যিই সে কৃতজ্ঞ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রতি। যার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি চাকুরির ব্যবস্থা হয়েছে। এখন তাঁর স্বস্তি যে সে মাকে নিয়ে এক সাথে থাকতে পারবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কোনো অস্ত্র ছাড়াই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যেমন যুদ্ধে জিতেছেন তেমনি এক অদম্য যোদ্ধার নাম বাহার। ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বাহার উদ্দিন বাহার আমাদের সামনে উজ্জ্বলতম একটি দৃষ্টান্ত। দুই হাত নেই অথচ মুখে কলম আটকে খাতায় লিখে পরীক্ষা দিয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেছে, অর্জন করেছে দক্ষতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, সে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে উদ্ভাবনী, বুদ্ধিদীপ্ত, সাহসী, সংগ্রামী। কোন বাধায় নিজেরা দুর্বল হবে না এবং শারীরিক কোন বাধায় তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন ইডিজিই প্রকল্প হতে যে ১ লক্ষ তরুণকে অগ্রসরমান প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বাহার তাদের জন্য প্রেরণার উৎস। এটা সম্ভব হয়েছে তাঁর মধ্যে থাকা প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার মানসিকতার কারণে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারী, কম্পোনেন্ট টিম লিডার ড. মাহফুজুর ইসলাম শামীমসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাহার
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল শতকরা ৯৫ ভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিপুল পরিমান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল ডিভাইস আমাদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করা সরকারের ডিজিটাইজেশনের স্বপ্নের অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল।’
বুধবার (২৪ মে) মন্ত্রী তার দপ্তর থেকে নারায়নগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে ট্রান্সশান হোল্ডিংসের মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা আই স্মার্ট ইউ ফ্যাক্টরী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছোট খাটো কিছু সংকট বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোবাইল ফোন রপ্তানির একটি বড় বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
ডিজিটাল ডিভাইসে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্রের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নের প্রতি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় যে স্বপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন- ২০১৭ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর নিরন্তর সহযোগিতায় তা আজ পুরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্ব মানের ১৫টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরও বেশ কয়েকটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে।’
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘ঔপনিবেশিক শাসনে পিষ্ট হয়ে আমরা কৃষি যুগ থেকে বেরোতে পারিনি। এর ফলে অতীতের দুটি শিল্প বিপ্লব মিস করে, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে শুরু করেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এবং ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজটিকে চারা গাছে রূপান্তর করেন। গত ২০০৯ সাল থেকে গত চৌদ্দ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তা আজ বিরাট মহিরূহে রূপান্তরিত হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মোবাইল ফোনের অভিযাত্রা ১৯৮৯ সালে সীমিত আকারে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে টু’জি, ২০১৩ সালে থ্রি’জি, ২০১৮ সালে ফোর’জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ’জি প্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইকোনমি জোন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ট্রানশন হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জর্জ জু এবং বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসের ইকোনমি ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং।
বক্তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির প্রশংসা করেন। তারা মোবাইল ডিভাইস শিল্পের বিকাশে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বাংলাদেশ ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন হাব টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
দেশের ২৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা এবং রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি অংশীদার সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড এর সাথে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ২৬০০টি ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ১২৯৩টি ইউনিয়ন এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড ১৩০৭টি ইউনিয়ন উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দু’টি আগামী ২০ বছর ২৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা সার্বক্ষনিক সচল রাখবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং সামিট কমিউনিকেশনস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম ও ফাইবার এট হোম লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রি. জে. মো. রফিকুর রহমান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
রোববার (২২ মে) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি পিলার নির্ধারণের পর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিটিসিএল সফল না হওয়ায় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তাঁর পরামর্শেই একই খরচে এক হাজার ইউনিয়নের পরিবর্তে ২৬০০ ইউনিয়নে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এটাকে টেকসই করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সেবা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
পলক বলেন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পটি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলারকেই মজবুত করবে। নদীর তীর ও সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এরপর রেল ও বিদ্যুতকে নির্ভর করে গড়ে ওঠে শিল্প। কিন্তু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ফলে আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছি। সামনে শতভাগ লেনদেন হবে ক্যাশলেস হবে বলে তিনি জানান।
ইন্টারনেট ছাড়া ইনক্লুসিভ উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যতীত জীবনযাপন অসম্ভব। টেকসই উন্নয়নে ইনফো সরকার সবক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে ১২০০ কোটি টাকা। ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-চিকিৎসা-ব্যবসা-বিনোদন সেবা চলছে।
উল্লেখ্য, আইসিটি বিভাগের অধীন বিসিসি ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন’-শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। চুক্তির শর্ত মোতাবেক আগামী ২০ বৎসরের জন্য বিসিসি কোন অর্থ ব্যয় করবে না। বিসিসি এই চুক্তির সার্বিক বিষয় তদারকি করবে। বিসিসি কর্তৃক বেসরকারি অংশীদারগণের নিকট হতে নির্দিষ্ট রেভিনিউ গ্রহণ করা হবে। ফলে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে। চুক্তি অবসানের পর বিদ্যমান নেটওয়ার্কের সকল যন্ত্রপাতি ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সম্পূর্ণ সচল অবস্থায় বেসরকারি অংশীদারগণ বিসিসি’র নিকট ফেরত দিবে। নিরবচ্ছিন্ন ডাটা ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে পিপিপি চুক্তিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৯৯.৯% নেটওয়ার্ক আপটাইম এর বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। ফলশ্রুতিতে গ্রামীণ পর্যায়ের জনগণ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবে।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাবিদ শফিউল্লাহ, ফাইবার এট হোম এর চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী।পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, ইনফো-সরকার (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রনব কুমার সাহা।
ইউনিয়ন দ্রুতগতি ইন্টারনেট বিসিসি চুক্তি স্বাক্ষর
মন্তব্য করুন
চলতি মে মাসে সতর্কতা জারি করে কিছু অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিমেইল কর্তৃপক্ষ। যে নিয়ম বহাল ছিল, তার সময়সীমা ২০২৩ সালে থেকে পরিবর্তন হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোনও ব্যক্তির যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, সে ব্যক্তি যদি দুই বছরের বেশি সময় ধরে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার না করে, তাহলে গুগল কর্তৃপক্ষ সেই অ্যাকাউন্টগুলো মুছে দেবে। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য উপলব্ধ থাকা নীতিতে একটি সংশোধনী ঘোষণা করেছে এই সংস্থা।
ব্যবহারকারীদের জিমেইল অ্যাকাউন্ট প্রত্যেক ২৪ মাস অন্তর অন্তত একবার করে লগ ইন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকলের পুরানো গুগল অ্যাকাউন্টগুলো পরীক্ষা করার পরামর্শও দিয়েছে গুগল। গুগলের একটি নিয়ম আগে থেকেই প্রযোজ্য ছিল যে, অ্যাকাউন্টগুলোর ডেটা, যা দুই বছর ধরে ব্যবহার করা হয়নি, তা সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হতে পারে, কিন্তু সেই নিয়মে এখন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গুগলের পক্ষ থেকে দেওয়া সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ডেটার ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা আমাদের সমস্ত প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে গুগল অ্যাকাউন্টের নিষ্ক্রিয়তার মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে দিচ্ছি। এই বছরের (২০২৩ সালে) শেষের দিকে, গুগল একটি অ্যাকাউন্ট এবং তার সমস্ত ডেটা মুছে ফেলতে পারে, যার মধ্যে গুগল ওয়ার্কসেপস (জিমেইল, ডক্স, ড্রাইভ, মিট, ক্যালেন্ডার), ইউটিউব এবং গুগল ফটো সবই অন্তর্ভুক্ত থাকছে। যদি সেগুলো কমপক্ষে দুই বছর ধরে ব্যবহার না করা বা সাইন ইন না করা হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো পুরোপুরি মুছে দেওয়া হবে।”
গুগল বিভিন্ন ধরনের আচরণের উপর ভিত্তি করে অ্যাকাউন্টের কার্যকলাপ ট্র্যাক করে, যার মধ্যে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা, ইউটিউব ভিডিও দেখা, গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা, অনুসন্ধান করা বা যেকোনও অ্যাপ বা পরিষেবাগুলোর জন্য গুগল-এর সাথে সাইন ইন করা। সেগুলোর সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এই নতুন নীতি চালু হওয়ার পরে গুগল এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে ফোকাস করা শুরু করবে, যেগুলো খোলা হয়েছিল, কিন্তু আর কখনও ব্যবহার করা হয়নি। নিষ্ক্রিয় গুগল অ্যাকাউন্টগুলোর একেবারে বাতিল হয়ে যাওয়া এড়াতে, ব্যবহারকারীদের অবশ্যই গুগলের পরিবর্তিত নীতিগুলো সম্পর্কে আপডেট রাখতে হবে ।
মন্তব্য করুন
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা চার্জিং নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়েন। যেমন, চার্জারে সংযুক্ত করলেও ফোনে চার্জ হয় না, কোনো জরুরি কাজ করার সময় ফোনে চার্জ নেই, আবার চার্জে বসিয়ে রেখেও লাভ হচ্ছে না। এমন সমস্যা যদি হয়ে থাকে তবে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে এই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। এজন্য সার্ভিসিং সেন্টারে নিতে হবে না। ঘরেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। দেখে নেওয়া যাক সেসব ধাপ সমূহ-
ফোন রিবুট করুন
ফোনে কোনো সমস্যা হলে ফোন রিবুট করতে পারেন। এতে কোর কম্পোনেন্ট রিফ্রেশ হবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে যদি কোনো ছোটখাটো সমস্যা থেকে থাকে তা সমাধান হবে।
সেফ মোড
ফোন রিস্টার্ট করার পরও যদি চার্জ না হয়। তাহলে সেফ মোডে ফোন চালু করার চেষ্টা করতে হবে। কোনো ডাউনলোড করা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ এই মোডে কাজ করবে না। যদি সেফ মোডে ফোন চার্জ করা যায়, তাহলে বুঝতে হবে, যে সমস্যাটি তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপের কারণে হয়েছে।
চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করুন
ফোনের চার্জিং পোর্টটি একবার পরিষ্কার করে নিন। কখনো কখনো ময়লা পড়েও চার্জিংয়ে ঝামেলা হতে পারে। নিজে না করতে পারলে সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে ব্যাটারি এবং অন্য যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করেও দেখে নিন।
সফটওয়্যার বাগ
অনেক সময় সফটওয়্যার বাগের কারণেও ফোন চার্জিংয়ে সমস্যা হতে পারে। ‘অ্যাম্পিয়ার’ নামের অ্যাপ বিনামূল্যে গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন। কোনো সমস্যা হলে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেটও করতে পারেন।
মন্তব্য করুন
কারোর সঙ্গে গোপন কথপোকথন ফোনের মধ্যে গোপনেই রাখার এক সুখবর নিয়ে মেটা নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপের ‘চ্যাটলক’।
নতুন
এই চ্যাটলক কীভাবে আপনার কথপোকথনকে গোপনে রাখবে, তা নিয়ে স্বভাবতই
কৌতূহল হচ্ছে? চলুন দেখে নেওয়া
যাক, হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন ফিচারের
কিছু দিক। দেখে নেওয়া
যাক এর সুবিধা অসুবিধা
এবং যেভাবে এই চ্যাট গোপন
রাখে।
কীভাবে
চ্যাট গোপন রাখবে হোয়াটসঅ্যাপ?
এই বিশেষ কথপোকথনগুলো একটি বিশেষ ফোল্ডারে
স্টোর করা থাকবে। সেখানে
কার সঙ্গে কথা হচ্ছে, তার
নাম লুকানো থাকবে। মেসেজ নোটিফিকেশনও আসবে না।
পিন
কোড-
হোয়াটসঅ্যাপ
লক করার জন্য বায়োমেট্রিক
বা পিন কোড দিয়ে
তা লক করার ব্যবস্থা
রয়েছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ও
আইওএস দুটিতেই রয়েছে। এতে যেকোনো গোপন
চ্যাট নিরাপদে রাখা যায়। আপনার
ফোনে কেউ গোপনে দেখতে
চাইলেও এই চ্যাট তিনি
খুঁজে বের করতে পারবেন
না পিন কোড বা
বায়োমেট্রিক্স ছাড়া।
কীভাবে
করবেন ইনস্টল
হোয়াটসঅ্যাপ
ইতোমধ্যেই প্রাইভেসি সেটিংয়ে একাধিক বিষয় যুক্ত করেছে।
তারমধ্যে রয়েছে ডিসঅ্যাপিয়ারি মেসেজ, স্ক্রিনশট ব্লকিং, কে স্টেটাস মেসেজ
দেখবেন তা নির্ধারণ করা,
লাস্ট সিন বন্ধ রাখা।
নতুনটি হলো চ্যাটব্লক। এর
জন্য হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ভার্সান ডাউনলোড
করুন। তারপর যার সঙ্গে চ্যাটটি
লক করতে চান তার
প্রোফাইল পিকচারে যান। সেখানেই পাবেন
নতুন অপশন চ্যাটলক। ডিস
অ্যাপিয়ারিং মেসেজের নিচেই পাবেন অপশন। সেটিকে ‘এনাবেল’ করুন। এরপর অথেন্টিকেট করুন
আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড ও বায়োমেট্রিক্স দিয়ে।
মেসেজ
এডিট করার ফিচারের সঙ্গে
কিছু চলতি সমস্যাও মিটিয়ে
দেবে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা
আরও ভালো হবে।
হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার চ্যাটলক
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল শতকরা ৯৫ ভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিপুল পরিমান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল ডিভাইস আমাদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করা সরকারের ডিজিটাইজেশনের স্বপ্নের অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল।’
দেশের ২৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা এবং রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি অংশীদার সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড এর সাথে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ২৬০০টি ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ১২৯৩টি ইউনিয়ন এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড ১৩০৭টি ইউনিয়ন উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দু’টি আগামী ২০ বছর ২৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা সার্বক্ষনিক সচল রাখবে।
ব্যবহারকারীদের জিমেইল অ্যাকাউন্ট প্রত্যেক ২৪ মাস অন্তর অন্তত একবার করে লগ ইন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকলের পুরানো গুগল অ্যাকাউন্টগুলো পরীক্ষা করার পরামর্শও দিয়েছে গুগল। গুগলের একটি নিয়ম আগে থেকেই প্রযোজ্য ছিল যে, অ্যাকাউন্টগুলোর ডেটা, যা দুই বছর ধরে ব্যবহার করা হয়নি, তা সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হতে পারে, কিন্তু সেই নিয়মে এখন পরিবর্তন আনা হয়েছে।