টেক ইনসাইড

ইউটিউবের বিকল্প মাধ্যম হতে পারে যে ১০ ওয়েবসাইট

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলেও ব্যবহারকারীদের জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা দিতে বিকল্প কিছু ভিডিও ওয়েবসাইট রয়েছে।  এ সকল সাইটও হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার বিনোদনের মাধ্যম।

সম্প্রতি ইউটিউব প্রিমিয়াম বাজারে আসার পর ফ্রি সংস্করণে বিজ্ঞাপনের অত্যাচার অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে। কিছু বিজ্ঞাপন আগের মতো স্কিপও করা যায় না। এ লেখায় ইউটিউবের ১০ বিকল্প সাইট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


১। ভিমিও (Vimeo)

ভিমিও সবচেয়ে প্রথম হাই-ডেফিনিশন ভিডিও নিয়ে আসে। ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের নিজস্ব ভিডিওগুলো এখানে আপলোড করতে পারেন। তবে ভিমিও এখনও হাই-ডেফিনিশন কন্টেন্টের উপরই বেশি জোর দিয়ে থাকে।

ভিমিও প্ল্যাটফর্মে ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও আপলোড সুবিধার পাশাপাশি দেখার জন্যে কিছু টেলিভিশন সিরিজও পাওয়া যায়।

লিংক: https://vimeo.com/


২। ডেইলিমোশন (Dailymotion)

ইউটিউব চালুর মাত্র এক মাস পরেই ডেইলিমোশন অনলাইনে আসে। সিএসআই ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইউটিউবের সবচেয়ে কাছের প্রতিযোগী হচ্ছে ডেইলিমোশন।

ডেইলিমোশনে আপলোড করা লাখো ভিডিও রয়েছে, যা বিনামূল্যে উপভোগ করা যায়৷ এই ভিডিও সাইটের ইন্টারফেস ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অনেকটা ইউটিউবের মতোই।

লিংক: https://www.dailymotion.com/


৩। প্লেইয়ার (Playeur)

অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মের জগতে প্লেইয়ার অপেক্ষাকৃত নতুন একটি সাইট। আগে এর নাম ছিল ইউট্রিওন, যা ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়।

অন্যান্য ভিডিও সাইটের তুলনায় এটি কিছুটা আলাদা, কারণ এই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোডের নীতিমালা তুলনামূলকভাবে শিথিল। বিশেষত, ইউটিউবের তুলনায় এর বিধিনিষেধ অনেক কম। তবে তার অর্থ এই নয় যে যা খুশী তাই আপলোড করতে পারবেন!

আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো আপনার প্লেইয়ার প্রোফাইলে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসতে পারবেন; আবার নতুন করে আপলোডের প্রয়োজন ছাড়াই। এটি ইউটিউবের একটি এক্সটেনশনের মতো কাজ করে।

লিংক: https://playeur.com/


৪। দ্য ইন্টারনেট আর্কাইভ (The Internet Archive)

দ্য ইন্টারনেট আর্কাইভ একটি ওয়েব ভিত্তিক লাইব্রেরি৷ যেখানে আপনি বই, মিউজিক, সফটওয়্যার ও সিনেমা থেকে শুরু করে সব ধরণের কনটেন্ট বিনামূল্যে পাবেন।

ইন্টারনেট আর্কাইভে আপনি প্রচুর ঐতিহাসিক ভিডিও কন্টেন্ট পাবেন। যদিও এখানে নতুন কনটেন্টও পাওয়া যায়, কিন্তু এর সবচেয়ে সেরা দিক হলো পুরানো ভিডিওগুলো।

যেগুলোর মধ্যে আপনি বিভিন্ন ঐতিহাসিক সংবাদ প্রতিবেদন, টিভি সিরিজ ও চলচ্চিত্রও খুঁজে পাবেন। যা সাধারণত অন্যান্য সাইটগুলোয় খুঁজে পাওয়া কঠিন।

লিংক: https://archive.org/


৫। টুইচ (Twitch)

বর্তমানে অনলাইনের অন্যতম সেরা লাইভ-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে টুইচ। এখানে ১৪ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে লাখো ভিডিও স্ট্রীমার। টুইচ প্ল্যাটফর্মে প্রায় যেকোনো বিষয়ের উপরই আপনি লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবেন।

শুরুতে মূলত গেমাররা এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলেও এখন প্রায় সব ধরনের বিষয়ের ওপরই লাইভ স্ট্রিম কনটেন্ট পাওয়া যায় টুইচে।

লিংক: https://m.twitch.tv/


৬। দ্য ওপেন ভিডিও প্রজেক্ট

দ্য ওপেন ভিডিও প্রজেক্ট মূলত গবেষকদের জন্যে তৈরী। বিশেষ করে যারা মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল লাইব্রেরি নিয়ে কাজ করেন তাদের কথা মাথায় রেখে এটি চালু করা হয়।

যার ফলে দ্য ওপেন ভিডিও প্রজেক্টের বেশিরভাগ ভিডিওই শিক্ষামূলক। এখানে এমনকি, নাসার আর্কাইভ থেকেও অনেক ভিডিও এবং ৫০ এর দশকের ক্লাসিক টিভি বিজ্ঞাপন ও শিক্ষামূলক চলচ্চিত্রের সংগ্রহও রয়েছে। আপনি যদি ঐতিহাসিক ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে গবেষণা করতে চান, তাহলে দ্য ওপেন ভিডিও প্রজেক্ট আপনার কাজে আসবে।

লিংক: https://open-video.org/


৭। ৯গ্যাগ (9GAG)

মজাদার সব কন্টেন্টের বিশাল এক সংগ্রহ নিয়ে তৈরি নাইনগ্যাগ বা ৯গ্যাগ। যেখানে বিভিন্ন হাসির ভিডিও, মিম, অ্যানিমে, পপ কালচারের মত বিষয়গুলোর উপরে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কনটেন্ট রয়েছে। আপনি যদি মজার কিছু ভিডিও কনটেন্ট দেখে সময় পার করতে চান তাহলে ৯গ্যাগ হতে পারে একটি ভালো জায়গা।

তবে টিভি সিরিজ বা মুভির স্পয়লার প্রচার নিয়ে দুর্নাম রয়েছে এই সাইটের। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ৯গ্যাগ ব্যবহার করা উচিৎ।

লিংক: https://9gag.com/


৮। টেড টকস (TED)

টেড টকস কে প্রথাগত ভিডিও সাইট বলা যায় না। তবে এতে প্রযুক্তি, বাণিজ্য, স্থাপথ্য, বিজ্ঞান ও বৈশ্বিক সমস্যার মতো বিভিন্ন বিষয়ে ৩ হাজার ৫০০ টিরও বেশি আলোচনা এবং বক্তৃতা পাবেন। এছাড়া টেড টকস প্রতি সপ্তাহেই পাঁচ থেকে সাতটি নতুন আলোচনা আপলোড করে। আপনার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা থেকে শুরু করে বিচিত্র এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা এখানে পাবেন। যার বেশিরভাগই বেশ শিক্ষামূলক।

লিংক: https://www.ted.com/talks


৯। ডিটিউব (DTube)

ডিটিউব-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ডিসেন্ট্রালাইজড টিউব। এটি ইউটিউবের মতোই একটি ভিডিও সাইট। তবে এর ভিডিওগুলো কোনো একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রীয় সার্ভার থেকে হোস্ট করা হয়না। পরিবর্তে পুরো সাইটটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে। ব্যবহারকারীরা এখানে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জন করতে পারেন।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

লিংক: https://d.tube/


১০। ফেসবুক ওয়াচ (Facebook Watch)

ইউটিউবের মতোই ফেসবুক ওয়াচেও আপনি এখন আপনার পছন্দের সব ভিডিও দেখতে পারেন। ফেসবুক ওয়াচে টিভি সিরিজের পাশাপাশি নানা বিষয়ের ওপর হাজারো ভিডিও ক্লিপস দেখতে পাবেন। তবে ইউটিউবের তুলনায় এখানে কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিওর জন্য সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফেসবুক রিলস।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ভিডিওর জন্যে ইউটিউব একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অনলাইনে ভিডিও দেখার জন্যে ইউটিউবই আপনার জন্যে একমাত্র জায়গা। তাই আপনার ভিডিও দেখার অবসরে নতুন ধরনের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা যুক্ত করতে উপরের বিকল্পগুলোও ঘুরে দেখতে পারেন। কারণ বৈচিত্র বেশিরভাগ সময়ই মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে।

লিংক: https://www.facebook.com/watch/






ইউটিউব   টেক   বিশ্ব মিডিয়া   মাধ্যম   ভিডিও  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

ওপেনএআইয়ের ৫০০ কর্মীর চাকরি ছাড়ার হুমকি!

প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেয়। এরপরই প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডের প্রায় ৫০০ কর্মী চাকরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। ওপেনএআইয়ের কর্মীরা আলটিমেটাম দিয়েছেন, বোর্ডের সবাই পদত্যাগ না করলে তারা চাকরি ছেড়ে দেবেন। এছাড়াও তারা মাইক্রোসফটে স্যাম অল্টম্যানের সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিভাগে চলে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।

সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক ওপেনএআইয়ের বর্তমান বোর্ডের সবাই পদত্যাগ না করলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা মাইক্রোসফটে স্যাম অল্টম্যানের সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিভাগে চলে যাবেন।

ওপেনএআই কর্মীদের দেওয়া চিঠি থেকে রয়টার্স এ তথ্য জানতে পেরেছে। চিঠিটি ওপেনএআইয়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে প্রায় ৫০০ জন কর্মী চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন সিইও ও চিফ টেকনোলজি অফিসার মিরা মুরাতিও রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার স্যাম অল্টম্যানকে চাকরিচ্যুত করার কথা জানায়। স্যামকে চাকরিচ্যুত করার জেরে প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ওপেনএআই ছাড়েন।


ওপেনএআই   ৫০০ কর্মী   চাকরি   হুমকি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

চাকরিচ্যুত ওপেনআই সিইও যোগ দিচ্ছেন মাইক্রোসফটে

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যানের ছাটাইয়ের খবরে আলোচনা ঝড় উঠেছে বিশ্বে। এমন পরিস্থিতিতে জানা গেল, আরেক বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন তিনি। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে খবরটি। 

২০ নভেম্বর, সোমবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে এই কথা ঘোষণা করেছেন মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান সত্য নাদেলা।

তিনি লিখেছেন, "আপনাকে এই নতুন গ্রুপের সিইও হিসাবে যোগদান করাতে পেরে আমি খুবই উত্তেজিত, স্যাম। আমরা বছরের পর বছর ধরে অনেক কিছু শিখেছি যে, কীভাবে প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্ভাবকদের মধ্যে স্বাধীন পরিচয় এবং সংস্কৃতি গড়ে তোলার স্থান দিতে হয়। গেটহাব, মোজাং স্টুডিও, এবং লিংকডইন সহ মাইক্রোসফ্ট, এবং আমি আপনার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।" 

গত শুক্রবার হঠাৎ করেই ওপেনএআইয়ের সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় স্যাম অল্টম্যানকে। এ বিষয়ে এক ব্লগ বার্তায় ওপেনএআই জানিয়েছে, স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআইকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষমতা হারিয়েছেন। আর এ কারণেই তাকে সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্যাম অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে OpneAI সংস্থা থেকে আরও অনেক কর্মীরা পদত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কোম্পানি প্রেসিডেন্ট তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যান-ও রয়েছেন।

নাদেলা বলেছেন যে, অল্টম্যান এবং ব্রকম্যানের সঙ্গে ‘সহকর্মীরা’ থাকবেন। এই ‘সহকর্মীরা’ কথাটির অর্থ এটাই যে, যেসমস্ত কর্মীরা চলতি সপ্তাহে ওপেনএআই থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের সকলকেই নিয়োগ করে নিচ্ছে মাইক্রোসফট। 

উল্লেখ্য, মাইক্রোসফটের অর্থায়নেই যাত্রা শুরু করে ওপেনএআই। গত বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্বলিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি দিয়ে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এক বছরের মাথায় তাকে চাকরি হারাতে হয়।

অন্যদিকে টুইচের সাবেক প্রধান নির্বাহী এমেট শিয়ার ওপেনআইয়ের সিইও পদে যোগ দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।


ওপেনআই   সিইও   মাইক্রোসফট   সত্য নাদেলা   স্যাম অল্টম্যান   চ্যাটজিপিটি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে বিভ্রান্তিতে গ্রাহকরা

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে রীতিমত প্রতারণা শুরু করছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। বাজারে বড়, মাঝারি নানা প্যাকেজ ছেড়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে গ্রাহকদের।

মোবাইলের ডেটা প্যাকেজ নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর নতুন একটি নির্দেশিকা চূড়ান্ত করে বিটিআরসি। এতে ডেটার ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি প্যাকেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর মোবাইল অপারেটর গুলো ১ জিবির ৭ দিন মেয়াদি প্যাকেজের দাম নির্ধারণ করে দেয় ৬৯ টাকা। যা আগে ছিল ৪৬ টাকা। অনেক ঘেঁটেও এখন পাওয়া যাচ্ছে না সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই ডেটা প্যাকেজ। বেশিরভাগ প্যাকেজ কিনতেই এখন গুনতে হচ্ছে চড়া দাম।

বিটিআরসি সূত্র বলছে, ৬৯ শতাংশ গ্রাহকই তিন দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করেন। যাদের একবারে সাত দিনের প্যাকেজ কেনার সামর্থ্য নেই, বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের ফলে তারাই এখন বেশি বিপদে পড়েছেন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, জনপ্রিয় হওয়ার পরও ৩ ও ১৫ দিনের ডেটা প্যাকেজ বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে প্যাকেজ আপডেটের নামে চড়া দামে ডেটা বিক্রি করছে মোবাইল অপারেটররা। ইন্টারনেট প্যাকেজের দামের এই কারসাজি নিয়ে তাই অনেক গ্রাহকই জানাচ্ছেন তাদের অসন্তুষ্টির কথা।

মোহাম্মদপুর নিবাসী কলেজ শিক্ষার্থী সীমান্ত বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমাদের মত স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের জন্য কম দামে বিশেষ কোনো প্যাকেজ অপারেটররা রাখেন না। অথচ আমাদের বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট প্রতিদিনই ব্যবহার করতে হয়। আর ইন্টারনেটের গতি বাড়ার বদলে এখন উল্টো কমে যাচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যালেন্স রিচার্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এনামুল বলেন, আগে শুধু ইন্টারনেট কেনার জন্য  যেই রিচার্জ প্যাকেজ গুলো ছিল সেগুলো এখন আর কেউ কিনতে চায় না। এছাড়া ইন্টারেন্ট কার্ডগুলোও এখন আর নাই। ইন্টারনেটের সেবা কমে গেছে, দাম বেড়ে গেছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছে গ্রাহকদের যে অভিযোগ আসছে, তার অধিকাংশই ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট, বিশেষ করে মেগাবাইট কেটে নেওয়ার অভিযোগই সবচেয়ে বেশি। ১ জিবির একটি ইন্টারনেট প্যাকেজ কয়েক ঘণ্টা ব্রাউজিং আর ভিডিও স্ট্রিমিং-এই ফুরিয়ে যাচ্ছে অনেকের। যার কোনো ব্যাখ্যাও আসছে না অপারেটরদের কাছ থেকে। সেই সাথে ধীর গতির ইন্টারনেট ও সেবার মান নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

মুঠোফোনের ইন্টারনেটের প্যাকেজ নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে দিনশেষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ব্যবহারকারীরাই। ইন্টারনেট প্যাকেজের মতো অতি জরুরি সেবাকে তাই আরও উন্নত ও সহজলভ্য করার দাবী জানিয়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা।


ইন্টারনেট প্যাকেজ   প্রতারণা   মোবাইল ফোন অপারেটর   বিটিআরসি   ব্রাউজিং   ভিডিও স্ট্রিমিং   ইন্টারনেটের গতি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

ইনস্টাগ্রামে আসছে নতুন ফিচার

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

নতুন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। প্রযুক্তির বাজারে তার নিজের অবস্থান আগে থেকেই বেশ পোক্ত, এবার এটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। ব্যবহারকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার একাধিক ফিচার যুক্ত করতে যাচ্ছে তারা।

এবার অডিও নোট-সেলফি ভিডিও নোটে নতুন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। এর পাশাপাশি জন্মদিন এবং স্টোরি পোস্টেও থাকছে নতুনত্বের ছোঁয়া।

জানা গেছে, দ্রুতই এ ফিচারগুলো পরীক্ষামূলকভাবে আনবে মেটা। যা ব্যবহারকারীদের মধ্যে আরও সাড়া ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন ফিচারে প্রোফাইলে বার্থডে এফেক্ট যুক্ত করা যাবে। সেলফির পাশাপাশি ভিডিও নোটও পাঠানো যাবে।

এছাড়া ব্যবহারকারীরা অডিও নোটের মাধ্যমে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারবেন। বিশেষ মুহূর্ত শেয়ারের পাশাপাশি কারা কোন স্টোরি দেখতে পারবেন, সেই তালিকাও তৈরি করতে পারবেন ব্যবহারকারী।


ইনস্টাগ্রাম   নতুন ফিচার  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

অরোজ জেড৭৯০ এক্স জেন মাদারবোর্ড এখন বাজারে

প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে গিগাবাইট ব্রান্ডের অরোজ জেড৭৯০ এক্স চতুর্দশ প্রজন্মের মাদারবোর্ড। এই মাদারবোর্ডটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের শক্তিশালী সূচনা হিসেবে। 

এতে থাকছে ডিডিআর৫ প্রযুক্তির এর অসাধারণ কার্যক্ষমতা, বায়োস অপটিমাইজেশন সুবিধা যেমন নতুন ইউসি বায়োস, কাস্টমাইজযোগ্য বিকল্প স্লট এবং দ্রুত এ্যাক্সেস যা নতুন ডিজাইনের ইউআই এবং ইউএক্স অফার করে। মাদারবোর্ডটি ব্যবহারকারীদের জন্য কাজের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। 

এম ডট টু এসএসডি ইনস্টলেশনকে আরও সহজ করার জন্য রয়েছে এম ডট টু ইজেড ল্যাচ ক্লিক সুবিধা, অতিরিক্ত কাজ বা মাল্টিটাস্কিং সামলানোর মতো উন্নত ডিজাইন, ন্যানোকার্বন আবরণ এবং থার্মাল গার্ড যেটা তাপ নিয়ন্ত্রণে আদর্শ এবং এর অত্যন্ত টেকসই প্রযুক্তি যেমন পিসিআইই ইউডি স্লট এক্স যেটা ভারী কাজ সামলানোর ক্ষমতাকে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এইচডব্লিউ ইনফো এর সাথে যুক্ত হয়ে এখন এটি প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভুল হার্ডওয়্যার তথ্য উপস্থাপনের জন্য একদম প্রস্তুত। 

মাদারবোর্ডটিতে রয়েছে একটি ৫" এলসিডি এজ ভিউ ডিসপ্লে যাতে দেখতে পাবেন রিয়েল টাইম সিস্টেম তথ্য এবং মনোমুগ্ধকর সব ছবি। 

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এই সিরিজের ৪টি মডেলের মাদারবোর্ড পাওয়া যাচ্ছে। ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ মাদারবোর্ডগুলোর বাজারমূল্য ৩৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে।


অরোজ জেড৭৯০ এক্স   মাদারবোর্ড   গিগাবাইট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন