নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২১
দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে আজ দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার (০৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন
সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহসহ বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরম। শুক্রবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ অবস্থায় শনিবার কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
শুক্রবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাঙ্গাইলে ৪০ ডিগ্রি, যশোরে ৪১ দশমিক ২, রাজশাহী, মোংলা, ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি ও ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও রেকর্ড করা হয়েছে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ।
বর্ধিত দুদিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রবিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, ঢাকা জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে—তা আরও তিন দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত আবহাওয়া পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী তিন দিন কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এর মধ্যে আজ শনিবার ( ২০ এপ্রিল ) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও শিলা বৃষ্টিসহ আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া আগামীকাল রবিবার ২১ এপ্রিল ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে শিলা বৃষ্টি ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একই সঙ্গে দেশের কয়েকটি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। যা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের সঙ্গে আবহাওয়া অফিস ছয় বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অর্থাৎ এসব জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার ওপরে। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, দিনাজপুর, চাঁদপুর ও পটুয়াখালী জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সংস্থাটি বলছে, সারাদেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। রাত থেকে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
মন্তব্য করুন
সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে
তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র
বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ
মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও
চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে
তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা
জানান, পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই থাকবে এমন তাপপ্রবাহ। তবে বৃষ্টি হলে অঞ্চলভেদে
তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, দু’
একদিনের ঢাকা বিভাগ ও কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও এ বৃষ্টিতে গরমের
অস্বস্তি কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা
রয়েছে।
এ ছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিলেট বিভাগের দু’এক
জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া, দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
হিট ওয়েভ তাপদাহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা গরমের অস্বস্তি
মন্তব্য করুন
ক্রমাগত বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা। পরপর দুই দিন জেলায়
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের
হাঁসফাঁস অবস্থা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। ধান, আম,
লিচু ও সবজির ফলন এবং হাঁস–মুরগি ও গরু-ছাগল নিয়ে কৃষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ প্রথম
শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪০ দশমিক ৭
ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, সন্ধ্যা
৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে সারা
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
জামিনুর আরও বলেন, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা হলে তাকে
তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তিন দিন জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ
বইছে। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবদুস সামাদ নামের এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, ‘আমরা কি আর শক কইরে
রোদি পুড়তি আইচি। বাড়ি বইসে থাকলি তো প্যাট চলে না ভাই।’
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ফল ও ফসল রক্ষায় কৃষকেরা চিন্তিত
হয়ে পড়েছেন। ধান ও সবজিখেত এবং আম ও লিচুর পরিচর্যায় বাড়তি পরিশ্রমসহ অতিরিক্ত খরচ
জোগাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা তাদের।
সদর উপজেলার টেংরামারী-খেজুরতলা গ্রামের কৃষক কাসেদ আলী জানান,
ধানের খেতে বাড়তি সেচ দিয়েও পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। এই গরমে ঘর থেকে বের হতে মন চায়
না। কিন্তু বের না হলে তো ধান পুড়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্রে
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ২ হাজার ৫০০ হেক্টর
জমিতে আম এবং ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ করা হয়েছে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
তাপমাত্রা হলে ধানের পরাগায়ন ঝুঁকিতে পড়ে, আম ও লিচু ঝরে পড়ে এবং সবজি পুড়ে ক্ষতি হয়।
এ জন্য ধানখেতে ৫–৭ সেন্টিমিটার পানি রাখা এবং আম, লিচু ও সবজিখেতে পানি স্প্রে করতে
হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,
তাপপ্রবাহ চলাকালে গরুকে গোয়াল থেকে বাইরে বের করতে কৃষকদের বারণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে
অতিরিক্ত খাবার দেওয়া বন্ধ ও ভিটামিন সি খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা জানান, চলমান তাপপ্রবাহে করণীয় বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে করণীয় বিষয়ে স্বাস্থ্যবার্তা ছাপিয়ে বিলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার স্যালাইন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন
ক্রমাগত বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা। পরপর দুই দিন জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। ধান, আম, লিচু ও সবজির ফলন এবং হাঁস–মুরগি ও গরু-ছাগল নিয়ে কৃষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।