ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রজাতন্ত্র দিবস: দিল্লির রাজপথে চমক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail প্রজাতন্ত্র দিবস: দিল্লির রাজপথে চমক

১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের মতোই ২৬ জানুয়ারিও প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গর্বের দিন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ইংরেজ শাসনের থেকে স্বাধীনতা পায়। কিন্তু সে সময় ভারতের নিজস্ব কোনও স্থায়ী সংবিধান না থাকায় ব্রিটিশ সরকারের ১৯৩৫ সালের সংবিধান অনুযায়ী শাসিত হত স্বাধীন ভারত। ২৯ আগস্ট ভারতে স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি খসড়া কমিটি গড়ে তোলা হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ভারত খসড়া কমিটি সংবিধান সভায় তাদের সংবিধান জমা দেয়। ঐ বছরের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধান সভায় গৃহীত হয়। ২৪ জানুয়ারি সংবিধান সভার ৩০৮ জন সদস্য সংবিধানের হস্তলিখিত কপিগুলিতে সই করেন। এর মাত্র দু’দিন পর ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয় আর সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে ভারত। এই দিনটিই ভারতের রিপাবলিক ডে বা প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালিত হয়।

বিভিন্ন কার্যক্রমে এ দিনটি সাজিয়ে তোলে ভারতীয়রা। দিনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ রাজপথে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় জমকালো কুচকাওয়াজ। কুচকাওয়াজ শুরু হয় দিল্লির রাজপথ থেকে। আট কিলোমিটারের এ কুচকাওয়াজ শেষ হয় ইন্ডিয়া গেটে এসে। প্যারেডে অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা। এটি একটি বড় আকর্ষণ দেশের মানুষের কাছে। দিবসটি উপলক্ষে কাজাখিস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান থেকে বিশিষ্টজনেরা আসবেন এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে ২৪ হাজারের বদলে রাজপথে মাত্র আট হাজার মানুষকে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ বছরের নীচে কোনও শিশু এবং ভ্যাকসিন নেননি এমন মানুষ কুচকাওয়াজে অংশ নিতে পারবেন না।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে প্রতি বছর বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো অংশগ্রহণ করে। ট্যাবলোগুলি দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে দেশবাসীকে পরিচয় করায়। এদিন সেনাবাহিনীতে বীরত্বের জন্য পরম বীর চক্র, অশোক চক্র এবং বীর চক্র দেওয়া হয়। আর রাষ্ট্রপতি প্রদান করেন বিখ্যাত পদ্মশ্রী পুরস্কার।

উল্লেখ্য, এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের ওপর হামলার ছক কষেছে আতঙ্কবাদীরা, এমনই তথ্য পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার তরফে একটি নয় পাতার রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ফলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভারত   প্রজাতন্ত্র দিবস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মমতা বললেন বাংলার গাদ্দার, জবাবে যা বললেন মিঠুন

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘বাংলার গাদ্দার’ বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, ছেলে মিমোকে বাঁচাতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছেন ‘ফাটা কেষ্ট’ খ্যাত মিঠুন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পশ্চিবঙ্গের রায়গঞ্জে তৃণমূলের জনসভায় মিঠুনের ব্যাপারে এসব কথা বলেন মমতা। মিঠুনও অবশ্য চুপ করে বসে থাকেননি। মমতার কথার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনিও। 

শিলিগুড়ির রোড-শো থেকে মিঠুন বলেন, ‘গাদ্দার ভদ্দার সর্দার সব আমি। যা ইচ্ছা ওকে বলতে বলুন। কিছু যায় আসে না। এখানে যত ভিড় বাড়বে, তত ওর মাথা খারাপ হয়ে যাবে।’

এর আগে মিঠুন প্রসঙ্গে ইসলামপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘এই মিঠুনকে ভোটের সময় আমি রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না, ও বাংলার আর এক জন গাদ্দার। আরএসএস অফিসে গিয়ে মাথা নিচু করে এসেছিল। শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য।’

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন মিঠুন। তার পর চিটফান্ড দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায় এবং মিঠুন সাংসদ পদ ছেড়ে দেন। এর পর মিঠুনের ছেলের নামে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নাগপুরের আরএসএস দফতরে গিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর ভোটের মুখে ব্রিগেডের জনসভায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ছেলেকে বাঁচাতে বিজেপির শরণাপন্ন হয়েছেন মিঠুন। মমতাও বৃহস্পতিবার তা নিয়ে কটাক্ষ করেন মিঠুনকে।


মমতা   মিঠুন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাদ্দার ভদ্দার সর্দার সব আমিঃ মিঠুন

প্রকাশ: ০৯:৫০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে 'বাংলার গাদ্দার' বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, ছেলে মিমোকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিঠুন।  

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) পশ্চিবঙ্গের রায়গঞ্জে তৃণমূলের জনসভায় মিঠুনের ব্যাপারে এসব কথা বলেন মমতা। 

শিলিগুড়ির রোড-শো থেকে মমতার কথার উত্তরে মিঠুন বলেন, ‘গাদ্দার ভদ্দার সর্দার সব আমি। যা ইচ্ছা ওকে বলতে বলুন। কিছু যায় আসে না। এখানে যত ভিড় বাড়বে, তত ওর মাথা খারাপ হয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, মিঠুন প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, 'এই মিঠুনকে ভোটের সময় আমি রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না, ও বাংলার আর এক জন গাদ্দার। আরএসএস অফিসে গিয়ে মাথা নিচু করে এসেছিল। শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য।' 

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন মিঠুন। তার পর চিটফান্ড দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায় এবং মিঠুন সাংসদ পদ ছেড়ে দেন। এর পর মিঠুনের ছেলের নামে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নাগপুরের আরএসএস দফতরে গিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর ভোটের মুখে ব্রিগেডের জনসভায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ছেলেকে বাঁচাতে বিজেপির শরণাপন্ন হয়েছেন মিঠুন। মমতাও বৃহস্পতিবার তা নিয়ে কটাক্ষ করেন মিঠুনকে।


মিঠুন চক্রবর্তী   মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়   রাজ্যসভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই গরমে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজ্যের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা ছাড়া বাকি সব জেলার স্কুল আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী ২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যচালিত স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছুটি আগামী ৫ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এক সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, 'স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি... ২২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। রাজ্যর দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকার স্কুলগুলো এ ঘোষণার বাইরে থাকবে। এই দুই জেলায় বিদ্যমান একাডেমিক সময়সূচি পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।'

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করার একদিন পরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এ ঘোষণা এলো। আর ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে, রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। 

এদিকে বেসরকারি স্কুলগুলোকেও ২২ তারিখ থেকে গরমের ছুটি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত ছুটির জন্য যে ক্ষতি হবে তার জন্য অতিরিক্ত ক্লাস করানোর জন্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির দিনক্ষণ ঘোষণা দেয়া হলেও স্কুল কবে খুলবে, তা বলা হয়নি। কবে স্কুল খুলবে, তা অবস্থা বুঝে জানাবে রাজ্য সরকার।

আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গজুড়ে জারি থাকবে গরম আবহাওয়ার সর্তকতা। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বাঁকুড়া ও নদীয়া জেলায়ও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে।


পশ্চিমবঙ্গ   স্কুল   ছুটি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ভাগ্য আটকে গেল মার্কিন ভেটোতে

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পর্যাপ্ত ভোট পাওয়ার পরও নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের সদস্য পদ পেলো না ফিলিস্তিন। মার্কিন ভেটোতেই আটকে গেল ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথ। 

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২ সদস্যই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেয়নি। তবে ইসরায়েলের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে সব ভোটই ভেস্তে গেছে।

ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে দরকার ছিলো মাত্র ৯ ভোট। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জনের ফেভার পেয়েও খালি হাতেই ফিরতে হলো ফিলিস্তিনকে। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন, এদের একজন ভেটো দিলেই ওই প্রস্তাব আর পাস হয় না।

বর্তমানে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। 


জাতিসংঘ   ফিলিস্তিন   ভেটো   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৮তম লোকসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। 

৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফার ভোটে তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। 

এ নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ভোট দেবেন, যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি।

নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে।

ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন।

গত ১৬ মার্চ ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন।

তপশিল অনুযায়ী, মোট সাত দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোটের দিন ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন সবশেষ দফার ভোট হবে।

৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। লোকসভা আসন কম এমন কয়েকটি রাজ্যে মাত্র এক দিনেই ভোট হবে। কিন্তু যেসব রাজ্যে আসন বেশি সেখানে কয়েক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ২ হাজার ৬০০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর রয়েছে নিজস্ব প্রতীক—যেমন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রতীক ভোটের মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভারতের বেলায় সত্য। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ভোটারই নিরক্ষর, তাই প্রতীক দেখেই তারা কে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তা বুঝতে পারেন।

এবার ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি। তারা সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন।


ভারত   সাত দফা   লোকসভা নির্বাচন   গণতান্ত্রিক দেশ   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন