ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

করোনায় যখন উঠছে পশ্চিমের বিধিনিষেধ, বাড়ছে এশিয়ায়

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail করোনায় যখন উঠছে পশ্চিমের বিধিনিষেধ, বাড়ছে এশিয়ায়

করোনা মহামারীর অতি সংক্রমণে যখন বিশ্ববাসীর জীবনযাত্রা একেবারের স্থবিরতা ভেতর দিয়ে পার হচ্ছে তখন আস্তে আস্তে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দেশে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ থেকে সরে আসছে। সেখানে যেনো ঠিক উলটো পথে হাঁটছে এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ। কোন কোন দেশ তো করোনার সূচনা লগ্নের চেয়েও বেশি কঠোর লকডাউন জারি করছে দেশে। 

এশিয়ার অনেক দেশ তাদের করোনার ভ্যাক্সিন কার্যক্রম আরো জোরালো করলেও তারা করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনের আগমনে দেশে লকডাউন থেকে শুরু করে জীবন যাত্রায় আরো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে। 

করোনায় লকডাউন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজির অধ্যাপক চো সুং-ইল বলেন, ‘এশীয়রা স্বাধীনতার চেয়ে জীবনকে বেশি মূল্য দিয়ে থাকতে পারেন। এর কারণ হতে পারে স্বাধীনতার জন্য জীবন বিপন্ন করে গণ–অভ্যুত্থানের তরতাজা স্মৃতি হয়তো আমাদের নেই।’

অন্যদিকে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিশেষজ্ঞ বেন কাউলিং বলেন, ‘আমি মনে করি, এশিয়ার দেশগুলোও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সম্ভবত বিশ্বের অপর অংশের তুলনায় বেশি সাবধানতার সঙ্গে। বিধিনিষেধ এ সাবধানতারই অংশ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং তারপর জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পদক্ষেপগুলো শিথিল করা হবে।’

চীনের মূল ভূখণ্ডে কর্তৃপক্ষ করোনা ঠেকাতে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতিতে কাজ করছে। এর ফলে সেখানে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ প্রায় বন্ধ হচ্ছে, আবার ঘন ঘন কঠোরতর বিধিনিষেধ ও বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে।

মহামারির এ দুই বছরে করোনা সংক্রমণে এখনই সবচেয়ে টালমাটাল হংকং। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে তারা স্কুল, বার ও শরীরচর্চাকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার পর রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়াও বন্ধ করা হয়েছে। ‘এশিয়ার বিশ্বনগরী’ হিসেবে পরিচিত চীননিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চল কঠোরতম কোয়ারেন্টিন ও সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন মহানগরীগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। অবশ্য এ কঠোর অবস্থান থেকে সামান্য সরে এসে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিন ২১ থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করা হচ্ছে।
জাপানে দৈনিক করোনা শনাক্ত প্রায় ৮০ হাজারে পৌঁছেছে। অনাবাসী সবার জন্য জাপানের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। দেশটির ৪৭টি প্রিফেকচারের (প্রশাসনিক অঞ্চল) মধ্যে ৩৪টিতে বার ও রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

মহামারির পুরো সময়জুড়ে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ এড়িয়ে চলা দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। দেশটিতে একসঙ্গে ছয়জনের বেশি সমবেত হওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া রাত ৯টার পর বার, রেস্তোরাঁ ও শরীরচর্চাকেন্দ্র খোলা রাখায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো দেশটিতে ৬ ফেব্রুয়ারি বিধিনিষেধ নিয়ে নতুন ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। 

মহামারির মধ্যে বিশ্বের যে দেশগুলো সীমান্তে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করেছে, সেগুলোর অন্যতম নিউজিল্যান্ড। দেশটি জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে ধাপে ধাপে সবার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত খোলার যে পরিকল্পনা করেছিল, তা ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ পিছিয়ে দিয়েছে ওমিক্রনের কারণে। এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত নিউজিল্যান্ডের হাজারো নাগরিকের অসন্তোষ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

অপরদিকে ইউরোপে সর্বশেষ দেশ হিসেবে ডেনমার্ক গত বুধবার প্রায় সব ধরনের করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। যদিও এখনো দেশটিতে দিনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে চলতি মাসেই যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড অনেকটা একই পদক্ষেপ নিয়েছে। ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সংক্রমণ বাড়লেও গুরুতর অসুস্থতা বাড়েনি। কোভিড-১৯–এর যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ৩০-৪০ শতাংশের অসুস্থতার অন্য কারণ রয়েছে। ফ্রান্সও আগামী সপ্তাহ থেকে হসপিটালিটি ভেন্যুগুলোতে বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে।

এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ এখনো এ সুযোগ না দিলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অধিকাংশ দেশ পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহীতাদের জন্য কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণ চালু করছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিমান ভ্রমণ ৯৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে, যা অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।

টোকিওর টেম্পল ইউনিভার্সিটির এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক জেফরে কিংস্টোন আল–জাজিরাকে বলেন, বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাও কাজ করে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কঠোর সীমান্ত নীতির পেছনে তাঁর দুই পূর্বসূরির মহামারি মোকাবিলা নিয়ে ক্ষমতা হারানোর প্রভাব রয়েছে।

জেফরে কিংস্টোন বলেন, ‘এর জন্য জনগণকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে বিশেষত যেসব শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসতে চায় বা যেসব ব্যক্তি তাদের পরিবারের কাছে আসতে চায় তাদের জন্য। এটা অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর, পর্যটন খাতে আঘাত, স্বল্প পুঁজির রেস্তোরাঁ ও বার মালিকদের দেউলিয়া হওয়ার পথ তৈরি এবং পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা পথে বসার উপক্রম হয়। বৈশ্বিক মহামারি থেকে তা শেষের দশা আসবে, কিন্তু কখন তা কেউ জানে না।’

তবে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় করোনায় যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা পূর্ব এশিয়ায় না হওয়ায় ‘একটি মাত্রায় আত্মতুষ্টির’ কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিংস্টোন।


ইউরোপ   লকডাউন   এশিয়া   করোনা   টিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলার দাবি হুতির

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

পার্স টুডে বলছে, বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে হুতির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার তথ্য জানিয়ে বলেন, এডেন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মেয়ারস্ক ইয়র্কটাউন ও একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ভেরাক্রুজে হামলা করা হয়েছে। এ দুটি অপারেশনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান জেনারেল সারি। 

এদিকে আরব নিউজ জানিয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান আমব্রে বলছে, এডেন বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে হামলা হয়েছে। আর মার্কিন কর্তৃপক্ষ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট হুতিদের চারটি ড্রোন এবং একটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই: শাহবাজ শরিফ

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিল্প প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি অধিবেশন চলার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম তখন আমাদের বলা হতো এটি (বাংলাদেশ) আমাদের কাঁধের বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন সেই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। এ সময় শাহবাজ আরও বলেন, ‘আমরা যখন তাদের (বাংলাদেশ) দিকে তাকাই তখন আমরা লজ্জাবোধ করি।’

এদিন পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির সিন্ধু সিএম হাউসে অর্থনীতির উন্নতির উপায় খুঁজতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। ব্যবসায়ী নেতারা এ সময় অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় শাহবাজের সংকল্পের প্রশংসা করলেও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের ফলে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করারও পরামর্শ দেন করাচির ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করারও অনুরোধ জানান।


শাহবাজ শরিফ   পাকিস্তান   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চড় মারতেই অজ্ঞান স্ত্রী, মৃত্যু হয়েছে ভেবে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঝগড়া সময় স্ত্রীকে চড় মারতেই জ্ঞান হারান স্ত্রী। স্ত্রী মারা গেছেন ভেবে ভয় পেয়ে যান তিনি। এরপর কোনো কিছু না ভেবেই আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যের তিরুঅনন্তপুরমে।   

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রীজিত। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তখন তার স্ত্রী সিনসিনা এ নিয়ে ঝগড়া করেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়।

রাগের বশে স্ত্রীকে আচমকা চড় মেরে বসেন প্রীজিত। আর এতেই জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান সিনসিনা। তাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন প্রীজিত। কিন্তু স্ত্রীর কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

সিনসনা পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন প্রীজিত গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। তড়িঘড়ি করে প্রীজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


ভারত   মৃত্যু   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ১৪

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েক দিনে ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এসব মরদেহ বেশ কয়েক দিন ধরে উপকূলে ভেসে ছিল।

এদিকে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে।

বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।


তিউনিসিয়া   উপকূল   নৌকাডুবি   নিহত ১৪  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসের আকাশ ঢেকে গেছে রঙিন কুয়াশায়

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রিসের আকাশ সূর্য্যের দেখা মিলছে না। কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ। এ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা পুরো আকাশ। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে এমন দেথা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা। ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা।

২০১৮ সালের পর ফের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে।

দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে এই ধূলিকণা। যা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও।

গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে গ্রিসে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশটিতে ২৫টি দাবানলের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে যার বেশিরভাগ ভেসে আসে ইউরোপের দেশে।


গ্রিস   আকাশ   রঙিন   কুয়াশা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন