ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইয়েমেন যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার শিশুযোদ্ধা: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৩:২৯ পিএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ইয়েমেন যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার শিশুযোদ্ধা: জাতিসংঘ

ইয়েমেনের উপর সৌদি জোটের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে গত দুবছরে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দুই হাজার শিশু যোদ্ধা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মে মাসের মাঝে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহত হওয়া এইসব শিশু যোদ্ধাদের বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। 

রোববার (৩০ জানুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। 

প্রকাশিত ওই রিপোর্টে জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিহত প্রায় ২ হাজার শিশু যোদ্ধার বয়স ১০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু আমরান, হাজ্জাহ, হোদেইদাহ, ইব্ব, সাদা এবং সানায় নিহত হয়। 

অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে যোদ্ধা হিসেবে অল্পবয়সীদের নিয়োগের কাজে স্কুল, ক্যাম্প ও মসজিদকে ব্যবহার না করতে সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে এই কাজে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশু-কিশোরদের মাঝে নিজেদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উৎসাহিত করতে দেশটির হুথি বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি ক্যাম্প এবং একটি মসজিদকে ব্যবহার করছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের চার সদস্যের প্যানেল জানিয়েছে, শিশুদের হুথি বিদ্রোহীদের স্লোগান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই স্লোগানে ‘আমেরিকার মৃত্যু, ইসরায়েলের মৃত্যু, ইহুদিদের প্রতি অভিশাপ, ইসলামের বিজয়’ উচ্চারণ করা হচ্ছে। তাদের ভাষায়, ‘একটি ক্যাম্পে ৭ বছর বয়সী শিশুদেরও অস্ত্র পরিষ্কারের এবং রকেট হামলার শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।’

প্যানেল আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালে যুদ্ধের ময়দানে প্রাণ হারানো ১ হাজার ৪০৬ জন শিশু যোদ্ধার নামের তালিকা তাদের হাতে এসেছে। এছাড়া ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসের মধ্যে নিহত আরও ৫৬২ জন শিশুযোদ্ধার তালিকাও জাতিসংঘের হাতে রয়েছে। এসব শিশুযোদ্ধাকে হুথি বিদ্রোহীরা নিয়োগ করেছিল।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের সচ্ছল এই দেশ।

ইয়েমেন   সৌদি আরব   আরব আমিরাত   জাতিসংঘ   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে বড় আকারের রকেট হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে বড় আকারে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার জবাবে উত্তর ইসরায়েলের সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের একটি সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খোদ হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

এ হামলা প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলের আইন জেইটিম ঘাঁটিতে ৯১ তম ডিভিশনের তৃতীয় পদাতিক ব্রিগেডের সদর দপ্তরে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট দিয়ে বোমাবর্ষণ করেছে। অতি সম্প্রতি শ্রীফা, ওদাইসেহ এবং রাব তলাতিনে হামলাসহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্রাম এবং বেসামরিক বাড়িঘরে ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ওই তিনটি গ্রামে ইসরায়েলি হামলার খবর দিয়েছে লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সিও (এনএনএ)।

এদিকে সবশেষ হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের আইন জেইটিম এলাকায় নিক্ষেপ করা আনুমানিক ৩৫টি রকেট চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সৈন্যরা এর প্রতিক্রিয়ায় রকেট নিক্ষেপের উৎস স্থানগুলোতে পাল্টা হামলা করেছে বলেও জানিয়েছে তারা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের ওপর প্রতিশোধস্বরূপ গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে।

সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠীটি সীমান্তের ওপারে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত লেবাননে কমপক্ষে ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ১০ জন সৈন্য ও ৮ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ১৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল   রকেট হামলা   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা সাময়িকভাবে প্রশমিত হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২৯ সেন্ট কমায় প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ ডলারে।

অন্যদিকে, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাজারে এই তেল প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয় ৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে।

বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক ইয়েপ জুন এ বিষয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বর্তমানে বিক্রির ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত সপ্তাহের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডাটা থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ২৭ লাখ ব্যারেল বেড়েছে, যা বিশ্লেষকদের ১৪ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্লেষকরামনে করছেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের জন্য বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হতে পারে। ফলে ইরানের জ্বালানি তেল উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারেও।

বিশ্ববাজার   জ্বালানি তেল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অতিরিক্ত তাপে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত তাপের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। 

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)—এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে ‘পেশাগত রোগ’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আইএলও   আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আজ রাতেই দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদের

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।

বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।


গোলাপী   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভার প্রথম এমপি বিজেপির মুকেশ দালাল

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। 

এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস। 


লোকসভা   বিজেপি   মুকেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন