ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীরা


Thumbnail যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীরা

চলতি বছরের আগস্টে পাকিস্তানের ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এই দেশটির রাজনীতির গতিপথ অনুমান করা কঠিন। এ কারণেই দেশটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ১৯৪৭ সাল থেকে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী যদি তার ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারতেন তাহলে ইমরান খান পাকিস্তানের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হতেন। কিন্তু, ইমরান খান ছিলেন দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার একমাত্র কারণ নির্ধারিত মেয়াদের আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের নানা কারণে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে। 

শনিবার (৯ এপ্রিল) দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরা‌তে সংস‌দের স্পিকার, ডেপু‌টি স্পিকা‌রের পদত্যা‌গের পর অনাস্থা ভো‌টে হে‌রে পা‌কিস্তা‌নের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারা‌ন ইমরান খান। শনিবার মধ্যরাতে পা‌কিস্তান মুসলিম লী‌গ-নওয়া‌জের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ সাংসদ ও প্যা‌নেল স্পিকার আয়াজ সা‌দি‌কের সভাপ‌তি‌ত্বে অনাস্থা ভো‌টে হে‌রে পা‌কিস্তা‌নের সাত দশ‌কের কো‌নো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ কর‌তে না পারার ইতিহাসের অংশ হ‌লেন সা‌বেক এ ক্রি‌কেট তারকা। পার্লামেন্টে জাতীয় পরিষদে ১৭৪ জন সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। ভোট শেষে ফল ঘোষণা করেন নতুন স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়া সরদার আয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। তবে এ প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ পরিস্থিতিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধীরাও আদালতের দ্বারস্থ হন। টানা পাঁচ দিন শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট ৭ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। দিনভর চলে নাটকীয়তা। কয়েক দফায় অধিবেশন স্থগিত করা হয়। 

এ তো গেলো ইমরান খানের ঘটনা। সম্প্রতি জিও নিউজ পাকিস্তানে ক্ষমতা থেকে পূর্ববর্তী সকল সরকার প্রধানকে কিভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল তার একটি প্রতিবেদন করেছে। সেখানে ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকার প্রধানের মেয়াদকাল এবং ক্ষমতাচ্যুতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো এখন তুলে ধরা হলো।

লিয়াকত আলী খান: ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট-১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর (৪ বছর)

পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। মৃত্যুর আগে ৪ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

খাজা নাজিমুদ্দিন: ১৯৫১ সালের ১৭ অক্টোবর-১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল (২ বছরের কম)

লিয়াকত আলী খান নিহত হওয়ার একদিন পর ১৯৫১ সালের ১৭ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেন খাজা নাজিমুদ্দিন। কিন্তু, ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর দাঙ্গার কারণে নাজিমুদ্দিনকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল গোলাম মুহাম্মদ। কিন্তু, তিনি সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল নাজিমুদ্দিনকে গভর্নর জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন।

মোহাম্মদ আলী বগড়া: ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল-১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট (২ বছর)

১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী বগড়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু, ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট আঞ্চলিক ইস্যুতে দ্বন্দ্ব এবং পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার না থাকায় ভারপ্রাপ্ত গভর্নর-জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা তাকে সরিয়ে দেন।

চৌধুরী মোহাম্মদ আলী: ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট-১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর (১ বছর)

চৌধুরী মোহাম্মদ আলীকে ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন ভারপ্রাপ্ত গভর্নর-জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা। ১৯৫৬ সালের সংবিধানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য পাকিস্তানে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর নাম এখনো উচ্চারিত হয়। কিন্তু, ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দলের সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে এবং আইয়ুব খানের একনায়কতন্ত্র নিয়ে স্পষ্টবাদী হওয়ার কারণে চাপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তিনি পদত্যাগ করেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী: ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর-১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর (১ বছর)

প্রগতিশীল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। কিন্তু, ইস্কান্দার মির্জার সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন।

ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগার: ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর-১৯৫৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর (২ মাস)

ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগার ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ২ মাস।

ফিরোজ খান নুন: ১৯৫৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর-১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর (১ বছরের কম)

১৯৫৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ফিরোজ খান নুনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে উন্নীত করেন ইস্কান্দার মির্জা। কিন্তু, ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির সময় নুনকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন।

নুরুল আমিন: ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর-১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর (১৩ দিন)

দীর্ঘ ১৩ বছর সামরিক আইন জারির পর স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খানের প্রশাসনের অধীনে নুরুল আমিনকে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। দায়িত্ব পালনের ১৩ দিনের মাথায় ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর আমিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

জুলফিকার আলী ভুট্টো

জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ১৯৭৭ সালে পুনরায় সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। কিন্তু, স্বৈরশাসক জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া উল হক তাকে কারাবন্দী করেন। ১৯৭৯ সালে ভুট্টোর ফাঁসি হয়।

মুহাম্মদ খান জুনেজো: ১৯৮৫ সালের ২৩ মার্চ-১৯৮৮ সালের ২৯ মে (৩ বছর)

মুহাম্মদ খান জুনেজো ১৯৮৫ সালের ২৩ মার্চ সামরিক একনায়কতন্ত্রের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে, ১৯৮৮ সালের ২৯ মে জুনেজোর সরকার বরখাস্ত করা হয়।

বেনজির ভুট্টো: ১৯৮৮ সাল-১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট (২ বছর)

পাকিস্তানে জেনারেল জিয়া-উল-হকের বছরের পর বছর সামরিক শাসনের পর বেনজির ভুট্টো ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তার দল অভিশংসন থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু, তার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি এবং ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান তাকে সরিয়ে দেন।

নওয়াজ শরীফ: ১৯৯০ সাল-১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই (৩ বছরের কম)

নওয়াজ শরীফ ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু, ১৯৯৩ সালে আবারও রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান একটি নির্বাচিত সরকারকে বরখাস্ত করেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট শরীফের সরকারকে পুনর্বহাল করেন। কিন্তু, সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান ওয়াহিদ কাকার ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই নওয়াজ শরীফ এবং গুলাম ইসহাক খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

বেনজির ভুট্টো: ১৯৯৩ সাল-১৯৯৬ সালের নভেম্বর (৩ বছর)

বেনজির ভুট্টো ১৯৯৩ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু, এবারও তিনি তার মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। কারণ রাষ্ট্রপতি ফারুক লেঘারি ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে তার সরকারকে বরখাস্ত করেন।

নওয়াজ শরীফ: ১৯৯৭ সাল-১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর (২ বছর)

নওয়াজ শরীফ ১৯৯৭ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন। তবে, তার পূর্বসূরির মতো তিনিও ৫ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন।

মীর জাফরুল্লাহ খান জামালি: ১৯ মাস

জাফরুল্লাহ খান জামালি স্বৈরশাসক পারভেজ মোশারফের অধীনে প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু, মোশাররফ তাকে বরখাস্ত করার আগে তিনি মাত্র ১৯ মাস দায়িত্ব পালন করেন।

চৌধুরী সুজাত: ২০০৪ সালের ৩০ জুন-২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট (২ মাস)

চৌধুরী সুজাত ২০০৪ সালের ৩০ জুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হন। শওকত আজিজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সুজাত।

শওকত আজিজ: ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট-২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর (৩ বছর)

শওকত আজিজ ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।

ইউসুফ রাজা গিলানি: ২০০৮ সাল-২০১২ সাল (৪ বছর)

ইউসুফ রাজা গিলানি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ১৮তম প্রধানমন্ত্রী হন। তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জন করে। কিন্তু, ২০১২ সালে শীর্ষ আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

রাজা পারভেজ আশরাফ: ২০১২ সালের ২২ জুন-২০১৩ সালের ২৪ মার্চ (১ বছরের কম)

পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকারের অবশিষ্ট মেয়াদ শেষ করতে গিলানির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজা পারভেজ আশরাফ। ২০১২ সালের ২২ জুন থেকে ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

নওয়াজ শরীফ: ২০১৩ সালের জুন-২০১৭ সালের ২৮ জুলাই (৪ বছরের বেশি)

নওয়াজ শরীফ ২০১৩ সালের জুনে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসেন। পাকিস্তানের পূর্ববর্তী সব প্রধানমন্ত্রীর তুলনায় এখন পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অভিশংসিত হওয়ার আগে তিনি ৪ বছর ৫৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।

শাহীদ খাকান আব্বাসি: ২০১৭ সালের আগস্ট-২০১৮ সালের ৩১ মে (১ বছরের কম)

নওয়াজ শরীফকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে শাহীদ খাকান আব্বাসিকে ২১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু, ২০১৮ সালের ৩১ মে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কারণ নতুন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়।

ইমরান খান: আগস্ট ১৮, ২০১৮-এপ্রিল ১০, ২০২২ (৩ বছরের বেশি)

২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান খান। কিন্তু, ইমরান খানও নিজের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান খান।

সূত্র: জিও নিউজ

প্রধানমন্ত্রী   ইমরান খান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, গুগলের আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

‘প্রজেক্টি নিম্বাস’ নামের ১২০ কোটি ডলারের এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড সেবা প্রদান করবে গুগল।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গুগলের কার্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইড’ শীর্ষক এই গোষ্ঠীর প্রতিবাদকারীরা। গত সোমবার তারা এক বিবৃতিতে জানান, গুগল আরও ২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর আগের সপ্তাহে আরও ৩০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।

নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেননি, বরং তারা পাশে দাঁড়িয়ে এই সমাবেশ দেখেছেন। কর্মক্ষেত্রের এসব তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণও তেমন একটা নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে গুগলের মতো মহিরুহ প্রযুক্তি কোম্পানি আগ্রাসী ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, সেদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণ আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি গেছে, তা ঠিক। তবে ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেননি, এ দফায় কতজন চাকরি হারিয়েছেন।

গুগলের সিইইউ সুন্দর পিচাই এই ঘটনার পর কর্মীদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জায়গা গুগল নয়। তিনি কর্মীদের আরও বলেন, তারা হলেন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা নীতি অনুযায়ী সবই করবেন।


ইসরায়েল   চুক্তি   বিরোধিতা   গুগল   ২০ কর্মী   ছাঁটাই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার অর্ধেক মানুষের দিন কাটছে অনাহারে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘অনাহারে’দিন কাটছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অর্ধেক জনসংখ্যার। আর চরম এই খাদ্য সংকটের মাঝে তাদের যে সাহায্যটুকু দেওয়া হচ্ছে তা বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএফপি বলেছে- গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক, আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ অনাহারে রয়েছে।

সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছে, ডব্লিউএফপি যখন প্রতি মাসে গাজায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে, তখন প্রয়োজন এতটাই তীব্র যে- এই ধরনের প্রচেষ্টা ‘প্রয়োজনের তুলনায় সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো’।

এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ত্রাণ সংস্থাও বলেছে, অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।


গাজা   অর্ধেক মানুষ   অনাহার   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক ১৩৩

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। আদালতের সমন জারির পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।


গাজা   যুদ্ধ   প্রতিবাদ   নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়   আটক ১৩৩  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমেরিকায় কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দু’জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডগলাস ডিসি-৪ নামের ওই কার্গো প্লেনটি মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল )  ফেয়ারব্যাঙ্কস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়।

আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে উড্ডয়ন করে এবং এর কিছুক্ষণ পরেই তানানা নদীর কাছে এটি বিধ্বস্ত হয়।

ওই অঙ্গরাজ্যের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি নদীর তীরে একটি খাড়া পাহাড়ের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।

কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)।

উল্লেখ্য, ডগলাস ডিসি-৪ মডেলের এই প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। বিশ্বে এ ধরনের অল্প কিছু প্লেন রয়েছে।


আমেরিকা   কার্গো প্লেন   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় এক কবরে শত শত লাশ

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই কবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ এখনো চলছে। এতগুলো মরদেহ দেখে হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। খবর সিএনএনের।

খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল।

গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।


গাজা   কবর   শত শত লাশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন