ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গৃহযুদ্ধ বন্ধ করা মাহিন্দ্রাই এখন বড় ‘ভিলেন’

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২২


Thumbnail গৃহযুদ্ধ বন্ধ করা মাহিন্দ্রাই এখন বড় ‘ভিলেন’

কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের জীবন যেনো এক ঘোর শঙ্কার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে অর্থনৈতিক সংকট এমন এক পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে যে দেশটি এখন নিজেকে দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সুখি আর আধুনিক এই দেশটিতে একসময় গৃহযুদ্ধ থামিয়ে দেশব্যাপী শান্তির সুবাতাস বয়ে নিয়ে এসে নায়ক বনে যাওয়া মানুষটিই এখন দেশটির সবচেয়ে বড় ভিলেনে পরিণত হয়েছেন।

একসময়ের দ্বীপরাষ্ট্রটির নায়ক, বীর হিসেবে সমাদৃত দেশটির সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেই এখন সময়ের পালাবদলে সবার অপ্রিয় একজন ভিলেন। 

ক্ষমতার চেয়ার বদলে কি পরিবর্তন ঘটবে শ্রীলঙ্কার মানুষের ভাগ্যের নাকি নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের হাত ধরে ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত হবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের? কেন এমন বিপর্যয় এবং পরবর্তীতে কী ঘটতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায় তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

চলতি বছর এপ্রিলের শুরু থেকে বিক্ষোভকারীরা দেশকে অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে চরম সহিংসতায় রূপ নেয় সেই আন্দোলন।

মাহিন্দা রাজাপাকসে গত সোমবার পদত্যাগ করার পর তার সমর্থকরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিবাদে রাজধানী কলম্বোসহ দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংসতা। রাজাপাকসেদের মালিকানাধীন বেশ কয়েকটি বাড়িসহ রাজনীতিবিদদের কয়েক ডজন বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। সহিংসতায় নিহত হন আটজন। আহত হন আরও দুইশজন। দেশজুড়ে জারি করা হয় কারফিউ।

বিক্ষোভ চলাকালে অবরুদ্ধ ৭৬ বছর বয়সী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করে দেশটির সেনাবাহিনী। নিরাপত্তার জন্য দেশটির উত্তর-পূর্বে একটি নৌ ঘাঁটিতে আছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। সর্বশেষ আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দুইবার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকা মাহিন্দা রাজাপাকসেকে।

অভিযোগ উঠছে, তার ভাই ৭২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মাহিন্দা সরকারের ওপর চাপ কমাতে তেমন কিছুই করেননি। বরং মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করার পর তিনি নতুন মন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দিয়েছেন।

১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কাকে এবারই চরম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রার অভাব। এই আর্থিক বিপর্যয় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকারী একটি পরিবারের জন্য নাটকীয় পতন ঘটিয়েছে।

পূর্বসূরিরা ব্যর্থ হলেও শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের (এলটিটিই) সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কার মানুষের কাছে নায়ক হয়ে ওঠেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। ২০০৯ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি তাদের পরাজিত করেন। যুদ্ধের পরপরই বিজয় কুচকাওয়াজ ও জনসাধারণের এক অনুষ্ঠানে তাকে সিংহল বৌদ্ধ রাজাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা-পরবর্তী শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সিংহল বৌদ্ধ নেতা।

প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুশল পেরেরা বলেন, এমনকি কেউ কেউ তাকে সম্রাট মাহিন্দা বলেও প্রশংসা করেন। মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নিয়ে ২০১৭ সালে তার লেখা বই ‘রাজাপাকসে: সিংহালা সেলফিতে’ দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজনীতিতে রাজাপাকসে পরিবারের ভূমিকা ও কীভাবে মাহিন্দা ক্ষমতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন তা তুলে ধরেছেন।

মাহিন্দা একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। ১৯৭০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি পার্লামেন্টে যান ও সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। মাহিন্দা শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার অধীনে শ্রমমন্ত্রী এবং মৎস্য ও পানিজসম্পদমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ২০০৪ সালের এপ্রিলে সাধারণ নির্বাচনের পর মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর থেকেই ক্ষমতার আসন পাকাপোক্ত করেন মাহিন্দা। ২০০৫ সালে মাহিন্দা শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে জয়ের পরপরই তিনি লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলমকে (এলটিটিই) ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে মাহিন্দা তার অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছেন। সংবিধান পরিবর্তন করে তাকে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। তার তিন ভাই গোতাবায়া, বাসিল ও চামালকে প্রভাবশালী পদে বসানো হয়।

মাহিন্দাই রাজাপাকসে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এতদিন তার সব ভাই একত্রে কাজ করে আসলেও দেশের অর্থনীতিতে যখন টালমাটাল অবস্থা তখন দেখা দেয় ভাঙনের সুর। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানান। আর এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে হয়তো তার রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটলো।

যদিও তার ছেলে নামাল, রাজাপাকসের ভাইদের মধ্যে দ্বন্দের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে অবশ্যই দুই ভাইয়ের রাজনৈতিক কৌশলে পার্থক্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি দাবি করেন, তার বাবা মাহিন্দা রাজাপাকসে সবসময় দেশের সাধারণ কৃষক ও আমজনতার সঙ্গে ছিলেন। সূত্র: বিবিসি

শ্রীলঙ্কা   মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে   ক্ষমতা   রনিল বিক্রমাসিংহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'মোদি কি গ্যারান্টি' নামে বিজেপির ইশতেহার

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। জনগণের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা নিয়ে সামনে আসছে মনোনীত দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নিজেদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে।  

রোববার (১৪ এপ্রিল) ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে সেই ইশতেহারপত্র সামনে এনেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রকাশিত এই ইশতেহারকে ‘নতুন ভারতের ছবি’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। দ্যা হিন্দু, এনডিটিভি।   

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বিজেপি বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের ইশতেহারটি সাজিয়েছে। তৃতীয় মেয়াদে আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো বৃদ্ধি এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি  ইশতেহারে ‘শক্তিশালী ভারত’ গড়ায়ও সংকল্পবদ্ধ মোদি। সেই সঙ্গে দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া, এক দেশ, এক ভোট ও এক আইনের পক্ষেও দলীয় অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণ ছাড়াও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের কঠোর অবস্থানের কথাও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে জানিয়েছে বিজেপি। 

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি ইশতেহারে বলেন, ৭০ বছর বয়স্কদের পাঁচ লাখ টাকা স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা হবে। দেশের ১০ কোটি কৃষককে ১০০ দিনের কাজের আওতায় আনা হবে। ইশতেহারে দেশের কমপক্ষে তিন কোটি নারীকে ‘লাখপতি দিদি’ করার ঘোষণা করেন মোদি। 

এছাড়াও, গৃহহীন মানুষের জন্য দেশে চার কোটি বাড়ি তৈরি করবে বিজেপি সরকার। এছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও সামাজিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার তথা তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে ইশতেহারে বলা হয়েছে। 

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপির লক্ষ্য জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান। এই ইশতেহারে এর উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনা হয়েছে। 

মোদি বলেছেন, ইশতেহারটি অবকাঠামো, বিমান চলাচল, রেলপথ, বৈদ্যুতিক যানবাহন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, সেমিকন্ডাক্টর এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তবে গত পাঁচ বছরে জরিপের ফল অনুসারে ভারতে বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি ও গ্রামীণ জনপদে দুর্দশার ইঙ্গিত উঠে এসেছে। যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে উদ্বেগের বিষয় হিসাবে হাজির হচ্ছে। ক্ষমতায় এলে এগুলো মোকাবিলা করাই হবে মোদির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


বিজেপি   ইশতেহার   ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:৪৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে।  

সোমবার(১৫ এপ্রিল) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।


পশ্চিমবঙ্গ   তাপমাত্রা   ভারত   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেয়ারবাজারে পতন, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দামে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারবাজারগুলো পড়েছে পতনের মুখে। ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। 

চলমান দ্বন্দ্ব দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ঝুঁকি তৈরি করবে বলেও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে। উপরন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে কমে যেতে পারে রেমিট্যান্স আয়। যা রিজার্ভকে আরও চাপে ফেলবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে আছি। আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহের প্রভাব বাজারে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ যাতে বাজারে না আসে, তা মোকাবিলা করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার পর পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ¦ আরও ঘনীভূত হলে অর্থনীতি ও পণ্যে আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তাও মনিটরিং করা হচ্ছে।


শেয়ারবাজার   পতন   বিশ্ববাজার   ইরান   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি ভিত্তিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইসলামাবাদ ও তেহরান প্রেসিডেন্ট রাইসির এ সফরের ব্যাপারে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রাইসির এ সফর আগামী ২২ এপ্রিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরে প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল থাকবে। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে কূটনৈতিক একটি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ সফর করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসির আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতা, গ্যাস পাইপলাইন এবং সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।


পাকিস্তান   সফর   ইরান   প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হিজবুল্লাহর হামলায় ৪ ইসরায়েলি সেনা আহত

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েল জানিয়েছে, লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের চার সেনা আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লেবানন সীমান্তে রাতে বিস্ফোরণ ঘটলে এই চার সেনা আহত হন।

হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের ভূখণ্ডে প্রবেশের পর তাদের যোদ্ধারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। 

আল জাজিরার খবর অনুসারে, এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েল সীমান্তের কাছে দক্ষিণ লেবাননের তেল ইসমাইল এলাকায় বিস্ফোরক ডিভাইস পুঁতে রেখেছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের একটি টহল দল লেবাননে প্রবেশ করে যেখানে ডিভাইসগুলো লাগানো ছিল সেখানে পৌঁছালে তাদের যোদ্ধারা ডিভাইসগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের ফলে ‘মৃত্যু ও আহত  হয়েছে। যদিও তারা কোনও প্রমাণ সরবরাহ করেনি।

ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, লেবাননের ভূখণ্ডের কয়েকশ মিটার ভেতরে রাতে ওই বিস্ফোরণে চার ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, ঘটনাটি লেবাননের ভেতরে ঘটেছে।’

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেই কেবল হামলা থামাবে তারা।


হিজবুল্লাহ   হামলা   ইসরায়েল   সেনা   আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন