মন্তব্য করুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানী সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে মহাশক্তিধর সাত দেশের সম্মিলিত সংঘ জি-৭। তারা জানিয়েছেন বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোতে সৃষ্ট সংকট থেকে উত্তরণের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করে জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালীনা বায়েরবক গত শনিবার জি-৭ এর সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে আগত দিনগুলোতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হবে।"
জি-৭ এর তিনদিন ব্যাপী সভায় এর নেতারা আগত দিনগুলোতে বৈশ্বিক সংকটের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে বলেছেন এবং তাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
"রাশিয়ার আগ্রসী মনোভাব এই বৈশ্বিক সংকটের জন্য দায়ী। যা বিগত কয়েক দশকের সকল ভয়াবহতা অতিক্রম করবে এবং খাদ্য ও জ্বালানী সংকট সৃষ্টি করবে। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোর জনগণ", দাবী জি-৭ নেতৃবৃন্দের।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেছেন, "কানাডা বিশ্বের অন্যতম কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিকারক দেশ, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ইউরোপিয়ান বন্দরগুলোতে জাহাজ পাঠতে প্রস্তুত।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের এখনই এইসব সংকট সমাধান করা জরুরি, নইলে বিশ্বের শত শত কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবে।"
এর আগে গত শুক্রবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা সামরিক সহযোহিতার জন্য ইউক্রেনের বন্ধু রাষ্ট্রদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, "তিনি ও তার সরকার রাশিয়ার সাথে বৈঠকে বসতে আগ্রহী, কিন্তু মস্কো থেকে ইউক্রেন কোন সারা পায়নি।"
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলয এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "পুতিন তার সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন, এবং এই যুদ্ধে যতোধিক সৈন্য নিহত হয়েছে তা রাশিয়ার আফগানিস্তান যুদ্ধের থেকেও বেশি।"
"আশাকরি পুতিন ইতোমধ্যে বুঝতে পারছেন যে এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় ইউক্রেনের সাথে আলোচনা শুরু করে সমাধান করা", যোগ করেন শলয।
এই যুদ্ধের সকল ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার রাশিয়াকেই নিতে হবে জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বায়েরবক। তিনি আরও জানান যে, এই সকল ক্ষয়ক্ষতির জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন জি-৭ খাদ্য সংকট জ্বালানী মস্কো অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
সোমালিয়ার শান্তি রক্ষায় আবারও সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০২০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোমালিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য অপসরণ নীতি থেকে সরে এসে আবারও সেখানে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার, এমনটাই জানানো হয়েছে পেন্টাগন থেকে।
হাসান শেখ মাহমুদ, গত পড়শু সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর পরই এমন ঘোষণা আসে। সোমালিয়ায় দীর্ঘদিন থেকেই আল-সাবাব নামের একটি ইসলামী চরমপন্থি গোষ্ঠী দেশটির ক্ষমতা নিতে বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। সোমালিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
২০২০ সালে সোমালিয়া থেকে ট্রাম্পের সৈন্য অপসারণের সময় বিশ্বের অনেক দেশই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। আমেরিকার নিরাপত্তা কমিশনের মুখপাত্র আদ্রিয়ানে ওয়াটসন বলেছেন, "পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এবার নতুন করে কয়েক দফার আপাতাত ৫০০ সৈন্য মোতায়ন করা হবে।"
গত কয়েক দশক ধরেই দুর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং অব্যবস্থাপনা, এবং দুর্ভিক্ষ সহ বিভিন্ন রকম সমস্যায় জর্জরিত সোমালিয়া। এখন দেখার বিষয় নতুন রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি পুনর্গঠনে কি ভূমিকা রাখতে পারেন।
সোমালিয়া মার্কিন সৈন্যবাহিনী শান্তি রক্ষা
মন্তব্য করুন
রাশিয়া ইউক্রেন ন্যাটো যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা ও আত্মসাৎ ঘটনার হোতা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এখন পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে ইডি।
এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে (স্পেশাল কোর্ট) তোলা হয় পি কে হালদারকে। এ সময় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ইডি।
এদিন সকালে ইডির আঞ্চলিক দপ্তর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পিকে হালদারকে নিয়ে যাওয়ার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মেডিকেল চেকআপ করে ফের ৯.৩০ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। এসময় গণমাধ্যমের কর্মীরা প্রশ্ন করলে একটি প্রশ্নেরও উত্তর দেননি পি কে।
১০ হাজার কোটি টাকা তছরুপের মামলার এই হাইপ্রোফাইল আসামি প্রায় ১০০ ঘণ্টার বেশি রয়েছেন এক পোশাকে। ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, তার নিকটাত্মীয় বা পরিচিত পরিচয়ে কেউ এগিয়ে এসে তার বা তার সাথীদের পোশাক দিতে আসেননি। তাই এক পোশাকেই তাদের দিন পার হচ্ছে।
গত শুক্রবার (১৩ মে) পশ্চিমবঙ্গের ১১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কেসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়। শনিবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের হেফাজতে নেয় ইডি।
২০০২ সালের ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ (পিএমএলএ) এর অধীন গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদার ছাড়াও অন্য নাগরিকরা হলেন প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদার। গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনকেই রোববার পিএমএলএ' এর আওতাধীন বিশেষ আদালতে তোলা হলে ৫ জনকে ইডির রিমান্ডে নেয়া হয় একজনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
ভারতে ১০ দিনের রিমান্ডে পি কে হালদার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন