ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরানের আজাদি মার্চ স্থগিত, জনমনে বিস্ময় ও সংশয়

প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ২৯ মে, ২০২২


Thumbnail ইমরানের আজাদি মার্চ স্থগিত, জনমনে বিষ্ময় ও সংশয়

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার (২৬মে) হঠাৎ করেই 'হাকিকি আজাদি মার্চ' কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে অনেকেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আজাদি মার্চ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু হঠাৎ তাঁর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় ক্ষমতাসীন জোটকে ছয় দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। অন্যথায় পরবর্তী সময় আরও বেশি লোকজন নিয়ে রাজধানীতে ফিরে আসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অবশ্য হঠাৎ এই কর্মসূচী থেকে সরে আসায় তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকে এর মধ্যে সমঝোতার আভাসও পাচ্ছেন। একইসাথে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টিও গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিচ্ছে। 'আজাদী মার্চ' রাজধানীমূখী না হয়ে সমাবেশে সীমাবদ্ধ থাকার পেছনে সেনাবাহিনীর কলকাঠি দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সরকার-পিটিআই মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় চাপ বাড়তে থাকে। শক্তিশালী স্টেকহোল্ডারদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল—এমন পরিস্থিতিতে অর্পিত দায়িত্বের বিষয়ে পুরোপুরি সজাগ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে তারা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারেন না।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত ভূমিকার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের মনোভাব একই। একমাত্র পার্থক্য হলো রাজনৈতিক দলগুলো আর একই অবস্থানে নেই। সূত্রটি বলছে, আস্থার সংকট রয়েছে। এই মুহূর্তে কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না।

সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে সূত্রটি বলেছে, সেনাপ্রধানের অবসরে যাওয়ার এক মাস আগে চলতি বছরের অক্টোবরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা প্রবল। স্পিকারের দপ্তরেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে সেখানে আরও দর-কষাকষি হতে পারে। 

তড়িঘড়ি করে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণার বিষয়ে পিটিআইয়ের একজন নেতা বলেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ইমরান। এর পেছনে বাস্তব কারণ ছিল। তিনি বলেন, যাহোক, সব স্টেকহোল্ডারের স্বার্থই রক্ষা হয়েছে, যাকে ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’ বলা যেতে পারে। সমাবেশের উপস্থিতি প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘কখনো সংখ্যাটা মুখ্য, কখনো প্রতীকী বার্তা; গত রাতের (বুধবার রাত) সমাবেশ ছিল অনেকটাই প্রতীকী।’

আরেক পিটিআই নেতা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে রাখার কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছিল না। ব্যাপক জনসমাগমে সরকার বিচলিত হতে পারে, এমন আশঙ্কার বিষয়ও ছিল। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে না গিয়ে শুধু শক্তি প্রদর্শনের সিদ্ধান্তে যায় পিটিআই।

ওই নেতা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়াতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে তড়িঘড়ি করে কর্মসূচি শেষ করে দেন ইমরান। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কয়েক হাজার মানুষের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ঠেকাতে কারা সেনাবাহিনীকে ডেকে এনেছে। এটা ছিল জনগণকে সেনাবাহিনীর মুখোমুখি করার চেষ্টা।

ছয় দিন পর কর্মসূচিতে ফেরার বিষয়ে এই পিটিআই নেতা বলেন, কর্মসূচিতে ফেরার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত বহাল। পরবর্তী রাজনৈতিক জমায়েতে সর্বোচ্চ আদালত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এটি পিটিআইকে আরও স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

ইমরানের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে সূত্রটি বলেছে, জনগণ সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে, যেখানে বিশ্বের কোথাও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমোদন অস্বীকার করা হয় না বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে গত ৯ এপ্রিল ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। এরপর নতুন নির্বাচনের দাবিতে চাপ সৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করেন তিনি। সবশেষ ২৫ মের আজাদি মার্চ ছিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অংশ। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে ওঠেনি।
যাহোক, লংমার্চ ও আলটিমেটামের একটি অর্জন হলো—বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ঘোষণা।

আজাদি মার্চ   পাকিস্তান   ইমরান খান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ধ্বংস; দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

রয়টার্স সূত্র বলছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, সেখানকার আঞ্চলিক রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকার প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, ৩৬ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে।

এএফপির ওই খবরে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।

এর আগে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, একটি হামলায় ইরানপন্থি নয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডার রয়েছেন। একটি উপত্যকায় তাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।


সিরিয়া   ইসরায়েল   বিমান হামলা   লেবানন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত রোজারিওর হলো না স্বপ্নপূরণ

প্রকাশ: ১০:২৮ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় দশ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভ্রমণে পাড়ি জমান রোজারিও পরিবার। স্বপ্নপূরণে স্থায়ীভাবে থাকতে আবেদনও করেছিল আমেরিকায়। তাই দুই বছর আগে গ্রিনকার্ড অনুমোদন হয়। তবে আর দু-এক মাসের মধ্যেই উইন রোজারিও পেয়ে যেত স্বপ্নের গ্রিনকার্ড। তার স্বপ্ন ছিল গ্রিনকার্ড পেলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে যোগ দেবেন। কিন্তু এর আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল উইনের। ধরে দেখা হলো না কাঙ্ক্ষিত গ্রিনকার্ড, আর অপূর্ণই থেকে গেল নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন।

বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় নিজ বাসায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছরের উইন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ওই তরুণ পুলিশ সদস্যদের দিকে এক জোড়া কাঁচি নিয়ে তেড়ে গেলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। ছেলে হারানোর শোকে ভালো করে কথাও বলতে পারছেন না বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও।

বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ছেলে আমার নিউইয়র্কের জন এডাম স্কুল থেকে থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছিল। তাকে নিয়ে আমাদের কত স্বপ্ন ছিল!’

ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, মানসিক সমস্যার কারণে দুবার জ্যামাইকা হসপিটালে ভর্তি হয়েছিল উইন। এ সমস্যার জন্যই আমাদের কাছে বেশি আদরের ছিল সে। আর সে ছেলেই হারিয়ে গেল মায়ের কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে।

উইনের ছোট ভাই উৎস রোজারিও বলেন, পুলিশ গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরে রাখা অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

মর্মন্তুদ ঘটনার সাক্ষী মা ইভা ডি কস্টার আর্তনাদ যেন থামার নয়। ক্রমাগত কেঁদেই চলেছেন ছেলের কথা বলতে বলতে। বাঙালি কমিউনিটির আইনি পরামর্শকেরা এসেছেন তাঁদের সান্ত্বনা দিতে এবং মামলার বিষয়ে পরামর্শ করতে। কমিউনিটির নেতাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সিস রোজারিও।

রোজারিও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান আইনজীবী মঈন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পরিবারের অনুমতি নিয়ে আমরা পুলিশের কার্যক্রম তদন্ত করছি। তাদের কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা করব।’

নিহত উইনের দূর সম্পর্কের আত্মীয় সুখেন জোসেফ গোমেজ। তিনি বলেন, উইনের মায়ের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর বাবার বাড়ি পুবাইলে। আমার মা এবং উইনের মা বাংলাদেশ থেকেই পরিচিত। এ ছাড়া রোজারিও পরিবারের সঙ্গে অন্য কারও খুব একটা যোগাযোগ ছিল না।’

সুখেন বলেন, রোজারিও পরিবার এখানে আসার পর গুটিকয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে খুব একটা দেখা যেত না। তাঁদের বাসায় যতবার গিয়েছি, উইনকে দেখেছি পড়ালেখা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতে।

উইনের ভাই উৎস রোজারিও বলেন, ‘ভাই ছিলেন খুবই অন্তর্মুখী স্বভাবের। খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সব সময়। আমেরিকার মেরিনে (নৌবাহিনী) যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছাড়াও তাঁর ইচ্ছা ছিল বড় অ্যাথলেট হওয়ার। বাসায় চর্চাও করতেন। খুব একটা বন্ধুবান্ধব ছিল না তাঁর। আমিই ছিলাম তাঁর বন্ধু।’


নিউইয়র্ক   গুলি করে হত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মমতার ‘মৃত্যু কামনা’ করে বিতর্কে বিজেপির প্রার্থী

প্রকাশ: ০৯:৪৪ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের। প্রচারের পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্যে জড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। এসব বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অনেকের প্রার্থিতাও বাতিল হচ্ছে। অনেকের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগও উঠেছে।

পশ্চিমবঙ্গে দিলীপ ঘোষের পর এবার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তমলুকের এ বিজেপি প্রার্থী। তার একটি মন্তব্য তুলে ধরে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, নেত্রী মমতার মৃত্যু কামনা করেছেন সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ। এ নিয়ে অভিজিতের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করারও প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অভিজিৎকে বলতে শোনা যায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হচ্ছে মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। মনে হচ্ছে!’ যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অভিজিতের বক্তব্যের যে অংশটি তুলে তৃণমূল কংগ্রেস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে, তা ছয় সেকেন্ডের। তার আগে পরে তিনি কী বলেছেন তার কোনো উল্লেখ নেই। এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘বিজেপির দিলীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কে কত নিম্নরুচির পরিচয় দিতে পারেন, সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিজেপির প্রার্থীরা। কী অবস্থা! এরা এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করছেন।’

তৃণমূলের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, অভিজিৎকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। তৃণমূলপ্রধান মমতা ব্যানার্জিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অবশ্য বিপাকে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাকে তার দল বিজেপি শোকজ করেছে। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনও মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা বর্ধমান-দুর্গাপুরের এবারের বিজেপি প্রার্থী দিলীপকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। দিলীপের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও দায়ের হয়েছে। দিলীপের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। মমতার পিতৃপরিচয় তুলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ। এবার অভিজিতের বিরুদ্ধেও কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসকদল।


ভারত   বিজেপি   মমতা ব্যানার্জী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৪৫

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কেবল একটি মেয়ে শিশু বেঁচে গেছে। জরুরী অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর পঁয়তাল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য এই ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবিসি বলছে, উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে বাসটি একটি ব্যারিয়ারে ধাক্কা দেওয়ার পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং পরে এটিতে আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসি জানিয়েছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথে একটি সেতু থেকে ছিটকে পড়ে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে উদ্ধার তৎপরতা এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিহত কয়েকজনের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং পরে তিনি ‘মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা’ জানান। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা আপনার সাথে আছে। আমরা এই ইস্টার উইকএন্ডে আমাদের রাস্তায় আরও বেশি লোক থাকায় আরও বেশি সতর্কতার সাথে সবসময় দায়িত্বশীল ভাবে ড্রাইভিং করার জন্য অনুরোধ করছি।’

অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার খারাপ সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।


সড়ক দুর্ঘটনা   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন