ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খাগোশি হত্যাকাণ্ড ভুলে সালমানকে স্বাগত জানালো এরদোয়ান

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ২৩ জুন, ২০২২


Thumbnail খাগোশি হত্যাকাণ্ড ভুলে সালমানকে স্বাগত জানালো এরদোয়ান

ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর এই প্রথম তুরস্ক সফরে গেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

ওই ঘটনা নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে যে গভীর ফাটল তৈরি হয়েছিল, তা কমিয়ে আনা তার এই সফরের লক্ষ্য। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে তিনি একান্ত বৈঠকও করবেন।

এরদোয়ান একবার পরোক্ষভাবে এমন অভিযোগও করেছিলেন যে, সৌদি যুবরাজের নির্দেশেই এজেন্টরা জামাল খাশোগিকে হত্যা করে। তবে মোহাম্মদ বিন সালমান এই ঘটনার সঙ্গে তার যেকোনও ধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।

তুরস্কে অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হওয়ার পর তারা এখন বেশি করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাহায্য চাইছে। সেই পটভূমিতেই তুরস্কে সৌদি যুবরাজের এই সফর।

এর আগে তুরস্ক একই রকমভাবে মিশর, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে, যা বিগত বছরগুলোতে ভালো যাচ্ছিল না।

এদিকে যুবরাজ মোহাম্মদও চাইছেন তাকে যে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করা হয়েছিল, সেটা থেকে বের হয়ে আসতে এবং তার শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ভূমিকা পুনরুদ্ধার করতে।



এর আগে মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে এ-সপ্তাহে তিনি জর্ডান এবং মিশরে যান এবং সামনের মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। ২০১৯ সালে জো বাইডেন জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি আরবকে ‘একঘরে’ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

জামাল খাশোগি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার এক কলামিস্ট এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অন্যতম সমালোচক। তাকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। তিনি তার তুর্কি বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করার লক্ষ্যে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য।

জাতিসংঘের এক তদন্ত কর্মকর্তা তার তদন্তের উপসংহার টেনেছিলেন এই বলে যে, জামাল খাশোগিকে রিয়াদ থেকে আসা ১৫ সদস্যের একটি শক্তিশালী দল হত্যা করেছিল এবং এরপর তার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল। কনস্যুলেটের ভেতরের কথাবার্তা গোপনে রেকর্ড করেছিল তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থা, সেটা শুনেই জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

এরদোয়ান যদিও সরাসরি যুবরাজ মোহাম্মদকে এই ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত করেননি, তিনি দাবি করেছিলেন, এই হত্যার নির্দেশ যে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে, সেটা তিনি জানেন।

সৌদি তদন্ত কর্মকর্তারা অবশ্য এই ঘটনার জন্য দায় চাপিয়েছিল কিছু শৃঙ্খলা-ভঙ্গকারী এজেন্টকে, এবং বলেছিল এই অভিযানের বিষয়ে যুবরাজ কিছুই জানতেন না।

এক বছর পর, একটি সৌদি আদালত এই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে তাদের এই সাজা লঘু করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর এই অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে অপর তিনজনকে ৭ হতে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, আঙ্কারায় যুবরাজ মোহাম্মদের সঙ্গে তার আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে কিভাবে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নেয়া যায়, সেটা নিয়ে কথা হবে।

একজন সিনিয়র তুর্কি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেনে, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে ‘একদম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং সংকট পূর্ববর্তী অবস্থায়’ ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জ্বালানি, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে চুক্তিও হবে। 

জামাল খাশোগির তুর্কি বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিস যুবরাজ মোহাম্মদকে তুরস্কে স্বাগত জানানোর সমালোচনা করেছেন এবং ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন।

এই টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “প্রতিদিন এক একটি দেশে সফরে গিয়ে যে রাজনৈতিক বৈধতা তিনি অর্জন করছেন, তাতে করে তিনি যে একজন খুনি সেই সত্যটা বদলে যাচ্ছে না।”

তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা কামাল কিলিকডারুগলু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সমালোচনা করেন এই বলে যে, খাশোগির হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল যে ব্যক্তি, তাকে তিনি আলিঙ্গন করছেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত এপ্রিল মাসে সৌদি আরব সফরে যান এবং সেখানে প্রকাশ্যেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করেন। সূত্র: বিবিসিবাংলা

তুরস্ক   সৌদি আরব   এরদোয়ান   মোহাম্মদ বিন সালমান   জামাল খাশোগি   হত্যাকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, 'ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন- তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি। ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।'

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না- প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, 'অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না- তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি না…কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।' 

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। 

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।


ন্যান্সি পেলোসি   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু   পদত্যাগ   ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খেলার মাঠে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, করলেন গোলও!

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনকে দেখা গেলো খেলার মাঠে। আবার গোলও পেয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানী প্যারিসে এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন তিনি। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর।

ম্যাকরনের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ দিদিয়ের দেশম, দিদিয়ের দ্রগবা, আর্সেন ওয়েঙ্গারসহ সাবেক বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। খেলার মাঠে বেশ সাবলীল ও কৌশলী ভূমিকায় দেখা গেছে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। মিস করেননি পেনাল্টি। সুযোগ পেয়েই পাঠিয়ে দিয়েছেন গোলবারের ভেতর। ছুটে এসে অভিনন্দন জানান টিম সদস্যরা। কিছু সময়ের জন্য যেন সবাই ভুলে গেলেন দেশের প্রেসিডেন্ট তিনি।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফুটবল জার্সি পরে মাঠে নামলেন ম্যাকরন। এর আগে, ২০২১ সালে প্যারিসে শহরতলির একটি দাতব্য ম্যাচে খেলতে নেমেছিলে। সেবারও পেনাল্টিতে গোল পেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রীতি ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই ব্যয় হবে শিশুদের চিকিৎসার জন্য। ম্যাচটি আয়োজন করে ম্যাকরনের স্ত্রী ব্রিজিত পরিচালিত ভ্যারাইটিস ক্লাব অফ ফ্রান্স (ভিসিএফ) নামে একটি দাতব্য সংস্থা।


ফ্রান্স   প্রেসিডেন্ট   খেলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইইউ পার্লামেন্টে শ্রম ইস্যুতে নতুন বিল পাস

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শ্রমিকের সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা। আর সে লক্ষ্যে আইনের দিকে ঝুঁকে নীতি নির্ধারকরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ আইন পাস হলো ইইউ পার্লামেন্টে। পক্ষে ভোটা ৩৭৪টি, ভোট দানে বিরত ছিল ১৯ জন আর বিপক্ষে ভোট পরেছে ২৩৫।

ডিউ ডিলিজেন্স আইনে বলা হয়, দেশে-বিদেশে ইইউর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো, কর্মীর সংখ্যা ১০০০ এর উপরে তারা পরবে নতুন আইনের আওতায়। সেসব করপোরেটদের নিশ্চিত করতে হবে শ্রমিক ও পরিবেশ নিরাপত্তা। নইলে গুনতে হবে জরিমানা।

বাংলাদেশের ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এ বিষয়ে বলেন, ইউরোপের মালিকানাধীন কিংবা অন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান যাদের ১০০০ এর উপর কর্মী আছে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো তাদের সবাইকে যদি ইউরোপের বাজারে আগামীতে ব্যবসা করতে হয় তবে নিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার এবং পরিবেশের নিরাপত্তা।

তবে এখনই শ্রম ইস্যুতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতীয় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মনযোগী হবার আহবান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শিল্প কারখানায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের সার্বিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে যদি কোন ইইউ প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয় নিশ্চিত না করে, বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

নতুন আইনটি পাশ হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে আলোচনার শেষে কার্যকর হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান চার্লস।


শ্রমিক   অধিকার   বিল   পাস   ইইউ পার্লামেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেরালায় বিজেপি জিতে না পারার কারণ কি?

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে বিজেপির উত্থান হলেও দক্ষিণের রাজ্য কেরালার চিত্র একেবারেই বিপরীত। বামদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কেরালা একমাত্র রাজ্য, যেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কখনো একটি আসনও জেতেনি। রাজ্যটি দখলে প্রাণপণ চেষ্টা করলেও গেরুয়া শিবির কেন তা পারছে না? রাজ্যটিতে বিজেপির পিছিয়ে থাকার কারণ কী?

স্বাধীনতার পর থেকে কেরালা রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতায় বসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। দেশটির দক্ষিণের এ রাজ্যে বরাবরই বাম-কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে জনগণ। প্রগতিশীল মানুষের ঘনত্বের গড় বিচারে কেরালা রাজ্যটির অবস্থান সবার ওপরে।

শুধু তাই নয়, শিক্ষাতেও এগিয়ে রাজ্যটি। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আধুনিকতা ছাড়াও এ রাজ্যের মানুষ ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় চিন্তাশীল, বন্ধুত্বপরায়ণ এবং গঠনমূলক বলেও মনে করা হয়। প্রশ্ন আসতে পারে, এসবের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রিয়তা না বাড়া কিংবা ভোট না পাওয়ার সম্পর্ক কী?

বিজেপিকে এ রাজ্যে ভোট পেতে হলে রাজ্যটির ৪৫ শতাংশ অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মত পেতে হবে। অর্থাৎ খ্রিষ্টান এবং মুসলমানদের ভোট পেতে হবে। নারী ভোটাররা এখানকার আরেকটি ট্রাম্প কার্ড। রাজ্যের মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি নারী; তারা রাজনৈতিকভাবে শুধু সচেতনই নন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঘোর বিরোধী।

ধর্মীয় আবেগকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবসহ বহু রাজ্যে বিজেপির রকেট গতিতে উত্থান হলেও কেরালায় বিজেপির সলতেতে আগুন তো দূরের কথা, তেলও দিতে পারছেন না শীর্ষ নেতারা।

গেলো লোকসভা নির্বাচনে ২০ আসনের রাজ্যটিতে বিজেপি শূন্য। একইভাবে ২০২১ সালের রাজ্যটির বিধানসভা ভোটেও বিজেপির ঝুলিতে যায়নি ১৪০ আসনের একটিও। পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি টিমটিম করে জ্বলা বাতির মতোই।

যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। তবে শেষ কথা বলবে কেরালার শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


কেরালা   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘ইরান কখনোই নিষেধাজ্ঞার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না’

প্রকাশ: ১০:৫৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী  বুধবার তেহরানে হাজার হাজার শ্রমিকের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো ইরানকে তাদের সামনে নতজানু করা এবং তাদের পুরোপুরি অনুসরণে বাধ্য করা। কিন্তু ইতিহাস-ঐতিহ্যের অধিকারী মহান ইরানি জাতি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র গুণ্ডামি ও বাড়াবাড়ির সামনে নত হবে না। ইরানি জাতি কখনই বৈশ্বিক অহংকার দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং নিষেধাজ্ঞাকে সুযোগে পরিণত করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'আমরা বহু বছর ধরে আমেরিকা এবং ইউরোপের কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। তাদের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কী? তারা পারমাণবিক অস্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলছে। এটা মিথ্যাচার। এগুলো কিছু নয়। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা হচ্ছে এই অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদী কারা? গাজাবাসীরা সন্ত্রাসী!'

তিনি আরও বলেন, 'আমেরিকা ও ইউরোপের মতে গাজার জনগণ সন্ত্রাসী। একটি বদমাইশ, দখলদার ও অবৈধ সরকার মাত্র ছয় মাসে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে শিশু রয়েছে কয়েক হাজার। এরপরও তারা সন্ত্রাসী নয়, কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত বোমা হামলার মধ্যে রয়েছে তারা সন্ত্রাসী! ইহুদিবাদী ইসরায়েল (ফিলিস্তিনিদের) ক্ষেত-খামার ও ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে যাতে উপশহর নির্মাণ করতে পারে। ফিলিস্তিনিরা তাদের কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেওয়া বাড়িটি  রক্ষার চেষ্টা করছে। সে কীভাবে সন্ত্রাসী হতে পারে? তারাই সন্ত্রাসী যারা তাদের ওপর বোমাবর্ষণ করছে।'


ইরান   নিষেধাজ্ঞা   আত্মসমর্পণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন