ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনকে ৪৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২৪ জুন, ২০২২


Thumbnail ইউক্রেনকে ৪৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেমসহ আরও অন্যান্য অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অস্ত্র সহায়তার আর্থিক মূল্যমান ৪৫০ মিলিয়ন বা ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস। শুক্রবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজে নতুন হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসহ অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম রয়েছে।’ এছাড়াও এই সহায়তায় হাজার হাজার রাউন্ড আর্টিলারি গোলাবারুদ এবং টহল বোট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। তবে রাশিয়া বলছে এই আগ্রাসন তাদের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’। এছাড়া যুদ্ধের শুরুতে পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড আক্রান্ত হলেও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল মনোযোগ এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়।

এএফপি বলছে, অত্যাধুনিক আর্টিলারি গোলাবারুদ ব্যবহার করে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। জোরদার এই হামলায় নিয়মিতই ভূখণ্ড হারাচ্ছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। আর তাই রাশিয়াকে মোকাবিলায় হিমারস (HIMARS) নামে পরিচিত রকেট সিস্টেমগুলো ইউক্রেনের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

এদিকে অত্যাধুনিক এই রকেট সিস্টেমের প্রাথমিক চারটি ইউনিট ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অত্যাধুনিক এবং অত্যন্ত নির্ভুল অস্ত্র চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করতেই প্রাথমিকভাবে সেগুলো পাঠানো হয়েছে।

জন কিরবি বলছেন, সর্বশেষ এই চালানের মাধ্যমে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১০ কোটি মার্কিন ডলারে।

ইউক্রেন   যুক্তরাষ্ট্র   সামরিক   সহায়তা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল বনাম ইরান, কার কত শক্তি

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভৌগোলিক অবস্থানে ইরান

ইরানের আয়তন ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার এবং  ইসরায়েলের আয়তন ২১ হাজার ৯৩৭ বর্গকিলোমিটার। ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ইরাক, তুরস্ক, আরমেনিয়া, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের।

ভৌগোলিক অবস্থানে ইসরায়েল 

ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মিসর, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের। বিশ্বে ১০৮তম অবস্থানে থাকা ইরানের অন্য দেশের সঙ্গে সীমানার পরিমাণ ৫ হাজার ৮৯৪ কিলোমিটার। ইসরায়েলের আছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার।

ইরানের প্রাকৃতিক সম্পদ

ইরান প্রতিদিন উত্তোলন করে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল। প্রুভেন অয়েল রিজার্ভের ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। তাদের প্রুভেন রিজার্ভ ২১ হাজার কোটি ব্যারেল। আর ইসরায়েল ১ কোটি ২৭ লাখ ব্যারেল প্রুভেন রিজার্ভ নিয়ে বিশ্বে ৭১তম অবস্থানে আছে।

ইসরায়েলের প্রাকৃতিক সম্পদ

ইসরায়েলের কোনো কয়লা খনি নেই। ইরান কয়লা উত্তোলনের দিক থেকে বিশ্বে ৪৩তম। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে বিশ্বে ইরানের অবস্থান তৃতীয়, যেখানে ইসরায়েলের অবস্থান ৪০তম।

ইসরায়েলের বাজি আয়রন ডোমে

ইসরায়েল বরাবরই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে চমক দেখিয়ে এসেছে। দেশটির রয়েছে কয়েক স্তরের আধুনিক আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আয়রন ডোম। ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের তৈরি এটি। এটি নির্মাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হলো অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়। আয়রন ডোম হলো ব্যাটারির সিরিজ যা রাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট শনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি রাডার থাকে।

২০২১ সাল পর্যন্ত ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি দেশজুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে শনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রকেটটিকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তেল আবিবের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এর কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলো প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইসরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে সচল করে।

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে লুকোচুরি

সামরিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি ইসরায়েলকে এগিয়ে রেখেছে। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল তার পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার শক্তিশালী করেছে। যদিও দেশটি সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বা কত সংখ্যক রয়েছে- বিষয়টি স্বীকার করে না। তবে বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন দেশের তালিকায় ইসরায়েলকে গণ্য করা হয়। ইসরায়েল পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার না করলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের সংগঠন ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের অনুমান, ইসরায়েলের হাতে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। অন্যদিকে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর। অনেকেই ধারণা করেন ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে ইরান সব সময়ই দাবি করে আসছে, তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ইরান এবং ইসরায়েল-কোনো দেশেরই পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

ভয়ংকর গোয়েন্দা দল ইসরায়েলের

ইসরায়েলের মোসাদকে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ গোয়েন্দা বাহিনী ধরা হয়। বিশ্বজুড়ে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। ইরানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ইসরায়েল বিভিন্ন সময় সফল গুপ্তচরবৃত্তি ও হামলার ইতিহাস রয়েছে মোসাদের। প্রতিশোধ, প্রতিরোধ সবক্ষেত্রেই বাহিনী এগিয়ে। ইরানকে ঠেকাতে গত দুই দশকে ইরানের সাত পরমাণু বিজ্ঞানীকেও গুপ্তহত্যা করেছে। এই সাতজন পরমাণু বিজ্ঞানী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তহত্যার শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে কখনো গাড়িবোমা অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল পরিচালিত মেশিনগানের নির্ভুল নিশানা। বিশ্লেষকরা দাবি করেন, ফিল্মি কায়দায় গুপ্তহত্যায় বিষাক্ত গ্যাস কিংবা ম্যাগনেটাইজ বোমার মতো ভয়ংকর বিস্ফোরক ব্যবহার করে মোসাদ। মোসাদ কর্তৃক ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ইরানের সবচেয়ে মেধাবী ও চৌকস পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেহকে তেহরানের জনবহুল রাস্তায় রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ইরানে মোসাদ সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটিয়েছিল ২০১৮’র জানুয়ারিতে। সেদিন ইরানের রাজধানীর প্রায় ৩২ কিমি দূরের একটি গোপন গুদাম থেকে পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক আট টন গোপন দলিল চুরি করে তেলআবিবে নিরাপদে নিয়ে গিয়েছিল!

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার

ড্রোন ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়নে ইরানের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বরাবরই শঙ্কিত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এর সঙ্গে গত এক দশকে ইরানের মিত্রদেশগুলো আধুনিক যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন অস্ত্রের প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে বলেও পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে খবর প্রচার করেছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হয়ে উঠেছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। দেশটির কাছে এমনো ড্রোন আছে, যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো-এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে ড্রোনগুলো রাডারে ধরা পড়ে না। এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বলে উল্লেখ করেছে। ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের এমন নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র-

খোররামশহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্র (খাইবার)

পাল্লা : ২ হাজার কিমি।

দৈর্ঘ্য : ১৩ মিটার। ব্যাস : ১.৫ মিটার। ওজন : ৩০ টন।

ওয়ারহেড ওজন : ১৫০০ কেজি

গতি : বায়ুমন্ডলের বাইরে ১৬ ম্যাক/ বায়ুমন্ডলের ভিতরে ৮ ম্যাক।

হাজি কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১৪০০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১১ মিটার

ব্যাস : ৮৫ থেকে ৯৫ সেমি

ওজন : ৭ টন

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজি

গতি : ৫ ম্যাক

খায়বার শেকান ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১৪৫০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১০.৫ মিটার

ব্যাস : ৮০০ মিমি

ওজন : ৪৫০০ কেজি

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজি

গতি : ঘণ্টায় ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি

সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ২,০০০-২,৫০০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১৭.৫৭ মিটার

ব্যাস : ১.২৫ মিটার

ওজন : ২৩ টন

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজির বেশি

গতি : ১২-১৪ ম্যাক

পাভে ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১,৬৫০ কিমি

উড়ন্ত উচ্চতা : ৫০ মিটারের কম

গতি : ৬০০-৯০০ কিমি/ঘণ্টা

ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১,৪০০ কিমির বেশি

দৈর্ঘ্য : ১২ মিটার

ব্যাস : প্রথম অংশ : ৮০ সেমি / দ্বিতীয় অংশ : ৫০ সেমি

ওজন : ৩,৫০০-৪,১০০ কেজি

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজি

গতি : ৫ ম্যাক।

কদর ক্ষেপণাস্ত্র (ট্রিপল)

পাল্লা : ১, ৯৫০ কিমি পর্যন্ত

দৈর্ঘ্য : ১৫.৫-১৬.৫ মিটার

ব্যাস : ১.২৫ মিটার

ওজন : ১৭, ৪৮০ কেজি পর্যন্ত

ওয়ারহেড ওজন : ৭০০ থেকে ১০০০ কেজি

গতি : প্রায় ৯ ম্যাক

এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : প্রায় ১,৭০০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১৫.৫ মিটার

ব্যাস : ২.১৮ মিটার

ওজন : ১,৭৫০ কেজি

শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার

দৈর্ঘ্য : প্রায় ১৬ মিটার

ব্যাস : ১.২ মিটার

ওজন : ১,৭৮০ কেজি

ইরানের তুরুপের তাস হরমুজ প্রণালি

সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নয়, ইরানের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে হরমুজ প্রণালি। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের অধীনে হলেও হরমুজ প্রণালিতে ইরানের আধিপত্য রয়েছে। ইরান চাইলে যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রান্সজিট। পশ্চিমা বিশ্ব এ নিয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন। হরমুজ প্রণালির সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশ থেকে ইরান এবং ওমানের দূরত্ব মাত্র ২১ মাইল। একদিকে পারস্য উপসাগর, অন্যদিকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগর। এখানে সংযোগ স্থাপন করেছে এই প্রণালি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এশিয়া, ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে তেল সরবরাহের একমাত্র পথ এটি। বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়েই আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিন চলাচল করে অন্তত ৮৫টি তেলবাহী জাহাজ। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ আট দেশ- ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে পুরো বিশ্বের সমুদ্রপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই প্রণালি। বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম হবে আকাশচুম্বী। এর ধারাবাহিকতায় বাড়বে নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে ইসরায়েল, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তেহরানের হামলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের, সে ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দেখানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে তারা বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন প্রশাসনের চার সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর সিএনএন ও টাইমস অব ইসরায়েলের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ভূখণ্ডে ছোট ও সীমিত আকারে হামলা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে ইসরায়েল। দেশটি মনে করছে, ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেই জবাব দেওয়া দরকার।

বাইডেন প্রশাসনের ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবশ্য এও বলেছেন, নিজেদের পরিকল্পনা কী এবং সেটি কখন ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দাপ্তরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এখনো কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েল।

সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে, আমরা আশা করব, তারা (ইসরায়েল) আমাদের একধরনের সতর্কবার্তা দেবে; যাতে আমাদের সেনাদের সুরক্ষায় আমরা প্রস্তুত থাকি। এটি শুধু সামরিক বিষয়েই নয়; বরং পুরো অঞ্চলে আমাদের কূটনৈতিক মিশনের জন্যও জরুরী।’

অবশ্য ইরানে হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল যে তাদের মিত্রদেরকে অবগত করবেই সে নিশ্চয়তা নেই বলেও জানিয়েছেন মার্কিন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির জন্য ইসরায়েল যে আমাদের আগাম বার্তা দেবে এ নিশ্চয়তা নেই। কখন আমাদের তারা বার্তা দেবে কিংবা আদৌ দেবে কি না, তা শুধু তারাই জানে। তবে ইসরায়েল যা করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা সম্ভবত আবারও আমাদের আপত্তির কথা জানাব।’

মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যদি ইসরায়েল পাল্টা হামলা না চালায়, উত্তেজনা কমে আসবে এবং পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরবে বলে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এই মুহূর্তে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে যেকোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ অন্যান্য পাল্টাপাল্টি ঘটনার দুয়ার খুলে দেবে; যার কয়েকটি খুবই ভয়ংকর।’

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেট ভবনটি। হামলায় নিহত হন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় দুই কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। জবাবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে তিনশ'র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ভূখন্ডে এর আগে আর কখনও সরাসরি হামলা চালায় নি দেশটি।

ইতিমধ্যে ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তবে কোথায় ও কীভাবে হামলা চালানো হবে, এ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি তারা। আজ বুধবার এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বসবে মন্ত্রিসভা। দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নতুন করে। ইরানে পাল্টা হামলা না করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও।

এদিকে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আর দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল হামলা চালালে এবার জবাব দিতে আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না তেহরান। সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টা আঘাত করবে তারা।

ইরান   ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল লেবানন

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবানন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে লেবানন। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন চালু করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।

তবে শনিবার রাতে হামলায় অংশ নেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই প্রায় সবগুলো অস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রবাহিনী।

ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘সীমিত’ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ইসরায়েল। সেক্ষেত্রে ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   লেবানন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সন্ধান মিলল সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী কৃষ্ণগহ্বরের

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।

গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের ভর, কক্ষপথ ও তাদের অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়া মিশনটি পৃথিবী থেকে ২

হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে।


সূর্য   কৃষ্ণগহ্বর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চালকবিহীন মেট্রোরেল চালু হলো কলকাতায়

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এবার যুক্ত হলো চালকবিহীন মেট্রোরেল।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই চালকবিহীন মেট্রো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।

পরিষেবাটি চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে ১৭ মিনিট হবে। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ২০ মিনিটের জায়গায় লাগবে ১৮ মিনিট। তবে দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে বলে জানা গেছে।

অবশ্য নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম হলেও চালকের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেগুলোতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতা শহরে মেট্রোরেলের এ পরিষেবাটি একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকাই থাকছে না।

কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও শুরুর দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।

কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।

চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রীবোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।


কলকাতা   চালকবিহীন   মেট্রোরেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন