মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বাসায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) গোয়েন্দাদের তল্লাশি অভিযানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজের পছন্দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করা বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ফ্লোরিডার পাম বিচে আমার সুন্দর মার-এ-লাগো বাড়িটা এখন অবরুদ্ধ। অভিযান চালিয়ে বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এফবিআই সদস্যদের বড় একটি দল।’
ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প বলেন, মার-এ-লাগো বাসভবনে এফবিআইয়ের তল্লাশিপরোয়ানা বাস্তবায়নের বিষয়টি ন্যাশনাল আর্কাইভসের নথিপত্র ব্যবস্থাপনা তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত।
অভিযানের সময় ট্রাম্প নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারে অবস্থান করছিলেন। তাঁর বিবৃতির শুরুটা ছিল ঠিক এই রকম, ‘এ ঘটনা জাতির জন্য কালো দিন’। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করার ও সহযোগিতার পরও আমার বাড়িতে এই অঘোষিত অভিযানের প্রয়োজন কিংবা তা যথাযথ ছিল না। এমনকি তারা আমার অনুমতি না নিয়েই ঢুকে পড়ে।’
ট্রাম্প বলেন, এটা ‘বিচারিক অসদাচরণের’ শামিল এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঠেকাতে ‘বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের’ নামান্তর।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ ধরনের হয়রানি শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই ঘটতে পারে। দুঃখজনকভাবে আমেরিকা এখন সেসব দেশে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির এই মাত্রা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
এদিকে এফবিআইয়ের অভিযানের খবর পেয়ে মার-এ-লাগো রিসোর্টের আশপাশে জড়ো হন ট্রাম্পের সমর্থকেরা। এ সময় দলীয় পতাকার পাশাপাশি তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের তাঁদের সব চিঠি, কাজের নথি ও ই–মেইল ন্যাশনাল আর্কাইভসে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধভাবে অনেক নথি ছিঁড়ে ফেলেছেন।
ন্যাশনাল আর্কাইভস জানায়, তারা মার-এ-লাগো থেকে ১৫টি বাক্স পুনরুদ্ধার করেছে। এসব বাক্সের কয়েকটিতে স্পর্শকাতর অতি গোপনীয় নথিপত্র ছিল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, এ কেন্দ্রটি এখন সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। এখান থেকে ইউক্রেনীয় সেনা ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রধান পেত্রো কোতিন রোববার বিবিসিকে জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রায় ৫০০ রুশ সেনা অবস্থান করছেন। রুশ সেনারা সেখান থেকেই ইউক্রেনীয় সেনাদের ওপর রকেট ছুড়ছেন।
এ বিষয়ে পেত্রো কোতিন বলেন, ‘রুশ সেনারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে সামরিক ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছেন। সেখান থেকে হামলা চালাচ্ছেন। তবে ইউক্রেনের সেনারা এমনটা করতে অপারগ। কেননা তাঁরা জানেন, এটা তাঁদের নিজস্ব অবকাঠামো, রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই তাঁরা নিজেদের সম্পদ নষ্ট করতে ও নিজেদের কর্মীদের ঝুঁকিতে ফেলতে চান না।’
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এনারহোদার শহরে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অবস্থিত। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ইউক্রেনের এক-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ এ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত মার্চ থেকে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এর আশপাশের এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে রাশিয়া। তবে সেখানকার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় হামলা–পাল্টা হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ওই এলাকায় বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। এমনকি রাশিয়ার হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি অংশও ‘গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ এসব দাবি অস্বীকার করেছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে হামলা–পাল্টা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এসব হামলার ঘটনা ইউক্রেনকে পারমাণবিক বিপর্যয়ের চরম ঝুঁকিতে ফেলেছে। যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আশপাশে সামরিক কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আইএইএ।
রাশিয়া ইউক্রেন ক্ষেপনাস্ত্র যুদ্ধ পুতিন জেলেনস্কি ইউরোপ
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ও এর আশপাশে প্রবল বৃষ্টিতে কমপক্ষে সাতজন মারা গেছেন। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সেখানকার অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং রাস্তা ও পাতাল রেল ডুবে গেছে।
দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এই তথ্য সামনে এনেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে সিউলের দক্ষিণ অংশে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মিমি এর বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শহরের কিছু অংশে ১৪১.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছে কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসন।
দক্ষিণ কোরিয়া বৃষ্টিপাত আবহাওয়া প্রানহানি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন