ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নথি কেলেঙ্কারি উসকে দিচ্ছে ট্রাম্প-বাইডেন দ্বিতীয় লড়াইয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail নথি কেলেঙ্কারি উসকে দিচ্ছে ট্রাম্প-বাইডেন দ্বিতীয় লড়াইয়ের সম্ভাবনা

বহু নাটকীয়তার জন্ম দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। ডোনাল্ড  ট্রাম্প প্রার্থী হলে পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে। ২০২৪ সালের এই নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবির থেকে ট্রাম্প ও বাইডেনের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে ট্রাম্পের বাসভবন থেকে গোপন নথি উদ্ধারের ঘটনা এই আলোচনাকে আরও জোরদার করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অতি গোপনীয় নথি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। ফ্লোরিডায় তাঁর পাম বিচের মার-আ-লাগো রিসোর্টে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)। সেখান থেকে ১১ সেট অতি গোপন নথি পাওয়ার দাবি করেছে সংস্থাটি। রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তল্লাশিকে ডেমোক্র্যাটদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণের পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার দুই বছর পরে এ ধরনের কেলেঙ্কারিতে ট্রাম্পের নাম আসার বিষয়টিকে তাই আগামী নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প যদি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে এফবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযান তাঁকে আরও মরিয়া করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপাবলিকান দলের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম অন্তত তাই মনে করেন। তিনি ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘আমার ধারণা ছিল, তিনি আবার লড়বেন। কিন্তু এখন সে ধারণা পোক্ত হয়েছে।’

ট্রাম্প যদি নির্বাচনে লড়েন তবে বাইডেনও লড়বেন বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বর্তমানে ৭৯ বছর বয়সী সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে বাইডেন ঐতিহাসিক মিশনে নামবেন। তাঁর এই মিশন হবে যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্পমুক্ত করা। এতে ২০২০ সালের নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতার সেই দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি আবারো ঘটতে পারে।

তবে এবারের লড়াই হবে ক্ষমতায় থাকা ৮১ বছর বয়সী (নির্বাচন সময়কালে) বাইডেনের সঙ্গে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের। ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দাবি থেকে এখনো সরে আসেননি ট্রাম্প। নির্বাচন–পরবর্তী ক্যাপিটল হিলের হামলা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। সব মিলিয়ে ট্রাম্প-বাইডেনের লড়াই বেশ কুৎসিত রূপ নিতে পারে বলেই বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।

এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষক আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক অ্যালান লিচম্যান বলেছেন, ‘যদি মনে করেন ট্রাম্পের ২০১৬ ও ২০২০ সালের প্রচারাভিযান জঘন্য ছিল। তবে আপনি কিছুই দেখেননি।’

রাজনৈতিক কৌশলবিদদের চোখে ট্রাম্পের বাসভবনে এফবিআইয়ের তল্লাশির ঘটনাটি পুরো খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত হিসেবে দেখা দিতে পারে। এ থেকে লাভবান হতে পারে দুই পক্ষই। বাইডেনের পক্ষে যুক্তি অবশ্য স্পষ্ট। রিপাবলিকান দলের নেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখন কেবল এফবিআইয়ের তল্লাশিই নয়, নানা অভিযোগের মামলা সক্রিয় হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়া থেকে শুরু করে প্রতারণা ও ধর্ষণের মতো মামলা। এগুলো রিপাবলিকানদের জন্য বিব্রতকর আর বাইডেনের ডেমোক্রেট পার্টির জন্য চাঙা হওয়ার মতো বিষয়। আগামী নভেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। মার্কিন কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। এ নির্বাচনের আগের পূর্বাভাসে ডেমোক্রেট পার্টি ও বাইডেনের ভরাডুবি হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তারা এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার ছক কষছেন।

ডেমোক্রেট পার্টির থিঙ্কট্যাংক হিসেবে পরিচিত থার্ড ওয়ে-এর বিশ্লেষক জিম কেসলার মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হিলকে বলেছেন, স্টেরয়েড সেবনে যেমন ব্যথা কমে শরীর চাঙা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প তেমনি ডেমোক্র্যাটদের চাঙা করেন।

এদিকে রিপাবলিকানদের সমর্থনকারী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এডিটরিয়াল বোর্ড বলছে, বাইডেনের প্রথম দুই বছরের যে কর্মকাণ্ড, তাতে রিপাবলিকানদের উচিত হবে মধ্যবর্তী নির্বাচনকে গণভোটে রূপে নিয়ে যাওয়া। ডেমোক্র্যাটরা নভেম্বর পর্যন্ত কথা বলতে পছন্দ করবেন। সত্যিকার অর্থে ট্রাম্প বিষয়ে তাঁদের কথা বলার শেষ সময় পর্যন্ত তাঁরা তা চালিয়ে যাবেন।

অবশ্য এ থেকে ট্রাম্পও সুবিধা দেখছেন। আবার তিনি আলোচনায়। চলে আসছেন মার্কিন নাগরিকদের ভাবনার কেন্দ্রে। তাঁর সমর্থক গোষ্ঠী জনগণের সামনে নতুন একটি ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ হাজির করছেন।

রক্ষণশীল ম্যাগাজিন ন্যাশনাল রিভিউ-এর সম্পাদক রিচার্ড লোরি লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই চালাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ রয়েছে। কিন্তু এর চেয়েও তাঁর কাছে মূল্যবান হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে এফবিআই-এর তদন্ত। এটা আবার তাঁকে সবার মধ্যমণি করেছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ভিকটিম হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন।’

রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাইমারিতে ট্রাম্পের আবির্ভাব অন্যান্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরাশয়ী করতে পারে। রিপাবলিকান দলের রাজনৈতিক কৌশলবিদ জন থমাস মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোকে বলেন, ‘ট্রাম্প এখন যদি (প্রার্থী হতে) চান, তবে এটা তাঁর না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’

ট্রাম্প নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হলে বাইডেনও একই পথ অনুসরণ করতে পারেন। আগামী নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বাইডেন যদি ঘুণাক্ষরেও কিছু ভেবে থাকেন, তবে তা দূরে সরিয়ে রাখবেন। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পলিটিক্যাল ম্যানেজমেন্টের পরিচালক লারা ব্রাউন বলেন, ‘বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে আবার লড়াই হবে কি না, তা নির্ধারণে প্রথম চাল দেবেন ট্রাম্প। আমি মনে করি, ট্রাম্প নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দেন কি না, তার অপেক্ষায় আছেন বাইডেন। যদি ট্রাম্প নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেন তবে দ্রুতই তাঁকে অনুসরণ করবেন বাইডেন।’

প্রশ্ন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা কাকে চান? সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক বাইডেন বা ট্রাম্প দুজনের কাউকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চান না। গত জুলাই মাসে নিউজনেশন ও ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ একটি জরিপ চালায়। তাতে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক চান না বাইডেন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। আর ট্রাম্পকে প্রার্থী দেখতে চান না ৫৭ শতাংশ ভোটার।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার বিষয়ে নিজের সমর্থনে গত মার্চ মাসে বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান হব, যদি পরবর্তী নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে একই ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।’

এ বছর বাইডেনের জন্য বেশ কঠিন সময় গেছে। গত কয়েক মাসে আইন ও নীতি সংশোধনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে তাঁর প্রশাসন। তবে এখনো জনপ্রিয়তার বিচারে তলানিতেই রয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৪০ শতাংশ জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছেন বাইডেন।

এর আগে গত মাসে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চান না দলটির বেশির ভাগ সমর্থক। নিউইয়র্ক টাইমস-সিয়েনা কলেজের এক জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে যাঁরা সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে। জরিপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জনপ্রিয়তা ৩৩ শতাংশে নেমে যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে গর্ভপাতের অধিকার প্রত্যাহার নিয়ে ক্রোধের মুখেও সম্প্রতি বাইডেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির বিষয়টি উপদেষ্টাদের আবার আশাবাদী করে তুলেছে।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন