ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেহবাজ-মোদি বৈঠকের বিপক্ষে পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail শেহবাজ-মোদি বৈঠকের বিপক্ষে পাকিস্তান

চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে শুরু হতে যাচ্ছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের ২২ তম সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ঐতিহাসিক এই শহরে একই ছাদের নিচে আলোচনায় বসবেন ১৩ জন আঞ্চলিক নেতা। তবে এই সম্মেলন চলাকালীন মোদির ও শেহবাজের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠক চায় না পাকিস্তান।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

আগামী ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের সমরখন্দ শহরে বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়য়েই এসসিওর সদস্য এবং নিজ নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফ— দুজনেরই সে সম্মেলনে উপস্থিত থাকা অনেকটা নিশ্চিত।

গত আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সমরখন্দে এসসিও’র সম্মেলনেই সরাসরি সাক্ষাৎ হবে পাকিস্তান ও ভারতের সরকার প্রধানদের। এই সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তান ছাড়া সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের অন্য প্রভাবশালী সদস্যরাষ্ট্রগুলো হলো- রাশিয়া ও চীন।

এই তিন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। যদিও নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ এর বাইরে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

মূলত ভারতশাসিত কাশ্মিরের জনগণ এবং ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি ভারত সরকারের বর্বর ও অমানবিক আচরণের কারণে পাকিস্তান এই অবস্থান নিয়েছে। তবে, এই বলা হয়েছে যে ভারতের পক্ষ থেকে বৈঠকে বসার আবেদন জানানো হলে তাতে সাড়া দিতে পারে পাকিস্তান।

রোববার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকটি উচ্চপদস্থ সূত্র দ্য নিউজকে জানিয়েছেন, ‘নয়াদিল্লি একটি কাঠামোগত বৈঠকের জন্য অনুরোধ করলে ইসলামাবাদ ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে পারে।’

সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনের করিডোরে যেকোনো দুই নেতার বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেও সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বৈঠকের চূড়ান্ত সময়সূচি সম্পর্কে ব্রিফ করবে।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈঠক হতে চলেছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে প্রথমবারের মতো বিদেশে যাচ্ছেন এই চীনা নেতা, আর এ কারণেই শেহবাজ-জিনপিং বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্য নিউজ বলছে, সমরখন্দের প্রাচীন উজবেক সিল্ক রোড নগরীতে শেহবাজ-জিনপিং সাইডলাইন বৈঠকের একটি সুস্পষ্ট তাৎপর্য রয়েছে। কারণ দুই দেশের আলোচনার জন্য চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) আরও এগিয়ে নেওয়া এবং চীনের অত্যধিক প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার মতো বিষয়টি বৈঠকের এজেন্ডায় রয়েছে।

এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এসসিওর সাইডলাইনে শেহবাজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং সেখানে শি জিনপিংয়ের সাথে একটি বৈঠকের পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।

তবে শেহবাজ-মোদির বৈঠকের বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে রোববার ভারত সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে শেহবাজ শরিফ, শি জিনপিং বা পুতিনের সঙ্গে মোদি কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন কিনা তা বলা হয়নি। চীনের মতো ভারতও ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে এবং রাশিয়ার তেল কেনা বাড়িয়েছে (নয়াদিল্লি)।

এছাড়া ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে ভারতীয় অধিকৃত এলাকায় সংঘর্ষের পর থেকে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মোদি ২০১৯ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক কোনো আলোচনা করেননি।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর সমরখন্দে ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও চীন, রাশিয়া, মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সমন্বয়ে গঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


বিশ্ব সংবাদ   এশিয়া   ভারত   পাকিস্তান   বৈঠক   নরেন্দ্র মোদি   শেহবাজ শরিফ   এসসিও  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডে হিস্ট স্ট্রোকের বিষয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে হিস্ট স্ট্রোকে কমপক্ষে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপদাহের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নগরীতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ তাপদাহ বিরাজ করছে। তীব্র তাপদাহের কারণে ফিলিপাইনে স্কুলে ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির নাগরিকরা বলেছেন, গরমের তীব্রতা এত বেশি যে নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। 

বাংলাদেশেও নজিরবিহীন তাপদাহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। 

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তার আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও নিয়মিত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবেচেয় গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।


থাইল্যান্ড   মৃত্যু   হিট স্ট্রোক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, 'ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন- তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি। ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।'

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না- প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, 'অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না- তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি না…কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।' 

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। 

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।


ন্যান্সি পেলোসি   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু   পদত্যাগ   ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খেলার মাঠে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, করলেন গোলও!

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনকে দেখা গেলো খেলার মাঠে। আবার গোলও পেয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানী প্যারিসে এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন তিনি। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর।

ম্যাকরনের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ দিদিয়ের দেশম, দিদিয়ের দ্রগবা, আর্সেন ওয়েঙ্গারসহ সাবেক বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। খেলার মাঠে বেশ সাবলীল ও কৌশলী ভূমিকায় দেখা গেছে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। মিস করেননি পেনাল্টি। সুযোগ পেয়েই পাঠিয়ে দিয়েছেন গোলবারের ভেতর। ছুটে এসে অভিনন্দন জানান টিম সদস্যরা। কিছু সময়ের জন্য যেন সবাই ভুলে গেলেন দেশের প্রেসিডেন্ট তিনি।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফুটবল জার্সি পরে মাঠে নামলেন ম্যাকরন। এর আগে, ২০২১ সালে প্যারিসে শহরতলির একটি দাতব্য ম্যাচে খেলতে নেমেছিলে। সেবারও পেনাল্টিতে গোল পেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রীতি ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই ব্যয় হবে শিশুদের চিকিৎসার জন্য। ম্যাচটি আয়োজন করে ম্যাকরনের স্ত্রী ব্রিজিত পরিচালিত ভ্যারাইটিস ক্লাব অফ ফ্রান্স (ভিসিএফ) নামে একটি দাতব্য সংস্থা।


ফ্রান্স   প্রেসিডেন্ট   খেলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইইউ পার্লামেন্টে শ্রম ইস্যুতে নতুন বিল পাস

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শ্রমিকের সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা। আর সে লক্ষ্যে আইনের দিকে ঝুঁকে নীতি নির্ধারকরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ আইন পাস হলো ইইউ পার্লামেন্টে। পক্ষে ভোটা ৩৭৪টি, ভোট দানে বিরত ছিল ১৯ জন আর বিপক্ষে ভোট পরেছে ২৩৫।

ডিউ ডিলিজেন্স আইনে বলা হয়, দেশে-বিদেশে ইইউর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো, কর্মীর সংখ্যা ১০০০ এর উপরে তারা পরবে নতুন আইনের আওতায়। সেসব করপোরেটদের নিশ্চিত করতে হবে শ্রমিক ও পরিবেশ নিরাপত্তা। নইলে গুনতে হবে জরিমানা।

বাংলাদেশের ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এ বিষয়ে বলেন, ইউরোপের মালিকানাধীন কিংবা অন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান যাদের ১০০০ এর উপর কর্মী আছে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো তাদের সবাইকে যদি ইউরোপের বাজারে আগামীতে ব্যবসা করতে হয় তবে নিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার এবং পরিবেশের নিরাপত্তা।

তবে এখনই শ্রম ইস্যুতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতীয় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মনযোগী হবার আহবান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শিল্প কারখানায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের সার্বিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে যদি কোন ইইউ প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয় নিশ্চিত না করে, বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

নতুন আইনটি পাশ হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে আলোচনার শেষে কার্যকর হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান চার্লস।


শ্রমিক   অধিকার   বিল   পাস   ইইউ পার্লামেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেরালায় বিজেপি জিতে না পারার কারণ কি?

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে বিজেপির উত্থান হলেও দক্ষিণের রাজ্য কেরালার চিত্র একেবারেই বিপরীত। বামদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কেরালা একমাত্র রাজ্য, যেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কখনো একটি আসনও জেতেনি। রাজ্যটি দখলে প্রাণপণ চেষ্টা করলেও গেরুয়া শিবির কেন তা পারছে না? রাজ্যটিতে বিজেপির পিছিয়ে থাকার কারণ কী?

স্বাধীনতার পর থেকে কেরালা রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতায় বসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। দেশটির দক্ষিণের এ রাজ্যে বরাবরই বাম-কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে জনগণ। প্রগতিশীল মানুষের ঘনত্বের গড় বিচারে কেরালা রাজ্যটির অবস্থান সবার ওপরে।

শুধু তাই নয়, শিক্ষাতেও এগিয়ে রাজ্যটি। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আধুনিকতা ছাড়াও এ রাজ্যের মানুষ ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় চিন্তাশীল, বন্ধুত্বপরায়ণ এবং গঠনমূলক বলেও মনে করা হয়। প্রশ্ন আসতে পারে, এসবের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রিয়তা না বাড়া কিংবা ভোট না পাওয়ার সম্পর্ক কী?

বিজেপিকে এ রাজ্যে ভোট পেতে হলে রাজ্যটির ৪৫ শতাংশ অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মত পেতে হবে। অর্থাৎ খ্রিষ্টান এবং মুসলমানদের ভোট পেতে হবে। নারী ভোটাররা এখানকার আরেকটি ট্রাম্প কার্ড। রাজ্যের মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি নারী; তারা রাজনৈতিকভাবে শুধু সচেতনই নন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঘোর বিরোধী।

ধর্মীয় আবেগকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবসহ বহু রাজ্যে বিজেপির রকেট গতিতে উত্থান হলেও কেরালায় বিজেপির সলতেতে আগুন তো দূরের কথা, তেলও দিতে পারছেন না শীর্ষ নেতারা।

গেলো লোকসভা নির্বাচনে ২০ আসনের রাজ্যটিতে বিজেপি শূন্য। একইভাবে ২০২১ সালের রাজ্যটির বিধানসভা ভোটেও বিজেপির ঝুলিতে যায়নি ১৪০ আসনের একটিও। পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি টিমটিম করে জ্বলা বাতির মতোই।

যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। তবে শেষ কথা বলবে কেরালার শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


কেরালা   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন