ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধে যোগ না দিতে দেশ ছাড়ছেন রুশ নাগরিকেরা

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail যুদ্ধে যোগ না দিতে দেশ ছাড়ছেন রুশ নাগরিকেরা

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান আসার ভপর থেকেই দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এজন্য অনেকে জর্জিয়া সীমান্তে জড়ো হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির জানিয়েছে, জর্জিয়া সীমান্তে সড়কে প্রায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন লেগে আছে। অনেকেরই সীমান্ত পাড়ি দিতে প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জর্জিয়া সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ দেশ ছেড়েছেন। যদিওভ লোকজনের দেশ ছেড়ে পালানোর খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রুশ নাগরিক বিবিসিকে বলেন, তিনি পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে সীমান্তের দিকে রওনা দিয়েছেন। সঙ্গে কিছু নেননি।

ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে পাঠানো হবে বলেই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন তিনি।

রাশিয়ার এই পরিস্থিতিতে নিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে দিমিত্রি নামে এক ব্যক্তি এএফপির সাংবাদিককে জানান, স্ত্রী ও সন্তান রেখে আর্মেনিয়া যাচ্ছেন তিনি। দিমিত্রি বলেন, ‘আমি যুদ্ধে যেতে চাই না। যুক্তিহীন এই যুদ্ধে আমি প্রাণ হারাতে চাই না। এটা ভাইকে হত্যার যুদ্ধ।’

এদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু হয় রাশিয়ায়। বিক্ষোভ থেকে এক হাজারের বেশি রুশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়ান পুলিশ। বিক্ষোভের সময় সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয় মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর থেকে।

রাশিয়ান হিউম্যান রাইটস গ্রুপ ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিক্ষোভ হয়েছে সাইবেরিয়ার ইরকুতস্ক শহর ও ইয়েকাতেরিনবার্গের মতো শহরগুলোতে।


বিশ্ব সংবাদ   ইউক্রেন যুদ্ধ   সৈন্য সমাবেশ   মস্কো   বিক্ষোভ   রুশ নাগরিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা যেভাবে অকার্যকর হয়ে উঠছে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ এবং অভিপ্রায় সুরক্ষা করতে চায়। ওই দেশটিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে চায়। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু দেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বটে তবে তা কার্যকর হয়নি। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে দেশগুলো স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। কাজেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।

সাম্প্রতিক সময়ে নাইজেরিয়া নির্বাচনকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। নাইজেরিয়ার একজন রাজনীতি ভাষ্যকার এনিওলা আকিনকুতু ‘দুঃখিত যুক্তরাষ্ট্র, তোমার ভিসার হুমকিতে কোনো কাজ হবে না’—শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সাল থেকে নাইজেরিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা সেখানে কোন কাজে দেয়নি। কারণ যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে তারা এটি প্রকাশ্য করেনি। যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ছিল তারা সেখান থেকে সম্পদ সরিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া বেনাম সম্পদ থাকার কারণে এই সম্পদ ক্রোক করা বা বাজেয়াপ্তও করতেও পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নাইজেরিয়ায় যে সমস্ত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তারা এতে মোটেও ভীত হননি। ফলশ্রুতিতে নাইজেরিয়া, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করে তাদের অবস্থা আগের মতোই রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাইজেরিয়া ছাড়াও কম্বোডিয়ার একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু ভিসা নিষেধাজ্ঞা কম্বোডিয়ার নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। সেখানে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে এবং দেশটি এখন ঠিকঠাক মতো চলছে। কম্বোডিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। আর এই রকম ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ইস্যুতে যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গুজরাটের দাঙ্গার প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি যখন বিপুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন তখন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদিকে লাল গালিচার অভ্যর্থনা জানান। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে পরিমাণ সম্মান এবং সম্বর্ধনা পেয়েছেন তা বিরল ঘটনা। কাজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কোনো দেশের জন্যই খুব বড় ধরনের হুমকি নয়। বরং এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব কর্তৃত্ব ক্রমশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। যাদের ওপর বিভিন্ন সময় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারাই পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু হয়েছে। তাছাড়া যে সমস্ত দেশের নির্বাচনকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারা বিকল্প পথ দিয়ে নির্বাচন করে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই বিভিন্ন ধরনের দেন দরবার এবং আলাপ আলোচনা করছে। বাংলাদেশেও ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা   কম্বোডিয়া   নাইজেরিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্কটল্যান্ডে গুরুদুয়ারায় ঢুকতে দেওয়া হলো না যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনারকে

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

স্কটল্যান্ডে শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কানাডায় শিখ ধর্মাবলম্বী ও খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। 

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদল কট্টরপন্থী শিখ অধিকারকর্মী দোরাইস্বামীকে গুরুদুয়ারায় প্রবেশ করতে বাধা দেন। এ সময় তারা দোরাইস্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি এখানে আমন্ত্রিত নন।’ 
 
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে, খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল এক শিখ অধিকারকর্মী জানান, তারা জানতে পেরেছিলেন—গ্লাসগোর আলবার্ট ড্রাইভের পাশের একটি গুরুদুয়ারার কমিটির সঙ্গে দোরাইস্বামীর বৈঠকের কথা ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘পরে বিক্রম দোরাইস্বামী ঘটনাস্থলে এলে একদল লোক সেখানে হাজির হয়ে তাকে বলে, আপনি এখানে আমন্ত্রিত নন। সেখানে সামান্য কথা-কাটাকাটিও হয়।’

ওই অধিকারকর্মী আরও বলেন, ‘যা ঘটেছে তাতে গুরুদুয়ারাটির কর্তৃপক্ষ খুব একটা খুশি হয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যের কোনো গুরুদুয়ারাতেই কাঙ্ক্ষিত নন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য-ভারতের এমন দ্বন্দ্বে বিরক্ত। হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কারণে ব্রিটিশ শিখরাও এখন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।’ 

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটির পার্লামেন্টে বলেছিলেন, জুন মাসে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের নেতা ও কানাডীয় নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় সরকারের এজেন্টরা জড়িত ছিল বলে কানাডার হাতে প্রমাণ আছে। ট্রুডোর অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করে নরেন্দ্র মোদির সরকার উল্টো কানাডাকে ‘সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। দুই দেশই এরপর পাল্টাপাল্টিভাবে কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে।

স্কটল্যান্ড   গুরুদুয়ারা   ভারতের হাইকমিশনার   বিক্রম দোরাইস্বামী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শাটডাউনের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আবারও শাটডাউনের কবলে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কট্টরপন্থী রিপাবলিকানরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়ন করার যে বিল আনা হয়েছিল তা বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে এ বিল উত্থাপন করা হয়। ফলে এটা এখন নিশ্চিত যে আগামীকাল রোববার বা ১ অক্টোবর থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে, যাকে বলে শাটডাউন। 

কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হওয়া ঠেকাতে সরকারকে তহবিল জোগানোর মেয়াদ ৩০ দিন বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে বিলটি উত্থাপন করা হলে ২৩২-১৯৮ ভোটে তা পরাজিত হয়েছে। বিলে রিপাবলিকানরা ভোট না দেওয়ায় ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে বিলটি পাস করা সম্ভব হয়নি।  

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন বলেছেন, সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও শিশুদের জন্য পরিচালিত কর্মসূচির গতি কমে যেতে পারে। একই সঙ্গে বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পের গতিও থমতে যেতে পারে।

এবারও শাটডাউন হলে তা হবে এক দশকের মধ্যে চতুর্থ শাটডাউন। মাত্র চার মাস আগে জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যেভাবে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল, তখনো এই শাটডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।

স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি বলেন, যেসব রক্ষণশীল নীতির কারণে ডেমোক্র্যাটরা শঙ্কা বোধ করছেন, সেগুলো ছাড়া এই তহবিলের মেয়াদ সম্প্রসারণের বিল এখনো পাস হতে পারে। কিন্তু এরপর কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। আজ শনিবার সেখানে আরও ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

শাটডাউন   যুক্তরাষ্ট্র সরকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

আন্তর্জাতিক ও নিকারাগুয়ার স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বহুদিন ধরে ওর্তেগা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সংবাদমাধ্যম, ব্যবসায়ী নেতা এবং ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন ব্লিনকেন।

এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওর্তেগার স্ত্রী রোসারিও মুরিলো, তাদের তিন সন্তান এবং সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার যে ১০০ কর্মকর্তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হলো— তাদের অধিকাংশই ওর্তেগা প্রশাসনের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তা।


যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারী বর্ষণে বন্যা, নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, সিটি পার্কসহ বিশাল এলাকা। শহরটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের দ্রুত উচু এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় শহরের অনেক সাবওয়ে, রাস্তাঘাট ও প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে লাগার্দিয়া বিমানবন্দরের অন্তত একটি টার্মিনাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বন্ধ রাখা হয়েছে। 

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেছেন, শহরের অবস্থা বিপজ্জনক এবং জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। অঞ্চলজুড়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে নিউইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড এবং হাডসন ভ্যালির বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বন্যার কারণে বিভিন্ন সাবওয়ে লাইনের পাশাপাশি মেট্রো উত্তর কমিউটার ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথোরিটি। শহরের অন্তত চারটি সাবওয়ে লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আংশিক স্থগিত করা হয়েছে আরও ১২টি লাইন। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

নিউইয়র্কে মূলত সপ্তাহখানেক ধরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতভর এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে, তা সামলাতে প্রস্তুত ছিল না শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এ পরিস্থিতিতে শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। দিন শেষ হওয়ার আগে আট ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।


ভারী বর্ষণ   বন্যা   নিউ ইয়র্ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন