ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা ৯৮ শতাংশ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা ৯৮ শতাংশ

বিশ্বজুড়ে রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে। এদিকে এখনো অব্যাহত রয়েছে করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থা পার করছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। এ অবস্থায় আগামী বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দায় পড়তে যাচ্ছে।

মার্কিন বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেড ডেভিস রিসার্চের একটি সম্ভাব্যতা মডেল অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মন্দার ঝুঁকি ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ। এর আগে শুধু গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার সময় মডেলটিতে এত বেশি ঝুঁকির হার ছিল। সর্বশেষ ২০২০ এবং ২০০৮-০৯ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের সময় ঝুঁকির এমন স্তর ছিল।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির র্থনীতিবিদরা একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ২০২৩ সালে কিছু সময়ের জন্য একটি গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা আরো বেশি ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করছেন।

এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপে ৭০ শতাংশ অর্থনীতিবিদ বৈশ্বিক মন্দার অন্তত কিছুটা ঝুঁকি বিবেচনা করছেন। অর্থনীতিবিদরা তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিচ্ছেন এবং মনে করছেন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকৃত আয় চলতি বছর এবং পরবর্তী সময়ে কমতে থাকবে।

ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানির দামের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ রয়েছে যে, জীবনযাত্রার উচ্চব্যয় পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতার কারণ হতে পারে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপে অর্থনীতিবিদদের ৭৯ শতাংশ আশঙ্কা করছেন, ক্রমবর্ধমান দাম নিম্ন আয়ের অর্থনীতির পরিবারগুলোয় সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। তবে উন্নত অর্থনীতির ক্ষেত্রে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ২০ শতাংশ অর্থনীতিবিদ। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা আরো উদ্বিগ্ন হচ্ছে। পুঁজিবাজারগুলোয় নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

 

সম্প্রতি বিলিয়নেয়ার বিনিয়োগকারী স্ট্যানলি ড্রুকেনমিলার একটি সামিটে বলেন, আগামী বছর আরো কঠিন হতে চলেছে। ২০২৩ সালে মন্দা না হলে আমি হতবাক হয়ে যাব।

বর্তমানে চলমান সংকটের কারণে মার্কিন নাগরিকদের পারিবারিক সম্পদও কমে গিয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের সম্পদে রেকর্ড পতন হয়েছে। এক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট খাতের সম্পদের মূল্যমান হ্রাসও ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তিন মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের পারিবারিক সম্পদ ৬ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার কমেছে। এ পতনের পরিমাণ মহামারী শুরুর পর বিপর্যস্ত পরিস্থিতির চেয়েও বেশি। ফেডারেল রিজার্ভ জানিয়েছে, জুনের শেষে মোট পারিবারিক সম্পদ ১৪৩ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারে নেমেছে। মার্চের শেষে এ সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৪৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকের মতো দেশটির পারিবারিক সম্পদে পতন হলো।

এমনকি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, মন্দার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি রয়েছে। তার পরও ইতিবাচক ইঙ্গিতও রয়েছে। বিশ্বের করে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে। মার্কিন শ্রমবাজার ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী রয়ে গিয়েছে। দেশটিতে বেকারত্ব হার ১৯৬৯ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি রয়েছে। ভোক্তারা এখনো অর্থ ব্যয় করে চলেছেন এবং করপোরেট মুনাফাও শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আগামী মাসগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির চাপ কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় রয়েছে।

নেড ডেভিসের গবেষকরা বলছে, মন্দার ঝুঁকি বাড়লেও মার্কিন অর্থনীতিতে এখনো মন্দার পরিস্থিতি দেখা যায়নি। আমাদের কাছেও চূড়ান্ত প্রমাণ নেই যে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি বর্তমানে মন্দার মধ্যে রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি : গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারী চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিলে রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। একইসাথে নারী ডাক্তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে পুনরায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কম।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীদের সুনাম দীর্ঘদিনের। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। গবেষণা বলছে, নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ জানিয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার কম। এমনকি নারীদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পুনরায় হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কম।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এ সময়ে ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ নারী ও তিন লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন পুরুষ ছিলেন।

ওই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু ও পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম ছিল।

এতে দেখা গেছে, নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ চিকিৎসকের কাছে নারী চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়োসুকে তুগাওয়া নামের এক গবেষক বলেন, নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক দিক দিয়ে নারী চিকিসৎকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নারী চিকিৎসকরা বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা রোগীদের রোগ নিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নেন। এছাড়া নারী রোগীরা নারী চিকিৎসকদের নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

এর আগে ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। অন্যদিকে একজন পুরুষ চিকিৎসক গড়ে একজন রোগীর পেছনে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।


নারী   চিকিৎসক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ৭৯

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৪ হাজার হাজার ২৫০ জন।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে জানায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে বুধবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো বর্বর এই আগ্রাসনে অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ২২৯ জন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক অন্তর্বর্তী রায়ে এই আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, সাহায্যের ‘অর্থপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের’ মাধ্যমেই শুধুমাত্র উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ এড়ানো যেতে পারে।


গাজা   ইসরায়েল   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে’

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসে, তাহলে কে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে? এ ধরনের পিছু হটার মনোভাবের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে দেশের জনগণের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়তে হবে জো বাইডেনকে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘বিষয়টি এভাবে ভেবে দেখুন—যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসে, তাহলে কে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে? কে দেবে বিশ্বের নেতৃত্ব?’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে, সেটা হোক জি-৭ বা জি-২০, যেখানে আমি অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে উপস্থিত থাকছি। সেখানে এখন একটি বিষয় ঘটছে, সব আন্তর্জাতিক বৈঠক থেকে বের হওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থে প্রায় প্রত্যেকে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। তারা আমাকে একপাশে একা পেতে অপেক্ষায় থাকেন এবং হাত ধরে বলেন, আপনাকে জিততে হবে। বাইডেন বলেন, এটা আমার জন্য নয়, বরং আমার বিকল্প যিনি আছেন, সে জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্ব নজর রাখছে। এই নির্বাচনে আমরা কীভাবে এগোচ্ছি, সেটা তারা দেখতে চায়। এটা ঠিক এ জন্যই নয় যে আমরা জিতব কি জিতব না, বরং কীভাবে আমরা এগোচ্ছি, সে জন্য।’


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ব   নেতৃত্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জিম্মি ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করল হামাস

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জিম্মি থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণ হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। গতকাল বুধবার ( ২৪ এপ্রিল ) হামাসের একটি টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিওটি প্রকাশিত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে ওই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর ২৩ বছর বয়সী গোল্ডবার্গ-পোলিনকে নোভা সংগীত উৎসব থেকে ধরে এনেছিলেন হামাস যোদ্ধারা। ওই দিন ইসরায়েলে ঢুকে ১২ শর বেশি মানুষকে হত্যা এবং দুই শতাধিক মানুষকে ধরে এনে জিম্মি করেছিল হামাস।

ওই ভিডিওতে গোল্ডবার্গকে বলতে শোনা যায়, আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম। তবে এর পরিবর্তে আমি আমার সারা শরীরে গুরুতর আঘাত দেখেছি। সেইসঙ্গে জীবনের সাথে লড়াই করতে দেখেছি
 
ইসরায়েল বলছে, গত অক্টোবরে হামাসের হাতে অপহৃত ২৫০ জনের মধ্যে এখনও ১২৯ জন গাজায় রয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।


ইসরায়েল   আমেরিকা   জিম্মি   ভিডিও   প্রকাশ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক, যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।  

তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনি জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনি ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রূপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন