ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৪০ নয়, ৪০০-৫০০ শ্রমিক মারা গেছে, স্বীকার করল কাতার

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অবশেষে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন বিশ্বের অন্যতম বড় এ ক্রীড়া আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি।

সংবাদমাধ্যম  সিএনএন গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, থাওয়াদি প্রদত্ত তথ্য আগে কাতারের সরকারি কর্মকর্তাদের দেয় তার থেকে লাদা। প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর যে হিসাব তারা জানিয়েছিলেন, এই সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে এই তথ্য জানান আল-থাওয়াদি। টকটিভিতে ওই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মরগ্যানের প্রশ্নের জবাবে আল-থাওয়াদি বলেন, “সংখ্যাটি সম্ভবত ৪০০ জনের মতো, ৪০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আমার এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি জানা নেই, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একজনের মৃত্যুও অনেক বেশি, বিষয়টি এমনই।”

এর আগে নভেম্বরে সিএনএনের প্রশ্নের জবাবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় তিন জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন।

মঙ্গলবারও ওই সংখ্যা সমর্থন করে বিবৃতি দেন কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসির (এসসি) একজন মুখপাত্র। বিবৃতিতে ওই মুখপাত্র বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কাতারজুড়ে সব কর্মস্থলের (৪১৪) সব খাতের ও সব জাতীয়তার কর্মীদের মৃত্যুর আলাদা পরিসংখ্যান রয়েছে।”

বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে কাতারে কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের বেশিরভাগই মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সেখানে কাজ করছেন বলে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনও স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্টলে কাজ করতে যাওয়া দুই শতাধিক প্রবাসী শ্রমিকরা সারাদিন কড়া রোদে অপেক্ষায় ছিলেন খাবার, পানি ও শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ ছাড়াই।

কাতারসহ পার‌স্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করে আসছে। যদিও কাতার দাবি করেছে যে তারা তাদের শ্রমআইন সংস্কার করেছে।

পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসান আল-থাওয়াদিও বলেন, “আমি মনে করি প্রতি বছরই কর্মস্থলগুলোতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মানের উন্নতি হয়েছে, অন্তত আমাদের কর্মস্থলগুলোতে, বিশ্বকাপের কর্মস্থলগুলোতে, যেগুলোর জন্য আমরা দায়বদ্ধ।”

এদিকে যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের গত বছরের একটি প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরে সিএনএন লিখেছে, ২০১০ সালে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত বছর পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার দক্ষিণ এশীয় প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে সেদেশে, যাদের বেশিরভাগই কম মজুরির, বিপদজনক কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং প্রায়ই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাদের কাজ করতে হত।

অবশ্য গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সব মৃত্যুই বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণের কাজে সংশ্লিষ্ট বলে প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি এবং সিএনএনও নিরপেক্ষভাবে মৃত্যুর তথ্য যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

আল-থাওয়াদি গত বছর গার্ডিয়ানের ওই পরিসংখ্যান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সিএনএনের বেকি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের শিরোনাম নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এটা একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী শিরোনাম যা বিভ্রান্তিকর এবং এই প্রতিবেদনটির সারবস্তু নেই।”

কাতারের একজন কর্মকর্তা গত মাসে সিএনএনের কাছে দাবি করেন, গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে সাড়ে ছয় হাজার মৃত্যুর যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে গত ১০ বছরে সেদেশের সব প্রবাসী মৃত্যুর সংখ্যাও মিলিয়ে ফেলা হয়েছে।

“ওই তথ্য সত্য নয়। অসুস্থতা, বয়সজনিত কারণে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুও সেখানে রয়েছে, যা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়নি। প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়নি যে কাতারে প্রবাসী শ্রমিকদের মাত্র ২০ শতাংশ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত।”

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, কাতারের মোট শ্রমশক্তির ৯০ শতাংশই প্রবাসী শ্রমিক। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে আসছে, ২০১০ সালে কাতার ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনেক প্রবাসী শ্রমিককে বিনা বেতনে কাজ করতে হয়েছে, তারা দেরিতে বেতন পাচ্ছে, দীর্ঘ সময় তীব্র গরমে তাদের কাজ করতে হয়েছে, নিয়োগকর্তারা হয়রানি করেছে এবং তারা কাতার থেকে বের হতেও পারেনি সে দেশের স্পন্সর ব্যবস্থার কারণে।

বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন মরগ্যান। জবাবে আল-থাওয়াদি বলেন, “আমরা যখন বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রতিযোগিতায় নামি, তখনই আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন ছিলাম। এই উন্নতিগুলো শুধু বিশ্বকাপ আয়োজনের কারণেই হয়নি। এসব জায়গায় আমরা উন্নতি করতে চেয়েছি আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধের কারণে।

“বিশ্বকাপ একটি চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে, একে তরান্বিত করেছে, একটি প্রভাবক হিসেবে স্পটলাইটের কারণে যা আমরা আগেই স্বীকার করেছি।”

তিনি বলেন, “এ কারণে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, শুধু আইনি ব্যবস্থায় উন্নয়ন নয়, বরং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও। এবং আজকে আমরা এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছি যেখানে আমাদের সবচেয়ে কড়া সমালোচকও এ অঞ্চলে আমাদেরকে একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে।”


কাতার বিশ্বকাপ   প্রস্তুতি   প্রবাসী শ্রমিক   মৃত্যু   ফিফা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোট পর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে আগামীকাল ভোটগ্রহণ হবে।

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। 

১৯ এপ্রিল ভোট ছিল ১৭ রাজ্য ও ৪ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে। প্রথম ধাপে ভারতে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। ব্যতিক্রম বাংলা। প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৭ শতাংশ। ১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন।


লোকসভা   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বড় সুসংবাদ

প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যেসব মুসল্লি ওমরাহ পালন করতে চান তাদের বড় সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এখন থেকে যে কোনো ভিসা নিয়ে সৌদিতে আসলেই ওমরাহ করা যাবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র ওমরাহ ভিসার প্রয়োজন হবে না। 

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় আগতরা (সৌদি আরবে) এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম এবং ই-ভিসাসহ সব ভিসায় সৌদিতে প্রবেশ করে ইচ্ছা করলেই ওমরাহ করতে পারবেন। তারা বলছে, "আপনার ভিসার ধরন যাই হোক না কেন, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। 

এদিকে, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। আর এর মাধ্যমে মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।


ওমরাহ   সৌদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ২০ জনকে জীবিত কবর দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল  এবং গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গণকবর থেকে এখন একের পর এক মরদেহ বের করা হচ্ছে। যেগুলোর বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। 

ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য মোহাম্মদ মুঘাইয়ের জানিয়েছেন, এসব গণকবরে পাওয়া মরদেহের অন্তত ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার আলামত পেয়েছেন তারা।  

তিনি বলেছেন, ১০টি মরদেহের হাত বাধা ছিল। অন্যদের শরীরে মেডিকেল টিউব সংযুক্ত ছিল। বিষয়টি নির্দেশ করছে তাদের খুব সম্ভবত জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছে। 

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে শিশুদের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। মোহাম্মদ মুঘাইয়ের শিশুদের বিকৃত মরদেহের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গণকবরে শিশুরা কেন ? এসব প্রমাণ নির্দেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

দুই সপ্তাহ আগে খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে যান সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা গিয়ে দেখতে পান খান ইউনিসকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদাররা। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হাসপাতালের পাশেই পুঁতে রেখেছে তারা।


গাজা   কবর   ইসরায়েল   মরদেহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলার দাবি হুতির

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

পার্স টুডে বলছে, বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে হুতির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার তথ্য জানিয়ে বলেন, এডেন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মেয়ারস্ক ইয়র্কটাউন ও একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ভেরাক্রুজে হামলা করা হয়েছে। এ দুটি অপারেশনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান জেনারেল সারি। 

এদিকে আরব নিউজ জানিয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান আমব্রে বলছে, এডেন বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে হামলা হয়েছে। আর মার্কিন কর্তৃপক্ষ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট হুতিদের চারটি ড্রোন এবং একটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই: শাহবাজ শরিফ

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিল্প প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি অধিবেশন চলার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম তখন আমাদের বলা হতো এটি (বাংলাদেশ) আমাদের কাঁধের বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন সেই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। এ সময় শাহবাজ আরও বলেন, ‘আমরা যখন তাদের (বাংলাদেশ) দিকে তাকাই তখন আমরা লজ্জাবোধ করি।’

এদিন পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির সিন্ধু সিএম হাউসে অর্থনীতির উন্নতির উপায় খুঁজতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। ব্যবসায়ী নেতারা এ সময় অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় শাহবাজের সংকল্পের প্রশংসা করলেও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের ফলে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করারও পরামর্শ দেন করাচির ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করারও অনুরোধ জানান।


শাহবাজ শরিফ   পাকিস্তান   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন