ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধ বন্ধ হলেও লাভ পুতিনেরই হবে

প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

গত ৯ মাস ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। এখন যুদ্ধ বন্ধের কোনো চুক্তি হলে তা একপ্রকার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্যই বিজয় হবে। রাশিয়া যেভাবে সহজে যুদ্ধজয়ের আশা করেছিল, শেষ পর্যন্ত সেভাবে না হলেও জলাভ তারই হবে।

যদিও সামরিক পরাশক্তি রাশিয়াকে সেই সুযোগ দেয়নি ইউক্রেন। ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ৬০০ মাইল এলাকাজুড়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে রুশ বাহিনীর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রুশ বাহিনী এখন রক্ষণাত্মক অবস্থান নিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি বা আলোচনা ছাড়া আপাতত এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের। অন্তত এই মুহূর্তে। রুশ বাহিনীও এখন ক্লান্ত। অস্ত্রের সরবরাহ কমে গেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো চাইছে ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসুক। পুতিনের যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা আর পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে কিয়েভকে আলোচনার পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টিতে ইউক্রেন সাড়া দিচ্ছে না। পশ্চিমা মিত্রদের পরামর্শে কিয়েভ আলোচনায় আসুক পুতিনও সেটাই চাচ্ছেন।    

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সিএনএর রাশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিষয়ে নেতৃস্থানীয় একজন বিশেষজ্ঞ মাইকেল কফম্যান। তিনি বলছেন, ‘একটি আগাম অস্ত্রবিরতি হলে দুই পক্ষ পুনরায় শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবে।

আর যুদ্ধে রাশিয়া এখন পিছিয়ে পড়ায় এর সবচেয়ে বড় সুফল পাবে রাশিয়া। এরপর নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে পারবে। তাই যুদ্ধবিরতি হলেও যুদ্ধ চলবেই। এই যুদ্ধবিরতি যুদ্ধের অন্তর্নিহিত কারণগুলোর একটিরও সমাধান আনবে না।’  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া ইতিমধ্যে নতুন করে অস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার কাজ শুরু করেছে। কফম্যান বলেন, ‘এই যুদ্ধের ফলাফল কী হবে, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটি হচ্ছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সরবরাহ নিশ্চিত করা। আপনি যদি ৯০ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ ব্যবহার করেন, তাহলে এক মাসের মধ্যে তা তৈরি করা সম্ভব নয়। ফলে এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, কী হারে গোলাবারুদ তৈরি হচ্ছে এবং উৎপাদিত এসব গোলাবারুদের মধ্যে কী পরিমাণ যুদ্ধের ময়দানে সেনাদের কাছে পাঠানো যাচ্ছে।’      

প্রকাশিত তথ্যের বরাতে কফম্যান বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাবারুদ সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য এখন রাশিয়ার কোনো কোনো কারখানায় দুই থেকে তিন পালায়ও কাজ হচ্ছে। এতে বোঝা যায়, তাদের গোলাবারুদ তৈরি করার পর্যাপ্ত উপকরণ রয়েছে। আর তা না হলে দু–তিন পালায় কাজ হতো না।

এরপরও আমেরিকা ও পশ্চিমের কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি বা সমঝোতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। তাঁরা এ বিষয়ে কিয়েভকে চাপ দিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলে সম্প্রতি বলেছেন, ‘যখন সমঝোতার একটি সুযোগ আসবে, যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে, সেই সুযোগটা নিতে হবে। ওই সময়টাকে ধরতে হবে।’

অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতা নিয়ে তাঁদের কথায় সায় দিচ্ছেন না। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি–২০ জোটের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে সময়ক্ষেপণ করে নতুন করে তাদের বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেব না।’ এদিকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর হামলায় আসন্ন শীত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কিয়েভ।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয়দের পরিস্থিতি তুলে ধরে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেন, ‘ইউক্রেনীয়দের কাছে সমঝোতার বিষয়টি কেমন মনে হচ্ছে, সেটা একবার ভেবে দেখুন। কল্পনা করুন, আপনি নিজের ঘরে বসে আছেন। ঘাতকেরা আপনার বাড়িতে এসে আপনার স্ত্রীকে হত্যা করছে, আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করছে, এরপর আপনাকে দ্বিতীয় তলায় ডেকে নিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আপনাদের সামনে বলছে, আসুন আলোচনা করি। তখন আপনার প্রতিক্রিয়াটা কেমন হবে?’

ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর এই কথায় বোঝা যায়, ইউক্রেনে এখন বাস্তবে যা ঘটছে, তাতে যুদ্ধবিরতি করে প্রকৃতই কোনো লাভ নেই, তা আলোচনার মাধ্যমে হোক বা না হোক। যুদ্ধবিরতি হলে বরং রাশিয়া এর ফসল ঘরে তুলবে। হাঁসফাঁস করতে থাকা রাশিয়ার জন্য এখনা যুদ্ধবিরতি গুরুত্বপূর্ণ।    

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ফেলো জেনারেল মাইক রায়ান বলছেন, ‘যুদ্ধবিরতি রাশিয়াকে যেমন নতুন করে সংগঠিত ও অস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, একই সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত রুশ সেনাদের বিশ্রাম নেওয়ারও একটি সুযোগ তৈরি করে দেবে এটা। গত ৯ মাসের যুদ্ধে রুশ সেনারা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। যুদ্ধ করতে করতে তাঁরা ক্লান্ত-অবসন্ন হয়ে পড়েছেন।’    

যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে সবচেয়ে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গত সোমবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দক্ষ সেনা ও গোলাবারুদ–সংকটে পড়েছে রুশ বাহিনী। এতে তাদের আক্রমণ করার ও প্রতিরক্ষার ক্ষমতা অনেক কমতে থাকবে।’

ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ক্রিস ডোয়াটি বলছেন, ‘এই যুদ্ধে রাশিয়া আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করবে এবং সেনা মোতায়েন করতে থাকবে। অন্যদিকে রাশিয়ার ধারণা, ন্যাটো, পশ্চিমা মিত্র ও ইউক্রেনীয়রা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা আর এভাবে চালিয়ে নিতে চাইবে না। আর এতে কিয়েভ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হবে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিন এটাকেই তাঁর বাজি হিসেবে ধরেছেন।’



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার এক গণকবরে মিলল ৩০০ লাশ

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।

খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি লাশের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার সিএনএনকে বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের লাশের সন্ধান করছেন।

গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।


ফিলিস্তিন   লাশ   গণকবর   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, সবাই নিহত

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হেলিকপ্টার দুটির সব আরোহী নিহত হয়েছে। রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানের মহড়ায় হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হেলিকপ্টার দুটি বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় মিডিয়ার খবরে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মহড়ার জন্য বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার উড্ডয়নের পরই এদের মধ্যে দুটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এরপরই হেলিকপ্টার দুটি মাটিতে পড়ে যায়।

মালয়েলিয়ার লুমাত শহরে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ওই দুটি হেলিকপ্টারে অন্তত ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সকলেই নিহত হয়েছেন।

হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে এইচওএম এম৫০৩-৩ মডেলটিতে সাতজন ব্যক্তি ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি বিধ্বস্ত হয়ে রানওয়েতে পড়েছে। এছাড়া ফেননেক এম৫০২-৬ মডেলের হেলিকপ্টারটিতে তিনজন ব্যক্তি ছিলেন। এটি বিধ্বস্ত হয়ে কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে পড়েছে।

দেশটির ফায়ার এন্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় ৯টা ৫০ মিনিটে দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পায়।


মালয়েশিয়া   মাঝ   আকাশ   দুই হেলিকপ্টার   সংঘর্ষ   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি: মার্কিন প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক  প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার  প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


বাংলাদেশে   মানবাধিকার   পরিস্থিতির   উন্নতি হয়নি   মার্কিন প্রতিবেদন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানা থেকে দেশটিতে পাড়ি জমান উচ্চশিক্ষার জন্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে অ্যারিজোনা রাজ্যের পেওরিয়াতে একটি গাড়ির সঙ্গে তাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহত নিভেশ মুক্কা ও গৌথাম কুমার পার্সি দুজনের বয়সই ১৯ বছর।   

গৌথম কুমার জানগাঁও জেলার ঘনপুর স্টেশনের বাসিন্দা। আর নিভেশ ছিলেন করিমনগর জেলার হুজুরাবাদের বাসিন্দা। দুজনেই অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ছিলেন। 

খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বন্ধুদের নিয়ে দুজনে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি গাড়ির সঙ্গে তাদের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিভেশ ও গৌতম মারা যান এবং উভয় গাড়ির চালক আহত হন।

মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।


যুক্তরাষ্ট্র   সড়ক দুর্ঘটনা   ভারত   শিক্ষার্থী   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীন মালদ্বীপের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ইচ্ছুক

প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল পার্লামেন্টে নির্বাচনে জয় হওয়ায় চীন অভিনন্দন জানায়। নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর চীনের পক্ষ থেকে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলা হয়েছে। 

গত রোববার মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। দেশটির পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ মুইজ্জুর হাতে থাকবে কি না, এটা ছিল বড় পরীক্ষা। 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়ান ওয়েবিন বলেন, 'চীন ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা প্রসারিত করতে মালদ্বীপের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।' তিনি মালদ্বীপের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে বেইজিং কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন। 


চীন   মালদ্বীপ   পিএনসি   মোহামেদ মুইজ্জু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন