বাস চালাতে চালাতেই অসউস্থ হয়য়ে স্টিয়ারিংয়ের
উপর ঢলে পড়েন চালক। নিয়ন্ত্রণহীন বাস এরপর সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে
ধাক্কা মারে। এতে মৃত্যু হয় এক পথচারীর। আহত হন একাধিক ব্যক্তি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরে ওই বাস থেকে উদ্ধার করা হয় চালকের মরদেহ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে।
বাসটির চালকের নাম হরদেব পাল (৬০)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকেই হয়েছে
জবলপুর শহরের একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালের
সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে আছে একাধিক
মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশা। আচমকা পিছন থেকে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেগুলোকে ধাক্কা
মারে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাসটি চালাচ্ছিলেন
হরদেব নামের এক চালক। তিনি গত দশ বছর ধরেই শহরে ‘মেট্রো বাস’ চালান। আচমকাই বাস চালাতে
চালাতে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ঢলে পড়েন স্টিয়ারিংয়ের উপর।
আরও জানা গেছে, ওই বাসের যাত্রী এবং দুই শিশু-সহ মোট ছ’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি এক বৃদ্ধকেও ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তবে বাসের গতি কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি পুলিশের।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা
বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭ জনে। এর আগে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম
ডন জানায়, এ ঘটনায় অন্তত ৪৪ নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশোয়ারের
পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক
কর্মকর্তারা জানান, সোমবার পুলিশের দুটি চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশ করেন
হামলাকারী। মসজিদটিতে জোহরের নামাজ চলাকালে সামনের কাতারে ছিলেন তিনি। এদিকে, এ হামলার
দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
পেশোয়ারের জেলা
প্রশাসক শফি উল্লাহ খান বলেন, আত্মঘাতী হামলায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। আহতদের মধ্যে
অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। সুতরাং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আহতদের উদ্ধার করে
লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের জন্য রক্ত সহায়তা চেয়েছে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ।
খাইবার পাখতুনখোয়ার
তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান পেশোয়ারের সব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার
জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে
ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত করার নির্দেশও দিয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী
গণমাধ্যমকে জানান, তিনি যখন মসজিদে যাচ্ছিলেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ
ছিল। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয় চারপাশ। তিনি আরও জানান, তার জ্ঞান ফিরলে মসজিদের
ছাদ ভেঙে পড়তে দেখেন।
সিভিল সেক্রেটারিয়েট
অ্যাসোসিয়েশন পেশোয়ারের সভাপতি তাসাভুর ইকবাল বলেন, আমি নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়ি
পুলিশ লাইন্স এলাকার নিরাপত্তা সবসময়ই কড়া থাকে। এমনকি পরিচয় দেওয়া ও দেহ তল্লাশি
ছাড়া কেউই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না।
ইকবাল আরও বলেন,
‘আজ যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটি একটি বড় মসজিদ, যেখানে একই সময়ে চারশ-পাঁচশ
মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। বিস্ফোরণের পর ভবনটি ধসে পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী
শাহবাজ শরিফ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একটি মসজিদের ভেতরে আত্মঘাতী
বোমা হামলা প্রমাণ করে, ইসলামের সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িতদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, টুইটারে
এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
পাকিস্তান মসজিদ আত্মঘাতী বোমা হামলা তালেবান
মন্তব্য করুন
বিশ্বের
বড় অর্থনীতির দেশগুলো মধ্যে ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিই সংকোচন দেখবে এবং জীবনযাপন ব্যয় বাড়তে থাকায় অন্যদের চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থার মুখোমুখী হবে ব্রিটিশ অর্থনীতি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সে কথাই জানিয়েছে। বিশ্ব মুদ্রার তদারককারী সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি আগের তুলনায় ০.৬ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
তবে আইএমএফ জানিয়েছে, নানা ব্যবস্থা নেওয়ার পর বর্তমানে সঠিক পথেই আছে ব্রিটিশ অর্থনীতি।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, গত বছর অনেক সংস্থার করা পূর্বভাসের চেয়ে বেশ ভালো করছে তার দেশের অর্থনীতি।
আইএমএফের তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুকে বলেছে, ব্রিটিশ জিডিপি চলতি বছর ০.৩ শতাংশ সংকোচন হতে পারে।
আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশ্বের বড় অর্থনীতির মধ্যে এ বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিই সংকোচন দেখবে। জিডিপির নিম্নমুখিতাও দেশটিকে ভোগাবে।
আইএমএফের দাবি, যুক্তরাজ্যে জ্বালানি-বিদ্যুতের চড়া দাম, মুদ্রাস্ফীতিই এই সংকোচনের মূল কারণ।
মন্তব্য করুন
গত
কয়েকদিন কিয়েভ দাবি করছে- রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনে বড় হামলা করতে
পারে। আর তাদের হামলা
প্রতিহতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্র
দেশগুলোর কাছে প্রথমে ট্যাংক সহায়তা চায় ইউক্রেন। ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এখন যুদ্ধবিমান
চাইছে তারা।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়েছে দেশটি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবেন না।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এক সাংবাদিক বাইডেনকে প্রশ্ন করেন কিয়েভকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তার আছে কি না। এ প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘না’।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় এক বছর ধরে যুদ্ধ করায় আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর শক্তি। যখন পশ্চিমারা তাদের ট্যাংক দিতে সম্মত হলো তখন কিয়েভ ভাবল এখন তাদের যুদ্ধবিমানও দিতে পারে তারা। আর এসব যুদ্ধবিমান দিয়ে নিজেদের বিমানবাহিনীর শক্তি আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত সরাসরি এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। এরআগে জার্মানিও যুদ্ধবিমান দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৭ জনে। এর আগে পাকিস্তানি
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, এ
ঘটনায় অন্তত ৩২ নিহত ও
১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশোয়ারের
পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তারা জানান, সোমবার পুলিশের দুটি চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশ করেন হামলাকারী। মসজিদটিতে জোহরের নামাজ চলাকালে সামনের কাতারে ছিলেন তিনি। এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
পেশোয়ারের জেলা প্রশাসক শফি উল্লাহ খান বলেন, আত্মঘাতী হামলায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। সুতরাং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আহতদের উদ্ধার করে লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের জন্য রক্ত সহায়তা চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান পেশোয়ারের সব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত করার নির্দেশও দিয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি যখন মসজিদে যাচ্ছিলেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয় চারপাশ। তিনি আরও জানান, তার জ্ঞান ফিরলে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়তে দেখেন।
সিভিল সেক্রেটারিয়েট অ্যাসোসিয়েশন পেশোয়ারের সভাপতি তাসাভুর ইকবাল বলেন, আমি নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়ি পুলিশ লাইন্স এলাকার নিরাপত্তা সবসময়ই কড়া থাকে। এমনকি পরিচয় দেওয়া ও দেহ তল্লাশি ছাড়া কেউই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না।
ইকবাল আরও বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটি একটি বড় মসজিদ, যেখানে একই সময়ে চারশ-পাঁচশ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। বিস্ফোরণের পর ভবনটি ধসে পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একটি মসজিদের ভেতরে আত্মঘাতী বোমা হামলা প্রমাণ করে, ইসলামের সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িতদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, টুইটারে এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
মন্তব্য করুন
সঙ্কটে পরে
থাকা শ্রীলঙ্কাকে
৪৮০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে
ভারত। এদিকে আইএমএফ এর কাছ থেকে ২৯০ কোটি ডলার পাওয়ার অপেক্ষায় আছে দেশটি। আর তার জন্য মানতে হচ্ছে কঠিন শর্ত। এদিকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আগের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড় খবর হিসেবে
আসছে না। পরিস্থিতি কি বদলেছে কি না তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা?
আদতে, বিশ্বর নিত্যনতুন সংকটের ভিড়ে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়তো কিছুটা পেছনে পড়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা এখনো সংকটের মধ্যেই আছে। শ্রীলঙ্কার জনগণ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে কর বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। এটি যেন আঘাতের ওপর আঘাত।
ধরা যাক, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধসে পড়ার আগে পোশাকশিল্পের একজন প্রশাসনিক কর্তা মাসে ৪০ হাজার রুপি বেতন পেতেন। ওই বেতনে তাঁর সংসারের খাওয়া খরচ থেকে শুরু করে সব প্রয়োজন মেটাতে হতো। এখন সেই খরচ মেটাতেই তাঁর ৬৫ থেকে ৭০ হাজার রুপি প্রয়োজন। তাঁর বেতন তো বাড়েইনি। উল্টো চাকরিটাও ঝুঁকিতে আছে।
ফলে মানুষের চাহিদা কমাতে হচ্ছে।আগে পরিবারে মাসে গুঁড়া দুধ লাগত দুই কেজি। এখন তা আধাকেজি বা সর্বোচ্চ এক কেজিতে সীমিত রাখছে মানুষ। অর্থাৎ খাওয়া দাওয়ার পরিমাণ এবং খাবারের ধরন বদলাতে হচ্ছে।
বিলাসবহুলসহ অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সরকার কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এতে আবার ওই খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এমন পণ্যগুলোর দাম এখন অনেক বেশি। নিত্যপণ্য কিনতেই আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ধরনের সংকটে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শ্রীলঙ্কায় দারিদ্র্য বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শর্ত দিয়েছে, করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সরকারি চাকরিতে অপ্রয়োজনীয় জনবল এবং তাঁদের সুবিধা কমাতে হবে। সরকারও বলছে, করের পরিমাণ বাড়াতেই হবে। কারণ দেশ চালাতে হলে অর্থ লাগবে। শ্রীলঙ্কায় চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কর কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতের কর্মীরা সরকারের আয়কর বৃদ্ধির উদ্যোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এরই মধ্যে সরকারি চাকরিতে অবসরের সময়সীমা ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬০ বছর করেছেন। শূন্যপদে লোক নিয়োগও কার্যত বন্ধ রেখেছেন। আইএমএফ আগেই বলে দিয়েছে, ঋণ পেতে হলে শ্রীলঙ্কা সরকারকে সরকারি চাকরির পদ কমাতে হবে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি করতে হবে। ভর্তুকি কমিয়ে আনতে হবে।
শ্রীলঙ্কার এই সংকটের মধ্যে সবচেয়ে জোরালোভাবে পাশে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে মোদি সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) পশ্চিমা দেশগুলোও শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করছে।
আইএমএফের প্রস্তাবিত প্যাকেজের পরিমাণ ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার। পরিমাণে এটি ভারতের দেওয়া সহায়তার চেয়ে অনেক কম। তবে আইএমএফের এই ঋণ পাওয়া শ্রীলঙ্কার জন্য প্রতীকীভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আইএমএফ যদি শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেয়, তাহলে সারা বিশ্বের কাছে বার্তা যাবে যে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা শ্রীলঙ্কার আছে। তখন বিশ্ব শ্রীলঙ্কার পাশে আরো জোরালোভাবে দাঁড়ানোর এবং সহযোগিতা করার সাহস পাবে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার দেনার বিষয়ে চীনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চীন যদি শ্রীলঙ্কার দেনা কমাতে রাজি হয় তবে ঋণ দিতে পারে আইএমএফ। আইএমএফ নিশ্চিত হতে চাচ্ছে, ঋণ নিলে সেটি পরিশোধ করার সক্ষমতা শ্রীলঙ্কার আছে।
শ্রীলঙ্কার জনগণের বড় অংশই মনে করে, দেশের আজকের এই সংকটের জন্য শাসনব্যবস্থা, বিশেষ করে, রাজাপক্ষের পরিবারই দায়ী। প্রথমে তাদের লক্ষ্য ছিল তামিলদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধে জয়ী হওয়া। সে জন্য সেখানে তারা যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করেছে। গৃহযুদ্ধের পর রাজাপক্ষের সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ঋণ নিয়ে দেশকে ঋণে জর্জরিত করেছে। এরপর সেই ঋণ তারা ব্যয় করেছে হাম্বানটোটা বন্দরের মতো অপরিণামদর্শী অলাভজনক প্রকল্পে। কভিড মহামারির ধাক্কা শ্রীলঙ্কায় যেন কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। পর্যটননির্ভর শ্রীলঙ্কায় পর্যটন খাতে ধস নামল। ফসলের উৎপাদন কমল। এসব কিছুর দুর্ভোগ এখন টের পাচ্ছে শ্রীলঙ্কার জনগণ।
কিন্তু এই সংকটের মধ্যে দেশের হাল ধরেছেন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। রাজনীতিকদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় চলে এসেছে। যদিও বলা যাচ্ছনা এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে কি না।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭ জনে। এর আগে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, এ ঘটনায় অন্তত ৪৪ নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে।