গত ১৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। অথচ এই ঘোষণার সপ্তাহখানেক
আগেই অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে চরমভাবে ব্যর্থ হয় পছন্দেরপ্রার্থীরা।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প
তাঁর নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের ‘লাল ঢেউ’ তোলার আহ্বান জানান। তবে বাস্তবে
তা ফলেনি। বিপরীতে নির্বাচনী ফলাফলে ফুটে উঠেছে তাঁর হতাশা ও কপটতার প্রতিচ্ছবি; যদিও
কিছু প্রার্থীর পক্ষে জোরেশোরেই প্রচারে নেমেছিলেন তিনি।
দীর্ঘ ও সামান্যই উদ্দীপক ওই ঘোষণায়
ট্রাম্প নিজ কর্মকাণ্ড ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন,
জ্বালানির মজুত ও বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, সেসব ছিল
মিথ্যা, অর্ধসত্য ও বিকৃতিতে ভরা। যদিও এটি সত্য, ট্রাম্প নতুন করে বড় যুদ্ধ বাধাননি;
যেটি কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য কৃতিত্বই। তবে তাঁর অতি জাতীয়তাবাদী চেতনায় আন্তর্জাতিক
নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণায় ছিল তাঁর গতানুগতিক
কৌশলের ছাপ; পুরোটাই ছিল অসার ও তিক্ততাপূর্ণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সামান্য
ব্যবধানে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠের আসনে ফিরলেও এর জন্য নিজের কৃতিত্ব
দাবি করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বাইডেন কতটা
সামাল দিতে পেরেছেন, তার একটি পরীক্ষা ছিল মধ্যবর্তী নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তির
দিকে থাকা মূল্যস্ফীতি ও বাইডেনের পড়তির দিকে থাকা জনপ্রিয়তার ঘাড়ে চেপে এই নির্বাচনে
রিপাবলিকানরা বড় জয় পাবেন বলেই ধরা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যে ফলাফল এসেছে, তা দলটির
জন্য হতাশাজনক। আরও একবার ট্রাম্প প্রমাণ করলেন, রিপাবলিকান দলে তিনি যতটা না সম্পদ,
তার চেয়ে বেশি বোঝা হিসেবেই রয়েছেন।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের
আগে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের
এত সাফল্য দেখতে পাবে যে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তবে রিপাবলিকান
দল ও নিজ দেশের জন্য এত ব্যর্থতা ডেকে এনেছিলেন যে মার্কিনরা একপ্রকার বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
পরে ট্রাম্পের নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি
পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান রিপাবলিকানরা। ২০২০ সালে গিয়ে সিনেট এমনকি হোয়াইট হাউসেও
পতন হয় তাঁদের। গত মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের পছন্দের অনেক প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
এতে করে ‘লাল ঢেউ’ তোলার বিপরীতে চরম অপমানের মুখে পড়েছে দলটি। সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পেতে বিফল হয়েছে তারা।
২০২০ সালের নির্বাচনে হারের পর ট্রাম্প
দাবি করেছিলেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ওই দাবি যে মার্কিনরা আমলে নেননি, তা মধ্যবর্তী
নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রার্থীদের পরাজয়ের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প
যেন ঘূর্ণিঝড়ের মতো যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সুনাম তছনছ করে দিয়েছেন। দেশটির গণতন্ত্রের
ভিত্তিও নড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন এটা পরিষ্কার যে ট্রাম্প পরীক্ষিতভাবে একজন পরাজিত
মানুষ।
এরপরও ট্রাম্প বিভীষিকার শেষ দেখা যাচ্ছে
না। অনেক মামলা-মোকদ্দমা ঘাড়ে নিয়ে রিপাবলিকান দলে অনেকের বিরোধিতার মুখে পড়েও তিনি
জানিয়েছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন। তবে গত তিন নির্বাচনে রিপাবলিকানদের
ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে দলটি থেকে নির্বাচিত গভর্নর ল্যারি
হোগানের ভাষ্য, এবার ট্রাম্পের সরে দাঁড়ানো উচিত।
রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের বেশির ভাগ
মূলনীতি ও ভিত্তিগুলো এড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় থাকাকালে স্বাধীন গণমাধ্যম ও বিচারব্যবস্থার
গলা চেপে ধরেছিলেন তিনি। তিনি যদি ২০২০ সালের নির্বাচনে জয় পেতেন অথবা তাঁর পছন্দের
প্রার্থীরা যদি এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সফল হতেন, তাহলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে
আরও কিছুটা সময়ের জন্য উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।
ভালো দিকটা হচ্ছে, ট্রাম্পের দল ও তাঁর
পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত না করার মধ্য দিয়ে খাদের কিনার থেকে ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প রিপাবলিকান দলকে নতুন করে খাদের
কিনারায় নিয়ে যেতে পারেন। দলের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে সমর্থন করেন। আর এটাই
তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প বলতে পারছেন, ‘আমাকে
মনোনীত করুন, নতুবা ঝুঁকি নিন।’
রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
ট্রাম্প লড়বেন, কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা এখনো সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
এটা ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছে।
যদিও নির্বাচনের এখনো প্রায় দুই বছর
বাকি। তাই চূড়ান্তভাবে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে, যদি ডেমোক্র্যাট দল থেকে জো বাইডেন
আবার লড়তে চান, তাহলেও ট্রাম্প বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। কেননা, বাইডেনের বয়স ৮২ বছর।
এই বয়সী একজন ব্যক্তির বিপরীতে নির্বাচনে ট্রাম্প তুখোড় অবস্থান নেবেন, এটা অনুমেয়।
ট্রাম্প যদি আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরতে
পারেন, তবে তা হবে নজিরবিহীন। কিছু বিষয় স্পষ্ট যে ট্রাম্পের ফিরে আসার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী
উগ্র ডানপন্থীদের জয়জয়কার দেখা যাবে। বিশেষত, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডব চালানোর পর। ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন
ঘৃণা ও বর্ণবাদের বিজয় হিসেবে চিহ্নিত হবে। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকেই ট্রাম্প
সফলভাবে পরাজিত হয়ে আসছেন। এখন সময় এসেছে তাঁকে আরেকবার পরাজিত করার ও সেটা সবার স্বার্থেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনকে দেখা গেলো খেলার মাঠে। আবার গোলও পেয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানী প্যারিসে এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন তিনি। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর।
ম্যাকরনের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ দিদিয়ের দেশম, দিদিয়ের দ্রগবা, আর্সেন ওয়েঙ্গারসহ সাবেক বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। খেলার মাঠে বেশ সাবলীল ও কৌশলী ভূমিকায় দেখা গেছে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। মিস করেননি পেনাল্টি। সুযোগ পেয়েই পাঠিয়ে দিয়েছেন গোলবারের ভেতর। ছুটে এসে অভিনন্দন জানান টিম সদস্যরা। কিছু সময়ের জন্য যেন সবাই ভুলে গেলেন দেশের প্রেসিডেন্ট তিনি।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফুটবল জার্সি পরে মাঠে নামলেন ম্যাকরন। এর আগে, ২০২১ সালে প্যারিসে শহরতলির একটি দাতব্য ম্যাচে খেলতে নেমেছিলে। সেবারও পেনাল্টিতে গোল পেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রীতি ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই ব্যয় হবে শিশুদের চিকিৎসার জন্য। ম্যাচটি আয়োজন করে ম্যাকরনের স্ত্রী ব্রিজিত পরিচালিত ভ্যারাইটিস ক্লাব অফ ফ্রান্স (ভিসিএফ) নামে একটি দাতব্য সংস্থা।
মন্তব্য করুন
শ্রমিকের সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা। আর সে লক্ষ্যে আইনের দিকে ঝুঁকে নীতি নির্ধারকরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ আইন পাস হলো ইইউ পার্লামেন্টে। পক্ষে ভোটা ৩৭৪টি, ভোট দানে বিরত ছিল ১৯ জন আর বিপক্ষে ভোট পরেছে ২৩৫।
ডিউ ডিলিজেন্স আইনে বলা হয়, দেশে-বিদেশে ইইউর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো, কর্মীর সংখ্যা ১০০০ এর উপরে তারা পরবে নতুন আইনের আওতায়। সেসব করপোরেটদের নিশ্চিত করতে হবে শ্রমিক ও পরিবেশ নিরাপত্তা। নইলে গুনতে হবে জরিমানা।
বাংলাদেশের ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এ বিষয়ে বলেন, ইউরোপের মালিকানাধীন কিংবা অন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান যাদের ১০০০ এর উপর কর্মী আছে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো তাদের সবাইকে যদি ইউরোপের বাজারে আগামীতে ব্যবসা করতে হয় তবে নিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার এবং পরিবেশের নিরাপত্তা।
তবে এখনই শ্রম ইস্যুতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতীয় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মনযোগী হবার আহবান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শিল্প কারখানায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের সার্বিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে যদি কোন ইইউ প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয় নিশ্চিত না করে, বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
নতুন আইনটি পাশ হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে আলোচনার শেষে কার্যকর হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান চার্লস।
শ্রমিক অধিকার বিল পাস ইইউ পার্লামেন্ট
মন্তব্য করুন
ভারতে বিজেপির উত্থান হলেও দক্ষিণের রাজ্য কেরালার চিত্র একেবারেই বিপরীত। বামদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কেরালা একমাত্র রাজ্য, যেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কখনো একটি আসনও জেতেনি। রাজ্যটি দখলে প্রাণপণ চেষ্টা করলেও গেরুয়া শিবির কেন তা পারছে না? রাজ্যটিতে বিজেপির পিছিয়ে থাকার কারণ কী?
স্বাধীনতার পর থেকে কেরালা রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতায় বসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। দেশটির দক্ষিণের এ রাজ্যে বরাবরই বাম-কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে জনগণ। প্রগতিশীল মানুষের ঘনত্বের গড় বিচারে কেরালা রাজ্যটির অবস্থান সবার ওপরে।
শুধু তাই নয়, শিক্ষাতেও এগিয়ে রাজ্যটি। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আধুনিকতা ছাড়াও এ রাজ্যের মানুষ ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় চিন্তাশীল, বন্ধুত্বপরায়ণ এবং গঠনমূলক বলেও মনে করা হয়। প্রশ্ন আসতে পারে, এসবের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রিয়তা না বাড়া কিংবা ভোট না পাওয়ার সম্পর্ক কী?
বিজেপিকে এ রাজ্যে ভোট পেতে হলে রাজ্যটির ৪৫ শতাংশ অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মত পেতে হবে। অর্থাৎ খ্রিষ্টান এবং মুসলমানদের ভোট পেতে হবে। নারী ভোটাররা এখানকার আরেকটি ট্রাম্প কার্ড। রাজ্যের মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি নারী; তারা রাজনৈতিকভাবে শুধু সচেতনই নন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঘোর বিরোধী।
ধর্মীয় আবেগকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবসহ বহু রাজ্যে বিজেপির রকেট গতিতে উত্থান হলেও কেরালায় বিজেপির সলতেতে আগুন তো দূরের কথা, তেলও দিতে পারছেন না শীর্ষ নেতারা।
গেলো লোকসভা নির্বাচনে ২০ আসনের রাজ্যটিতে বিজেপি শূন্য। একইভাবে ২০২১ সালের রাজ্যটির বিধানসভা ভোটেও বিজেপির ঝুলিতে যায়নি ১৪০ আসনের একটিও। পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি টিমটিম করে জ্বলা বাতির মতোই।
যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। তবে শেষ কথা বলবে কেরালার শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বুধবার তেহরানে হাজার হাজার শ্রমিকের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো ইরানকে তাদের সামনে নতজানু করা এবং তাদের পুরোপুরি অনুসরণে বাধ্য করা। কিন্তু ইতিহাস-ঐতিহ্যের অধিকারী মহান ইরানি জাতি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র গুণ্ডামি ও বাড়াবাড়ির সামনে নত হবে না। ইরানি জাতি কখনই বৈশ্বিক অহংকার দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং নিষেধাজ্ঞাকে সুযোগে পরিণত করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'আমরা বহু বছর ধরে আমেরিকা এবং ইউরোপের কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। তাদের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কী? তারা পারমাণবিক অস্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলছে। এটা মিথ্যাচার। এগুলো কিছু নয়। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা হচ্ছে এই অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদী কারা? গাজাবাসীরা সন্ত্রাসী!'
তিনি আরও বলেন, 'আমেরিকা ও ইউরোপের মতে গাজার জনগণ সন্ত্রাসী। একটি বদমাইশ, দখলদার ও অবৈধ সরকার মাত্র ছয় মাসে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে শিশু রয়েছে কয়েক হাজার। এরপরও তারা সন্ত্রাসী নয়, কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত বোমা হামলার মধ্যে রয়েছে তারা সন্ত্রাসী! ইহুদিবাদী ইসরায়েল (ফিলিস্তিনিদের) ক্ষেত-খামার ও ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে যাতে উপশহর নির্মাণ করতে পারে। ফিলিস্তিনিরা তাদের কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেওয়া বাড়িটি রক্ষার চেষ্টা করছে। সে কীভাবে সন্ত্রাসী হতে পারে? তারাই সন্ত্রাসী যারা তাদের ওপর বোমাবর্ষণ করছে।'
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ওইসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারওে শুরু করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রগুলো গত মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজের অংশ ছিল, যা চলতি মাসে কিয়েভে পৌঁছেছে।
মার্কিন মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ইতোমধ্যে অন্তত একবার ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
বুধবার ইউক্রেনের জন্য আরও ৬১ বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা প্যাকেজ স্বাক্ষর করেছেন বাইডেন।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) এর মধ্য-পাল্লার সংস্করণ সরবরাহ করেছিল। সে সময় আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানো ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইউক্রেনে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা- যা ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) পর্যন্ত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম পাঠাতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।
ইউক্রেনের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তাদের অনুরোধে বিষয়টি এটি আগে ঘোষণা করা হয়নি বলে জানান তিনি।
ইতোমধ্যে কতগুলো ব্যালিস্টি অস্ত্র পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, “ওয়াশিংটন আরও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যা একটি পার্থক্য তৈরি করবে। কিন্তু আমি যেমন এই মঞ্চে আগেই বলেছি... কোনও রূপালী বুলেট নেই।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানতে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অধিকৃত বন্দর শহর বারডিয়ানস্কে রাশিয়ার সেনাদের ওপর হামলায় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকা
মন্তব্য করুন
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বুধবার তেহরানে হাজার হাজার শ্রমিকের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো ইরানকে তাদের সামনে নতজানু করা এবং তাদের পুরোপুরি অনুসরণে বাধ্য করা। কিন্তু ইতিহাস-ঐতিহ্যের অধিকারী মহান ইরানি জাতি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র গুণ্ডামি ও বাড়াবাড়ির সামনে নত হবে না। ইরানি জাতি কখনই বৈশ্বিক অহংকার দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং নিষেধাজ্ঞাকে সুযোগে পরিণত করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।