ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০২৩ সালের ব্যাবসার মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি-মন্দা

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বিগত কয়েক বছর ধরে বড় ধরনের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, মহামারি ও যুদ্ধ-সবগুলো অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে অব্যাহত। এখনো বিশ্বের সামনে আশার কোনো খবর নেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার মতো দুই শত্রু দৃশ্যমান। এখন থেকেই এগুলোর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে হবে।

সবশেষ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সত্তরের দশকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আজকের দিনে যারা কোম্পানিগুলোর নির্বাহী পদে আছেন তাদের কী করা উচিত বা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে বেশ কিছু কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য কমে যায়। মোটর কোম্পানি ফোর্ড জানায়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের ব্যয় হয় এক বিলিয়ন ডলার, যা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। ইউরো অঞ্চলের কোম্পানিগুলোতে উৎপাদন মূল্য বার্ষিকভিত্তিতে ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে জ্বালানির মূল্য বাড়ায় এমন হয়েছে। তবে আশার কথা হলো উৎপাদন খরচ বাড়লেও ভোক্তাদের চাহিদা এখনো শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে। কারণ করোনা মহামারির সময় শুরু করা সরকারগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রণদনা এখনো চলমান রয়েছে, যা আমেরিকার ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।

লাভ ধরে রাখতে ২০২৩ সালে ব্যবস্থাপকরা দুইটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হবে। প্রথমটি হচ্ছে উৎপাদন খরচের ব্যপক বৃদ্ধি। যদিও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ হতে পারে। তারপরও এমন একটি অবস্থানে এটি থাকবে যা মজুরি ও অন্যান্য মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

দ্বিতীয় চাপটি আসতে পারে চাহিদার পতনের মধ্যে দিয়ে। ইউরোপের সরকারগুলো পদক্ষেপ নিলেও ভোক্তারা কম ব্যয় করবে। কারণ তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বাড়ানোর ফলে চাপে পড়তে যাচ্ছে অর্থনীতি। পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ডেলোটির করা এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৯ শতাংশ আর্থিক কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে স্থবিরতার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ৪৬ শতাংশ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।

স্থবিরতার বিভিন্ন উপাদান যেহেতু অনিবার্য। তাই কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা মিশ্র কৌশল প্রণয়ন করবে। তাদের অনেকেই উৎপাদন ব্যয় ভোক্তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করবে। ২০২২ সালে ম্যাকডোনাল্ডস ১৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে চিজবার্গারের দাম বাড়িয়েছে। অন্যান্য কোম্পানিও একই পথে হেঁটেছে। তবে এই বিষয়টি স্বস্তিদায়ক নয়। কারণ এতে ভোক্তরা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা কোম্পানির মার্কেট শেয়ার বা আয় কমিয়ে দিতে পারে।

মূল্য বাড়িয়ে অনেক কোম্পানিই ভালো করতে পারবে না। কারণ ভোক্তারা দূরে সরে যেতে পারে। তাই অনেকে সংকোচন নীতি বাস্তবায়ন করবে। যেমন- চকলেট আকারে ছোট করে মূল্য একই রকম রাখবে। কেউ কেউ দক্ষতা লাভের মাধ্যমে খরচ ধরে রাখতে চাইবে। জ্বালানি ব্যয় বাড়ার ফলে এরই মধ্যে ইউরোপের কোম্পানিগুলোর সরবরাহ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যেও অনেক ভালো কোম্পানির আবির্ভাব হবে। তাছাড়া অসুবিধায় থাকা বিনিয়োগকারীরা ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও বাজার শেয়ারের ধসে নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করবে। কিন্তু সমস্যার মধ্যে যারা ভালো করবে তাদের সুনাম অনেক বেড়ে যাবে।


ব্যবসা   কোম্পানি   মন্দা   মুদ্রাস্ফীতি   বিশ্ব বাণিজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিরা এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   যুদ্ধ   ইসরায়েল   হামাস   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। 

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। পরে জম্মু ও কাশ্মীরের রমবান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী-সহ ট্যাক্সিটি আচমকা রাস্তার পাশে থাকা গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও যোগ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেজা থাকায় উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে।


কাশ্মীর   ট্যাক্সি   এসডিআরএফ   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনের আগেই ‘কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে’ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লির আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে বির্তকিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করে বিজেপি শাসিত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মতবিরোধ চলছিল। সেই আগুনে ঘি ঢালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার ইস্যু। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে দেশ দুটি। 

গ্রেফতার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ‘সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায়’ বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। কিন্তু বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশটি। 

এমনকি দিল্লিতে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) ভারতে নিযুক্ত মার্কিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করা হয়। ওয়াশিংটনের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ ও আপত্তি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি।

তবে নয়াদিল্লির এসব আপত্তি অগ্রাহ্য করে, বিষয়টি নিয়ে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। মার্কিন কূটনীতিককে তলব এবং ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। 

মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কেজরিওয়াল ইস্যুতে ‘নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টিও তাদের নজরে আছে। এছাড়া কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে মিলার বলেন, 

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এতে আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। 

এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন,  মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের করা মন্তব্যের বিষয়ে দেশটির কূটনীতিকের কাছে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। মন্তব্যগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। আমাদের নির্বাচনী এবং আইনি প্রক্রিয়ার ওপর বহিরাগত যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ভারতে আইনের শাসনেই সব আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। 

এমন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ভারতীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলেও। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ।


ভারত   যুক্তরাষ্ট্র   কূটনৈতিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী: নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার মিশর সীমান্তবর্তী এলাকা রাফায় আশ্রয় নেয়। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এসময় তিনি রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস জয় করেছি।

এদিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দুইটি ইস্যু জারি করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। সেখানে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চিয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৫৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহাত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৮০ জন।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা উচিত এবং ‘একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে রমজান মাসের প্রতি সব পক্ষেরই শ্রদ্ধা দেখানো উচিত’। তবে যুক্তরাষ্ট্র গত ২৫ মার্চ পাস হওয়া ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবটিকে বাধ্যতামূলক নয় বলে বর্ণনা করেছে। তাদের যুক্তি, ওই প্রস্তাবে ‘যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ কথাগুলোর পরিবর্তে ‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছে’ অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব নয়।


রাফা   সেনাবাহিনী   নেতানিয়াহু   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ধ্বংস; দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

রয়টার্স সূত্র বলছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, সেখানকার আঞ্চলিক রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকার প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন