বিগত কয়েক বছর ধরে বড় ধরনের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা,
মহামারি ও যুদ্ধ-সবগুলো অর্থনীতির
ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে অব্যাহত। এখনো বিশ্বের সামনে আশার কোনো খবর নেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার
মতো দুই শত্রু দৃশ্যমান। এখন থেকেই এগুলোর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে হবে।
সবশেষ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সত্তরের দশকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আজকের দিনে যারা কোম্পানিগুলোর নির্বাহী পদে আছেন তাদের কী করা উচিত বা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে বেশ কিছু কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য কমে যায়। মোটর কোম্পানি ফোর্ড জানায়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের ব্যয় হয় এক বিলিয়ন ডলার, যা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। ইউরো অঞ্চলের কোম্পানিগুলোতে উৎপাদন মূল্য বার্ষিকভিত্তিতে ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে জ্বালানির মূল্য বাড়ায় এমন হয়েছে। তবে আশার কথা হলো উৎপাদন খরচ বাড়লেও ভোক্তাদের চাহিদা এখনো শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে। কারণ করোনা মহামারির সময় শুরু করা সরকারগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রণদনা এখনো চলমান রয়েছে, যা আমেরিকার ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
লাভ ধরে রাখতে ২০২৩ সালে ব্যবস্থাপকরা দুইটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হবে। প্রথমটি হচ্ছে উৎপাদন খরচের ব্যপক বৃদ্ধি। যদিও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ হতে পারে। তারপরও এমন একটি অবস্থানে এটি থাকবে যা মজুরি ও অন্যান্য মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
দ্বিতীয় চাপটি আসতে পারে চাহিদার পতনের মধ্যে দিয়ে। ইউরোপের সরকারগুলো পদক্ষেপ নিলেও ভোক্তারা কম ব্যয় করবে। কারণ তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বাড়ানোর ফলে চাপে পড়তে যাচ্ছে অর্থনীতি। পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ডেলোটির করা এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৯ শতাংশ আর্থিক কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে স্থবিরতার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ৪৬ শতাংশ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।
স্থবিরতার বিভিন্ন উপাদান যেহেতু অনিবার্য। তাই কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা মিশ্র কৌশল প্রণয়ন করবে। তাদের অনেকেই উৎপাদন ব্যয় ভোক্তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করবে। ২০২২ সালে ম্যাকডোনাল্ডস ১৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে চিজবার্গারের দাম বাড়িয়েছে। অন্যান্য কোম্পানিও একই পথে হেঁটেছে। তবে এই বিষয়টি স্বস্তিদায়ক নয়। কারণ এতে ভোক্তরা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা কোম্পানির মার্কেট শেয়ার বা আয় কমিয়ে দিতে পারে।
মূল্য বাড়িয়ে অনেক কোম্পানিই ভালো করতে পারবে না। কারণ ভোক্তারা দূরে সরে যেতে পারে। তাই অনেকে সংকোচন নীতি বাস্তবায়ন করবে। যেমন- চকলেট আকারে ছোট করে মূল্য একই রকম রাখবে। কেউ কেউ দক্ষতা লাভের মাধ্যমে খরচ ধরে রাখতে চাইবে। জ্বালানি ব্যয় বাড়ার ফলে এরই মধ্যে ইউরোপের কোম্পানিগুলোর সরবরাহ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যেও অনেক ভালো কোম্পানির আবির্ভাব হবে। তাছাড়া অসুবিধায় থাকা বিনিয়োগকারীরা ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও বাজার শেয়ারের ধসে নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করবে। কিন্তু সমস্যার মধ্যে যারা ভালো করবে তাদের সুনাম অনেক বেড়ে যাবে।
ব্যবসা কোম্পানি মন্দা মুদ্রাস্ফীতি বিশ্ব বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।
বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন।
এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।