ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে ঢাকার ওপর ইইউ’র চাপ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেসব আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়ে গেছে, তাদের নিজ দেশে ফেরাতে চায় ইইউ। এইজন্য বিদ্যমান ভিসা আইনের পূর্ণ ব্যবহারকরার কথাও বিবেচনা করছে তাঁরা।

রাজনৈতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়ে কাউন্সিলের কাছে ভিসা কড়াকড়ির প্রস্তাব দিতে ইউরোপীয় কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এই বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) স্টকহোমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সদস্যরা একমত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

বর্তমানে সভাপতি হিসেবে ইইউ বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছে সুইডেন। দেশটির কট্টর ডানপন্থি সরকার অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ভিসা, পররাষ্ট্রনীতি উন্নয়ন সহযোগিতাকে শর্ত হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে ইইউকে আগে থেকেই চাপ দিয়ে আসছে।

অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইইউর কঠোর অবস্থান জানা গেছে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের বক্তব্যে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে স্টকহোমে জোটের সম্মেলন শুরুর আগে ইইউ দেশগুলোর নেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রাখার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

লিয়েন জানান, বছরের প্রধমার্ধে ইইউ সদস্যরা একটি পাইলট প্রকল্পে সই করতে পারে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, আশ্রয় আবেদন যোগ্য প্রার্থীদের আশ্রয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং যারা যোগ্যতা অর্জন করবে না, তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো।

অভিবাসীরা যেসব দেশ থেকে ইউরোপে যায়, সেগুলোর মধ্য থেকেনিরাপদ দেশের' একটি তালিকা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন ইসি প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, যেসব দেশ নিরাপদ বিবেচিত হবে, সেসব দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা

কিছু দেশের সঙ্গে নতুন করে প্রত্যাবর্তন চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ফন ডার লিয়েন। বার্তা সংস্থা এএফপি তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া উন্নততর করতে... বহির্গমন প্রতিরোধকরতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিশর, মরক্কো, তিউনিশিয়া নাইজেরিয়ার সঙ্গে অভিবাসন চুক্তি সইয়ের পরিকল্পনা করেছে ইইউ।

ইইউ স্বরাষ্ট্র কমিশনার ইলভা জোহানসন বলেছেন, গত বছর প্রায় ১০ লাখ আশ্রয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যাপক চাপে রয়েছে। এর বাইরে ইউক্রেন থেকে ৪০ লাখ শরণার্থীর আসায় দেশগুলোর আশ্রয়ের সক্ষমতা আরও কমে গেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের পর অবৈধ অভিবাসীরা জোটভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় আবেদনের সুযোগ পান। প্রথমবার আবেদন বাতিল হলে তার বিরুদ্ধে আপিলেরও সুযোগ রয়েছে। এরপরও সেটি বাতিল হলে ফেরত যাওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়াদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা সহায়তা প্রকল্প রয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কেউ না ফিরলে তাকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠাতে পারে ইইউ দেশগুলো।

তবে ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, ফেরত যাওয়ার নির্দেশের তুলনায় কার্যকর প্রত্যাবর্তনের হার অনেক কম। ২০২১ সালে লাখ ৪০ হাজার ৫০০ জনকে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে মাত্র ২১ শতাংশের জন্য।

বাংলাদেশের অবস্থান

গত কয়েক বছরে ইইউ দেশগুলোতে অবৈধপথে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বেড়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়া লোকদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। এছাড়া বলকান রুট হয়েও ইইউ সদস্য দেশগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন অনেকে। তাদের মধ্যে আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়া কয়েকশ নাগরিককে গত কয়েক বছরে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ।

অভিবাসীদের ফেরত নিতে ঢাকার ওপর ব্রাসেলসের চাপ বাড়ছে। বৈধ কাগজবিহীন অভিবাসীদের ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২০২১ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করেছিল ইউরোপীয় কমিশন। এই প্রস্তাবে সেসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাক এবং গাম্বিয়াকেও যুক্ত করা হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি অবশ্য জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কেবল গাম্বিয়ার ওপরই ভিসা কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইইউ। এতে দেশটির নাগরিকদের জন্য শেনজেন ভিসা পাওয়া কঠিন ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ইরাকের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব হলেও তা কার্যকর হয়নি।

গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরকালে ইলভা জোহানসন বলেছিলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির পর ঢাকা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণেআরও উদারহয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি হয়। সেটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে এসেছে ইইউ।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানা থেকে দেশটিতে পাড়ি জমান উচ্চশিক্ষার জন্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে অ্যারিজোনা রাজ্যের পেওরিয়াতে একটি গাড়ির সঙ্গে তাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহত নিভেশ মুক্কা ও গৌথাম কুমার পার্সি দুজনের বয়সই ১৯ বছর।   

গৌথম কুমার জানগাঁও জেলার ঘনপুর স্টেশনের বাসিন্দা। আর নিভেশ ছিলেন করিমনগর জেলার হুজুরাবাদের বাসিন্দা। দুজনেই অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ছিলেন। 

খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বন্ধুদের নিয়ে দুজনে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি গাড়ির সঙ্গে তাদের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিভেশ ও গৌতম মারা যান এবং উভয় গাড়ির চালক আহত হন।

মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।


যুক্তরাষ্ট্র   সড়ক দুর্ঘটনা   ভারত   শিক্ষার্থী   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীন মালদ্বীপের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ইচ্ছুক

প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল পার্লামেন্টে নির্বাচনে জয় হওয়ায় চীন অভিনন্দন জানায়। নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর চীনের পক্ষ থেকে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলা হয়েছে। 

গত রোববার মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। দেশটির পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ মুইজ্জুর হাতে থাকবে কি না, এটা ছিল বড় পরীক্ষা। 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়ান ওয়েবিন বলেন, 'চীন ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা প্রসারিত করতে মালদ্বীপের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।' তিনি মালদ্বীপের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে বেইজিং কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন। 


চীন   মালদ্বীপ   পিএনসি   মোহামেদ মুইজ্জু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ানে ৮০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তাইওয়ানে ৮০টির বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে একে একে ৮০টিরও বেশি ভূকম্পন অনুভূত হয়।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, এসব ভূমিকম্পের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। এর উৎপত্তি স্থল ছিল পূর্বাঞ্চলের হুয়ালিয়েনের প্রত্যন্ত এলাকায়। ভূমিকম্পের আঘাতে রাজধানী তাইপেতে ভবন কেঁপে ওঠে।  

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ১৪ জন মারা যান।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।


তাইওয়ান   ভূমিকম্প   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে হামলা করতে চেয়েও যে কারণে পিছু হটে ইসরায়েল

প্রকাশ: ১০:৪৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরিয়ায় ইরান কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলার জেরে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর জবাবে গত শুক্রবার দেশটিতে ব্যাপক পরিসরে হামলা চালাতে চেয়েছিল ইসরায়েল। হামলার পরিকল্পনা ছিল ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছের সামরিক ঘাঁটিতেও। তবে পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইসরায়েল সরকার।

ইসরায়েলের তিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মিত্রদেশের কূটনৈতিক চাপে ইরানে বড় ধরনের হামলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়াও ব্যাপক হামলা না চালানোর পেছনে একটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সূত্রে প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক, তা চায়নি ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা।

ইসরায়েল ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ইরানের পশ্চিমে কয়েক শ কিলোমিটার দূর থেকে ‘অল্প কিছু ক্ষেপণাস্ত্র’ ছোড়ে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধন্দে ফেলতে ‘কোয়াডকপ্টার’ নামে পরিচিত হামলাকারী ড্রোনও ছোড়া হয়। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটি ইরানের একটি বিমানবিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে—তা জানার পর দ্বিতীয় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকতেই ধ্বংস করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল অত্যধিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে ১৫ এপ্রিল ইরানে হামলা চালাতে চেয়েছিল। এর জেরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হামলা বাড়াতে পারে’—এমন শঙ্কায় পরে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তবে শুক্রবারের হামলার ক্ষেত্রেও একই শঙ্কা ছিল কি না, তা জানানো হয়নি।

শুক্রবারের হামলার দায় অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি ইসরায়েল। তবে হামলা যে ইসরায়েলই চালিয়েছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই হামলার পর তেমন উচ্চবাচ্য করেনি তেহরানও। এমনকি হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেনি তারা। ফলে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল আরও সংকটের দিকে এগোনোর ঝুঁকি অনেকটাই কমেছে।


ইরান   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে কোরআনের আয়াত সরাচ্ছে সৌদি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে যাচ্ছে সৌদি আরব। তবে মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে সে কার্যক্রম চলে একেবারেই গোপনে। আর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যস্ততা করছেন বলে জানা গেছে। 

গেল বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে সেই প্রক্রিয়া থেমে গেলেও থেমে নেই ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সৌদি প্রচেষ্টা।

এমন লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবের পাঠ্যবইতে পরিবর্তন আসছে। এবার দেশটির পাঠ্যপুস্তক থেকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত বাদ দেয়ার অভিযোগ করেছেন ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠির নেতা আব্দুল মালেক আল-হুতি। শনিবার ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আব্দুল মালেক আল-হুতি বলেন, কোরআনের যেসব আয়াতে ইহুদিদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে সে আয়াতগুলো সৌদি আরবের পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বড় অবিচার উল্লেখ করে হুতি নেতা বলেন, সম্ভবত ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী আরেক আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও পাঠ্যপুস্তক থেকে কোরআনের শিক্ষা বাদ দেয়ার এই নীতি অনুসরণের কথা ভাবছে বলে অভিযোগ করেন আল হুতি।

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে মাসে ইসরাইল ও লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর মনিটরিং পিস অ্যান্ড কালচারাল টলারেন্স ইন স্কুল এডুকেশন প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংস্করণগুলোতে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সম্পর্ককে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করার প্রচলিত ধারা থেকে বের হয়ে এসেছে কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন