ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শর্ট পজিশনে অর্থ হাতানোর কৌশল, চ্যালেঞ্জের মুখে আদানি

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

আদানি গ্রুপ হল ভারতের একটি বহুজাতিক সংস্থা যার প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান কর্মকর্তা হলেন গৌতম আদানি।  শিক্ষার গন্ডি ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন গৌতম আদানি। কিন্তু গত সপ্তাহে যা ঘটে গেছে, তাতে করে ভারতের এই নাগরিক তাঁর ব্যবসায়িক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে তাঁর সম্পদমূল্য কমেছে পাঁচ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।

ফোর্বসের ধনীদের তালিকায় তিনি ৩ নম্বর থেকে ৯ এ নেমে গেছেন। শুধু সম্পদই কমেনি আদানির, তাঁর ব্যবসার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, খ্যাতি বলতে যা ছিল, তাতে বড় ধাক্কা লেগেছে।

আদানি গ্রুপের শেয়ারবাজার জালিয়াতি নিয়ে গত মঙ্গলবার এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিডেনবার্গ রিসার্চ। তাতে তারা জানায়, আদানি গ্রুপে শর্ট পজিশনে বাজি ধরেছে তারা। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের ঘাড়ে বিপুল পরিমাণে ঋণের বোঝা রয়েছে। এদিকে অ্যাকাউন্টিং ঠিক নেই বলেও উল্লেখ করেছে তারা। এর পাশাপাশি তারা দাবি করেছে, আদানি গ্রুপ 'কয়েক দশক ধরেই নির্লজ্জের মতো স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতিতে জড়িত।'

ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর আদানির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমতে শুরু করে।

গুজরাট একজন ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন গৌতম আদানি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই রাজ্য থেকে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, আদানি ও মোদির মধ্যে বহু বছর ধরে ব্যবসা ও রাজনীতি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।

স্বল্প সময়েই আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তাঁর সম্পদ ফুলেফেঁপে ওঠে। তবে শুরু থেকেই একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তোলার লক্ষ্য ছিল আদানির। এ জন্য সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর থেকে শুরু করে একে একে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, খনি, ভোজ্যতেল, পুননবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করেন তিনি। সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সিমেন্ট খাতেও বিনিয়োগ করেছেন ভারতের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি।

আদানির ব্যবসা সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দামও হু হু করে বেড়েছে। বিশেষ করে সর্বশেষ তিন বছরে তাঁর কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম দেড় হাজার শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে। এ সময়ে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগও পেয়েছেন আদানি।

সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়ে যান আদানি। তার আগে ছিলেন বার্নার্ড আরনল্ট এবং ইলন মাস্ক। এ সময় তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৭ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০০ টাকা ধরে)।

এত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও একটা সময় পর্যন্ত ৬০ বছর বয়সী আদানি অন্যান্য শতকোটিপতিদের তুলনায় অনেক কম পরিচিত ছিলেন। আদানি নিজেই সক্রিয়ভাবে তাঁর সব কটি শাখার ব্যবসা পরিচালনা করেন। নিজের দুই ছেলে করণ ও জিৎকে এখন তিনি ব্যবসায় যুক্ত করেছেন। তাঁর স্ত্রী প্রীতি আদানি দাঁতের চিকিৎসক।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ব্যবসায়িক সুবিধা পেয়েছেন—এমন অভিযোগবিরোধীরা তুললেও তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন আদানি। ২০১৪ সালে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদানি বলেছিলেন, রাজনীতির সব পক্ষের সঙ্গেই তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে, তবে তিনি নিজে রাজনীতি এড়িয়ে চলেন। মোদি সরকারও আদানিকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

মোদি আদানির করপোরেট বিমান ব্যবহার করার পর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। তবে আদানি জানিয়েছিলেন যে মোদি ‘পুরো টাকা পরিশাধ করেন’।

সম্প্রতি আদানি তাঁর ভাবমূর্তি গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেন। এ জন্য তিনি দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ভারতের অন্যতম শীর্ষ গণমাধ্যম এনডিটিভির বড় অংশের শেয়ার কিনে নেওয়াও তার এমন কার্যক্রমের অংশ বলে মনে করা হয়।

নিজেকে একজন লাজুক ব্যক্তি হিসেবে দাবি করা আদানি বলেছেন, তার জনপ্রিয়তার অন্যতম কৃতিত্ব বিরোধীদের। কারণ, তাঁদের ক্রমাগত সমালোচনার কারণেই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

‘মানুষজন আদানিকে চিনতে পেরেছে রাহুলজির জন্য; কারণ, তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং এরপর থেকে তাঁকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আসছেন’, এ মাসের আরও আগের দিকে এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে বলেছিলেন তিনি।

তিন সপ্তাহের মাথায় শুক্রবারে আদানির কোম্পানির শেয়ারে ধস নামে। শুধু চলতি সপ্তাহেই তাঁর কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের মূলধন হারিয়েছে। হিনডেনবার্গ রিসার্চ বলছে, আদানির ব্যবসাগুলো বিশ্বের নানা জায়গায় দেয়া কর অবকাশ সুবিধার অনুচিত ব্যবহার করেছেন। একই সঙ্গে আদানির বিপুল ঋণের বিষয়েও যে উদ্বেগ রয়েছে, তা–ও তুলে ধরেছে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

আদানির জন্য বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। কেরালায় তাঁর ৯০ কোাটি ডলারের বন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভ হয়েছে, যার জন্য তিনি রাজ্য সরকার ও জেলে সম্প্রদায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর কারমাইকেল কয়লা খনির বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

ভারতের ইমেজ গুরু হিসেবে পরিচিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পারফেক্ট রিলেশনসের সহপ্রতিষ্ঠাতা দিলীপ চেরিয়ান রয়টার্সকে বলেন, হিনডেনবার্গ রিপোর্টের প্রতিবেদন আদানির খ্যাতির জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে আদানি সেই ক্ষতি সীমিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে এবং বিনিয়োগকারীদের নানাভাবে আশ্বস্ত করতে পারেন।

তবে যে ধরনের উল্কাগতিতে আদানির উত্থান হয়েছে, তাতে তিনি যে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন, সে ব্যাপারে হয়তো খুব কম মানুষই দ্বিমত করবেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের সঙ্গে রমজানের প্রথম দিন কাটালেন এরদোগান

প্রকাশ: ০৬:৪৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের সঙ্গে রমজানের প্রথম দিনটি কাটিয়েছেন দেশটির তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খবর ডেইলি সাবাহ

বৃহস্পতিবার ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত ওই প্রদেশে ঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

কারাকাসু জেলার কনটেইনার কমপ্লেক্সে বসবাসকারী ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এরদোগান বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলো পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম বা বিরতি নেই।

তিনি বলেন, ভুলে যাবেন না-যে কোনো জিনিস ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে অনেক সুখ আছে। এই বোঝাপড়ার সঙ্গে আমরা রমজানকে ভূমিকম্পকবলিত এলাকার জন্য একটি সংহতি প্রচারে পরিণত করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের পৌরসভাগুলো তাদের রমজানের কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গত মাসে ব্যাপক ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এরদোগান বলেন, বিশ্বে তুরস্ক ছাড়া আর কোনো দেশ নেই যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় অঞ্চলে এত মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হয়ে পুনর্গঠনের পর্যায়ে আসতে পারে।

ভূমিকম্প   রমজান   রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল।

‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু’বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। খবর এনডিটিভির।

মোদী পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গুজরাটে সুরাট জেলা আদালত রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হলো।

মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার মাত্র একদিনের মাথায় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে তাঁর ভারতীয় লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে গেল। এর আগে সকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লোকসভায় যান রাহুল গান্ধী। এ সময় লোকসভার অধিবেশনে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে দুপুর পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এর পর রাহুল চলে যান। কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসনের সদস্য রাহুল।

রাহুলকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছে তাঁর দল কংগ্রেস। এই বৈঠকে কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি, সব রাজ্যের কংগ্রেসের সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে দলটি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মানহানির মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে ৫২ বছর বয়সী রাহুল দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাংক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় গুজরাটে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী।

নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে এমন মন্তব্যের পর রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিজেপির বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। সাজা পাওয়ার পর রাহুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।

উল্লেখ্য, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে এক মামলার রায়ে বলেছিলেন, কোনো মামলায় কোনো সংসদ সদস্য, বিধায়ক বা বিধান পরিষদের সদস্যের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ সঙ্গে সঙ্গে খারিজ হয়ে যাবে। ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ৮ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো সংসদ সদস্য কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন, আর কমপক্ষে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন, তাহলে তাঁর পদ খারিজ হবে।


কারাদণ্ডপ্রাপ্ত   রাহুল গান্ধী   সংসদ সদস্য   পদ   বাতিল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক

প্রকাশ: ১২:১৫ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ভারতে বিতর্ক উঠেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে। ইভিএমে কারচুপি সম্ভব বলে দেশটির বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। নিয়ে নির্বাচন কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যার দাবি তুলেছেন তারা। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন বিজেপির বক্তব্য, পরাজয়ের ভয়েই এই তৎপরতা বিরোধীদের।

লোকসভা ভোটের আগে ইভিএম প্রশ্নে সংশয় দূর করতে বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠক ডেকেছিলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি তথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।

বৈঠক শেষে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনও যন্ত্র নেই, যাতে কারচুপি করা সম্ভব নয়। তাই ইভিএম সংক্রান্ত সংশয়গুলোর লিখিত জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে চাইব।

কমিশনের দাবি, প্রায় এক দশক আগে সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দিয়েছিল, ইভিএমে বাইরে থেকে কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার করে (ইন্টারনেট, ব্লুটুথ) কারচুপি অসম্ভব।

তারপরেও কেন সংশয়, সেই প্রশ্নে বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু বলেন, “প্রথমে বলা হয়েছিল ইভিএম কীভাবে কাজ করবে, তা একবারই ঠিক করা (প্রোগ্রামিং) যাবে। কিন্তু পরে কমিশন জানায়, সেটি একাধিকবার করা সম্ভব। ফলে প্রশ্ন উঠেছে।

ইভিএমের গণনা মেলাতে সম্প্রতি তার সঙ্গে কাগজের স্লিপ-তথা ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রায়াল (ভিভিপ্যাট) এর ব্যবহারও শুরু হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও প্রশ্ন আছে বিরোধীদের।

কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, “প্রথমে বলা হয়েছিল, ইভিএম একটি স্বতন্ত্র মেশিন। ভিভিপ্যাট জুড়ে দেওয়ায় সেটি আর স্বতন্ত্র মেশিন রইল না। ফলে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে মূল ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। তাছাড়া বলা হচ্ছে, যন্ত্রে প্রার্থীর নাম চিহ্ন প্রবেশ করানো হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

বিরোধীদের মতে, এমন পরস্পর-বিরোধী তথ্যের ফলেই সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অনিল বলুনী এই প্রসঙ্গে বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই এখন থেকে অজুহাত তৈরি শুরু করেছেন বিরোধীরা। তারা জিতলে ইভিএমে সমস্যা থাকে না। হারলেই ইভিএমের দোষ!”



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমছে

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কেবল তাপমাত্রা ও জলবায়ুতে নয়, নদীর উপরেও পড়ছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলি যেমন, সিন্ধু, গঙ্গা  ও ব্রহ্মপুত্র  নদীর জলের প্রবাহ ক্রমশ কমছে। আর এর কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘর মহাসচিব বলেন, “জীবনযাপনের জন্য হিমবাহগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পৃথিবীর ১০ শতাংশ হিমবাহ রয়েছে। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সেগুলি ক্রমশ গলে যাচ্ছে।” ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর আন্টার্কটিকায় ১৫ বিলিয়ন টন বরফ গলছে। গ্রিনল্যান্ডে ২৭ বিলিয়ন টন গলছে। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিমবাহ রয়েছে হিমালয়ে। সেগুলিও দ্রুত গলতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ওই সমস্ত হিমবাহ থেকে সৃষ্ট সিন্ধু, গঙ্গা,ব্রহ্মপুত্রের মতো নদীগুলিতে।

আরও বিশদে বলতে গেলে, এশিয়ার ১০টি বড় নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের হিমবাহ থেকে। আর ওই সমস্ত নদীর জল পান করে জীবনধারণ করেন ১৩০ কোটি মানুষ। ফলে এই সমস্ত নদীগুলির জলের প্রবাহ কমলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাত্রার উপর যে বড় প্রভাব পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “হিমবাহ এবং বরফের স্তর আগামী কয়েক দশক ধরে এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো হিমালয় অঞ্চলের প্রধান নদীগুলির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।” এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানে কীভাবে হিমালয় গলে বন্যার অবস্থা হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন গুতেরেস।

গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমলে পাকিস্তানের মতো বন্যা পরিস্থিতি ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলেও হতে পারে এবং কেদারনাথ বিপর্যয়ের মতো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের সমস্ত দেশকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষের করতে হবে বলেও জানান গুত্তেরস।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইস্যুতে বিভক্ত ইইউ

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়ার রাজধানী মস্কো সফরের পর। ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, এমনটিও মনে করছে ইইউ।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যান্ডসবার্গিস বলেছেন, ‘শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’

গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। এরপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মনে করছেন,  চীনের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো।

তবে ইইউয়ের সব সদস্য দেশ এরকম চরম পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে নয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েকবছরে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে এখন শি জিনপিং রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক।

ইইউয়ের দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে। চীন-সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে আগ্রাসন বলেনি। জাতিসংঘে চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তারা রাশিয়ার প্রচারমূলক কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে কোনও সীমারেখা থাকবে না। এমনিতেই ইইউয়ের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আগের তুলনায় খারাপ। রাশিয়ার কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে।

বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ মনে করছে, চীন এবার রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। ইইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, চীন যে রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, এমন কোনও প্রমাণ তার কাছে নেই।

চীন বিশেষজ্ঞ স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বজায় রেখেছে। রাশিয়া যে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়াকে যে টায়ার, পোশাক ও অন্য জিনিস দিচ্ছে, তা রাশিয়ার সেনা ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু এখনও তারা কোনও অস্ত্র রাশিয়াকে দেয়নি।’

স্টেকের মতে, ‘তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। উইঘুর নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ফলে চীনও চাপে আছে। ইইউ চীনের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। তবে ইইউ আরও ব্যবস্থা নিলে তাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে।’

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে ইইউ এখনও সাড়া দেয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাইছেন, চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ এখনও সেটি থেকে বিরত রয়েছে। ইইউয়ের দেশগুলোর মধ্য়ে চীনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করে জার্মানি। তারা ও ইইউয়ের অন্য বেশ কয়েকটি দেশ চীনের লাভজনক বাজার থেকে চলে আসতে রাজি নয়।

তবে দুই পক্ষের মধ্যে সন্দেহ আছে, চীন ও ইইউ একে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।  ইইউ-চীন কম্প্রিহেনসিভ ইনভেস্টমেন্ট এগ্রিমেন্টও ঠান্ডা ঘরে চলে গেছে। স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন চাইছে, তারা ইইউয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ইইউও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলবে। তারপর চুক্তিতে সই হবে।’

ইইউ সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো চীন ইস্যুতে বিভক্ত। কিছু দেশ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়, আবার কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন