ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিন ও অন্য রুশ নেতাদের বিচার কি সম্ভব?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ্লাদিমির পুতিনের নামে শুক্রবার (১৭ মার্চ ) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এরপর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট কি সত্যিই গ্রেফতার হবেন? তাকে কি আদৌ গ্রেফতার বা বিচারের সম্মুখীন করতে পারবে আইসিসি।

মুল প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য বলে দিয়েছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। তারা এই প্রশ্নটিকে আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।

পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?

রোম সংবিধির দুটি অনুচ্ছেদের অধীনে ইউক্রেনীয় শিশুদের সঙ্গে রাশিয়ার আচরণের জন্য পুতিনকে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের বেআইনিভাবে নির্বাসন এবং রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোভার নামেও।

অভিযোগ রয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষ স্থানান্তরিত শিশুদের পালক পরিবারের সঙ্গে রেখেছে এবং তাদের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দিয়েছে। এদের মধ্যে এমন শিশুও রয়েছে যারা বাবা-মায়ের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বা তাদের বাবা-মাকে আটক করার সময় আলাদা করা হয়েছে।

পুতিন কি গ্রেফতার হবেন?

যুদ্ধের যেসব সৈন্য অপরাধ করেন তাদের চিহ্নিত করা যত সহজ ততটাই কঠিন যেসব নেতাদের নির্দেশে তারা এটা করেন তাদের অভিযুক্ত করা।

কিন্তু আইসিসি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে আমলে নিতে পারে। এটা নুরেমবার্গ থেকেই এসেছে। যেখানে মস্কো মনোনীত বিচারক মনে করেছিলেন যে নাৎসি নেতাদের বিচার হওয়া উচিত শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে।

তবে আন্তর্জাতিক আইনের বিশ্লেষক প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডস বলেছেন, ১৯৯৮ সালে যে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয় রাশিয়া। fole আদালতের সিগনেটরি না হওয়ায় আইসিসি রাশিয়ার নেতাদের বিচার করতে পারবে না।

তাত্ত্বিকভাবে, নিরাপত্তা পরিষদ আইসিসিকে তদন্তের জন্য বলতে পারে। কিন্তু স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া তাতে ভেটোও দিতে পারে।

তাছাড়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পুতিন গ্রেফতার হবেন, এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। তাই এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।

টাইমের প্রতিবেদন অনুসারে, নিকট ভবিষ্যতে আইসিসির চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশে পুতিন যাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর গেলেও তিনি যে গ্রেফতার হবেন, তেমন কোনো আশঙ্কা নেই বললেই চলে। কারণ, এর জন্য ওই দেশটিকে অবশ্যই পুতিনকে গ্রেফতারে আগ্রহী হতে হবে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কবেক কলেজের অধ্যাপক বিল বোরিং মনে করেন, পুতিন রাশিয়া ছেড়ে বেরোবেন না। আর বিশ্বে এমন কোনো সরকার নেই, যা তাকে রাশিয়া ছেড়ে বেরোতে বাধ্য করতে পারে।

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিনিধিত্বকারী এ বিশেষজ্ঞ বলেন, আমি মনে করি না, তার (পুতিনের) ব্যক্তিগত পরিণতি ভোগ করার কোনো উপায় রয়েছে।

পরমাণু অস্ত্রের বিশাল মজুতসহ রাশিয়া এখনো বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। তাদের শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা যেকোনো দেশের জন্য কঠিন পরিণতি ডেকে আনতে পারে, এটি সবাই খুব ভালো করেই জানে।

তাছাড়া আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের বহু নজির রয়েছে বিশ্বজুড়ে। দারফুর গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। কিন্তু এটি তার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করতে পারেনি।

এমনকি, পুতিন ও তার মিত্ররা রাশিয়ায় ক্ষমতা হারানোর পরেও তাকে যে প্রত্যর্পণ করা হবে, সেই সম্ভাবনাও কম। এটি করতে গেলে বড় বাধার সম্মুখীন হবে নতুন সরকার। কারণ রাশিয়ার আইনে রুশ নাগরিকদের অন্য রাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও পুতিনকে গ্রেফতার না করে তার বিচার করবে না। কারণ অভিযুক্ত উপস্থিত না থাকলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার পরিচালনা করে না আইসিসি।

তাহলে বিচারের অন্য কোন পথ আছে?

আইসিসির কার্যকারিতা বা আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ শুধু চুক্তির ওপর নির্ভর করে না। বরং এখানে রাজনীতি ও কূটনীতির ব্যাপার আছে। সে কারণেই অনেকে মনে করেন নুরেমবার্গের মতো এখানে সমাধান নিহিত কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক চুক্তির মধ্যে।

তারা ইউক্রেনে আগ্রাসনের অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবানও জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা দখলে নেতানিয়াহুর নতুন ফন্দি

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজা দখলে যোগ হলো নেতানিয়াহুর নতুন ফন্দি ‘নেটজারিম করিডোর’। চলমান সংঘাতের মধ্যেই নীরবে প্রায় চার মাইল প্রশস্ত একটি সড়ক বানিয়েছেন ইসরাইলি বাহিনী। আর সড়ক গিয়ে পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগর উপকূলে। এই সড়ক বানিয়ে উপত্যকাটিকে দুই ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা করেছে নেতানিয়াহু। ইসরাইলি বাহিনীর তৈরি এই সড়কটি ‘নেটজারিম করিডোর’ নামে পরিচিত। 

সড়কটি গাজা উপত্যকাকে উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করেছে। তেল আবিব বলছে এ পথ দিয়ে সেনা চলাচল ও লজিস্টিক সরঞ্জাম পরিবহন করা হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজাকে বিভক্ত করতে নতুন যে সড়কটি ইসরাইল তৈরি করছে সেটি অত্যন্ত উদ্বেগের । নতুন এই সড়কটি ইসরাইল-গাজার সীমান্ত প্রাচীর থেকে শুরু হয়ে গাজার ওপর দিয়ে গিয়ে পশ্চিমে উপকূলীয় এলাকায় শেষ হয়েছে। রাস্তাটির সঙ্গে সালাহ আল-দীন এবং আল-রশীদ সড়কেরও সংযোগ রয়েছে। 

বিশ্লেষকদের মতে, এই সড়কের মাধ্যমে তেল আবিবের জন্য গাজার ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে সুবিধা হবে। কারণ তখন গাজার প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তাসহ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলের হাতে।

গাজার নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের হাতে থাকলে কী হতে পারে সেটি অনুমান করাই যায়। তবে, উপত্যকাটি ঘিরে ইসরাইলের বৃহৎ ‘উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা’ এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেননা গাজায় ইসরাইলি দমন-পীড়নের পেছনে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বড় স্বার্থ রয়েছে। যেখানে উচ্চগতির রেলওয়ে প্রকল্প, গাজার গ্যাস ক্ষেত্রও অন্তর্ভূক্ত। মিশরের সুয়েজ খালকে টেক্কা দিতে নতুন ক্যানেল তৈরির বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। এ সবকিছুই গাজা ঘিরে ইসরাইলের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ।

মানচিত্রে খুব কাছ থেকে পুরো গাজা উপত্যকার দিকে তাকালে দেখা যাবে এটি ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত এবং ইসরাইলের মূল বন্দরগুলোর একেবারে কাছে। যেমন- হাইফা, হাদেরা, আশদোদ, আশকেলন, তেল আবিব। যেখানে ইসরাইলের প্রচুর গ্যাস মজুদ রয়েছে এবং তেল পাইপলাইন রয়েছে।

ইসরাইলের অর্থনীতির জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই গত বছর অক্টোবরে যখন হামাস তেল আবিব লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তখন ইসরাইল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল তাদের তামার গ্যাসক্ষেত্রটির নিরাপত্তা নিয়ে। আর তখন থেকেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূলের নামে গাজাবাসীর ওপর বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরাইল। যেকোনো মূল্যে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ পূরণ করাই তেল আবিবের লক্ষ্য।


গাজা   নেতানিয়াহু   নেটজারিম করিডোর   ইসরাইল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিল উপকূলে নৌকায় মিলেছে পচনশীল ২০টি মরদেহ

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের উপকূলে একটি নৌকায় অন্তত ২০টি পচনশীল মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ব্রাজিলের ফেডারেল পাবলিক মিনিস্ট্রি ঘোষণা করেন যে, নৌকাটি প্যারার উত্তর-পূর্বে ব্রাগান্সার উপকূলে পাওয়া গেছে। 

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকায় অন্তত ২০টি মরদেহ পাওয়া গেছে, কিন্তু দেহাবশেষ পচে যাওয়ার কারণে নৌকায় কতজন মারা গেছে তা জানা যায়নি।

নৌকাটি প্যারার যে অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সে স্থানটি রাষ্ট্রীয় রাজধানী বেলেম থেকে ১৮৫ মাইল দূরে। 

এদিকে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিহতরা ব্রাজিলের না হলেও সম্ভবত ক্যারিবিয়ান থেকে এসেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্রাজিলিয়ানদের নিখোঁজ হওয়ার সাম্প্রতিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।


ব্রাজিল   নৌকা   মরদেহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'মোদি কি গ্যারান্টি' নামে বিজেপির ইশতেহার

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। জনগণের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা নিয়ে সামনে আসছে মনোনীত দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নিজেদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে।  

রোববার (১৪ এপ্রিল) ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে সেই ইশতেহারপত্র সামনে এনেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রকাশিত এই ইশতেহারকে ‘নতুন ভারতের ছবি’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। দ্যা হিন্দু, এনডিটিভি।   

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বিজেপি বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের ইশতেহারটি সাজিয়েছে। তৃতীয় মেয়াদে আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো বৃদ্ধি এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি  ইশতেহারে ‘শক্তিশালী ভারত’ গড়ায়ও সংকল্পবদ্ধ মোদি। সেই সঙ্গে দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া, এক দেশ, এক ভোট ও এক আইনের পক্ষেও দলীয় অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণ ছাড়াও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের কঠোর অবস্থানের কথাও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে জানিয়েছে বিজেপি। 

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি ইশতেহারে বলেন, ৭০ বছর বয়স্কদের পাঁচ লাখ টাকা স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা হবে। দেশের ১০ কোটি কৃষককে ১০০ দিনের কাজের আওতায় আনা হবে। ইশতেহারে দেশের কমপক্ষে তিন কোটি নারীকে ‘লাখপতি দিদি’ করার ঘোষণা করেন মোদি। 

এছাড়াও, গৃহহীন মানুষের জন্য দেশে চার কোটি বাড়ি তৈরি করবে বিজেপি সরকার। এছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও সামাজিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার তথা তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে ইশতেহারে বলা হয়েছে। 

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপির লক্ষ্য জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান। এই ইশতেহারে এর উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনা হয়েছে। 

মোদি বলেছেন, ইশতেহারটি অবকাঠামো, বিমান চলাচল, রেলপথ, বৈদ্যুতিক যানবাহন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, সেমিকন্ডাক্টর এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তবে গত পাঁচ বছরে জরিপের ফল অনুসারে ভারতে বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি ও গ্রামীণ জনপদে দুর্দশার ইঙ্গিত উঠে এসেছে। যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে উদ্বেগের বিষয় হিসাবে হাজির হচ্ছে। ক্ষমতায় এলে এগুলো মোকাবিলা করাই হবে মোদির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


বিজেপি   ইশতেহার   ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:৪৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে।  

সোমবার(১৫ এপ্রিল) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।


পশ্চিমবঙ্গ   তাপমাত্রা   ভারত   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেয়ারবাজারে পতন, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দামে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারবাজারগুলো পড়েছে পতনের মুখে। ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। 

চলমান দ্বন্দ্ব দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ঝুঁকি তৈরি করবে বলেও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে। উপরন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে কমে যেতে পারে রেমিট্যান্স আয়। যা রিজার্ভকে আরও চাপে ফেলবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে আছি। আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহের প্রভাব বাজারে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ যাতে বাজারে না আসে, তা মোকাবিলা করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার পর পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ¦ আরও ঘনীভূত হলে অর্থনীতি ও পণ্যে আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তাও মনিটরিং করা হচ্ছে।


শেয়ারবাজার   পতন   বিশ্ববাজার   ইরান   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন