ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্রেডিট সুইসের ‘জীবনমরণ’ নির্ভর করছে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

পশ্চিমা বিশ্বে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুইজারল্যান্ডের বৃহৎ ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ টিকে থাকতে বড় কিছু করতে হবে, তা না হলে ভেঙেও পড়তে পারে তারা।

পশ্চিমা ব্যাংক খাতে অস্থিরতা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের তিন দিনের ব্যবধানে দুটি ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর গত সপ্তাহে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক ক্রেডিট সুইস তারল্য বাড়াতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নেয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার জানা গেল, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে ইউবিএস এজির সঙ্গে একীভূত হতে পরামর্শ দিয়েছে।  খবর রয়টার্সের।

এদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার খবরে ক্রেডিট সুইসের শেয়ারদর বাড়লেও শুক্রবার আবার কমেছে। সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের শেয়ারদর পতন অব্যাহত আছে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট সুইস ও ইউবিএসকে একীভূত হওয়ার পরামর্শ দিলেও তারা এ ব্যাপারে নিমরাজি। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এমন ক্ষমতা নেই, যাতে তারা ব্যাংক দুটিকে একীভূত হতে বাধ্য করতে পারে। ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদ এ সপ্তাহে পৃথক বৈঠক করবে বলেও জানা গেছে।

ক্রেডিট সুইসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দীক্ষিত যোশী এ সপ্তাহে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকের কৌশলগত অবস্থান ঠিক করবেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশের অন্তত চারটি ব্যাংক ক্রেডিট সুইসের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা জারি করেছে, যেমন সোসিয়েত জেনারেল এসএ ও ডয়েচে ব্যাংক।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক দলের বেশ কয়েকজন সাংসদ এসভিবির পতনে পেছনে বৃহৎ বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিচার বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিন দিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধের পর যে আশঙ্কা ছড়িয়েছিল, তা আরও ঘনীভূত হয় বুধবার সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক ক্রেডিট সুইসের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার খবরে। বৃহস্পতিবার জানা গেল, আর্থিক সংকটে আছে আমেরিকারই ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়া নজরদারিতে ছিল তারা। তবে সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক এ ব্যাংকের পতন ঠেকাতে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্যাংক। জে পি মরগ্যান ও সিটি গ্রুপের নেতৃত্বে ১১টি ব্যাংক ফার্স্ট রিপাবলিককে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলার আমানত দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, উচ্চ নীতি সুদের জমানায় ব্যাংকিং শিল্পের একাংশ আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, তা স্পষ্ট। ফলে অনেক বিশ্লেষক যা–ই বলুন না কেন, এই পরিস্থিতি ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে, যখন বিশ্বজুড়ে একের পর এক ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছিল।

শেয়ারের দরপতন চলছে

এদিকে বৃহস্পতিবার ক্রেডিট সুইসের শেয়ারদর বাড়লেও শুক্রবার আবারও তাদের শেয়ারদর পড়েছে ৮ শতাংশ। ১৩ থেকে ১৫ মার্চ ব্যাংকটি থেকে ৪৫ কোটি ডলার আমানত তুলে নিয়েছেন আমানতকারীরা।

একই সঙ্গে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর রক্তক্ষরণ অব্যাহত ছিল। সেদিন তাদের এসঅ্যান্ডপি ব্যাংক ইনডেক্সের পতন হয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। গত দুই সপ্তাহে এই সূচকের পতন হয়েছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনাভাইরাসজনিত লকডাউনের পর তাদের শেয়ারদর আর কখনো এতটা পড়েনি।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে কলমানি পাওয়া ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের। শুক্রবার তাদের শেয়ারদর কমেছে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এতে গত ১০ অধিবেশনে তাদের শেয়ারদর কমেছে ৮০ শতাংশের বেশি।

কেন বন্ধ হলো দুটি ব্যাংক

গত বছরের শুরুতেই ফেডের নীতি সুদহার ছিল শূন্যের কাছাকাছি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজনিত মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলায় গত এক বছরে ফেড আটবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। এতে বাণিজ্যিক ঋণ ও বন্ডের সুদহার বেড়েছে। ঋণ ও বন্ডের সুদহার বৃদ্ধির সম্মিলিত ফলাফল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদ জায়গায় বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়া। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যিক প্রকল্পে বিনিয়োগ না করে বরং বন্ডে বিনিয়োগ করাই ভালো, আরামে সুদ খাওয়া যাবে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো। স্টার্টআপগুলো সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে রাখা আমানত ভাঙতে শুরু করেছে। ফলে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের আমানতে টান পড়েছে। এ বাস্তবতায় এসভিবি গত বুধবার ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বন্ড বিক্রি করে, যার সিংহভাগই ছিল ট্রেজারি বন্ড। এর সুদহার ছিল ১ দশমিক ৯, অথচ ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার প্রায় ৩ দশমিক ৯। এ কারণে বন্ড বিক্রি মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে তাদের ক্ষতি হয় ১৮০ কোটি ডলার।

এরপর সেই ক্ষতি পোষাতে ৯ মার্চ এসভিবি ২২৫ কোটি ডলার সমমূল্যের ইকুইটি বিক্রির ঘোষণা দেয়। বলা যায়, এটা ছিল কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার মতো। তখন হুড়মুড়িয়ে আমানত তুলে নিতে শুরু করেন আমানতকারীরা। পতন ঘটে ৪০ বছরের পুরোনো এই ব্যাংকের। তার জেরে তিন দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় সিগনেচার ব্যাংক।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দফায় ভোটে প্রার্থী যারা

প্রকাশ: ০১:৩৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। 

আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।

ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে। 

পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।

জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।

আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।

প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।

এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।

আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।

এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।

অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   লোকসভা   পশ্চিমবঙ্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দিনেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ সকাল ৭ টায়। ভোটগ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। 

চলমান এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চাঁদমারি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছে।

এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। আজ প্রথম দফা। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। আসন তিনটি হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসন।

সকাল নয়টা পর্যন্ত তিনটি আসনে গড়ে ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সকালেই কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি এজেন্ট বিশ্বনাথ পালকে ভোটকেন্দ্র  থেকে অপহরণ করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনও এ ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে ভোটকেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। দিনহাটায় তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতিকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। 

এদিকে, কোচবিহারের চান্দামারিতে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ভোটদান নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জের হরিহরহাটে আজ সকালে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, তাদের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। 

শীতলখুচির শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে ৩৭টি অভিযোগ দায়ের করেছে। জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপির একটি বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার তুফানগঞ্জের তৃণমূলের নির্বাচন অফিসও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। 

কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বাম ফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। 

জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও। এই তিনটি আসনে আরও লড়ছেন ছোটখাটো রাজনৈতিক দল ও নির্দলীয় প্রার্থীরা।

আর আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দেবেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হচ্ছে ৮৩৭টি।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছে ১২ হাজার ৩১০ জন রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।


তৃণমূল   বিজেপি   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন এত দীর্ঘ সময় হয়

প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত। দেশটিতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। যা মোট সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৯ দিন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল আগের চেয়ে বেশি।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফার ভোট। বাকি দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৬ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা), ৭ মে (তৃতীয় দফা), ১৩ মে (চতুর্থ দফা), ২০ মে (পঞ্চম দফা), ২৫ মে (ষষ্ঠ দফা) ও ১ জুন (সপ্তম দফা)। ভোট গণনা ৪ জুন। অর্থাৎ এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছয় সপ্তাহের বেশি।

লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। আজ প্রথম ধাপে ১০২টি নির্বাচনী আসনে ভোট হচ্ছে। শেষ দফার দিন (১ জুন) ভোট হবে ৫৭টি আসনে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল এত দীর্ঘ কেন, তার ব্যাখ্যা এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভোটারসংখ্যা

ভারতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে এতটা সময় লাগার প্রধান কারণ দেশটির আকার ও বিপুল ভোটারসংখ্যা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারসংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ। এই সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি।

ভৌগোলিক বিস্তার

ভারত একটি বড় আয়তনের দেশ। দেশটির ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কয়েকটিতে এক ধাপে ভোট হয়। তবে বড় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ভোট হয়। উদাহরণস্বরূপ উত্তর প্রদেশের কথা বলা যায়। রাজ্যটির জনসংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এখানে সংসদীয় আসনসংখ্যা ৮০টি। এই রাজ্যের আসনগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভোট হবে।

নিরাপত্তাব্যবস্থা

ভোট যাতে সহিংসতা ও কারচুপিমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন লাখের বেশি সদস্য রাজ্য সরকারগুলোর অধীনে থাকা পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করবে। প্রতিটি দফার ভোটের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান আছে। এর ফলে এই মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপালনের জন্য যেতে পারেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটিং মেশিনগুলো ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোট গণনার দিন পর্যন্ত এগুলো সুরক্ষিত রাখেন।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেনি: ইরান

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের জাতীয় সাইবারস্পেস কেন্দ্রের মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন। 

এক এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‌ইসফাহান কিংবা দেশের অন্য কোনো স্থানে সীমান্ত পেরিয়ে আশা কোনো আকাশ হামলার ঘটনা ঘটেনি।' তিনি আরো বলেছেন, 'তারা কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) ওড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলো। এই ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।' 

এদিকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার খবরের পরই উড়োজাহাজ চলাচলে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ি ইস্পাহান, সিরাজ এবং তেহরানের ওপর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যই ইসফাহান শহরে কাছে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিলো। আর দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানায় ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

যদিও ইরানের প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলও অবশ্য এ হামলা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইরআইবি জানিয়েছে, ইসফাহান শহর নিরাপদ ও শান্ত রয়েছে। সেখানকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কয়েকটি  মিনি ড্রোন ইসফাহানের আকাশে ওড়ার সময় সেগুলোকে টার্গেট করা হয়। সেখান থেকেই এই শব্দ আসে।

ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টিও সরাসরি নাকচ করে দেয়া হয় ওই প্রতিবেদনে। জানানো হয় কোথাও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।


ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সবগুলো ইসরায়েলি ড্রোন গুঁড়িয়ে দিল ইরান

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহর ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এদিকে ইরান দাবি করছে, দেশটির ইস্ফাহানে ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করছিল যা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় থাকায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।

ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব।

এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

ইরানের ইস্ফাহান শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।


হামলা   ইসরায়েল   ড্রোন   ইরান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন