ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াবেন ম্যাক্রোঁ?

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোনো রকম ভোটাভুটি ছাড়াই ডিক্রি জারির মাধ্যমে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ফরাসি জনগণের মধ্যে। টানা দুইদিন যাবত চলছে প্রতিবাদ। রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদকারীরা।

রয়টার্স টেলিভিশনের ফুটেজে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে দেশটির জাতীয় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে প্যারিসে প্লেইস দে লা কনকর্ডে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে দেখা গেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এ সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো দাঙ্গা পুলিশের সামনে যুদ্ধংদেহী ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু আন্দোলনকারীকে ‘ম্যাক্রোঁ, ক্ষমতা ছাড়ো’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। আরটিএল রেডিওর জন্য একটি জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনেরও বেশি ভোটার পার্লামেন্টে ভোট এড়াতে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তারা চান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকুক।

৫২ বছর বয়সী মনোবিজ্ঞানী নাথালি আলকিয়ে বলেছেন, “ভোট ছাড়া অগ্রসর হওয়ার মানে হচ্ছে গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় রাস্তায় যা হচ্ছে, তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করা। এটা আর নেওয়া যাচ্ছে না।”

ফ্রান্সের প্রধান শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নগুলোর একটি বিস্তৃত জোট জানিয়েছে, তারা পেনশন আইনে পরিবর্তন নিয়ে সরকারকে পিঁছু হটতে বাধ্য করার চেষ্টায় জনগণকে সংগঠিত করা অব্যাহত রাখবে। তারা আগামী শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করছে, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে শিল্পকারখানায় কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকারের পেনশন সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চলতি বছরের মধ্য জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ৮ দিন বিক্ষোভ দেখেছে ফ্রান্স; স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প-কারখানাগুলোতে নানান কর্মসূচিও হয়েছে; তবে বৃহস্পতি আর শুক্রবারের অস্থিরতা লোকজনকে ২০১৮ সালে জ্বালানির দাম বৃদ্ধিকে ঘিরে হওয়া ‘ইয়োলো ভেস্ট’ বিক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সেবারের আন্দোলন ম্যাক্রোঁকে কার্বন করের বিষয়ে আংশিক পিঁছু হটতে বাধ্য করেছিল।

ফ্রান্সে এমন জোরালো আন্দোলন যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এবারও জনগণের স্বার্থবিরোধী এবং বিতর্কিত এমন সিদ্ধান্ত থেকে ম্যাক্রোঁকে সরে আসতে হবে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। 


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট   ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ   অবসর বয়স   বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রমজানে ওমরাহ নিয়ে সৌদির নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

করোনার পর রমজানে ওমরাহ পালন করতে মক্কা ও মদিনায় পাড়ি জমিয়েছেন বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। ফলে পবিত্র কাবাঘর প্রাঙ্গণে তৈরি হয়েছে ওমরাহযাত্রী ও মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। তাই ওমরাহ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে পবিত্র রমজানে একবারের বেশি ওমরাহ করা যাবে না বলে জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়।

সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে জানা যায়, রমজান মাসে একবারই ওমরাহ পালন করা যাবে। একবারের বেশি ওমরাহ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে না। সব মুসল্লি যেন সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালনের সুযোগ পান মূলত সে কারণেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ‘নুসুক’ অ্যাপের সাহায্যে ওমরাহ পালনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা যাবে। নির্ধারিত তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেলে অন্য তারিখে তা খুঁজতে বলা হয়।

এর আগে সর্ববৃহত্ পরিকল্পনা অনুসারে রমজানে পবিত্র দুই মসজিদে ৩০ লাখ মুসল্লির ব্যবস্থার কথা জানান পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। তিনি জানান, রমজানে ৩০ লাখ মুসল্লির সেবা দিতে কাজ করছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ। মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত করতে ১২ হাজারের বেশি লোক কাজ করছে। মসজিদুল হারামে আসা-যাওয়াকে আরো সহজ করতে বাস চলাচলের ১৭টি পথ চালু করা হয়।

মুসল্লিদের জন্য বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় দেড় লাখের বেশি কোরআন অনুবাদ কপি সরবরাহ, বাংলাসহ ১০ ভাষায় জুমার খুতবার তাত্ক্ষণিক অনুবাদের ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, জেনারেল প্রেসিডেন্সির তথ্যমতে, রমজানের প্রথম জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন ৯ লাখ ৭৬ হাজার ১৭ জন মুসল্লি। নামাজে অংশ নিতে মসজিদের ছাদসহ সুবিস্তৃত প্রাঙ্গণ ও আশপাশ ছিল মুসল্লিদের পদচারণে মুখরিত।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনের যে সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক’ বলল ন্যাটো

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। এই জোট পুতিনের সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছে।

ন্যাটো বলেছে, তারা পরিস্থিতিকে ‘গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে; তবে রাশিয়ার পারমাণবিক অবস্থানে পরিবর্তন আসার কোনো লক্ষণ না থাকায় ন্যাটোও তার পারমাণবিক কৌশলে এখনই পরিবর্তন আনার প্রয়োজন মনে করছে না। মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করার জন্য ওই দুই দেশের নেতারা বহুদিন ধরেই আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন।

ইউক্রেনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্তের পাশাপাশি ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার সঙ্গে বেলারুশের সীমান্ত রয়েছে।

এর আগে শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তার দেশ বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়ন করবে। এ ধরনের অস্ত্রের জন্য বেলারুশে বিশেষ স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে এবং আগামী জুলাই মাসের মধ্যে কৌশলগত এই অস্ত্র রাখার জন্য উপযুক্ত স্থাপনার নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আগামী পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্র রাখার এই স্থাপনার নির্মাণ কাজ শেষ হবে তবে মস্কো পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বেলারুশের হাতে দেবে না। মস্কো শুধু নিজের অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করবে।

ইউক্রেন শনিবারই এ বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্ত পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিয়েভ দাবি করছে, বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে এনপিটি চুক্তির লঙ্ঘন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আগে থেকেই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আমেরিকা যেভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোতে তার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়াও ঠিক সেভাবে বেলারুশে একই কাজ করতে যাচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুদ্রাস্ফীতি ৪৭ শতাংশ, মূল্যবৃদ্ধিতে নাকাল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

দু বেলা পেট ভরে খাবার তো দূরের কথা, এক মুঠো চাল জোটাতেই কালঘাম ছুটছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। আর্থিক সঙ্কটের জেরে দুর্দশায় পড়েছে পাকিস্তান। চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে মূল্য়বৃদ্ধির হার। অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্টাটিস্টিক্সের তরফে প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এরফলে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়ছে।

পাকিস্তান ব্যুরো অব স্টাটিস্টিক্সের তরফে প্রকাশিত তালিকায় মোট ২৬টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দাম কমেছে ১৩টি অত্য়াবশ্যকীয় সামগ্রীর, দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টি পণ্যের। যে সমস্ত পণ্যের রেকর্ড হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্য়ে এক নম্বরেই রয়েছে পেঁয়াজ। জানা গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কট ঘনিয়ে আসার পর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম ২২৮.২৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ১৬৫.৮৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হয়েছে সিগারেটের। ময়দার দাম বেড়েছে ১২০.৬৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ভাগেই গ্যাসের চার্জ ১০৮.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ডিজেলের দামও বেড়েছে ১০২.৮৪ শতাংশ। পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৮১.১৭ শতাংশ। খাবার পণ্যের মধ্য়ে লিপটন চায়ের দাম বেড়েছে ৯৪.৬০ শতাংশ। কলার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৯.৮৪ শতাংশ। ভাঙা বাসমতী চাল, যার একটা বড় অংশই ভারত থেকে আমদানি করা হয়, তার দাম বেড়েছে ৮১.২২ শতাংশ। ডিমের দামও ৭৯.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৭ মার্চ অবধি পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১০.১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য়, আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার প্রায় শূন্য হতে বসেছিল। সম্প্রতিই তারা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফের কাছে ১১০ কোটি ডলারের আর্থিক সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তবে এই ঋণ দেওয়ার আগে একাধিক শর্ত রেখেছিল আইএমএপ, যা পূরণ করতে পাক সরকার পেট্রোল, ডিজেলের মূল্য়বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সরকারের ব্যয়ে রাশ টেনেছে। তবে একাধিক শর্ত পূরণ করার পরও আইএমএফ অর্থ সাহায্য় নিয়ে লিখিত কোনও আশ্বাস দেয়নি।

পাকিস্তান অবশ্য আইএমএফের সঙ্গে রফাসূত্রে যাওয়ার আগে অভিনব একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট একটি অঙ্কের বেশি আয় করলে ধনী ব্যক্তিদের পেট্রল-ডিজ়েল কিনতে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। শুল্কবাবদ গৃহীত ওই টাকা ভর্তুকি হিসাবে জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরব আমিরাতে তিন কোটি টাকার লটারি জিতলেন বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক প্রবাসী বাংলাদেশি লটারিতে ৩ কোটি টাকা জিতেছেন। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আমিরাতি মিলিয়ন দিরহাম মাহজুজ লাইভ ড্র লটারিতে তিনি এ অর্থ জিতেন। খবর খালিজ টাইমসের। 

৩ কোটি টাকার লটারি জেতা ওই প্রবাসী বাংলাদেশি হলেন মোহাম্মদ। তার র‌্যাফেল আইডি নম্বর ৩২২৮৪৪৫৬। এ সপ্তাহে মাহজুজ সাপ্তাহিক লটারির ১২১তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের মোহাম্মদ ১০ লাখ দিরহাম পেয়েছেন। বাংলাদেশি অর্থে যা ২ কোটি ৮৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৪ টাকার সমান।

এছাড়া এ সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো লটারিতে রাখা হয় ১০০ গ্রামের সোনার কয়েন। আর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই সোনার কয়েন জিতে নিয়েছেন ম্যারি গ্রেস নামের এক ব্যক্তি।

মাহজুজ লটারির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে নিশ্চিতভাবে একজন ব্যক্তি কোটিপতি হন। এবার সেই ভাগ্যবান কোটিপতি হিসেবে নাম ওঠে বাংলাদেশি মোহাম্মদের। গত সপ্তাহে এক ভারতীয় এই পুরস্কার জিতেছিলেন।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের পুরো রমজান জুড়ে অংশগ্রহণকারীরা সোনার বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। এছাড়া আগামী সপ্তাহে একজন ভাগ্যবান বিজয়ী ২০০ গ্রাম ওজনের সোনার কয়েন জিততে পারবেন।

আরব আমিরাত   লটারি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তিউনিসিয়ার উপকূলে শরণার্থী নৌকাডুবি, নিহত ১৯

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আগত অন্তত ১৯ শরণার্থী ও অভিবাসী নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৬ মার্চ) ভোরে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতালির বার্তা সংস্থা আনসারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি শরণার্থী পৌঁছেছে। তারা একে 'রেকর্ড' শরণার্থী আগমন হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।

রয়টার্স জানায়, শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা স্ফ্যাক্স সৈকত থেকে যাত্রা করার পর তিউনিসিয়ার মাহদিয়া উপকূলে ডুবে গেলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 

তবে তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা নৌকা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধ ছিল না। গত চার দিনে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্ফ্যাক্সে শরণার্থী ও অভিবাসী বহনকারী অন্তত পাঁচটি নৌকা ডুবে গেছে। 

এতে ৬৭ জন নিখোঁজ এবং ৯ জন মারা গেছেন। উপকূলরক্ষীরা এর আগে জানিয়েছিল, তারা গত চার দিনে ইতালিগামী প্রায় ৮০টি নৌকা থামিয়েছে এবং তিন হাজারেরও বেশি লোককে আটক করেছে। তাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোর। 

উল্লেখযোগ্যভাবে, স্ফ্যাক্সের নিকটবর্তী উপকূলটি ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লোকদের জন্য একটি প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এই বছর ইতালিতে পৌঁছানো কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ তিউনিসিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩০০।


তিউনিসিয়ার উপকূল   শরণার্থী   নৌকাডুবি   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন