ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমছে

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কেবল তাপমাত্রা ও জলবায়ুতে নয়, নদীর উপরেও পড়ছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলি যেমন, সিন্ধু, গঙ্গা  ও ব্রহ্মপুত্র  নদীর জলের প্রবাহ ক্রমশ কমছে। আর এর কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘর মহাসচিব বলেন, “জীবনযাপনের জন্য হিমবাহগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পৃথিবীর ১০ শতাংশ হিমবাহ রয়েছে। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সেগুলি ক্রমশ গলে যাচ্ছে।” ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর আন্টার্কটিকায় ১৫ বিলিয়ন টন বরফ গলছে। গ্রিনল্যান্ডে ২৭ বিলিয়ন টন গলছে। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিমবাহ রয়েছে হিমালয়ে। সেগুলিও দ্রুত গলতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ওই সমস্ত হিমবাহ থেকে সৃষ্ট সিন্ধু, গঙ্গা,ব্রহ্মপুত্রের মতো নদীগুলিতে।

আরও বিশদে বলতে গেলে, এশিয়ার ১০টি বড় নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের হিমবাহ থেকে। আর ওই সমস্ত নদীর জল পান করে জীবনধারণ করেন ১৩০ কোটি মানুষ। ফলে এই সমস্ত নদীগুলির জলের প্রবাহ কমলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাত্রার উপর যে বড় প্রভাব পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “হিমবাহ এবং বরফের স্তর আগামী কয়েক দশক ধরে এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো হিমালয় অঞ্চলের প্রধান নদীগুলির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।” এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানে কীভাবে হিমালয় গলে বন্যার অবস্থা হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন গুতেরেস।

গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমলে পাকিস্তানের মতো বন্যা পরিস্থিতি ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলেও হতে পারে এবং কেদারনাথ বিপর্যয়ের মতো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের সমস্ত দেশকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষের করতে হবে বলেও জানান গুত্তেরস।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এরদোয়ানের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

তুরস্কে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয় শত বছরের সবচেয়ে গুরুত্ব নির্বাচন। এতে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, কামাল কিলিচদারোগলু ও সিনান ওগান। তুরস্কের এই নির্বাচন শুধু তুর্কি জনগণের জন্য নয়, বরং বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সকল জল্পনা ছাপিয়ে ভোটে বিজয়ী হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তুরি দিয়ে নিজের জয় ছিনিয়ে আনলেন এরদোয়ান। দেশি-বিদেশি নানা ধরনের পাহাড়সম চাপকে মোকাবিলা করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা নির্বাচনে শীর্ষে থেকেই শেষ করলেন। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে না পারলেও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থেকে শুরু করবেন।

নির্বাচনের আগেই অভিযোগ উঠেছে, তুরস্কে কিলিচদারোগলু নেতৃত্বাধীন রিরোধী শিবিরকে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। সুতরাং তুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের জয় বা পরাজয় যুক্তরাষ্ট্র ও এর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মাথাব্যথারও কারণ ছিলো। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্বের যে কয়েকজন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান নিজ দেশের রাজনীতিতে ‘একনায়ক’ হিসেবে চিত্রিত করতে পেরেছেন, এরদোয়ান তাদের একজন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে বড় এক ধাঁধাঁর নাম এরদোয়ান। 

তুর্কি নির্বাচন নিয়েপায়তারা করে মার্কিন কর্মকর্তারা। এরদোয়ান যেনো ক্ষমতায় না আসে সে জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা কওরে বাইডেন প্রশাসন। পশ্চিমের দেশগুলোর বহু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা তুরস্কের এরদোয়ানের ওপর বিরক্ত। তাকে নিয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন যে, পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ এরদোয়ান। তিনি সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার পথে হেঁটেছেন।'

পশ্চিমা নেতারা এরদোগানের বিদায় দেখে খুশি হবেন। পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ অনুসারে, এরদোগান রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জনের মাধ্যমে ন্যাটোর নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করেছেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ অবরুদ্ধ করে ন্যাটো জোটকে হতাশ করেছেন, বারবার শরণার্থী দিয়ে ইউরোপকে প্লাবিত করার হুমকি দিয়েছেন এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রিসের দিকে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য ছুড়েছেন। ওয়াশিংটনের সাথে আঙ্কারার সম্পর্ক এমন পর্যায়ে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে যেখানে শীর্ষ তুর্কি কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এরদোগানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন।

কিন্তু এরদোয়ান আমেরিকাকে তুরি মেরে তার নিজয় ধজা উড়িয়েছেন। এটাকি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির আরও একটা পরাজয়। আমেরিয়া যা চায় বিশ্ব এখন তা হয় না। এই তুরস্ক নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা বলেছে তারা গণতন্ত্র দেখতে চায়। বিরোধী পার্টিগুলোকে একত্রিত করতে মিটিং, প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। যখন প্রথম দফা ভোট হয়য়ে গেলো তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় এরদোয়ানের, পরাজয় মার্কিন কূটনীতির।

এসবের কারণ, দু্ই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান একাধারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মিত্র ও শত্রু, যুক্তরাষ্ট্রের পর ন্যাটোর সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় স্তম্ভ তুরস্ক এরদোয়ানের নেতৃত্বে বলকান, ভূমধ্যসাগর, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক অনন্য নীতি নিয়ে এগিয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসনের নীতিকে বারবারই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে, এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যতম নেতা হলেও তিনি এই জোটের মূল শত্রু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সখ্য বজায় রাখছেন। 

আবার যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পররাষ্ট্র নীতিতে চিহ্নিত সবচেয়ে বড় ‘সংকট’ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও রয়েছে এরদোয়ানোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শুধু তা-ই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে চাপান-উতোর সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ইরানের সঙ্গেও এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নীতি বদলানোর বিষয়েও চাপ দিয়ে যাচ্ছেন এরদোয়ান। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র হিসেবে পরিচিত কুর্দিদের উপর সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন, আবার প্রতিবেশী আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংকটেও মধ্যস্ততা করছেন, যেখানে মস্কোর প্রভাবও রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায়ই প্রতীয়মান হয়, এরদোয়ান যেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউক্রেন

প্রকাশ: ১২:৫৬ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

ইরানের ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় রাশিয়ার হামলা চালানোর বিষয়টি প্রথম দিকে অস্বীকার করলেও গত বছর তা স্বীকার করে নেয় ইরান। এর জবাবে রাশিয়ার মিত্র ইরানের বিরুদ্ধে এবার একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট।

এক দিন আগেই ইউক্রেন বলেছিল, আগ্রাসন শুরুর পর রাজধানী কিয়েভে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে মস্কো।

নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অনুমোদনের বিষয়টি ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্যাকেজটিতে ইরানের সঙ্গে সামরিক ও দ্বৈত–ব্যবহারযোগ্য (সামরিক-বেসামরিক) পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সই করতে হবে। এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই বিলটি পার্লামেন্টে জমা দিয়েছিলেন।

জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইরানিদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, তারা কেন রাশিয়ার সন্ত্রাসের সহযোগী হতে চান?

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক গত রোববার বলেছিলেন, তার দেশের রাজধানী কিয়েভে ডজন ডজন শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ইরান সরকারকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন।

মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে বলেন, এই যুদ্ধে মস্কোর একটি প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে তেহরান। ইউক্রেনের বেসামরিক শহরগুলোতে হামলার জন্য ইরান জেনেশুনে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।

তেহরান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, পশ্চিমা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য এটা জেলেনস্কির একটা প্রচেষ্টামাত্র।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিয়েভে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা রাশিয়ার

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে নতুন করে এই হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ এই হামলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার এটা ১৭তম বিমান হামলা। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভে নতুন করে ‘বিশাল’ আক্রমণ শুরু করেছে এবং ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের অন্যান্য বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ব্যাপক আক্রমণ হচ্ছে! কেউ নিরাপদ আশ্রয় ত্যাগ করবেন না।’

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করছে। তবে রুশ মিসাইল বা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রাজধানীর ঐতিহাসিক পোডিল এবং পেচেরস্কি মহল্লাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।

মেয়র ক্লিটসকো বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হোলোসিভস্কি এলাকায় আহত হওয়ার পর ২৭ বছর বয়সী এক নারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ক্লিটসকো আরও বলেছেন, রাশিয়ার হামলার পর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আগুন লেগে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভের সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, একজন আহত হয়েছেন বলে ক্লিটসকো বলেছেন।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যাতে একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ওপরের তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। শহরের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন টেলিগ্রামে বলেছে, বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা-দরজা ভেঙে গেছে।

রয়টার্স অবশ্য স্বাধীনভাবে এসব প্রতিবেদন যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার ভোরে হওয়া এই হামলা চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার ১৭তম আক্রমণ। এছাড়া এ নিয়ে পরপর তৃতীয় দিনের মতো রাতের আঁধারে একই তীব্রতা নিয়ে কিয়েভে হামলা চালাল মস্কো। এর আগে সোমবার ইউক্রেনের এই রাজধানী শহরে দুই দফায় হামলা চালায় রাশিয়া।

সোমবারের হামলায় রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বলে কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেছিলেন, ক্রমাগত এই আক্রমণের মাধ্যমে, শত্রুরা বেসামরিক জনগণকে গভীর মানসিক উত্তেজনার মধ্যে রাখতে চায়।

এর আগে রোববার রাতের আঁধারে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ওই হামলাকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপক ওই হামলায় একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। এছাড়া একইদিন কিয়েভের ওপর ৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলেও দাবি করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কিয়েভের দীর্ঘ-প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের আগে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে রুশ সামরিক বাহিনী।

অবশ্য ইউক্রেন গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে সেই আক্রমণ শুরুর আগে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের জন্য যতটা সম্ভব বেশি সময় নিচ্ছে ইউক্রেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উ. কোরিয়ার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা, সতর্ক অবস্থানে জাপান

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

আবারও উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণায় সতর্কতা জারি করেছে প্রতিবেশী দেশ জাপান। আগামীকাল বুধবার (৩১ মে) থেকে আগামী ১১ জুনের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। এ নিয়ে টোকিও তার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছে। খবর রয়টার্সের।

টোকিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলবে এমন কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। জাপানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের ভূখন্ডে যদি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, তাহলে এর কড়া জবাব দেওয়া হবে। নিয়ম লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়া যদি এমন কর্মকাণ্ড চালায়, তাহলে তারাও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। পালটা ব্যবস্থা তারাও গ্রহণ করবে।

দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো উৎক্ষেপণ, এমনকি যদি স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ করা হয়, তাহলে জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। সরকারের ধারণা যে, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে তা তাদের দেশের ওপর দিয়ে যাবে। সে ধরনের কিছু ঘটলে তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে।  

উত্তর কোরিয়া জাপানের উপকূলরক্ষীকে পরিকল্পিত উৎক্ষেপণের বিষয়ে জানানোর পর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, ‘স্যাটেলাইটটির আমাদের দেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে’।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্যাটেলাইটটি একটি নজরদারি প্রযুক্তি কর্মসূচির অংশ। এর মধ্যে রয়েছে ড্রোন; যা যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক সময়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিকসহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এ বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যকলাপের নিন্দা প্রস্তাবের গুরুতর লঙ্ঘন হবে।  



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাঁটাতার ডিঙিয়ে আসা সব হিন্দু-মুসলমানকে চলে যেতে হবে: শুভেন্দু

প্রকাশ: ০৮:১৪ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, হিন্দু হোক বা মুসলিম! কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে যারা ঢুকেছো, তাদের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে যেতে হবে। গত শনিবার মালদহের মানিকচকের একটি জনসভা থেকে এই মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। 

রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যেমন নিশানা করেন, তেমনি এত দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা এই দলটিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে তাদের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শুভেন্দু। 

সভায় উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বিষয়টি উত্থাপন করে শুভেন্দু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমস্ত উন্নয়ন করেছেন। আমি সংখ্যালঘুদের বলব আট জন সংসারে আছেন, গম আর চাল মিলিয়ে আপনারা ৪০ কিলোগ্রাম করে রেসনের মালামাল নিয়ে আসছেন। এটা আপনার দিদি বা বুয়ার রুপি নয়। এটা ভারত সরকারের অর্থ। ২০২১ সালের মে মাস থেকে ৮১ কোটি মানুষকে 'অন্ন সুরক্ষা যোজনা'তে বছরে দুই লক্ষ কোটি রুপি খরচ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। তখন তো আপনাদের ভেদাভেদের কথা মনে পড়ে না। কেন এই চোর পার্টিকে (তৃণমূল) ভোট দেবেন? কেন আমাদের (বিজেপি) সাথে আসবেন না?। আমরা রাষ্ট্রবাদীদের সাথে আছি।' 

এ সময় শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি '... যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকেছো, তাকে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে যেতে হবে। সে হিন্দু হোক বা মুসলমান। কাঁটা তারের বেড়া ডিঙিয়ে এলে তার সাথে কোন ব্যাপার নেই। যে ভারতে জন্মেছ, যে রাষ্ট্রবাদকে বিশ্বাস করো,  জনগণমন-অধিনায়ক, বন্দেমাতারম বলো তার সাথে বিজেপির বিরোধ ছিল না, আজকেও নেই, কালকেও থাকবে না।'

তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ, 'এনআরসির ভয় দেখিয়ে তারা ভোট নিয়েছে, আর সংখ্যালঘুরাও দলবেঁধে ভোট দিয়েছে।' 

তার অভিমত 'ভারতে যারা জন্মেছেন, ভারতে যারা ঘুমোতে চান, তাদের সঙ্গে বিজেপির কোন বিরোধ নেই। নরেন্দ্র মোদির একটা স্কিম শুধুমাত্র হিন্দু, আদিবাসী, জনজাতি বা তফসিলিদের জন্য নয়... সকলের জন্য।' 

বছর ঘুরলেই ২০২৪ সালে ফের লোকসভার ভোট। তার আগে শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে সোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

হিন্দু-মুসলমান   পশ্চিমবঙ্গ   শুভেন্দু অধিকারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন