মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের সাবেক
প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ছাড়াই
দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে দাবী করেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী
আনোয়ার-উল-হক কাকার।
যখন একদিকে পাকিস্তানে
নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করলেন তিনি। এদিকে ইমরান বর্তমানে দুর্নীতির
মামলায় অ্যাটক জেলে তিন বছরের সাজা ভোগ করছেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে
এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
উল্লেখ্য, গত আগস্টের
মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারির
শেষের দিকে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)
গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে।
এমন পরিস্থিতিতেই
বার্তাসংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কাকার এমন মন্তব্য করলেন।
তিনি বলেন, ‘অবাধ
ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে ইমরান খান বা তার দলের শত শত সদস্যকে ছাড়াই, যারা কারাগারে
বন্দী রয়েছেন। কারণ তারা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন।‘
এর আগে দুর্নীতির
মামলায় গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান
খানকে। পরে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে ইমরান কারাগার থেকে মুক্তি পলেও তার দল পিটিআইয়ের
ওপর নেমে আসে ব্যাপক দমন-পীড়ন। সহিংসতা এবং সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে
শত শত পিটিআই কর্মী এবং সিনিয়র নেতাদের কারাগারে বন্দি করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে
কাকার বলেন, পিটিআই কর্মীদের যারা জেল খাটছেন, তারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও অন্যান্য
বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার ভাষায়, ‘হাজার হাজার পিটিআই কর্মী, যারা বেআইনি
কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না, তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।’
পিটিআই যাতে ক্ষমতায়
ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী আসন্ন নির্বাচনে কারসাজি করতে যাচ্ছে
এমন কোনও দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিনা জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী উত্তর দেন:
‘আমি মনে করি এটি একেবারেই অযৌক্তিক।’
তার দাবি, ইসিপি
নির্বাচন পরিচালনা করবে, সামরিক বাহিনী নয়। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ
ও সমর্থন করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারও রয়েছে। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার
সিকান্দার সুলতান রাজাকে ইমরান খান নিয়োগ করেছিলেন জানিয়ে কাকার বলেন, ‘কেন তিনি তার
বিরুদ্ধে কোন অর্থে ঘুরে দাঁড়াবেন?’
অপর এক প্রশ্নের
জবাবে পাকিস্তানের এই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার
জন্য কারও পেছনে ছুটছি না। তিনি অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যান বা
অন্য কোনও রাজনীতিবিদ নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
কাকার আরও বলেন,
তিনি আদালতের রায়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। এমনকি বিচার বিভাগকে ‘কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের
হাতিয়ার হিসাবে’ ব্যবহার করা উচিত
নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে আসন্ন সাধারণ
নির্বাচন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে
ইমরানের দল পিটিআই। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্ষমতাসীন দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন: ‘পিটিআই
বা ইমরান খান ছাড়া সাধারণ নির্বাচন হবে অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক।’
ইমরানের দলের এই মুখপাত্র দাবি করেছেন, পিটিআই হলো পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং ইমরান খান হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। ইমরানকে বাদ দিয়ে কোনও নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না বলেও সতর্ক করেন পিটিআইয়ের এই মুখপাত্র।
পাকিস্তান ইমরান খান নির্বাচন বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতি সিভিকাস মনিটর জোহানেসবার্গ
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিশ্বব্যাপী
রাজনৈতিক সহিংসতা পরিমাপকারী ৫০টি সবচেয়ে বেশি সংঘাতপূর্ণ দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমা
দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উঠে এসেছে। এক নতুন গবেষণা অনুসারে এ তথ্য সামনে
এসেছে।
এই গবেষণা পরিচালনাকারী
যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিন অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড
ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি-এর মতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান
রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীর বিস্তারের কারণে দেশটি এই তালিকায় ঢুকে
পড়েছে।
গবেষণা কাজে বিশ্বের
২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে পূর্ববর্তী এক বছরের
তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণা বলছে পূর্ববর্তী
বছরের তুলনায় এ বছর সহিসংতা ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯
হাজার। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় দেশগুলোতে রাজনৈতিক কারণে সহিংসতা বেড়েছে।
চারটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে এসিএলইডি। এই চারটি মানদণ্ড হলো (১) সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, (২) জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি, (৩) সহিংসতাপ্রবণ এলাকার আয়তন, (৪) সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা। এবারের গবেষণা বলছে গতবছর মোটামুটি সব দেশেই কমপক্ষে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
গবেষণা তালিকার ৫০টি সহিংসতাপ্রবণ দেশকে ‘এক্সট্রিম’ বা চরম, ‘হাই’ বা উচ্চ এবং ‘টার্বুলেন্ট’ বা উত্তাল এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। গবেষণা অনুসারে তালিকার শীর্ষে থাকা মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। এরপর রয়েছে সিরিয়া ও মেক্সিকো। ‘উত্তাল’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে লিবিয়া, ঘানা ও চাদ এবং যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলংকার অবস্থান হাই বা উচ্চ ক্যাটাগরিতে।
সহিংস দেশের তালিকায়
যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে এসিএলইডির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র তালিকার যে ধাপে স্থান পেয়েছে, সেই তালিকায় সাধারণত সহিংসতাপ্রবণ এলাকা
হিসেবে পরিচিত।
এই ধাপে মধ্য আফ্রিকা
প্রজাতন্ত্রের মতো দেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে বুঝা
গেল যে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র ও অগণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।
মারাত্মক মহামারি,
সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিবাদ এবং একটি বিভক্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এই তিনে
মিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি নিখুঁত সংকটের বছর হিসেবে পরিচিত ২০২০ সাল থেকে এসিএলইডি
মার্কিন রাজনৈতিক সহিংসতার ওপর নজর রাখছে। তবে কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞ এসিএলইডি'র তথ্য
সংগ্রহ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সূত্র: ভয়স অব আমেরিকা
সহিংসতাপ্রবণ শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকা যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
চীনে একটি কয়লা খনিতে
ভয়াবহ আগুন লেগে ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম
চীনের গুইঝো প্রদেশে ওই কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় পানঝৌ শহরের সমস্ত কয়লা খনি একদিনের জন্য উৎপাদন স্থগিত
করেছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর)
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
রোববার সকালে সানজিয়াওশু কয়লা খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে পানঝৌ সিটি সরকার রোববার
রাতে তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘কনভেয়ার
বেল্টে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আগুনের ফলে ১৬ জন লোক
খনিতে আটকা পড়েছিল।’
অবশ্য অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কী ক্ষতি হয়েছে বা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বিশদ কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, এই অঞ্চলটির প্রতি বছর প্রায় ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে যার বেশিরভাগই কোকিং কয়লা।
এর আগে গত আগস্টে
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছিলেন।
সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় খনিতে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের
মধ্যে অন্তত ৯ জন ভেতরে আটকা পড়েন।
দুর্বল নিরাপত্তা
ব্যবস্থা রয়েছে দেশটির এমন সব খনিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে
চীনের স্বায়ত্তশাসিত ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে ধসে অন্তত ৫৭ জন নিখোঁজ
হন। ইনার মঙ্গোলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় আলক্সা লীগ এলাকায় এই খনি দুর্ঘটনা ঘটে।
আগে খনি দুর্ঘটনার
অনেক খবরই দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হতো না। দেশটির কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস
ধরে ইনার মঙ্গোলিয়ায় খনি ধসের ঘটনায় চূড়ান্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। গত জুনে
এই দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, খনি ধসে ৫৩ জন মারা গেছেন।
এর আগে গত ডিসেম্বরে
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি সোনার খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময়
খনি ধসের ঘটনায় সেখানে কর্মরত অন্তত ৪০ জন চাপা পড়েন।
এছাড়া ২০২১ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশে একটি কয়লা খনিতে আকস্মিক বন্যায় দেড় ডজনের বেশি শ্রমিক আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে অন্তত দু’জনের প্রাণহানি ঘটে এবং বাকিদের উদ্ধার করা হয়।
চীন দুর্ঘটনা অগ্নিকাণ্ড নিহত বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী দল, অধিকারকর্মী ও ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমানভাবে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে। ফলে বিরোধী দল ও সরকারের সমালোচকদের ওপর দমনপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক স্বাধীনতা দ্রুত কমছে বলে মনে করছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গভিত্তিক নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী সিভিকাস মনিটর। সিভিকাস মনিটর বিশ্বব্যাপী নাগরিক অধিকার ও সুশীল সমাজ নিয়ে কাজ করছে।