ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি; মাথা উঁচু করে থাকবে ইরান!

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ২৪ মে, ২০২৩


Thumbnail

পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মারক্রিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয় এবং ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করে আসছে। 

আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্ষমতা ও প্রভাবকে খর্ব করতে চায় এবং এ  লক্ষ্যে তারা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। মোট কথা, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইরানকে এ অঞ্চলের রাজতন্ত্র শাসিত আরব দেশগুলোর মতো একটি অনুগত দেশে পরিণত করার পায়তারা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইরান বিরোধী সব নিষেধাজ্ঞা ফের বলবত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের বেশ ক'জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী ও কয়েকটি কোম্পানির কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আগে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর তারা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে গত ৪০ বছর ধরে আমেরিকা এভাবে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা ও চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে আমেরিকা ইরানের ইসলামি শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা এবং দেশটিকে নতজানু করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে এতো ষড়যন্ত্র ও শত্রুতা করেও আমেরিকা আজ পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি।

আমেরিকায় যখন যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা সবাই নিষেধাজ্ঞাকে সবসময়ই ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আজকে এটা সবাই দেখতে পাচ্ছে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী কেউই টিকে নেই কিন্তু ইসলামি ইরান আগের মতোই নিজ অবস্থানে অটল রয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি শিক্ষক সপ্তাহ উপলক্ষে হাজার হাজার ছাত্র ও শিক্ষকের এক সমাবেশে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর দশকের পর দশক ধরে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরামহীন শত্রুতা ও ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যারাই ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করেছে তাদের অনেকের হাড়গোড় আজ কবরের মধ্যে কিন্তু ইসলামি ইরান ঠিকই টিকে আছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শরীরও একদিন মাটির নীচে চাপা পড়বে কিন্তু তখনও ইরান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে।

ইরানের জনগণের প্রতি আমেরিকার ক্ষোভ ও বিদ্বেষের কারণ হচ্ছে গত ৪০ বছর ধরে এই জাতির প্রতিরোধ ও আত্ম সম্মানবোধ নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা। আমেরিকার শত নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিজ্ঞান, সামরিক ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে। পরমাণু সমঝোতা থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়া থেকে ইরানের অবিশ্বাস্য উন্নতি ও অগ্রগতিতে তার ক্ষোভের প্রমাণ পাওয়া যায়।

২০১৮ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হওয়ার পর ইরানের তেল রপ্তানি দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির তেলমন্ত্রী জাভেদ ওজি রবিবার এ কথা বলেছেন। আধাসরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তেলমন্ত্রী বলেছেন, ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ইরানি বছরের তুলনায় গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বেশি রপ্তানি হয়েছে।

সে হিসাবে দুই বছর আগের তুলনায় ১৯০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বেশি রপ্তানি হয়েছে।

এ ছাড়াও তেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ সালে আগের ইরানি বছরের তুলনায় দেশটির গ্যাস রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থান এবং ২০১৮ সালে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হওয়ার পর ইরানের তেল রপ্তানি এবং রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি দেশ ইরানের অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে, যেখানে চীনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যতিক্রম ছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার (১৮মে) সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং হংকংভিত্তিক অনেকগুলোসহ ৩৯টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় ইরানের প্রবেশাধিকার সহজতর করে। এ ছাড়াও তাদের ‘ছায়া ব্যাংকিং’ নেটওয়ার্ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিখ নেতা হত্যায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে হোয়াইট হাউস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ সংশ্লিষ্ট যে কোনো তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স

স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা ভারতকে (হত্যার তদন্তে) পূর্ণ সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করছি।'

সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা করেছেন, গত জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নয়াদিল্লির এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে। কানাডার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের যোগসূত্র থাকার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। কানাডায় শিখ কার্যকলাপ নিয়ে নয়াদিল্লি অসন্তুষ্ট হওয়ায় এই বিরোধ কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য একটি নতুন ধাক্কা।

এদিকে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে ট্রুডোর অভিযোগের কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের শিখ নেতা হত্যার প্রকাশ্যে নিন্দা জানাতে বলেছিল কানাডা। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। এ বিষয়ে জন কিরবি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র কানাডার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বা প্রত্যাখ্যান করছে- এমন খবর সত্য নয়। কিছু সংবাদমাধ্যমে জল্পনা-কল্পনা চলছে...।'

গোয়েন্দা জোট 'ফাইভ আইজ'র বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা চলতি মাসে নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের কয়েক সপ্তাহ আগে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে উত্থাপন করেছিলেন। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মিত্রদের হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার প্রকাশ্যে নিন্দা জানাতে বলেছে কানাডা।

শিখ নেতা হত্যা   যুক্তরাষ্ট্র   কানাডা   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতকে ‘অনেক আগেই’ গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া হয়েছে: ট্রুডো

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের গোয়েন্দা তথ্য ভারতকে অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তার দেশ ভারতের সহযোগিতা চায় বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানী অটোয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “গত সোমবার আমি (পার্লামেন্টে) যা বলেছি, সে বিষয়ক গোয়েন্দা তথ্য আমরা অনেক আগেই ভারতকে দিয়েছিলাম, বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে।”

ট্রুডো বলেন, “ব্যাপারটি খুবই গুরুতর এবং আমরা এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা আশা করছি, ভারত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতা করবে।”

ভারত থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব অর্জনকারী হরদীপ সিং নিজ্জর ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন। গত ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন তিনি।

নিজ্জরের হত্যার জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভাষণে তিনি বলেন, এই অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ তার কাছে রয়েছে।

এর প্রভাব পড়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে। এরই মধ্যে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা হিসেবে কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে। স্থগিত হয়েছে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা। ভ্রমণ সতর্কতাও জারি করেছে দেশ দুটি। সেই সঙ্গে ভারত কানাডার নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত ঘোষণা করেছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিশোরের উপস্থিত বুদ্ধিতে বাঁচল ট্রেনের কয়েকশ যাত্রীর প্রাণ

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আট বছরের শিশুর উপস্থিত বুদ্ধিতে বাঁচল আপ শিয়ালদা থেকে শিলচরগামী কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েক শতাধিক যাত্রী। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট মোরসেলিম শেখ সুপারফাস্ট ট্রেনটিকে রক্ষা করেছে। এ ঘটনা এখন ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এতে রীতিমত স্তম্ভিত রেলকর্তারা।

শক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ৩টায় দুরন্ত গতিতে আপ কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস ছুটে যাচ্ছিল। মালদা জেলার ভালুকা রোড স্টেশনের পেরোতেই বিপত্তি অপেক্ষা করছিল ট্রেনটির জন্য। সেই সময় ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল আট বছরের এই শিশুর। সে হঠাৎ লক্ষ্য করে আপ লাইনে বেশ কিছু অংশের মাটি সরে গেছে।

তড়িঘড়ি করে নিজের পড়নে লাল গেঞ্জি খুলে ট্রেনের ট্রাকে দাঁড়িয়ে সংকেত দিতে থাকে চালককে। লাল সংকেত দেখে চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। ট্রেনটিকে কোনওরকমে দাঁড় করান চালক। আর বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। জীবন রক্ষা পায় ট্রেনের কয়েকশ যাত্রীর। এরপর রেলকর্মীরা ছুটে এসে আপ লাইন মেরামতি করেন। পরে ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যে পৌঁছয়।

মোরসেলিম শেখ জানায়, যে বাড়ি ফিরছিল। তখন সে দেখে রেল লাইনের ধারে মাটি সরে খালের মতো হয়ে গেয়েছে। পরে সে তার গায়ে থাকা লাল গেঞ্জি খুলে আমি ড্রাইভারের দিকে দেখানোর চেষ্টা করে। এরপর ট্রেনটি থেমে যায়। 

এদিকে এই ছোট্ট ছেলের কৃতিত্বে খুশি গোটা পরিবার। ছেলেটির মা বলেন, আমাকে বাড়ি এসে ও পুরো ঘটনাটি সে জানায়। আমরা খুব খুশি। আমার ছেলে বুদ্ধি করে এতগুলো লোকের প্রাণ বাঁচিয়েছে। 

অপরদিকে এই কিশোরের কৃতিত্বে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। ছেলেটির তাৎক্ষণিক বুদ্ধিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। রেলের কর্মকর্তারাও মোরসেলিম শেখকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে ৪৪ জন আরোহী নিয়ে গভীর খাদে পড়ল স্কুল বাস, নিহত ২

প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

৪৪ আরোহী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি স্কুল বাস। এ দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। বাসের সামনের টায়ারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাড়া করা বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে লং আইল্যান্ড থেকে একটি ব্যান্ড ক্যাম্পে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চলন্ত অবস্থায় সামনের টায়ারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে যায় এবং ওয়াওয়ায়ান্ডা শহরের কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, বাসে ৪৪ জন আরোহী ছিলেন। তাদের উদ্ধার করার পর চিকিৎসার জন্য ছয়টি আঞ্চলিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হচ্ছেন- জিনা পেলেটিয়ের (৪৩) এবং বিট্রিস ফেরারি (৭৭)।  

স্কুলের ওয়েবসাইট অনুসারে, নিহত জিনা পেলেটিয়ের কাজ করতেন স্কুলের মিউজিক প্রোগ্রামে। নিউইয়র্ক শহর থেকে উত্তর দিকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে স্থানীয় সময় প্রায় দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য পুলিশ হাইওয়ে বন্ধ করে দেয়।

বিবিসি বলছে, ফার্মিংডেল হাই স্কুল থেকে ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে পেনসিলভেনিয়ার গ্রিলিতে একটি সঙ্গীত শিবিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছয়টি বাস ভাড়া করা হয়েছিল। দুর্ঘটনাকবলিত এই বাসটি ছিল সেগুলোরই একটি।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার পর বাসটির পাশের জানালা ভাঙ্গা এবং ভেতরে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করতে সেখানে একটি মই লাগানো রয়েছে।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বহন করা ওই বাসটি কয়েক মিনিটের মধ্যে আক্ষরিক অর্থে ৫০-ফুট গভীর (১৫ মিটার) গিরিখাতে পড়ে যায়। এটি বিস্ময়কর ঘটনা।

তিনি বলেছেন, যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সম্ভবত বাসের ত্রুটিপূর্ণ সামনের টায়ারের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরও এই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। বাসে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বয়স ছিল ১৪ বা ১৫ বছর।

এদিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের সবাইকে উদ্ধার করতে ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে গভর্নর বলেন।


যুক্তরাষ্ট্র   সড়ক দুর্ঘটনা   নিহত   আহত   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পরিবারের সদস্যদের বেঁধে তিন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পরিবারের সদস্যদের বেঁধে তাদের সামনেই তিন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সংঘবদ্ধ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। অভিযুক্তরা ছুরি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তারা প্রথমে পরিবারটির সদস্যদের রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তিন নারীকে ধর্ষণ করে বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়।

বুধবার সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে আরও একটি ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় এক অসুস্থ নারী। এসময় আহত হয় তার স্বামী। পুলিশের ধারণা দুইটি ঘটনার সঙ্গেই একই ব্যক্তিরা জড়িত। দুই ক্ষেত্রেই শারীরিক নির্যাতন ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে।

এ প্রসঙ্গে পানিপথের মাতলাউদা থানার স্টেশন হাউজ অফিসার বিজয় বলেন, দুটি ঘটনাই একই গ্রামে ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করার খবর পাওয়া যায়নি।

সূত্র: এনডিটিভি


ভারত   ধর্ষণ   চুরি-ডাকাতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন