মন্তব্য করুন
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা আকাশসীমায় আবারও বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে চীন। প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভূখণ্ডটির আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে ৩৭টি চীনা যুদ্ধবিমান। এই ঘটনায় তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে আবারও নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৩০ টিরও বেশি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রায় ছয় ঘণ্টর মধ্যে প্রবেশ করেছে বলে দ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। চীন স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজের এলাকা বলে দাবি করে থাকে। এমনকি প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে একদিন তা দখল করার অঙ্গীকারও করেছে পরাশক্তি এই দেশটি।২০২১ সালের তুলনায় এই ধরনের লঙ্ঘনের ঘটনা ২০২২ সালে প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছে যায়। বেইজিংয়ের এই কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা চলতি বছরও অব্যাহত রয়েছে।
তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফ্যাং জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা থেকে ‘মোট ৩৭টি চীনা সামরিক বিমান’ তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজে) প্রবেশ করেছে।
তাইওয়ানের এডিআইজে ভূখণ্ডটির আকাশসীমার চেয়ে অনেক বড়। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী ‘পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে’ জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইটারে বলেছে, টহল বিমান, নৌযান এবং স্থল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।
অবশ্য চীনা যুদ্ধবিমানের এই অনুপ্রবেশ এখনও চলমান রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি তাইওয়ানের এই মন্ত্রণালয়।বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চল নিয়ে চীনের এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশটির বৃহত্তর ‘গ্রে-জোন’ কৌশলের অংশ, যার লক্ষ্য দ্বীপটিকে চাপে রাখা।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।এজন্য তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করতে সামরিক পথ খোলা রাখার বিষয়টিও বলে রেখেছে চীন।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত একটি সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি জানান, এটি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বুধবার ( ৮ জুন) যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে সুনাক এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে দুদিনের সফর শুরুর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বছরের দ্বিতীয় ভাগে যুক্তরাজ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনমানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবিশ্বাস্য রকমের সম্ভাবনা আছে। তবে আমাদের এর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং এটিকে নিরাপদ উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।’
গত মাসে জাপানে জি-৭ সম্মেলন চলার সময় জোটটির সদস্যদেশগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানায়। গত সপ্তাহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারজনিত বিধিমালা নির্ধারণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হয়েছে।
সুনাক চান ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি লন্ডনভিত্তিক হোক। টক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে হিসাব করলে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে আমরাই সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্বস্থানীয় দেশ। আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা তৈরির সক্ষমতা আমাদের আছে।’
দুদিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের শুরুতে আরলিংটন ন্যাশনাল সমাধিক্ষেত্রে এক অজ্ঞাত সেনার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সুনাক। এ সময় সেনারা তাঁকে ১৯টি গান স্যালুট দেয়। শ্রদ্ধাঞ্জলিতে সুনাক হাতে লেখা একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে লেখা আছে, ‘আমাদের স্বাধীন জীবন নিশ্চিত করতে যাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণে।’
আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন ঋষি সুনাক। ওই বৈঠকে ইউক্রেনের জন্যও অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবেন তিনি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন যুক্তরাজ্য
মন্তব্য করুন
পূর্ব ইউরোপের সদস্য দেশগুলোতে সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে উত্তর আটলান্টিক সাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর জোট ন্যাটো। ২০১১ সালে মোট ৫ হাজারের মত সৈন্য থাকলেও বর্তমানে তা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোটটির মূখপাত্র ওয়ানা লাঞ্জেস্কু।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ মূলত এ অঞ্চলে জোটের সৈন্য সংখ্যা অন্তত ৩০ গুণ অর্থাৎ দেড় লাখের মতো বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন। তবে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি তার সেই প্রস্তাব । নতুন করে যেসব দেশে এ ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সেগুলো হলো:- বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
এর আগে, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে চারটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছিল। এই দলের সৈন্যরা রাশিয়া থেকে সম্ভাব্য যেকোনো আক্রমণ বা অভিযান মোকাবিলার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত ছিল।এ বিষয়ে ওয়ানা লাঞ্জেস্কু বলেছেন, ‘বর্তমানে সেখানে মোট ৮টি ব্যাটল গ্রুপের অধীনে ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।’
জেনস স্টলটেনবার্গ চেয়েছিলেন অগ্রবর্তী এ ১০ হাজারের পেছনে আরও ৩ লাখ নিয়মিত সেনা প্রস্তুত রাখতে। প্রস্তাবটি আরও এক বছর আগেই দেয়া হয়েছিল। সে সময় স্টলটেনবার্গ ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাত শুরু হলে যেন এ অগ্রবর্তী ১০ হাজার সেনাকে সমর্থন দিতে ১০ দিনের মধ্যে মাঠে নামানো যায় এবং তারা পরবর্তী এক মাসের মধ্যে যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্ফোরণের ফলে বিশাল একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে সেখানকার হাজার হাজার মানুষ পানীয় জলের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বিভক্তকারী নিপ্রো নদীর বন্যার পানির জোয়ারে খেরসন অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন। এছাড়াও সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ।
সেখানকার সেচ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার ফলে কৃষিতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলেও ধারণা করছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে লড়াইয়ে নোভা কাখভকা বাঁধটিকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, বাঁধ ধ্বংসের ঘটনা ঘটলেও জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। বুধবার বন্যার পানির উচ্চতা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় খেরসনের আশপাশের এলাকা থেকে এখন মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
খেরসনের দানিপ্রো
নদীর বাঁধ
ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর নদীর পানিতে
কিছু রাশিয়ান
সেনা ভেসে
গেছে বলে
দাবি করেছে
ইউক্রেন। ক্যাপ্টেন আন্দ্রিই পিডলিসনি নামে এক ইউক্রেনীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাঁধের পানিতে ভেসে গিয়েছে রুশ বাহিনীর অনেক সেনা। এতে আহত বা নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
সেনাবাহিনীর এ ক্যাপ্টেন আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৬ জুন) যখন বাঁধটি ধ্বংস করা হয় তখন ‘রুশ বাহিনীর কেউ পালাতে পারেনি।’ দানিপ্রো নদীর অপরপ্রান্তে থাকা তাদের সকল রেজিমেন্ট পানির নিচে তলিয়ে যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ক্যাপ্টেন আন্দ্রিই বলেছেন, তাদের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করতে রাশিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে বাঁধটি ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেছেন, ‘রাত ৩টা বাজে শত্রুরা (রুশ সেনা) দানিপ্রো নদীর বাঁ পাশে পানির উচ্চতা বাড়াতে কাখোভগা হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল নিকট ভবিষ্যতে যেন ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ না চালাতে পারে সেটি নিশ্চিত করা।’
এই ক্যাপ্টেন আরও জানিয়েছেন, দানিপ্রো নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থানরত রুশ সেনারা বাঁধ ধ্বংসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোন এবং সেখানে থাকা নিজেদের সেনাদের মাধ্যমে এসব ব্যাপারে জানতে পেরেছেন তারা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বাঁধের পানিতে যেসব এলাকার ক্ষতি হয়েছে সেসব জায়গায় অবস্থানরত রুশ সেনাদের খুব সম্ভবত আগে থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। কারণ পুরো হামলার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন