ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই রন ডিস্যান্টিস?

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail

অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা করেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। তিনিই এখন রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসি।

ডিস্যান্টিস নিজেকে একজন ট্রাম্প-ঘরানার রক্ষণশীল রাজনীতিক হিসেবেই তুলে ধরেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যেসব বদনাম, সেগুলো থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখান।

ডিস্যান্টিসকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ভাবা হয়। রিপাবলিকান পার্টি থেকে এ পর্যন্ত যারা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ট্রাম্পই এখনো পর্যন্ত জনমত জরিপে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সামনের বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি তাদের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

রন ডিস্যান্টিস নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে নামবেন কিনা, তা নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল।

রন ডিস্যান্টিস কে?

রন ডিস্যান্টিস হচ্ছেন ফ্লোরিডার গভর্নর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতার প্রশ্নে বেশ আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির কট্টর রক্ষণশীলদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়, অনেকে তাকে রীতিমত রক-তারকার মতো ভক্তি করেন। তবে বামপন্থীরা তাকে একজন দক্ষিণ-পন্থী চরমপন্থী হিসেবে বর্ণনা করে।

একসময় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার রাজনৈতিক গুরু মানতেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটে। এখন রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এই সাবেক গুরু-শিষ্যের মধ্যে জোর লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রন ডিস্যান্টিস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় একেবারেই তরুণ, বয়স মাত্র ৪৪। তিনি রাজনীতিতেও বলতে গেলে নবাগত। তিনি হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১২ সালে। মাত্র ছয় বছর পর ২০১৮ সালে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর নির্বাচিত হন।

ডিস্যান্টিসের জন্ম ১৯৭৮ সালে ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বাস্কেটবল টিমের অধিনায়ক ছিলেন। পরে তিনি হার্ভার্ড ল স্কুলেও পড়েছেন। সেখানে দ্বিতীয় বর্ষে থাকার সময় তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি নৌবাহিনীর আইন শাখা জাজ এডভোকেট জেনারেল (জ্যাগ) বিভাগে কাজ করেন। এই বিভাগে থাকার সময় তাকে গুয়ানতানামো বন্দী শিবিরের বন্দীদের নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এছাড়া ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের যে নেভি সীলস টিম মোতায়েন করা হয়েছিল, তাদেরও আইন উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

ডিস্যান্টিসকে ২০১০ সালে মার্কিন নৌবাহিনী থেকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া হয়। তবে এরপরও তিনি নৌবাহিনীর একজন রিজার্ভ সেনা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরকম একটা সময়েই স্ত্রী কেসির সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। কেসি তখন স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্টার।

নৌবাহিনী থেকে অবসরে যাবার পর ডিস্যান্টিস একজন ফেডারেল কৌসুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তিনি ফ্লোরিডার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এটিকে ফ্লোরিডার সবচেয়ে বেশি রক্ষণশীল প্রভাবিত আসন বলে বিবেচনা করা হয়।

প্রথম যখন তিনি ফ্লোরিডার রাজনীতিতে নামেন, তখন তিনি ‘ছোট আকারের সরকার’ এবং কর কমানোর কথা বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন ওবামা প্রশাসনের এক কঠোর সমালোচক।

সরকার যে তার ভাষায় ‘শিশুদের শারীরিক স্থূলতা থেকে শুরু করে বিশ্বের তাপমাত্রা- সমস্ত বিষয়ে নাক গলাতে চায়’, সেটার কড়া সমালোচক ছিলেন  ডিস্যান্টিস।

কংগ্রেসে পাঁচ বছর কাজ করার পর ২০১৮ সালে তিনি কট্টর রক্ষণশীল কংগ্রেস সদস্যদের নিয়ে ‘ফ্রিডম ককাস’ নামে একটি গ্রুপ গঠন করেন। এসময় তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর পদে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন।

নির্বাচনে রন ডিস্যান্টিসের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব ছিল খুবই স্পষ্ট।

একটি নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে ডিস্যান্টিসকে তার নিজের সন্তানের সঙ্গে বিল্ডিং ব্লক নিয়ে খেলার সময় বলতে দেখা যায়, ‘বিল্ড দ্য ওয়াল’, অর্থাৎ দেয়াল তৈরি করো। এটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় এক বড় শ্লোগান। নিজের আরেক ছেলের সঙ্গে বই পড়ার রন ডিস্যান্টিসকে দেখা যায় ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ সাইনের সঙ্গে। এটিও ছিল ট্রাম্পের নির্বাচনী শ্লোগান। ছেলেকে বই পড়িয়ে শোনার একটা পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তারপর ট্রাম্প বললেন, ইউ আর ফায়ারড- ঐ অংশটা আমার খুব মজা লেগেছে।’

ডিস্যান্টিস ফ্লোরিডার গভর্নর হিসেবে শপথ নেন ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে।

যেভাবে তিনি ফ্লোরিডায় কোভিড মহামারির মোকাবেলা করেন, সেজন্যে শুরুতেই তিনি জাতীয়ভাবে সবার নজর কাড়েন। মহামারির শুরুতেই তিনি পুরো রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি করেছিলেন, তবে শীঘ্রই আবার তিনি বিধি-নিষেধ তুলে নিতে থাকেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন তিনি ফ্লোরিডায় স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন।

ফ্লোরিডায় তার পর থেকে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার, মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রশ্ন আরও কঠোর দক্ষিণপন্থী অবস্থান নেন, এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালান। তিনি ছয় সপ্তাহের বেশি গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেন।

রন ডিস্যান্টিস ডিজনি কোম্পানির সঙ্গেও দীর্ঘ আইনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এসবের ফলে তিনি সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচিত হতে থাকেন।

তবে তার রাজনৈতিক পরিচিত এবং খ্যাতি যখন বাড়তে শুরু করে, তখন আবার সাবেক রাজনৈতিক গুরু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মি. ট্রাম্প বলতে শুরু করেন, ২০১৮ সালে রন ডিস্যান্টিস যে গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন, সেটা তার সমর্থনের কারণেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প রন ডিস্যান্টিসকে নিয়ে নানা অপমানসূচক মন্তব্যও করেন। তার বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করেন।

সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা যায়, মি. ডিস্যান্টিস এখনো রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তার পাল্লায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে আছেন। মি. ডিস্যান্টিস অবশ্য বলার চেষ্টা করছেন যে, রিপাবলিকানদের হোয়াইট হাউজে ফিরিয়ে নিতে তিনিই হচ্ছেন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।

ডোনাল্ড ট্রাম্প   রন ডিস্যান্টিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবারও তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান

প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে ৩৭টি চীনা যুদ্ধবিমান

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা আকাশসীমায় আবারও বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে চীন। প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভূখণ্ডটির আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে ৩৭টি চীনা যুদ্ধবিমান। এই ঘটনায় তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে আবারও নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

৩০ টিরও বেশি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রায় ছয় ঘণ্টর মধ্যে প্রবেশ করেছে বলে দ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। চীন স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজের এলাকা বলে দাবি করে থাকে। এমনকি প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে একদিন তা দখল করার অঙ্গীকারও করেছে পরাশক্তি এই দেশটি।২০২১ সালের তুলনায় এই ধরনের লঙ্ঘনের ঘটনা ২০২২ সালে প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছে যায়। বেইজিংয়ের এই কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা চলতি বছরও অব্যাহত রয়েছে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফ্যাং জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা থেকে ‘মোট ৩৭টি চীনা সামরিক বিমান’ তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজে) প্রবেশ করেছে।

তাইওয়ানের এডিআইজে ভূখণ্ডটির আকাশসীমার চেয়ে অনেক বড়। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী ‘পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে’ জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইটারে বলেছে, টহল বিমান, নৌযান এবং স্থল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।

অবশ্য চীনা যুদ্ধবিমানের এই অনুপ্রবেশ এখনও চলমান রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি তাইওয়ানের এই মন্ত্রণালয়।বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চল নিয়ে চীনের এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশটির বৃহত্তর ‘গ্রে-জোন’ কৌশলের অংশ, যার লক্ষ্য দ্বীপটিকে চাপে রাখা।

প্রসঙ্গত, তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।এজন্য তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করতে সামরিক পথ খোলা রাখার বিষয়টিও বলে রেখেছে চীন।

 


তাইওয়ান   চীনা যুদ্ধবিমান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত একটি সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি জানান, এটি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বুধবার ( ৮ জুন) যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে সুনাক এ ঘোষণা দেন।  

যুক্তরাষ্ট্রে দুদিনের সফর শুরুর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বছরের দ্বিতীয় ভাগে যুক্তরাজ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনমানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবিশ্বাস্য রকমের সম্ভাবনা আছে। তবে আমাদের এর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং এটিকে নিরাপদ উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।’

গত মাসে জাপানে জি-৭ সম্মেলন চলার সময় জোটটির সদস্যদেশগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানায়। গত সপ্তাহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারজনিত বিধিমালা নির্ধারণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হয়েছে।

সুনাক চান ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি লন্ডনভিত্তিক হোক। টক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে হিসাব করলে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে আমরাই সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্বস্থানীয় দেশ। আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা তৈরির সক্ষমতা আমাদের আছে।’

দুদিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের শুরুতে আরলিংটন ন্যাশনাল সমাধিক্ষেত্রে এক অজ্ঞাত সেনার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সুনাক। এ সময় সেনারা তাঁকে ১৯টি গান স্যালুট দেয়। শ্রদ্ধাঞ্জলিতে সুনাক হাতে লেখা একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে লেখা আছে, ‘আমাদের স্বাধীন জীবন নিশ্চিত করতে যাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণে।’

আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন ঋষি সুনাক। ওই বৈঠকে ইউক্রেনের জন্যও অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবেন তিনি। 


কৃত্রিম   বুদ্ধিমত্তা   প্রথম   আন্তর্জাতিক   সম্মেলন   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পূর্ব ইউরোপে সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করলো ন্যাটো

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail পূর্ব ইউরোপে সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করলো ন্যাটো।

পূর্ব ইউরোপের সদস্য দেশগুলোতে সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে উত্তর আটলান্টিক সাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর জোট ন্যাটো। ২০১১ সালে মোট ৫ হাজারের মত সৈন্য থাকলেও বর্তমানে তা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোটটির মূখপাত্র ওয়ানা লাঞ্জেস্কু।

ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ মূলত এ অঞ্চলে জোটের সৈন্য সংখ্যা অন্তত ৩০ গুণ অর্থাৎ দেড় লাখের মতো বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন। তবে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি তার সেই প্রস্তাব । নতুন করে যেসব দেশে এ ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সেগুলো হলো:- বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া। 

এর আগে, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে চারটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছিল। এই দলের সৈন্যরা রাশিয়া থেকে সম্ভাব্য যেকোনো আক্রমণ বা অভিযান মোকাবিলার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত ছিল।এ বিষয়ে ওয়ানা লাঞ্জেস্কু বলেছেন, ‘বর্তমানে সেখানে মোট ৮টি ব্যাটল গ্রুপের অধীনে ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।’

 জেনস স্টলটেনবার্গ চেয়েছিলেন অগ্রবর্তী এ ১০ হাজারের পেছনে আরও ৩ লাখ নিয়মিত সেনা প্রস্তুত রাখতে। প্রস্তাবটি আরও এক বছর আগেই দেয়া হয়েছিল। সে সময় স্টলটেনবার্গ ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাত শুরু হলে যেন এ অগ্রবর্তী ১০ হাজার সেনাকে সমর্থন দিতে ১০ দিনের মধ্যে মাঠে নামানো যায় এবং তারা পরবর্তী এক মাসের মধ্যে যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।


পূর্ব ইউরোপ   সৈন্য   ন্যাটো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে খেরসন

প্রকাশ: ১১:০৯ এএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail বন্যার পানিতে খেরসন অঞ্চলে কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্ফোরণের ফলে বিশাল একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে সেখানকার হাজার হাজার মানুষ পানীয় জলের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বিভক্তকারী নিপ্রো নদীর বন্যার পানির জোয়ারে খেরসন অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন। এছাড়াও সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ।

সেখানকার সেচ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার ফলে কৃষিতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলেও ধারণা করছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ইউক্রেন রাশিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে লড়াইয়ে নোভা কাখভকা বাঁধটিকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছে।

 

এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, বাঁধ ধ্বংসের ঘটনা ঘটলেও জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। বুধবার বন্যার পানির উচ্চতা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় খেরসনের আশপাশের এলাকা থেকে এখন মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

 


খেরসন   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাঁধের পানিতে ভেসে গেছে রুশ সেনারা; দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail বাঁধের পানিতে ভেসে গেছে রুশ সেনারা; দাবি ইউক্রেনের।

খেরসনের দানিপ্রো নদীর বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর নদীর পানিতে কিছু রাশিয়ান সেনা ভেসে গেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। ক্যাপ্টেন আন্দ্রিই পিডলিসনি নামে এক ইউক্রেনীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাঁধের পানিতে ভেসে গিয়েছে রুশ বাহিনীর অনেক সেনা। এতে আহত বা নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ( জুন) যখন বাঁধটি ধ্বংস করা হয় তখন রুশ বাহিনীর কেউ পালাতে পারেনি। দানিপ্রো নদীর অপরপ্রান্তে থাকা তাদের সকল রেজিমেন্ট পানির নিচে তলিয়ে যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ক্যাপ্টেন আন্দ্রিই বলেছেন, তাদের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করতে রাশিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে বাঁধটি ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেছেন, রাত ৩টা বাজে শত্রুরা (রুশ সেনা) দানিপ্রো নদীর বাঁ পাশে পানির উচ্চতা বাড়াতে কাখোভগা হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল নিকট ভবিষ্যতে যেন ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ না চালাতে পারে সেটি নিশ্চিত করা।

এই ক্যাপ্টেন আরও জানিয়েছেন, দানিপ্রো নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থানরত রুশ সেনারা বাঁধ ধ্বংসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোন এবং সেখানে থাকা নিজেদের সেনাদের মাধ্যমে এসব ব্যাপারে জানতে পেরেছেন তারা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বাঁধের পানিতে যেসব এলাকার ক্ষতি হয়েছে সেসব জায়গায় অবস্থানরত রুশ সেনাদের খুব সম্ভবত আগে থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। কারণ পুরো হামলার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।


খেরসন   রুশ বাহিনী   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন