ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিয়েভে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা রাশিয়ার

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে নতুন করে এই হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ এই হামলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার এটা ১৭তম বিমান হামলা। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভে নতুন করে ‘বিশাল’ আক্রমণ শুরু করেছে এবং ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের অন্যান্য বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ব্যাপক আক্রমণ হচ্ছে! কেউ নিরাপদ আশ্রয় ত্যাগ করবেন না।’

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করছে। তবে রুশ মিসাইল বা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রাজধানীর ঐতিহাসিক পোডিল এবং পেচেরস্কি মহল্লাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।

মেয়র ক্লিটসকো বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হোলোসিভস্কি এলাকায় আহত হওয়ার পর ২৭ বছর বয়সী এক নারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ক্লিটসকো আরও বলেছেন, রাশিয়ার হামলার পর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আগুন লেগে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভের সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, একজন আহত হয়েছেন বলে ক্লিটসকো বলেছেন।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যাতে একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ওপরের তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। শহরের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন টেলিগ্রামে বলেছে, বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা-দরজা ভেঙে গেছে।

রয়টার্স অবশ্য স্বাধীনভাবে এসব প্রতিবেদন যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার ভোরে হওয়া এই হামলা চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার ১৭তম আক্রমণ। এছাড়া এ নিয়ে পরপর তৃতীয় দিনের মতো রাতের আঁধারে একই তীব্রতা নিয়ে কিয়েভে হামলা চালাল মস্কো। এর আগে সোমবার ইউক্রেনের এই রাজধানী শহরে দুই দফায় হামলা চালায় রাশিয়া।

সোমবারের হামলায় রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বলে কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেছিলেন, ক্রমাগত এই আক্রমণের মাধ্যমে, শত্রুরা বেসামরিক জনগণকে গভীর মানসিক উত্তেজনার মধ্যে রাখতে চায়।

এর আগে রোববার রাতের আঁধারে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ওই হামলাকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপক ওই হামলায় একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। এছাড়া একইদিন কিয়েভের ওপর ৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলেও দাবি করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কিয়েভের দীর্ঘ-প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের আগে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে রুশ সামরিক বাহিনী।

অবশ্য ইউক্রেন গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে সেই আক্রমণ শুরুর আগে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের জন্য যতটা সম্ভব বেশি সময় নিচ্ছে ইউক্রেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো সেই সিনেটরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি রবার্ট মেনেনডেজকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই ডেমোক্রেটকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফিসহ অনেক সিনেটর।

নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ড্যামিয়েন উইলিয়ামস জানান, এফবিআই-এর তদন্তে মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান নিউ জার্সির সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

৩৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ মধ্যে, নিউ জার্সির সিনিয়র সিনেটর এবং সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান সেনেটর মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী নাদিন মেনেনডেজ তিন মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ায়েল হানা, জোসে উরিবে এবং ফ্রেড ডাইবেসের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সিনেটর মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী কয়েক লাখ ডলার ঘুষ নিয়ে এই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে এবং মিশর সরকারকে লাভবান করতে তার ক্ষমতা ও প্রভাব ব্যবহার করেছেন। অভিযোগ করা হয়, হানা, উরিবে এবং ডাইবেস নগদ অর্থ, স্বর্ণ, বাড়ির ঋণ পরিশোধ, নাদিন মেনেনডেজের একটি লোক দেখানো চাকরি, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সিনেটর এবং তার স্ত্রীকে দিয়েছেন।

মেনেনডেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছিল। এর আগে নিউ জার্সিতে দাপ্তরিক সুবিধার বিনিময়ে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যক্তিগত ফ্লাইট, প্রচারাভিযানে ‘কন্ট্রিবিউশন’ এবং অন্যান্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে অভিযোগটির বিচার জুরির অভাবে অনিষ্পন্ন থেকে যায়।

সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ হলেন সেই সিনেটর যিনি ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বরাবর যে ৮ জন সিনেটর চিঠি দেন তার নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট মেনেনডেজ।

বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তাদের কারো টাকা নিয়ে রবার্ট মেনেনডেজ সে সময় এ চিঠি দিয়েছিলেন কিনা, এটি একটি বড় প্রশ্ন।

একই সাথে মেনেনডেজ যখন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি, সে সময় বাংলাদেশের কিছু নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনেও কোনো ঘুষের লেনদেন আছে কিনা, সেটিও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানকে ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ছাড়াই দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে দাবী করেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার।

যখন একদিকে পাকিস্তানে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করলেন তিনি। এদিকে ইমরান বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় অ্যাটক জেলে তিন বছরের সাজা ভোগ করছেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

উল্লেখ্য, গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে।

এমন পরিস্থিতিতেই বার্তাসংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কাকার এমন মন্তব্য করলেন।

তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে ইমরান খান বা তার দলের শত শত সদস্যকে ছাড়াই, যারা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। কারণ তারা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন।‘

এর আগে দুর্নীতির মামলায় গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। পরে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে ইমরান কারাগার থেকে মুক্তি পলেও তার দল পিটিআইয়ের ওপর নেমে আসে ব্যাপক দমন-পীড়ন। সহিংসতা এবং সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শত শত পিটিআই কর্মী এবং সিনিয়র নেতাদের কারাগারে বন্দি করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে কাকার বলেন, পিটিআই কর্মীদের যারা জেল খাটছেন, তারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও অন্যান্য বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার ভাষায়, ‘হাজার হাজার পিটিআই কর্মী, যারা বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না, তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

পিটিআই যাতে ক্ষমতায় ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী আসন্ন নির্বাচনে কারসাজি করতে যাচ্ছে এমন কোনও দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিনা জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী উত্তর দেন: ‘আমি মনে করি এটি একেবারেই অযৌক্তিক।

তার দাবি, ইসিপি নির্বাচন পরিচালনা করবে, সামরিক বাহিনী নয়। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও সমর্থন করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারও রয়েছে। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে ইমরান খান নিয়োগ করেছিলেন জানিয়ে কাকার বলেন, ‘কেন তিনি তার বিরুদ্ধে কোন অর্থে ঘুরে দাঁড়াবেন?’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের এই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার জন্য কারও পেছনে ছুটছি না। তিনি অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যান বা অন্য কোনও রাজনীতিবিদ নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাকার আরও বলেন, তিনি আদালতের রায়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। এমনকি বিচার বিভাগকে ‘কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্ষমতাসীন দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন: ‘পিটিআই বা ইমরান খান ছাড়া সাধারণ নির্বাচন হবে অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক।

ইমরানের দলের এই মুখপাত্র দাবি করেছেন, পিটিআই হলো পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং ইমরান খান হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। ইমরানকে বাদ দিয়ে কোনও নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না বলেও সতর্ক করেন পিটিআইয়ের এই মুখপাত্র।


পাকিস্তান   ইমরান খান   নির্বাচন   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে: সিভিকাস মনিটর

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী দল, অধিকারকর্মী ও ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমানভাবে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে। ফলে বিরোধী দল ও সরকারের সমালোচকদের ওপর দমনপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক স্বাধীনতা দ্রুত কমছে বলে মনে করছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গভিত্তিক নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী সিভিকাস মনিটর। সিভিকাস মনিটর বিশ্বব্যাপী নাগরিক অধিকার ও সুশীল সমাজ নিয়ে কাজ করছে।

চলতি মাসের হালনাগাদ তথ্যে এমনটি উল্লেখ্য করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাড়াও বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ইকুয়েডর, সেনেগাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও যুক্ত করা হয়েছে এই তালিকায়।

সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী দল বিএনপির সমর্থকদের নিশানা করা, আইনি ও অন্যান্য উপায়ে অধিকারকর্মী-সাংবাদিকদের চুপ করানোর চেষ্টাসহ ভিন্নমতকে দমনে যা কিছু করা দরকার, তা করতে উদ্যোগী বলে মনে হয়।

সিভিকাস মনিটরের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের গবেষক জোসেফ বেনেডিক্ট বলেন, বাংলাদেশ একটি বিপজ্জনক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দেখছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ দায়মুক্তির সঙ্গে বিরোধী দল, অধিকারকর্মী ও সমালোচকদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। জানুয়ারিতে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অবশ্যই মানুষের মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। এর মধ্যে প্রতিবাদ ও স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, সব রাজনৈতিক দলের কাজ করার জন্য নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার মতো বিষয় রয়েছে।

সিভিকাস মনিটরের হালনাগাদ ওয়াচলিস্ট বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতার ব্যাপক অধোগতির ঝুঁকির দিকটি তুলে ধরেছে। সংগঠনটি বিশ্বের ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলের নাগরিক স্বাধীনতার গতিপথ নজরে (ট্র্যাক) রাখে। তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা গবেষণা অংশীদারদের সহায়তা নেয়।

সিভিকাস মনিটরের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের গবেষক জোসেফ বেনেডিক্ট বলেন, মানবাধিকার রক্ষকসহ সাংবাদিকদের হয়রানি ও দমনমূলক পরিবেশ বাংলাদেশে একটি শীতল প্রভাব তৈরি করেছে। এর ফলে অনেকেই কথা বলতে ভয় পায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। এই নিপীড়ন বন্ধে আহ্বান জানাতে হবে। নাগরিক ও গণতান্ত্রিক পরিসর উন্মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিতে হবে।

সিভিকাস মনিটরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী বিএনপির সমর্থকদের গণগ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে হাজারো ভুয়া মামলা করেছে। পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়ে বিএনপির আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে। এই হামলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনও অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে।

সিভিকাস মনিটরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকার রক্ষকদের হয়রানি বাড়িয়েছে। চলতি মাসে ঢাকার একটি আদালত মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ সমালোচনাকারী সংবাদমাধ্যম বন্ধ, কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিচার, সাংবাদিকদের হয়রানি, নির্বিচারে আটকের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে চুপ করার চেষ্টা করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে যে নতুন বিল আনা হয়েছে, তা আগের আইনের মতোই দমনমূলক। নাগরিক পরিসরের ওপর চলমান বিধিনিষেধ, আক্রমণ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশ এই সনদে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ।

জোসেফ বেনেডিক্ট আরও বলেন, প্রতিটি মাস বাংলাদেশের নাগরিক পরিসরের ওপর একটি নতুন আক্রমণ নিয়ে হাজির হচ্ছে বলে মনে হয়। তারা আদিলুর ও নাসিরকে অবিলম্বে-নিঃশর্তে মুক্তির পাশাপাশি অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সব নিয়ন্ত্রণমূলক আইন আন্তর্জাতিক আইন ও মান অনুযায়ী সংশোধনেরও আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ   মানবাধিকার পরিস্থিতি   সিভিকাস মনিটর   জোহানেসবার্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সহিংসতাপ্রবণ শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকায় এল যুক্তরাষ্ট্রের নাম

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বের বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতা পরিমাপকারী ৫০টি সবচেয়ে বেশি সংঘাতপূর্ণ দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমা দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উঠে এসেছে। এক নতুন গবেষণা অনুসারে এ তথ্য সামনে এসেছে।

এই গবেষণা পরিচালনাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিন অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি-এর মতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীর বিস্তারের কারণে দেশটি এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে।

গবেষণা কাজে বিশ্বের ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে পূর্ববর্তী এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণা বলছে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এ বছর সহিসংতা ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় দেশগুলোতে রাজনৈতিক কারণে সহিংসতা বেড়েছে।

চারটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে এসিএলইডি। এই চারটি মানদণ্ড হলো (১) সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, (২) জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি, (৩) সহিংসতাপ্রবণ এলাকার আয়তন, (৪) সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা। এবারের গবেষণা বলছে গতবছর মোটামুটি সব দেশেই কমপক্ষে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

গবেষণা তালিকার ৫০টি সহিংসতাপ্রবণ দেশকে ‘এক্সট্রিম বা চরম, ‘হাই বা উচ্চ এবং ‘টার্বুলেন্ট’ বা উত্তাল এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। গবেষণা অনুসারে তালিকার শীর্ষে থাকা মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। এরপর রয়েছে সিরিয়া ও মেক্সিকো। ‘উত্তাল ক্যাটাগরিতে রয়েছে লিবিয়া, ঘানা ও চাদ এবং যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলংকার অবস্থান হাই বা উচ্চ ক্যাটাগরিতে।

সহিংস দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে এসিএলইডির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তালিকার যে ধাপে স্থান পেয়েছে, সেই তালিকায় সাধারণত সহিংসতাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।

এই ধাপে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মতো দেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে বুঝা গেল যে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র ও অগণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

মারাত্মক মহামারি, সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিবাদ এবং একটি বিভক্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এই তিনে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি নিখুঁত সংকটের বছর হিসেবে পরিচিত ২০২০ সাল থেকে এসিএলইডি মার্কিন রাজনৈতিক সহিংসতার ওপর নজর রাখছে। তবে কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞ এসিএলইডি'র তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সূত্র: ভয়স অব আমেরিকা


সহিংসতাপ্রবণ   শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে কয়লা খনিতে ভয়াবহ আগুনে ১৬ জন নিহত

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চীনে একটি কয়লা খনিতে ভয়াবহ আগুন লেগে ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের গুইঝো প্রদেশে ওই কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় পানঝৌ শহরের সমস্ত কয়লা খনি একদিনের জন্য উৎপাদন স্থগিত করেছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে সানজিয়াওশু কয়লা খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে পানঝৌ সিটি সরকার রোববার রাতে তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘কনভেয়ার বেল্টে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আগুনের ফলে ১৬ জন লোক খনিতে আটকা পড়েছিল।

অবশ্য অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কী ক্ষতি হয়েছে বা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বিশদ কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, এই অঞ্চলটির প্রতি বছর প্রায় ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে যার বেশিরভাগই কোকিং কয়লা।

এর আগে গত আগস্টে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় খনিতে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৯ জন ভেতরে আটকা পড়েন।

দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে দেশটির এমন সব খনিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীনের স্বায়ত্তশাসিত ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে ধসে অন্তত ৫৭ জন নিখোঁজ হন। ইনার মঙ্গোলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় আলক্সা লীগ এলাকায় এই খনি দুর্ঘটনা ঘটে।

আগে খনি দুর্ঘটনার অনেক খবরই দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হতো না। দেশটির কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস ধরে ইনার মঙ্গোলিয়ায় খনি ধসের ঘটনায় চূড়ান্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। গত জুনে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, খনি ধসে ৫৩ জন মারা গেছেন।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি সোনার খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় খনি ধসের ঘটনায় সেখানে কর্মরত অন্তত ৪০ জন চাপা পড়েন।

এছাড়া ২০২১ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশে একটি কয়লা খনিতে আকস্মিক বন্যায় দেড় ডজনের বেশি শ্রমিক আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে অন্তত দুজনের প্রাণহানি ঘটে এবং বাকিদের উদ্ধার করা হয়।


চীন   দুর্ঘটনা   অগ্নিকাণ্ড   নিহত   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন