মন্তব্য করুন
পশ্চিম আফ্রিকার
দেশ লাইবেরিয়ায় ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আগামী মাসেই নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং এর আগেই গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্নকারীদের জন্য এই ভিসা বিধিনিষেধ
ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
বৃহস্পতিবার (২৮
সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
লাইবেরিয়ায় গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্নকারীদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। অবশ্য ঠিক কতজনের বিরুদ্ধে এই ভিসা বিধিনিষেধ
আরোপ করা হয়েছে বা কাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের নাম স্টেট ডিপার্টমেন্টের
ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে যারা এই ভিসা
বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন না বা তাদের ভ্রমণের
ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য সর্বশেষ ঘোষিত এই নীতিটি লাইবেরিয়ার জনগণ বা সরকারকে
লক্ষ্য দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্লিংকেন।
অ্যন্টনি ব্লিংকেন
বলেছেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে এমন লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যারা লাইবেরিয়ার
গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার
কারসাজি বা কারচুপি; সহিংসতার ব্যবহার ....; বা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য
অন্য কোনও কার্যকলাপে জড়িত হওয়া।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র
গত বছর লাইবেরিয়ার তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহারের
অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ
ওয়েহের চিফ অব স্টাফ ন্যাথানিয়েল ম্যাকগিলও ছিলেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার
পর প্রেসিডেন্ট ওয়েহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন। যদিও তারা কোনও ধরনের অন্যায়
করার কথা অস্বীকার করেছিলেন।
বার্তাসংস্থাটি বলছে,
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায় আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা
রয়েছে। আসন্ন এই নির্বাচনে সাবেক ফুটবল তারকা প্রেসিডেন্ট ওয়েহের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা
হবে। মূলত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব সত্ত্বেও কিছু উন্নতি করতে পারেন এমন আশা দেখিয়ে
ওয়েহ ক্ষমতায় এসেছিলেন।
তবে ওয়েহের ক্ষমতার
প্রথম মেয়াদ বেশ বিশৃঙ্খল ছিল। এছাড়া তার অধীনে একের পর এক কেলেঙ্কারিও তাকে বেশ পিছিয়ে
দিয়েছে। অন্যদিকে লাইবেরিয়ার বিরোধী নেতা জোসেফ বোকাই চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে
তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। ৭৮ বছর বয়সী বোকাই ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত মাসে বলেছে, তারা অক্টোবরে দেশটির আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় লাইবেরিয়ায় পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
পৃথক দুটি ঘটনায়
ইসরায়েলে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয় ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
দেশটিতে আরব সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়ংকর প্রাণঘাতী হামলার সবশেষ ঘটনা এটি।
ইসরায়েলি পুলিশ এক
বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উত্তর ইসরায়েলের বাসমাত তাবুন শহরে গুলি
করে হত্যা করা হয়েছে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। তাদের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ।
এ ঘটনায় নিহতরা সম্পর্কে
বাবা-মা ও তাদের তিন সন্তান ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পর্যবেক্ষক সংগঠন আব্রাহাম ইনিশিয়েটিভস।
পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে তারা।
এর আগে, হাইফা শহরে
আরেক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশধারী বন্দুকধারীরা। ওই ব্যক্তি কর্মস্থলে
যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন।
একই দিনে সংঘটিত
এই হত্যাকাণ্ডগুলো কোনোভাবে সম্পর্কিত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি
পুলিশ। হাইফার যে এলাকায় প্রথম হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল, সেখানকার সব স্কুল বন্ধ
করে দেওয়া হয়েছে।
আব্রহাম ইনিশিয়েটিভসের
হিসাবে, এ দুটি ঘটনা মিলিয়ে চলতি বছরে ইসরায়েলে অন্তত ১৮৮ ফিলিস্তিনি হত্যার শিকার
হলেন।
ইসরায়েলের ৯৭ লাখ
জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই ফিলিস্তিনি নাগরিক। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তারা দারিদ্র্য,
বৈষম্য ও সরকারের অবহেলার শিকার। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তার
অভাব রয়েছে। এর ফলে সেখানে অপরাধী ও মাদক কারবারিরা অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে বলে অভিযোগ
বাসিন্দাদের।
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন জিভির গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অপরাধ কমাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত
সে বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি চোখে পড়ে না। বরং এসব এলাকায় সহিংসতা-প্রাণহানি আরও বেড়েছে।
এসব ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলাগুলোর মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছে
আব্রাহাম ইনিশিয়েটিভস।
সংগঠনটির পরিচালক
থাবেত আবু রাসের অভিযোগ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের ইচ্ছা বা ক্ষমতা কোনোটাই নেই।
মানুষ বাইরে যেতে ভয় পায়। পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক।
সূত্র: আল-জাজিরা
ইসরায়েল ফিলিস্তিন বন্দুক-হামলা নিহত
মন্তব্য করুন
ট্র্যাভিস কিং, একজন
মার্কিন সেনা। নিয়োজিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি সেখান থেকে আকস্মিকভাবে
উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। তবে তাকে আবার হেফাজতে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, ট্র্যাভিস
কিং দেশ থেকে বের করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। এরপরই তাকে হেফাজতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত
জুলাই মাসে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া থেকে বহিষ্কারের পর ট্র্যাভিস কিং এখন আমেরিকার হেফাজতে রয়েছেন।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্র্যাভিস কিংকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক
স্থাপনায় পাঠানোর আগে চীনে মার্কিন হেফাজতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রশাসনের একজন সিনিয়র
কর্মকর্তা বুধবার বলেছেন, “কয়েক মাসের বেশ ‘জোরদার কূটনৈতিক তৎপরতার’ পর ট্র্যাভিস কিং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ফিরে এসেছেন এবং তিনি
তার পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ট্র্যাভিস কিং তার বাড়িতে ফেরার
সুযোগ পেয়ে খুব খুশি এবং তিনি তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য খুব উন্মুখ
হয়ে আছেন।”
ওই কর্মকর্তা আরো
বলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার মুক্তি নিশ্চিত করতে কোনো ছাড় দেয়নি।
২৩ বছর বয়সী এই
মার্কিন সেনা গত জুলাই মাসে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। উত্তর কোরিয়ার
গণমাধ্যম পরে জানিয়েছিল, মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘অমানবিক আচরণ’ ও বর্ণবাদের কারণে তিনি পালিয়ে এসেছেন।
আরও জানা গেছে, চীনের
সীমান্ত শহর ডান্ডংয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার পর ট্র্যাভিস কিংকে স্টেট
ডিপার্টমেন্টের বিমানে করে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া
হয়। বুধবার বিকালে তার মার্কিন ভূখণ্ডে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মার্কিন
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এর আগে বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানায়, পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি ট্র্যাভিস কিংকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
ট্র্যাভিস কিং মার্কিন
সেনাবাহিনীতে ২০২১ সাল থেকে কাজ করছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে মূলত একজন নজরদারি
বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন।
তবে উত্তরে প্রবেশের
আগে, হামলার অভিযোগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাসের জন্য জেল খাটেন। গত ১০ জুলাই তিনি
মুক্তি পান। মুক্তির পরই তার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
কিন্তু অন্যান্য কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন ট্র্যাভিস কিং। এরপর একটি ট্যুর টিমের সঙ্গে চলে যান উত্তর-দক্ষিণকে বিভক্ত করা ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড)। সেখান দিয়ে হঠাৎ করে সবাইকে চমকে দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন
আমেরিকা উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া ট্র্যাভিস কিং
মন্তব্য করুন
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের ’৭৫ পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক ও দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন আজ। স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসামান্য সব কাজের অবদানে বিশ্বজুড়ে আজ ব্যাপক সমাদৃত এবং সম্মানিত। বিশ্বের উচ্চ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ তাকে রোল মডেল মনে করেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বর্তমানে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে পালন করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দেশের ইতিহাসে আর কারও এই রেকর্ড নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে সাফল্য এসেছে আর কোনো নেতৃত্বে এমন সাফল্য দেখেনি দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন তিনি। পার্বত্য চুক্তি, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়সহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে তারই আমলে।
তবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ ও মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতার পরিচয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখনও চলমান। বিশ্বজুড়ে এ কারণে তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এবং সম্মানিত হয়ে আসছেন সবসময়।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভের পর বাংলাদেশের শাসনভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে যে শান্তি ও প্রগতির পররাষ্ট্রনীতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসরণ করেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে একই নীতি অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছেন। ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ বিশ্বশান্তির পক্ষে বঙ্গবন্ধুর এই অমোঘ নীতিই এখনো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র।
আর এ কারণেই সময়ে সময়ে বিশ্বনেতারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারি চিন্তা-চেতনার ফলেই বাংলাদেশে এত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে এবং সব দিক থেকে দেশ উন্নতির শিখরে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তারা মনে করেন। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৬ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা স্রোত জোরালো হওয়ার এক মাসের মাথায় মন্তব্য করেন, “আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাবার দেই। সুতরাং বিপদে পড়ে আমাদের দেশে আসা দুই-পাঁচ-সাত লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের আছে।"--এমন বক্তব্য রাখতে মন লাগে, বুকে ব্যাপক সাহস লাগে। অকুতোভয় দেশরত্ন আমাদের এই প্রধানমন্ত্রীর তা আছে।
বিভিন্ন বিশ্বনেতাদের প্রশংসাবাণী
বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আপনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা। আমার দুই মেয়ের জন্যেও আপনি মহান অনুপ্রেরণা’
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ভূমিহীন ও গৃহহীন বাংলাদেশের জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শেখ হাসিনার গৌরবময় ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন ঋষি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "আমি আনন্দিত যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে তার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। যারা বাংলাদেশ গঠনে আপত্তি করছিলেন, যারা এখানকার মানুষকে নিচু চোখে দেখতেন, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, বাংলাদেশ তাদের ভুল প্রমাণ করছে।"
এছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও শেখ হাসিনার উদ্দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে পাঠানো এক বার্তায় বলেছিলেন, “আমি আপনাকে ও বাংলাদেশের জনগণকে এই অভূতপূর্ব অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। আপনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এটি বিশ্বে উদারতা ও মানবতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র অংশীদার হিসেবে কাজ করবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায়ও আমার প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।“
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হয়েছে এবং দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের কাতারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ৬ শতাংশের অধিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) মাধ্যমে বাংলাদেশ তার দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করছে এবং বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চীন বাংলাদেশের এমন উন্নয়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।"
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেতা হিসেবে পেয়ে এই দেশের মানুষ সত্যিই ভাগ্যবান। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তিনি এবং তার দল যে দক্ষতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। এই করোনার মাঝেও দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ জিডিপি বাংলাদেশের। এগুলো জেনে আমাদের সত্যিই আনন্দ অনুভূত হয়।"
এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "বর্তমানে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির মতো বিষয়গুলো এ দেশের মানুষের সামনে নতুন নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে।"
এদিকে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেছিলেন, "বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশকে সুখী ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।"
বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, "বাংলাদেশ অগ্রগতি ও ক্রমাগত উন্নয়নের দিকে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদা অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার বাংলাদেশ।"
কয়েক বছর আগে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন, “সাহসিকতা ও ধৈর্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত বেদনাকে পাশ কাটিয়ে তার নিজের বিশ্বাসের প্রতি অবিচল সংগ্রাম, আমার জন্য যেভাবে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা ছিল তেমনি ভবিষ্যতেও আমায় অনুপ্রাণিত করে যাবে।“
সিয়েরা লিওনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পত্নীও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সিয়েরা লিওনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পত্নী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলেন, ‘আমরা আপনাকে (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী) অনুসরণ করছি।“
এদিকে শুধু বিশ্বনেতারাই নন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতও প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় মুগ্ধ হয়ে নানা সময়ে নানা প্রশংসাবাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, “আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গত এক দশকে বাংলাদেশের পক্ষে যা অর্জন করেছে তা পুরোই ‘ব্যতিক্রমী’। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এখনো দুদেশের সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।“
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার যে উন্নয়ন অর্জন করেছেন তা যে কোন তুলনায় অনন্য। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত এবং দুই দেশের সম্পর্কের শিকড় যে কোনো কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ছাড়িয়ে যায়।“
বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশের অগ্রগতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃত। জাতি হিসেবে টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান বাঘ। রাষ্ট্রদূত তুরান প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশি জনগণের নমনীয়তারও প্রশংসা করেন।
বিশ্বনেতাদের অনুপ্রেরণা ‘শেখ হাসিনা’ বিশ্বনেতা
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি প্রকাশিত
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ২০২৪ সালের বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে
প্রথম সেরা ৮০০ এর তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ তালিকায় দেশের
মোট ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে এদের অবস্থান আরও নিচের দিকে। র্যাঙ্কিংয়ে
বিশ্বের ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে আছে দেশের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো-ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
তবে মর্যাদাপূর্ণ
এ র্যাঙ্কিং তালিকায় সেরা ৮০০ এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ২৪টি ও পাকিস্তানের ৮টি
বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
(বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে ১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে। এছাড়া, ১২০১
থেকে ১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে গত বছরের টাইমস
হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
ছিল ৬০১ থেকে ৮০০ এর মধ্যে।
শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের
অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি
করে বিশ্বের ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৯০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এবারের র্যাঙ্কিং করেছে
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন'।
এবারের র্যাঙ্কিংয়ে
শীর্ষে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
এবং তৃতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)।
ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের অবস্থান তালিকার ২০১-২৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। ভারতের সেরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, মহাত্মা গান্ধী ইউনিভার্সিটি, আলাগাপ্পা ইউনিভার্সিটি, আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আছে-কায়েদ এ আজম ইউনিভার্সিটি, আবদুল ওয়ালী খান ইউনিভার্সিটি, এয়ার ইউনিভার্সিটি।
‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ টাইমস হায়ার র্যাঙ্কিং টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং
মন্তব্য করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায় ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আগামী মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং এর আগেই গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্নকারীদের জন্য এই ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ট্র্যাভিস কিং, একজন মার্কিন সেনা। নিয়োজিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি সেখান থেকে আকস্মিকভাবে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। তবে তাকে আবার হেফাজতে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা গেছে, ট্র্যাভিস কিং দেশ থেকে বের করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। এরপরই তাকে হেফাজতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত জুলাই মাসে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের ’৭৫ পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক ও দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন আজ। স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসামান্য সব কাজের অবদানে বিশ্বজুড়ে আজ ব্যাপক সমাদৃত এবং সম্মানিত। বিশ্বের উচ্চ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ তাকে রোল মডেল মনে করেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশনের ২০২৪ সালের বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম সেরা ৮০০ এর তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ তালিকায় দেশের মোট ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে এদের অবস্থান আরও নিচের দিকে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে আছে দেশের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো-ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।